৭০/৬. অর্জুন
Razor (র্যাজর)/ ‘ﻤﻭﺴﻰٰ’ (মুসা)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভৃগু’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘জরায়ুমুখ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘ভৃগু’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘ত্রিবেণী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘খিড়কি, পর্বত, পাখি৩ ও সিঁধ। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘জিষ্ণু, দ্বারী ও মহারাজ’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘অসি, পরশু, স্বর্গদ্বার ও স্বর্গমুখ’।
অভিধা (Appellation)
অর্জুন (বাপৌচা)বি ধনঞ্জয়, পার্থ, অঞ্জনি, নেত্ররোগ বিশেষ, বৃক্ষ বিশেষ, razor, ‘ﻤﻭﺴﻰٰ’ (মুসা) (প্র) ১.তৃতীয় পাণ্ডব। বাঙালী পৌরাণিক ভাহিত্যে বর্ণিত; কৃতবীর্যের পুত্র কার্তবীর্য, পাণ্ডবদের তৃতীয় ভ্রাত্রা। পাণ্ডুর ক্ষেত্রে কুন্তীর গর্ভে ও ইন্দ্রের ঔরসে অর্জুনের জন্ম হয় ২.শ্রীমদ্ভগতগীতার কেন্দ্রীয় চরিত্র বিশেষ। মহান তাপস ও বিখ্যাত সাধক মহাত্মা ভৃগুমুনির অন্যনাম অর্জুন। তাঁকে সান্ধিপনি নামেও ডাকা হয়। তিনি স্বয়ং মহামতি শ্রীকৃষ্ণের গুরুদেব ছিলেন (শ্ববি) ভৃগু, প্রপাত, জলপ্রপাত, নির্ঝরের পতনস্থান (রূপ্রশ) ক্ষুর, তলোয়ার, পরশু, ত্র্যম্বক, নারদ (ইদে) হুদহুদ (আ.ﻫﺪﻫﺪ) (গ্রিদে) chopper (পরি) জরায়ুমুখ, womb aperture (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভৃগু’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. গীতার মহান নায়ককে অর্জুন বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; জরায়ুমুখকে অর্জুন বলা হয় (বাপৌছ) অসি, পরশু, স্বর্গদ্বার ও স্বর্গমুখ (বাপৌচা) অর্জুন, জিষ্ণু, দ্বারী ও মহারাজ (বাপৌউ) খিড়কি, পর্বত, পাখি৩ ও সিঁধ (বাপৌরূ) ত্রিবেণী (বাপৌমূ) ভৃগু।
অর্জুনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of razor)
“মথুরায় কৃষ্ণকালা অর্জুনের শালা, সুভদ্রা ভগ্নী অভিমন্যু তার পোলা, দেখরে কেমন জ্বালা, মিছে কেন বলো কালা, কালা অন্ধকারে উজালা, সে কালা।” (পবিত্র লালন- ২৯০/৪)।
অর্জুনের সংজ্ঞা (Definition of razor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; গীতার মহান নায়ককে অর্জুন বলে।
অর্জুনের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of razor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জরায়ুমুখকে ভৃগু বা অর্জুন বলে।
অর্জুনের প্রকারভেদ (Variations of razor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; অর্জুন দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান অর্জুন ও ২. উপমিত অর্জুন।
১. উপমান অর্জুন (Analogical razor)
সাধারণত; গীতার মহান নায়ককে উপমান অর্জুন বলে।
২. উপমিত অর্জুন (Compared razor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জরায়ুমুখকে ভৃগু বা উপমিত অর্জুন বলে।
প্রপক (Extensive)
