৮৫/৩. অসুর
Demon (ডিমন)/ ‘عملاقة’ (আমলাক্বা)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শত্রু’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘শত্রু’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘রিপু’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘খর্পর’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘ষড়্বিধ’।
অভিধা (Appellation)
অসুর (বাপৌছ)বি দৈত্য, দানব, হিন্দু দেবতাকুলের শত্রুবিশেষ, demon, ‘عملاقة’ (আমলাক্বা) (প্রাঅ) শত্রু, অরি, বৈরী (প্র) শ্বরবিজ্ঞানে; রিপু, রুদ্র, মন্দা ও দশগুলোকে অসুর বলা হয় (শ্ববি) চোর, ননদী, মাঝি (ইপ) আদু (আ.ﻋﺪﻮ), খসম (আ.ﺨﺼﻢ) (ইদে) ওয়াসওয়াসা (আ.ﻮﺴﻮﺴﻪ), দুশমন (ফা.ﺪﺸﻤﻥ), দেও (ফা.ﺪﻴﻭ) (ইংপ) enemy (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শত্রু’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. নাশকতামূলক আচরণকারীকে শত্রু বা রূপকার্থে অসুর বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; রিপুকে অসুর বলা হয় (বাপৌছ) অসুর (বাপৌউ) ষড়্বিধ (বাপৌউ) খর্পর (বাপৌরূ) রিপু (বাপৌমূ) শত্রু Jস্ত্রী অসুরী।
(প্র) বেদের প্রাচীনতম অংশে অসুর অর্থে ‘দেবতা’। তুলানায় পারসিক আবেস্তায় ‘আহুর’। দেবতা রূপে ইন্দ্র অগ্নি ও বরুণকে অসুর বলা হতো। পরে এর অর্থ সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়- যারা দেবতাগণের সাথে বিরোধ করে এবং যারা সমুদ্রমন্থনে উত্থিত সুধা পায় নাই একমাত্র তাদেরই অসুর বলা হয়। বেদের পরবর্তী অংশে অর্থাৎ; ঋকবেদের শেষে এবং অথর্ববেদে যারা দেবতা-বিরোধী ও যাদের সুধার অংশ নেই তারাই অসুর। ঐতরেয় ব্রাহ্মণে আছে- প্রজাপতির নিঃশ্বাস একবার প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে; সে প্রাণবন্ত নিঃশ্বাস হতে অসুরদের সৃষ্টি হয়। শতপথ ব্রাহ্মণেও অসুরদের সম্বন্ধে একই কথা লেখা রয়েছে। বিষ্ণুপুরাণ মতে- ব্রহ্মার জঙ্ঘা হতে অসুরদের জন্ম। সাধারণত; দেব-শত্রুদের এই নামে অভিহিত করা হয়। এরা পূজা ও যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠানাদি ধ্বংস করতো। অসুরদের তিনটি ইন্দ্র ছিল- হিরণ্যকশিপু, বলি ও প্রহলাদ (মৎস্যপুরাণ)। এরা রাত্রি ও অন্ধকারের প্রতীক এবং তামসে পরিপূর্ণ যেসব অসুর দেবতাগণের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হতো- তারা পৃথিবীতে মানুষ্য রূপে জন্মগ্রহণ করে নানা প্রকার বিপদ ও বিঘ্ন সৃষ্টি করতো (ব্রহ্মা-পুরাণ)। বর্তমানে অসুর শ্রেণিতে পড়ে দৈত্য দানব ও কশ্যপের বংশধররা কিন্তু পুলস্ত্যের বংশধররা রাক্ষসের শ্রেণিতে পড়ে না।
অসুরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of demon)
১. “বনে আছে অসুরের ভয়, কখন যেন কী দশা হয়, দিবানিশি তাইতো; সদাই, সন্দেহ মিটে না।” (পবিত্র লালন- ৪২০/৪)।
২. “শুনেছি সে ত্রেতাযুগে, রাম অবতার ভক্তের লেগে, মহাতীর্থ স্থান যোগে, যুদ্ধে জয় করবে, তুমি গজাসুরকে চরণ দিয়ে, বন্ধু হয়েছে ভক্তিভাবে।” (পবিত্র লালন- ৩৫৮/২)।
অসুরের সংজ্ঞা (Definition of demon)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; দেবতাকুলের শত্রুকে অসুর বলে।
