ইতিহাস

০২/০১. ইতিহাস
History (হিস্টরি)/ ‘ﺗﺎﺮﻴﺦ’ (তারিখ)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর অতীতকাহিনী পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা। এর বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা অতীতকাহিনী। এর বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা কাহিনী। এর বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা ইতিবৃত্ত এবং এর বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা ইতিকথা

অভিধা (Appellation)
ইতিহাস (বাপৌরূ)বি ইতিবৃত্ত, অতীত কথা, history, তারিখ (.ﺗﺎﺮﻴﺦ) (প্র) প্রত্নতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক অতীতকাহিনী বিশেষ (শ্ববি) অতীতকাহিনী, bygones, ‘عماسلف’ (আমাসালাফ) (রূপ্রশ) পূর্ববৃত্তান্ত, past story, ‘قصة الماضي’ (কিস্সা আলমাজি) (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর অতীতকাহিনী পরিবারের একটি বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা (সংজ্ঞা) . সাধারণত; আদি ও অতীত কাহিনীকে বাংলায় ‘ইতিহাস বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানের বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণীতে বর্ণিত বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তার রূপক নামে ঈশ্বরায়ন করে নির্মিত পৌরাণিক ঈশ্বর, দেবতায়ন করে নির্মিত পৌরাণিক দেবতা ও মানবায়ন করে নির্মিত পৌরাণিক মানবীয় চরিত্র দ্বারা নির্মিত মানুষে বিদ্যমান বিষয়বস্তু, ইন্দ্রিয়াদি, শক্তি ও অবস্থার শিক্ষামূলক পৌরাণিক কাহিনীকে রূপকার্থে ‘ইতিহাস বলা হয় (বাপৌছ) ইতিকথা (বাপৌচা) ইতিবৃত্ত (বাপৌউ) কাহিনী (বাপৌরূ) ইতিহাস (বাপৌমূ) অতীতকাহিনী।

ইতিহাসের সংজ্ঞা (Definition of history)
সাধারণত; যে কোনো আদি ও অতীতকাহিনীকে ইতিহাস বলে।

ইতিহাসের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of history)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণীতে বর্ণিত বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তার শিক্ষামূলক রূপক বিবরণকে ইতিহাস বলে।

ইতিহাসের প্রকারভেদ (Variations of history)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, ইতিহাস দুই প্রকার। যথা; ১. রাজনৈতিক ইতিহাস ও ২. সাম্প্রদায়িক ইতিহাস।

. রাজনৈতিক ইতিহাস (Political history)
রাজা, সম্রাট ও রাজনৈতিক নেতাদের সর্বপ্রকার কার্যকলাপকে রাজনৈতিক ইতিহাস বলে। যেমন; বাংলাদেশের ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ভাষা আন্দোলন ইত্যাদি।

. সাম্প্রদায়িক ইতিহাস (Schismatical history)
বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর সত্তাগুলোর দ্বারা রূপক আকারে নির্মিত শিক্ষামূলক রূপক বিবরণকে সাম্প্রদায়িক ইতিহাস বলা হয়। যেমন; কুরক্ষেত্র, কারবালা, অযোধ্যা ও বৃন্দাবন ইত্যাদি। যেমন; দশজন শক্তিশালী রাজার বিপক্ষে একজন যোদ্ধা যুদ্ধ করে; তাদের পরাজিত করে তাদের সব অর্থ সম্পদ ও রাজ্য অধিকার করে নিয়ে ছিলেন। এখানে; মনকে যোদ্ধা ধরে এবং মানুষের ১০টি ইন্দ্রিয়কে দশজন রাজা ধরে এ বিবরণটি (ইতিহাস) নির্মাণ করা হয়েছে।