১. তৃতীয় পাণ্ডব, বাঙালী পুরাণে বর্ণিত; কৃতবীর্যের পুত্র কার্তবীর্য, পাণ্ডবদের তৃতীয় ভ্রাত্রা, পাণ্ডুর ক্ষেত্রে কুন্তীর গর্ভে ও ইন্দ্রের ঔরসে অর্জুনের জন্ম হয়।
প্রথমে কৃপাচার্য ও পরে দ্রৌণাচার্যের নিকট তিনি অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা করেন। তাঁর ন্যায় ধনুর্বিদ্যায় পারদর্শী দ্বিতীয় কেউই ছিল না। পাণ্ডবদের মধ্যে তিনি সর্বাপেক্ষা মহামান্য, ন্যায়বান ও মিতভাষী ছিলেন। লক্ষ্যভেদ পরীক্ষায় অর্জুন একাগ্রতার বলে উত্তীর্ণ হয়ে সকলের শ্রেষ্ঠ রূপে গণ্য হন। কৌরবসভায় অস্ত্রশিক্ষা প্রদর্শনকালে কর্ণের সাথে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। অর্জুন দ্রোণাচার্যের তুষ্টিসাধন করে তাঁর নিকট হতে ব্রহ্মশির নামে এক আমোঘ অস্ত্রলাভ করেন। গন্ধর্বরাজ অঙ্গারপর্ণকে পরাজিত করে তাঁর কাছ থেকে চাক্ষুষীবিদ্যালাভ করেন (যে বিদ্যার প্রভাবে যে কোনকিছু দেখা যায়)। দ্রুপদকন্যা দ্রৌপদীর স্বয়ংবর সভায় চক্রমধ্যে মৎস্য লক্ষ্যবিদ্ধ করে তিনি দ্রৌপদীকে লাভ করেন এবং মাতার আদেশে পঞ্চভ্রাতা মিলিতভাবে দ্রৌপদীকে বিবাহ করেন। এর পর দ্রৌপদী সম্পর্কে ভ্রাতৃবিরোধ নিবারণ কল্পে সকলে নিয়মবদ্ধ হন যে; দ্রৌপদীর সাথে যখন যে ভ্রাতা অবস্থান করবেন, সে সময়ে অন্য ভ্রাতার সেখানে আগমন ঘটলে তাঁকে ব্রহ্মচর্য ব্রত গ্রহণ করে বারো (১২) বছরের জন্য বনবাসী হতে হবে। ঘটনাক্রমে অর্জুনকে বারো (১২) বছরের জন্য বনবাসে গমন করতে হয়েছিল। এ বারো (১২) বছর বনবাস ও ভ্রমণকালে তিনি পরশুরামের সাথে সাক্ষাৎ করে অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা করেন। এ সময় তিনি নাগকন্যা উলুপী ও মনিপুর রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদাকে বিবাহ করেন। উলুপীর গর্ভে ইরাবান ও চিত্রাঙ্গদার গর্ভে বভ্রুবাহনের জন্ম হয়। অতঃপর; তিনি দ্বারকায় গমন করেন ও শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। সেখানে তিনি শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শে তাঁর ভগিনী শুভদ্রাকে হরণ করে বিবাহ করেন। এ বিবাহের ফলে অভিমন্যুর জন্ম হয়।
যুধিষ্ঠির যখন শকুনি কর্তৃক পাশাখেলায় পরাজিত হয়ে রাজ্য হারিয়ে ফেলেন এবং ভ্রাতাদের সঙ্গে নিয়ে তেরো (১৩) বছরের জন্য বনবাসে চলে যান, তখন অর্জুন কৌরবদের যুদ্ধে পরাজিত করার জন্য দেবতাগণের সন্তুষ্ট করে বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে হিমালয়ে তীর্থযাত্রা করেন। এখানে; কিরাত বেশধারী মহাদেবের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয়। শেষে কিরাতের প্রকৃত পরিচয় অবগত হয়ে মহাদেবকে পূজায় ও তপস্যায় সন্তুষ্ট করে তাঁর নিকট থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ পাশুপত অস্ত্রলাভ করেন। তারপর; ইন্দ্র বরুণ কুবের ও যমের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয় এবং প্রত্যেকেই তাঁকে তাঁদের শ্রেষ্ঠ অস্ত্র দান করেন। তারপর; অর্জুনের পিতা ইন্দ্র পুত্রকে স্বর্গে নিয়ে যান। সেখানে তিনি কয়েক