১৬/০২. অন্ধকূপ
Dungeon (ডানজান)/ ‘زنزانة’ (ঝিনঝানা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের অধীন গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কানাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘রজকিনী’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস’।

অভিধা (Appellation)
অন্ধ (বাপৌছ)বিণ কানা, দৃষ্টিহীন (আল) মূর্খ, অজ্ঞান (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই।

অন্ধকূপ (বাপৌছ)বি অপরিসর অন্ধকারময় কক্ষ, dungeon, ‘زنزانة’ (ঝিনঝানা) (শ্ববি) যোনি, sex, vagina, ফারজ (আ.ﻔﺮﺝ) (রূপ্রশ) কানাই, অযোধ্যা, কালনাগিনী, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, চুলা, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী, স্রাবস্তী, হিবাচী (ব্য্য) যোনিপথ দেখতে অন্ধকার কূপের মতো। এজন্য; বাংলা পুরাণে একে অন্ধকূপ বলা হয় (ইপ) মক্কা (আ.ﻤﻜﺔ) (ইদে) দাজ্জাল (আ.ﺪﺟﺎﻞ), হামান (আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ), হারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ), হেরা (ﺤﺭﺍ), হাজরে আসুদ (حجر أسود) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; আলো ও বাতাসের প্রবাহহীন যে কোনো কূপকেই অন্ধকূপ বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, যোনিকে রূপকার্থে অন্ধকূপ বলা হয় (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই {বাং.অন্ধ+ বাং.কূপ}

অন্ধকূপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of dungeon)
১.    “তুমি চৈতন্য রূপে রও চুপে চুপে, কিংবা তুমি নীর আকারে রও অন্ধকূপে, আমি জানতে পারলে, সেবাদাসী হব হরি এবারে।” (পবিত্র লালন- ৯৮৪/২)।
২.   “পুরুষ কী প্রকৃতি রূপে, বাস করিয়া অন্ধকূপে, প্রকাশ হয় অনন্ত রূপে, যখন মনে যা চাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৭)।

অন্ধকূপের সংজ্ঞা (Definition of dungeon)
সাধারণত; আলো ও বাতাসের প্রবাহহীন যে কোনো কূপকেই অন্ধকূপ বলে।

অন্ধকূপের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of dungeon)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে অন্ধকূপ বলে।

অন্ধকূপের প্রকারভেদ (Variations of dungeon)
শ্বরবিজ্ঞানে; অন্ধকূপ দুই প্রকার। যথা ১. উপমান অন্ধকূপ ও ২. উপমিত অন্ধকূপ।

১. উপমান অন্ধকূপ (Analogical dungeon)
সাধারণত; আলো ও বাতাসের প্রবাহহীন যে কোনো কূপকেই উপমান অন্ধকূপ বলে।

২. উপমিত অন্ধকূপ (Compared dungeon)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে উপমিত অন্ধকূপ বলে।

অন্ধকূপের পরিচয় (Identity of dungeon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণভাবে; আলো ও বাতাসের প্রবাহহীন যে কোনো কূপকেই অন্ধকূপ বলে। অন্ধকূপ বলতে বন-বনানী ও পাহাড়-পর্বতের ফাঁকফোকরে (loophole) অবস্থিত পতিত বা মৃত কোনো কূপ বুঝায়। বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুরাণ, মরমী কাব্য ও আত্মদর্শন নির্ভর উপন্যাসের মধ্যে ব্যবহৃত অন্ধকূপ পরিভাষাটির দ্বারা; কেবল যোনিকেই বুঝানো হয়। বড় মজার বিষয় হলো; বাংভারতের নব্য অনুবাদক, বৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ, গবেষক ও আলোচকরা অন্ধকূপ বলতে বৈতরণী কিংবা যোনিকে না বুঝিয়ে; বন-বাদাড়ে অবস্থিত অপরিসর অন্ধকারময় পতিত কোনো কূপকেই বুঝিয়ে থাকে। এজন্য; তারা শ্বরবিজ্ঞানের মূলশিক্ষা হারিয়ে; তার পরিবর্তে সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদি হতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের আবিষ্কার করছে। তারা প্রকৃত আত্মদর্শন, শ্বরবিজ্ঞান ও পৌরাণিক পুস্তক-পুস্তিকা হতেই এখন সমর-সংগ্রামের সৃষ্টি করছে।