ইতিহাসের পরিচয় (Identity of history)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর অতীতকাহিনী পরিবারের একটি বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা বিশেষ। রাজনৈতিক ইতিহাস ও সাম্প্রদায়িক ইতিহাস যে এক নয়; তা অনেকেই বুঝে না। রাজনৈতিক ইতিহাস বাস্তব কিন্তু সাম্প্রদায়িক ইতিহাস পুরোটাই রূপক। রাজনৈতিক ইতিহাস ঐতিহাসিকগণ চরম বাস্তবতার নিরীক্ষে যত্নের সাথে লিখে থাকেন। কিন্তু সাম্প্রদায়িক ইতিহাস রূপকারগণ বসে বসে মনের মাধুরী মিশিয়ে নির্মাণ করেন। রাজনৈতিক ইতিহাস ও সাম্প্রদায়িক ইতিহাসের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলো।


রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ইতিহাসের পার্থক্য  (Difference between political and schismatical history)

রাজনৈতিক ইতিহাস সাম্প্রদায়িক ইতিহাস
১. রাষ্ট্রশাসন বা পরিচালনা বিষয়ক অতীত ঘটনাবলীকে রাজনৈতিক ইতিহাস বলে। ১.  বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা দ্বারা সংঘটিত বিষয়াদির ওপর অতীতকালে রূপকার্থে নির্মিত পৌরাণিক কাহিনীকে সাম্প্রদায়িক ইতিহাস বলে।
২. রাজনৈতিক ইতিহাস বাস্তবে সংঘটিত ঘটনাবলী। ২. সাম্প্রদায়িক ইতিহাস রূপকার্থে নির্মিত ঘটনাবলী।
৩. এটা সম্পূর্ণই বাস্তব। ৩. এটা পুরোটাই নির্মিত।
৪. ঘটনা না ঘটলে, যখনতখন; এটা রচনা করা যায় না। ৪. এটা লেখার জন্য ঘটনা ঘটার প্রয়োজন হয় না। যখনতখন; এটা রচনা করা যায়।
৫.  এর ঘটনার স্থান, কাল, মাস, দিবস ও যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত পক্ষ-বিপক্ষের রাষ্ট্র নায়কগণের নাম সবই বাস্তব। যেমন; সিরাজ উদ্ দৌলা। ৫. এর ঘটনার স্থান, কাল, মাস, দিবস ও যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত পক্ষ-বিপক্ষের রাষ্ট্র নায়কগণের নাম সবই রূপক। যেমন;  রাবণ।
৬. বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন। ৬. সারা বিশ্বের সব সাম্প্রদায়িক ইতিহাস এক ও অভিন্ন (ভাষার ব্যবধান মাত্র)।
৭. আক্ষরিক জ্ঞানের ধারক বাহক মনীষীগণ সবাই ইচ্ছে করলে এটা লেখতে পারেন। ৭. সুবিজ্ঞ আত্মজ্ঞানী রূপকার ও সুতীক্ষ্ণ দিব্যজ্ঞানী ব্যতীত সাধারণ মানুষ এটা নির্মাণ করতে পারে না।
৮. এটা সবাই বুঝে। ৮. এটা সবাই বুঝে না।
৯. এটা দেশ-জাতির সাথে সম্পৃক্ত। ৯. এটা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত।
১০. এর তথ্য-উপাত্ত ভূতত্ত্ব ও প্রত্নতত্ত্বের সাথে সম্পৃক্ত। ১০. এর তথ্য-উপাত্ত আত্মতত্ত্বের সাথে সম্পৃক্ত।
১১. এটা হতে কখনই উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসীবৃত্তির উদ্ভব হয় না। ১১. এটা হতে সর্বদা সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসীবৃত্তির উদ্ভব হয়।

আরও জানা প্রয়োজন যে; বিশ্বের সব শ্বরবিজ্ঞানে মানুষে বিদ্যমান বিষয়বস্তু ও ইন্দ্রিয়াদি এর রূপক নামে পৌরাণিক চরিত্রায়ন করে দেবতা নির্মাণ করা হয়। অতঃপর; উক্ত দেবতাগণের দ্বারা নায়ক, খলনায়ক, নায়িকা, প্রণয়িনী ইত্যাদি চরিত্র রূপায়ন করে ব্যক্তিত্বের মধ্যে সংঘটনীয় ঘটনাবলী রূপকার্থে নির্মাণ করা হয়। বিশ্বের সব পুরাণ দেবতাগণের ছদ্মনাম দ্বারা নির্মিত। যেমন; কুরান সংকলনের প্রায় তিনশত (৩০০) বছর পর; আরবীয় বংশোদ্ভূত জারির তাবারী (২২৪-৩১০ হিজরি; ৮৩৯-৯২৩ খ্রিস্টাব্দ) নামক এক মহান রূপকার গ্রন্থটির প্রায় সব মন্ত্রের (আয়াত.ﺁﻴﺖ) ওপর ভিত্তি করে সর্বপ্রথম একটি পৌরাণিক ইতিহাস গ্রন্থ নির্মাণ করেন। এটিই ছিল মুসলমানদের সর্বপ্রথম পৌরাণিক ইতিহাস গ্রন্থ।