বছর গন্ধর্বরাজ চিত্রসেনের নিকট নিত্য গীতগুলো শিক্ষা করেন। স্বর্গবাসকালে উর্বশীর প্রেম প্রত্যাখ্যান করার জন্য তিনি উর্বশীর অভিশাপে একবছর নপুংসক অবস্থায় অতিবাহিত করেন। ইন্দ্রের নিকট অস্ত্রশিক্ষার গুরুদক্ষিণাস্বরূপ তিনি নিবাত কবচ নামক তিনকোটি দানবকে তাদের সমুদ্র মধ্যস্থ দুর্গসহ ধ্বংস করেন এবং পৌলম ও কালকেয় অসুরদের বিনাশসাধন করেন। এজন্য; ইন্দ্র তাঁকে অভেদ্য দিব্যকবচ হিরন্ময়ী মাল্য দেবদত্ত শঙ্খ দিব্য কিরীট দিব্যবস্ত্র ও আভরণ দান করেন।
বনবাসকালে দুর্যোধন যখন সপরিবারে দ্বৈতবনস্থিত সরোবরে গন্ধর্বরাজ চিত্রসেন কর্তৃক নিগৃহীত হন, তখন অর্জুন চিত্রসেনকে পরাস্ত করে দুর্যোধনকে উদ্ধার করেন। সিন্ধুরাজ জয়দ্রথ দ্রৌপদীকে অপহরণ করলে ভীমের সাথে অর্জুন মিলিত হয়ে তাঁকে কঠোর শাস্তি দেন। মৎস্যরাজ ভবনে অজ্ঞাতবাসকালে অর্জুন বৃহন্নলা নামধারী নপুংসক বেশে বিরাটকন্যা উত্তরার নৃত্যগীত শিক্ষক রূপে এক বছর অবস্থান করেন। অজ্ঞাতবাসের শেষাংশে দুর্যোধন বিরাটরাজের গোধন হরণ করলে বৃহন্নলারূপী অর্জুন কৌরব সৈন্যদেরকে পরাজিত করে গোধন উদ্ধার করেন। তখন অর্জুনের পরিচয় পেয়ে বিরাটরাজ উত্তরার সঙ্গে অর্জুনের বিবাহ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন কিন্তু শিষ্যাকন্যা সদৃশা বলে অর্জুন স্বয়ং বিবাহ করতে অসম্মত হন এবং নিজ পুত্র অভিমন্যুর সঙ্গে উত্তরার বিবাহ দেন।
মহাভারতের মতে; তিনি কৃষ্ণকে উপদেষ্টা সারথি রূপে গ্রহণ করেন। পরে পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে যুদ্ধ উপস্থিত হয়। যুদ্ধের প্রারম্ভে অর্জুন স্বজন-বধে বিমুখ হলে কৃষ্ণ তাঁকে যে সব মহামূল্যবান দৈববাণী দ্বারা উপদেশ দিয়ে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করেন, তা-ই বর্তমান শ্রীভগবদ্গীতা। অর্জুনই কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের একমাত্র শ্রেষ্ঠ বীর যোদ্ধা। যুদ্ধের দশম দিনে অর্জুনের সাথে যুদ্ধে ভীস্ম শরশয্যা গ্রহণ করেন। দ্বাদশ দিনের যুদ্ধে ভগদত্ত, দতুর্দশ দিনের যুদ্ধে অভিমন্যু বধের প্রতিশোধ স্বরূপ তিনি জয়দ্রথ বধ করেন। পঞ্চদশ দিনে তিনি দ্রোণাচার্যকে বধ করেন। ষোড়শ দিনের যুদ্ধে মগধরাজ দণ্ডধার ও সপ্তদশ দিনের যুদ্ধে তাঁর চির প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রেষ্ঠবীর কর্ণকে বধ করেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধান্তে রাজ্যলাভের পর যুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধযজ্ঞের সময় যজ্ঞাশ্ব রক্ষার জন্য অর্জুন যাত্রা করেন। ত্রিগর্ত প্রাগজ্যোতিষ্পুর সিন্ধুদেশ জয় করে মণিপুরে নিজপুত্র বভ্রুবাহনের হাতে তিনি নিহত হন। তখন অর্জুনের স্ত্রী নাগকন্যা উলুপী নাগলোক হতে আনীত সঞ্জীবনী মণির সাহায্যে তাঁকে পুনর্জীবন দান করেন। যদুবংশ ধ্বংসের পর অর্জুন দ্বারকার নারীদের নিয়ে ইন্দ্রপ্রস্থে ফিরে আসেন। পথে আভীর দস্যুরা যাদব নারীদের লুণ্ঠন করে। কৃষ্ণের মৃত্যু ও নিজের দৈবশক্তিহানির ফলে তিনি দস্যুদের বাধা দিতে অপারগ হন।