অসুরের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of demon)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মানবের রিপুকে অসুর বলে।
অসুরের প্রকারভেদ (Variations of demon)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; অসুর চার প্রকার। যথা; ১. রিপু ২. রুদ্র ৩. দশা ও ৪. মন্দা।
১. রিপু (Foe. ফো)/ ‘خصما’ (খাসামা)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মানুষের মনর্গত শত্রুকে রিপু বলে।
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রিপু ৬টি। যথা; ১. কাম ২. ক্রোধ ৩. লোভ ৪. মোহ ৫. মদ ও ৬. মাৎসর্য।
২. রুদ্র (Shrill. শ্রিল)/ ‘شديد’ (শাদিদ)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মহা ধ্বংসযজ্ঞ সাধনকারীর প্রচণ্ড উগ্ররূপকে রুদ্র বলে।
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রুদ্র ১১টি। যথা; ১.অজ্ঞতা ২. অন্ধত্ব ৩.অন্যায় ৪. উগ্রতা ৫. তাণ্ডব ৬. হতাশা ৭. ব্যর্থতা ৮. ঘৃণা ৯. বৈরাগ্য ১০. অসন্তোষ ও ১১. হত্যা।
৩. দশা (Phases. ফেইজেজ)/ ‘مرحلة’ (মুরাহালা)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মানসিক দুরবস্থাকে দশা বলে।
দশা ১০টি। যথা; ১. উদ্বেগ ২. জাগরণ ৩. কুড়েমি ৪. মলিনতা ৫. প্রলাপ ৬. ব্যাধি ৭. উম্মাদ ৮. অশান্তি ৯. ভুল ও ১০. জরা।
৪. মন্দা (Recession. রিসেশন)/ ‘ركود’ (রুকুদ)
১. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ক্রম নিম্নগমনে বাধ্যকারী বিষয়বস্তুকেই মন্দা বলে। যেমন; হিংসা।
২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মানুষকে পতনোন্মুখকারী মনগত সত্তাকে মন্দা বলে। যেমন; অহংকার।
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মন্দা ১০টি। যথা; ১. অহংকার ২. হিংসা ৩. শত্রুতা ৪. রাগ ৫. কুৎসা ৬. লিপ্সা ৭. মিথ্যা ৮. কৃপণতা ৯. কলা ও ১০. আমিত্ব।
আবার, বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে অসুর দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান অসুর ও ২. উপমিত অসুর।
১. উপমান অসুর (Analogical demon)
বাঙালী পুরাণে বর্ণিত; দেবতাকুলের শত্রুকে উপমান অসুর বলে।
২. উপমিত অসুর (Compared demon)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে মানবের রিপুকে উপমিত অসুর বলে।
অসুরের পরিচয় (Identity of demon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শত্রু’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। বর্তমানে সর্বশাস্ত্র মতেই মানবের রিপুকেই অসুর বলা হয়। অর্থাৎ; অসুর বলতে কেবল ষড়রিপুকেই বুঝায় কিন্তু মজার বিষয় হলো; হিন্দুরা অসুর বলতে রূপকথার দৈত্য-দানবদেরকেই বুঝিয়ে থাকেন। ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকদের অপব্যাখ্যা পাঠন-পঠন দ্বারাই মানুষ ক্রমে ক্রমে মহা গ্রন্থাদির মূলশিক্ষা হতে দূরে সরে গিয়ে থাকেন। এখন মানুষের প্রয়োজন বিশ্বের সব মহাকাব্যের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ হতে দূরে অবস্থান করা। অপব্যাখ্যা মানুষ যতই অধ্যয়ন করবেন ততই আত্মতত্ত্ব হতে দূরে সরে যেতে থাকবেন।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.