“অবশ্য তিনি কুরানের মন্ত্রভিত্তিক এ রূপক ইতিহাস গ্রন্থটি, মুসলমান সম্প্রদায়ের উপকারার্থে নির্মাণ করেন নি। তার নিজের প্রতিষ্ঠিত তাবরা সম্প্রদায়কে রূপকার্থে আত্মদর্শন বা শ্বরবিজ্ঞান শিক্ষা দিবার জন্য তিনি এ গ্রন্থটি নির্মাণ করেছিলেন। তার প্রয়াণের কিছুদিন পর; তার প্রতিষ্ঠিত ঐ ‘তাবরা’ সম্প্রদায়টি বিলুপ্ত হয়ে যায়। অতঃপর; মুসলমান সম্প্রদায়ের নির্বোধ বৈখ্যিক ও টৈকিক মনীষীরা উক্ত গ্রন্থটিকে লুফে নেয়। সবাই উক্ত গ্রন্থে নির্মিত ঘটনাবলীর উদ্ধৃতি তাদের নির্মিত স্বস্ব পুস্তক-পুস্তিকায় লিপিবদ্ধ করে তা প্রচার করতে থাকে। এভাবেই জারির তাবারীর নির্মিত দেহতাত্ত্বিক পৌরাণিক কাহিনী ইতিহাস সারা ইসলামী বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশে প্রচলিত মুসলমানদের পুরো ইতিহাসটিই কুরান সংকলনের প্রায় তিনশত (৩০০) বছর পর জারির তাবারী কর্তৃক নির্মিত পৌরাণিক ইতিহাস গ্রন্থেরই অবিকল বঙ্গানুবাদ। দেহতাত্ত্বিক এমন চমৎকার রূপক ইতিহাস নির্মাণ করা সাধারণ কোনো মনীষীর দ্বারা সম্ভব নয়। রূপকার জারির তাবারী একজন সুবিজ্ঞ আত্মজ্ঞানী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এজন্য; তার পক্ষে দেহতাত্ত্বিক এমন রূপক ইতিহাস গ্রন্থ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছিল। যারা কুরানের আলোকে নির্মিত ইতিহাসের এসব উদ্ভট বিষয়াদি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন; তাদের জন্য এবার আমরা একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরব। “ইসলামের নামে প্রথম ইতিহাস লেখক, ইমাম জারির তাবারী ছিলেন পারস্যের তাবরীস্থান প্রদেশের অধিবাসী এবং তিনি ৩১০ হিজরীতে বাগদাদে প্রয়াণলাভ করেন। তিনি ছিলেন ‘তাবরা’ নামক এক নতুন সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা। অবশ্য তার প্রয়াণের সাথে সাথে এ নতুন সম্প্রদায়ের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে যায়।

ভাবতেও আশ্চর্য লাগে যে; ঐ সময়ে আরববাসীদের মধ্যে কেউই এগিয়ে এসে আল্লাহর নবির কথা বা ইসলামের ইতিহাস লেখতে সাহস করলেন না কেন? অন্যদিকে; আরবীয় লেখকরা মুহাম্মদের প্রয়াণের প্রায় ২৫০ হতে ৩০০ বছর পর এমন গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হাতে নিলেন কেন? যারা এ কাজটি হাতে নিয়েছিলেন তারা কেউই মুহাম্মদকে দেখেন নি বা তাঁকে দেখেছেন এমন কারোর সাথে তাদের সাক্ষাতও হয় নি। তা সত্ত্বেও তারা মুহাম্মদের দৈনন্দিন জীবনের সব খুটিনাটি বিষয় এমন সুন্দরভাবে লিখেছেন যে; তাতে একজন পাঠকের মনে হবে; লেখকরা ঘটনা ঘটার সময় মুহাম্মদের সমীপে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। এটা কী প্রকারের চাতুরি ছিল; তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও মহান একজন রাসুল সম্পর্কে একজন অনারবীয় লোক এমনভাবে লিখেছেন; যাতে মনে হবে তিনি স্বয়ং ঐ সময় উপস্থিত ছিলেন। যেসব কাহিনী (হাদিস) তারা সংগ্রহ করেছেন এবং ইতিহাস নির্মাণ করেছেন; সে সম্পর্কে তারা লিখিত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেন নি। তারা সেসব লিখেছেন একান্ত মৌখিক কথার ওপর ভিত্তি করে। প্রায় ৩০০ বছর পরে শুধু মৌখিক কথার ওপর ভিত্তি করে যেভাবে সেসব সংগ্রহ করা হয়েছে; তা ইসলামী চিন্তাবিদদের কাছে সংশয় ও অনিশ্চয়তা মুক্ত নয়। যদিও বলা হয় যে; কুরানের বিধান অনুযায়ী যা আয়াত আকারে লিপিবদ্ধ আছে; তার মানদণ্ডে যাচাইবাছাই করেই এসব কাহিনী (হাদিস) রীতিনীতি ও মুহাম্মদের আদর্শ (সুন্না) নির্মিত হয়েছে।

এসব তথাকথিত আরবীয় ইমামরা কুরান, রাসুল ও তার শিষ্যদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে চক্রান্ত করেছেন। তারা রাসুলের তিরোধানের প্রায় কয়েকশত বছর পর রাজনীতি ও সম্পদ লোলুপতার কারণে তাদের অসত্য এবং অভিসন্ধিমূলক লেখনীর মাধ্যমে অত্যন্ত চতুরতার সাথে মুহাম্মদ ও তাঁর শিষ্যদের চরিত্র হনন করতে আরম্ভ করেন। এছাড়াও; ঐসব লোকেরা কুরানের অনুবাদ করার সময় কুরানের মন্ত্রগুলোর দ্ব্যর্থবোধক অর্থকে অধিক গুরুত্ব দিতে থাকেন। সাম্প্রতিককালের সমীক্ষায় দেখা যায় যে; তারা প্রায় সাত হতে আট হাজার (৭,০০০- ৮,০০০) পরিভাষা অন্তর্নিহিত অর্থ পরিবর্তন করে; মুসলমানদের বিশেষ করে যারা আরবি ভাষা জানে না; তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে চির দ্বন্দ্বের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

কোনো বাধা ছাড়াই তারা যাচ্ছেতাই লিখে গেছেন। তারাই আরবি সালাত (صلاة) পরিভাষাটির অর্থ পরিবর্তন করে নামাজ (ﻨﻤﺎﺯ) পরিভাষা প্রচার করেছেন। নামাজ (ﻨﻤﺎﺯ) একান্তভাবেই একটি ফার্সি পরিভাষা। এটা ভাবতেও অবাক লাগে যে; রাসুল ও তাঁর শিষ্যরা তৎকালীন আরবীয় প্রথায় প্রার্থনা করেছেন। প্রায় হাজার বছর ধরে চালু থাকা এ ধরণের ভুল ব্যাখ্যা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষ দৈনিক পাঁচবার যেভাবে প্রার্থনা করছেন; সেভাবে মুহাম্মদ ও তাঁর বিশ্বস্ত শিষ্যরা নিশ্চয়ই কখনও প্রার্থনা করেন নি। এভাবে প্রার্থনা করতে গিয়ে তারা যে কুরানের মূলনীতিকে পদদলিত করেছেন তা ইসলামী চিন্তাবিদরা ছাড়া সাধারণ লোক বুঝতে পারছেন কিনা তা ভাববার বিষয়। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের চারিত্রিক অবক্ষয়ের কথা চিন্তা করে; করুণার উদ্রেক হবে কী ইসলামী চিন্তাবিদদের?” (প্রচলিত নামাজের রূপরেখা- হাক্কানি মিশন, বাংলাদেশ)

এবার আমরা মূল আলোচনায় ফিরে এসে বলতে পারি; কুরান হতেই প্রমাণ পাওয়া যায় যে; কুরানে বর্ণিত মুহাম্মদের কোনো সন্তানাদি ছিল না। এটাই প্রকৃত সত্য। কিন্তু ইসলামী পুরাণ অনুসারে; যে ৮টি সন্তানের কথা লেখা রয়েছে; তা সম্পূর্ণই রূপক। সে রূপক ৮টি সন্তান হলো; অষ্ট, অষ্টঅক্ষর, অষ্টআদিত্য, অষ্টঐশ্বর্য, অষ্টকণ্ঠবর্ণ, অষ্টকপাল, অষ্টগণদেবতা, অষ্টছন্দ, অষ্টতিথি, অষ্টদান, অষ্টদিক, অষ্টদিক্পাল, অষ্টদিন, অষ্টধাতু, অষ্টধীগুণ, অষ্টনাগ, অষ্টনায়িকা, অষ্টপদী, অষ্টপর্বত, অষ্টপাস, অষ্টবজ্র, অষ্টবসু, অষ্টবিভূতি, অষ্টভ্রমণ, অষ্টমঞ্জুরী, অষ্টমার্গাঙ্গ, অষ্টমূর্তি, অষ্টরাজ, অষ্টরাত্র, অষ্টলোকপাল, অষ্টশক্তি, অষ্টসখী, অষ্টসন্তান, অষ্টসাত্বিক, অষ্টসাধনা, অষ্টসিদ্ধি, অষ্টসূর্য, অষ্টসেবা, অষ্টস্বর্গ, অষ্টস্থান, অষ্টাঙ্গ, আটকুঠুরী, আটজন, আটসারথি, আটপুত্র, আটবলদ ও আটসন্তান ইত্যাদির যে কোনো একটি।

আধ্যাত্মিক মহা গ্রন্থাদির মধ্যে ব্যবহৃত পুত্র, কন্যা, মাতা, পিতা, বংশ, জন্ম- প্রয়াণ, যুদ্ধ-কাহিনী, বিবাহ, প্রেমকাহিনী ও উপাসনা ইত্যাদি জানা একান্ত প্রয়োজন। এসব জানার জন্য আধ্যাত্মিক সূত্রাবলী গ্রন্থটি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল। কারণ; পুত্র, কন্যা, মাতা, পিতা, বংশ, জন্মপ্রয়াণ, যুদ্ধ-কাহিনী, বিবাহ, প্রেমকাহিনী, উপাসনা ও পরম্পরা নির্মাণ সূত্র ইত্যাদি সারাবিশ্বের সব রূপক গ্রন্থে এক ও অভিন্ন। উপরোক্ত সূত্রগুলোর আলোকে সারা পারস্য উপমহাদেশে বিগত সময়ে যেসব কাহিনী নির্মিত হয়েছিল তা একত্রে সংকলনের চেষ্টা করে একমাত্র নিচের সংকলকগণ।

          নাম                                                           জন্ম             প্রয়াণ
১.   ইমাম বুখারি (পারস্যের বুখারা প্রদেশে)        ১৯৪ হিঃ           ২৫৬ হিঃ
২.   ইমাম তিরমিজি (পারস্যের তারমিন্দে)        ২০২ হিঃ            ২৭১ হিঃ
৩.   ইমাম ইবনেমাজা (পারস্যের কিজুইনে)     ২০৩ হিঃ            ২৭৯ হিঃ
৪.   ইমাম মুসলিম (পারস্যের নিশাপুরে)            ২০৪ হিঃ           ২৬১ হিঃ
৫.   ইমাম আবুদাউদ (পারস্যের সিস্তানে)         ২০৪ হিঃ            ২৭৫ হিঃ
৬.   ইমাম নাসাই (পারস্যের নাসায়)                 ২১৫ হিঃ            ৩০৩ হিঃ

উপরোক্ত রূপক ইতিহাস ও রূপক লৌকিক সত্তার গ্রন্থাদিতে কুরানে বর্ণিত মুহাম্মদের ৮টি সন্তানের কাহিনী পাওয়া যায়। কিন্তু কুরানে উল্লেখ করা হয়েছে; তার কোনো সন্তানাদি ছিল না। প্রায় ৩০০ বছর পরে নির্মিত কাহিনী দ্বারা মহাকাব্যের মন্ত্রগুলো পরিবর্তনযোগ্য হতে পারে না। এজন্য; বলা যায়; কুরানের মহানায়ক মুহাম্মদের কোনো সন্তানাদি ছিল না। পৌরাণিক পুস্তক-পুস্তিকায় যেসব সন্তান সন্ততির পরিচয় পাওয়া যায়; তার সবই রূপক। যেমন; কুরানে আছে; “مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا” উচ্চারণ; “মা কানা মুহাম্মাদুন আবা আহাদিম মির রিজালিকুম, ওয়া লাকির রাসুলাল্লাহি, ওয়া খাতামান নাবিয়্যিনা, ওয়া কানাল্লাহু বিকুল্লি শাইয়্যিন আলিমা।” অর্থ; “সাঁই (মুহাম্মদ) কারো পিতা ছিলেন না, তোমাদের পুরুষরা (যেমন)। তিনি ছিলেন কাঁইয়ের তত্ত্ববাহক এবং সর্বশেষ বসিধ এবং কাঁই সর্ববিষয়ে সুবিজ্ঞ।” (কুরান- আহযাব-৪০)

তথ্যসূত্র (References)

(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)

১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula)
"আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"

রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)

২ যোজক সূত্র (Adder formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"

৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

< উৎস
[] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
() ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
> থেকে
√ ধাতু
=> দ্রষ্টব্য
 পদান্তর
:-) লিঙ্গান্তর
 অতএব
× গুণ
+ যোগ
- বিয়োগ
÷ ভাগ

Here, at PrepBootstrap, we offer a great, 70% rate for each seller, regardless of any restrictions, such as volume, date of entry, etc.
There are a number of reasons why you should join us:
  • A great 70% flat rate for your items.
  • Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
  • We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.

পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী

উপস্থ (শিশ্ন-যোনি) কানাই,(যোনি) কামরস (যৌনরস) বলাই (শিশ্ন) বৈতরণী (যোনিপথ) ভগ (যোনিমুখ) কাম (সঙ্গম) অজ্ঞতা অন্যায় অশান্তি অবিশ্বাসী
অর্ধদ্বার আগধড় উপহার আশ্রম ভৃগু (জরায়ুমুখ) স্ফীতাঙ্গ (স্তন) চন্দ্রচেতনা (যৌনোত্তেজনা) আশীর্বাদ আয়ু ইঙ্গিত ডান
চক্ষু জরায়ু জীবনীশক্তি দেহযন্ত্র উপাসক কিশোরী অতীতকাহিনী জন্ম জ্ঞান তীর্থযাত্রা দেহাংশ
দেহ নর নরদেহ নারী দুগ্ধ কৈশোরকাল উপমা ন্যায় পবিত্রতা পাঁচশতশ্বাস পুরুষ
নাসিকা পঞ্চবায়ু পঞ্চরস পরকিনী নারীদেহ গর্ভকাল গবেষণা প্রকৃতপথ প্রয়াণ বন্ধু বর্তমানজন্ম
পালনকর্তা প্রসাদ প্রেমিক বসন পাছধড় প্রথমপ্রহর চিন্তা বাম বিনয় বিশ্বাসী ব্যর্থতা
বিদ্যুৎ বৃদ্ধা মানুষ মুষ্ক বার্ধক্য মুমুর্ষুতা পুরুষত্ব ভালোবাসা মন মোটাশিরা যৌবন
রজ রজপট্টি রজস্বলা শুক্র মূত্র যৌবনকাল মনোযোগ রজকাল শত্রু শান্তি শুক্রপাত
শুক্রপাতকারী শ্বাস সন্তান সৃষ্টিকর্তা শুক্রধর শেষপ্রহর মূলনীতি সন্তানপালন সপ্তকর্ম স্বভাব হাজারশ্বাস
ADVERTISEMENT
error: Content is protected !!