পাণ্ডবগণ অর্জুনের পৌত্র পরীক্ষিৎকে রাজা করে মহাপ্রস্থান করেন। পথে লৌহিত্য সাগর তীরে অগ্নিদেবের অনুরোধে অর্জুন গাণ্ডীব-ধনু ও অক্ষয় তুণ দুটি নিক্ষেপ করেন। হিমালয় পার হয়ে মহাপ্রস্থানের পথে যেতে দ্রৌপদী সহদেব ও নকুলের পতনের পর অর্জুন মৃত্যুমুখে পতিত হন। ভীমের প্রশ্নের উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেন, অর্জুন একদিনে শত্রুসৈন্য বিনষ্ট করার প্রতীজ্ঞা করে তা রক্ষা করতে অসমর্থ হয়েছিলেন এবং অন্যান্য ধনুর্ধরদের অবজ্ঞা করতেন বলেই তাঁর এমন মর্মান্তিক পতন হয়। তার ফলে তাঁর সশরীরে স্বর্গারোহণ সম্ভব হয় নি। সর্বদেশ জয় করে ধনগুলো আহরণ করেন বলে তাঁর নাম হয় ধনঞ্জয়, যুদ্ধে শত্রু জয় করে আসেন বলে তার নাম হয় বিজয়, শুভ্রাশ্ব যোজিত রথে আরোহণ করতেন বলে তাঁর নাম হয় শ্বেতবাহন, ফল্গুনী নক্ষত্রযোগে জন্ম হয় বলে তাঁর নাম হয় ফাল্গুনী, ইন্দ্রদত্ত কিরীটের জন্য তাঁর নাম হয় কিরীটী, যুদ্ধে বীভৎসতা পরিহার করে বলে তাঁর নাম হয় বীভৎসু, উভয় হস্তে শর সন্ধান করতে পারেন বলে তাঁর নাম হয় সব্যসাচী, শুভ্রবর্ণ বলে তাঁর নাম হয় শুভ্র, শত্রুজয়ী বলে তাঁর নাম হয় জিষ্ণু, গুড়াকেশ, মাতার নাম পৃথা বলে তাঁর নাম হয় পার্থ। তাঁর অক্ষয় তূণীর গাণ্ডীব ধনুক ও কপিধ্বজ রথ ছিল (পৌরাণিক অভিধান)।
২. কীর্তবীর্যের অন্যনাম অর্জুন (পৌরাণিক অভিধান)।
অর্জুনের পরিচয় (Identity of razor)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভৃগু’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।
শ্বরবিজ্ঞানে; জরায়ুমুখকে রূপকার্থে অর্জুন বলা হয়। পূর্ব হতেই তার অদম্য অর্জিতশক্তি আছে বলেই তাকে অর্জুন বলা হয়। অথচ অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে গত প্রায় তিন হাজার বছর পর্যন্ত অর্জুন একজন ভুতুড়ে বা কিংবদন্তি রূপক-চরিত্র রূপেই পরিচিত। কী বাঙালী পৌরাণিক, কী মরমী ও কী পারম্পরিক কেউ এর বাস্তব-সত্তা চেনে না। আর বাঙালী পৌরাণিক মনীষীদের তো চেনার প্রশ্নই আসে না। যারা অর্জুনকেই চেনে না তারা কিসের কুরুক্ষেত্র আর কিসেরইবা অযোধ্যা চিনবে? আর অর্জুনের রথের সারথি শ্রীকৃষ্ণকেইবা চিনবে কিভাবে? এখন চিকিৎসা-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তাই; এখন শ্বরবিজ্ঞানের সব রূপক চরিত্রের আত্মতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করার সময় হয়েছে। সমাজের লেখক, গবেষক, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা এগিয়ে আসুন। পুরাণ ও সাধারণ সাহিত্য গবেষণায় মনোনিবেশ করুন। ভাবী প্রজন্মকে অন্ধবিশ্বাসপ্রসূত সাম্প্রদায়িক দর্শন ভালোভাবে বুঝানো চেষ্টা করুণ। সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক আগ্রাসন, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক সন্ত্রাসীবৃত্তি ভালোবাসা, গ্রহণ ও জড়িয়ে পড়া হতে সবাই স্বস্ব স্থানে থেকে কোমলমতি কিশোর-কিশোরীকে রক্ষা করুণ।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.