৭৫/৩. অণ্ডাল
Testicle (টেষ্টিকল)/ ‘خصية’ (খাসিয়া)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘মুষ্ক’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘মুষ্ক’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘থলি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অষ্ঠি’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘শিবঝুলি’।

অভিধা (Appellation)
অণ্ডাল (বাপৌচা)বি অণ্ডালু এর চারিত্রিকরূপ বিশেষ, testicle, ‘خصية’ (খাসিয়া) (শ্ববি) মুষ্ক, অণ্ড, আণ্ডা, বিচি, অণ্ডকোষ, অণ্ডাধার, testicle, বয়জা (আ.ﺑﻴﺿﺎﻦ) (রূপ্রশ) থলে, বস্তা, ছালা, ঝুলি (হি.ﺠﻬﻮﻟﻰ), ঝোলা (হি.ﺠﻬﻮﻻ) (ইদে) মারিয়াম (আ.ﻤﺮﻴﻢ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘মুষ্ক’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. অণ্ড ও আণ্ডা ইত্যাদিকে অণ্ডাল বলা হয় ২. শিশ্নের অণ্ডথলিকে রূপকার্থে অণ্ডাল বলা হয় (বাপৌছ) শিবঝুলি (বাপৌচা) অণ্ডাল (বাপৌউ) অষ্ঠি (বাপৌরূ) থলি (বাপৌমূ) মুষ্ক।

অণ্ডালু (বাপৌছ)বিণ ডিমযুক্ত, অণ্ডধর।

অণ্ডালের সংজ্ঞা (Definition of testicle)
সাধারণত; অণ্ড ও আণ্ডা ইত্যাদিকে অণ্ডাল বলে।

অণ্ডালের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of testicle)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শিশ্নের অণ্ডথলিকে রূপকার্থে অণ্ডাল বলে।

অণ্ডালের প্রকারভেদ (Variations of testicle)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; অণ্ডাল দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান অণ্ডাল ও ২. উপমিত অণ্ডাল।

১. উপমান অণ্ডাল (Analogical testicle)
সাধারণত; অণ্ড ও আণ্ডা ইত্যাদিকে উপমান অণ্ডাল বলে।

২. উপমিত অণ্ডাল (Compared testicle)

বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শিশ্নের অণ্ডথলিকে উপমিত অণ্ডাল বলে।

অণ্ডালের পরিচয় (Identity of testicle)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘মুষ্ক’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। অণ্ডালু এর চারিত্রিকরূপ হলো অণ্ডাল। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।

সাধারণত; ডিম্বকে অণ্ডাল বলা হয়। তবে; শ্বরবিজ্ঞানে; অণ্ডাধারকেই অণ্ডাল বলা হয়। অর্থাৎ; পুরুষের অণ্ডকোষকেই অণ্ডাল বলা হয় কিন্তু অত্যন্ত মজার বিষয় হলো একে যখনই কোনো শ্বরবিজ্ঞানে; চরিত্র রূপে ব্যবহার করা হয়; তখনই সাধারণ মানুষ একে রক্তমাংসে নির্মিত মানুষ বলে অনুমান করে বসেন। পুরাণে বর্ণিত চরিত্রগুলো কখনই রক্তমাংসে নির্মিত মানুষ বা প্রাণী নন। তা সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা একেবারেই ভুলে বসেছে। পুরাণকে যারা বাস্তব ঘটনাবলী মনে করে; দেবতাগণের চরিত্রকে যারা বাস্তব ঘটনাবলী মনে করে; তারাই সমাজের পুণ্য ব্যবসায়ী, স্বর্গ ব্যবসায়ী এবং প্রয়াণোত্তর প্রভু প্রেমিক সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক। একবিংশ শতাব্দী আধ্যাত্মিক শতাব্দী। এ শতাব্দীতেই পৃথিবীর সব মানুষকে সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক সর্বপ্রকার অন্ধবিশ্বাস ও মনগড়া সাম্প্রদায়িক স্রষ্টার মরণবিতংস হতে বেরিয়ে আসতে হবে। সাথে সাথে সবাইকে আঁকড়ে ধরতে হবে আধুনিক প্রযুক্তি ও আধুনিক বিজ্ঞানের ঝাণ্ডা। ইতোমধ্যেই বিশ্বের যে দেশ সাম্প্রদায়িক অন্ধবিশ্বাস পরিত্যাগ করে যতোধিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে আঁকড়ে ধরেছে, সে দেশ ততো উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে।