৬০/৫. ইড়া
Cooler  (কোলার)/ ‘المبرد’ (আলমুবাররিদ)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বাম’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘বাম’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘উত্তর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘উদীচ্য ও চন্দ্রশ্বাস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘ন্যাটা ও সব্য’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘বামদেব’।

অভিধা (Appellation)
ইড়া (বাপৌছ)বি শরীরের বামদিকের রক্তবাহী নাড়ি, cooler, ‘المبرد’ (আলমুবাররিদ), refrigerator, coldish, chill, ‘برودة’ (বুরুদা), ‘مبرد’ (মুবাররিদ), ‘مشعاع’ (মাশা‘য়া‘য়া) (প্রাঅ) নাসার বাম পার্শ্বের নিঃশ্বাস, শরীরে হৃদপিণ্ডের অবস্থানের দিক, বাম নাসারন্ধ্রে চলাচলকারী শ্বাস (শ্ববি) উত্তরারায়, উত্তর দিকপাল, পুণ্ড্ররক, বাম, বামদেব বাঁদিক, বামদিক, সুমেরু, left, শিমাল (আ.ﺸﻤﺎﻞ) (ইদে) হুসাইন (ﺤﺴﻴﻦ), আইসার (আ.ﺍﻴﺴﺮ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বাম’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মানবদেহের বাম পার্শ্বস্থ একটি শিরাকে ইড়া বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে নাসিকার বাম ছিদ্র পথে চলাচলকারী শ্বাসকে ইড়া বলা হয় (বাপৌছ) ইড়া ও বামদেব (বাপৌচা) ন্যাটা ও সব্য (বাপৌউ) উদীচ্য ও চন্দ্রশ্বাস (বাপৌরূ) উত্তর (বাপৌমূ) বাম।

(প্র) মনু প্রজা সৃষ্টির মানসে এক পাকযন্ত্র নির্মাণ করেন। তিনি যজ্ঞের জন্য ঘি মাখন ও আমিক্ষা জলে নিক্ষেপ করেন। এর ফলে এক বৎসরের মধ্যে তা হতে একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করে। কন্যাটি জল হতে ওঠে এলে মিত্র-বরুণ তার কাছে এসে জিজ্ঞেস করেন- “আপনি কে?” তার উত্তরে কন্যা বলেন; “আমি মনুর কন্যা।” তখন মিত্র-বরুণ বলেন; “তুমি আমার।” কন্যা তখন কোনো উত্তর না দিয়ে মনুর কাছে যান। মনুর প্রশ্নের উত্তরে ইড়া বলেন যে; “আমি আপনার কন্যা, আপনার ঘি মাখন ও আমিক্ষা হতে আমার জন্ম।” আমাকে যজ্ঞে অর্পণ করুণ।” মনু তাকে দিয়ে কঠোর যজ্ঞের অনুষ্ঠান করলেন।

ইড়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of cooler)
১.   “আকাশে সুরার বরিষণ হলে, সুষুম্না ইড়া পিঙ্গলে, বলন কয় নিরীক্ষ বলে, সহজে যায় ভেদ জানা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮)।
২.   “বামে ইড়া দক্ষিণে পিঙ্গলা, তমঃ রজগুণে করছে খেলা, মধ্যে সত্ত্বগুণ সুষুম্না বিমলা, ধরো ধরো তারে সাদরে।” (পবিত্র লালন- ১৭২/২)।

ইড়ার প্রকারভেদ (Variations of cooler)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ইড়া দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ইড়া ও ২. উপমিত ইড়া।

১. উপমান ইড়া (Analogical cooler)
সাধারণত; আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মানবদেহের বাম পার্শ্বস্থ একটি শিরাকে উপমান ইড়া বলে।

২. উপমিত ইড়া (Compared cooler)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নাসিকার বাম ছিদ্র পথে চলাচলকারী শ্বাসকে উপমিত ইড়া বলে।

ইড়ার পরিচয় (Identity of cooler)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বাম’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে দেহের বামপার্শ্বস্থ একটি শিরাকে ইড়া বলা হয় কিন্তু আত্মদর্শন বা শ্বরবিজ্ঞানে নাসিকার বামশ্বাসকে ইড়া বলা হয়। এছাড়াও; একে শীতলশ্বাস বা চন্দ্রশ্বাসও বলা হয়। এ হতে বলা যায় চন্দ্রশ্বাস পরিচালনাকারী শিরাকে আয়ুর্বেদিকরা ইড়া বলে থাকেন।

রতীর ঊর্ধ্বগতি সাধনকারী সাধকরা মৈথুনের সময়ে ইড়াকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করে হৃদকম্প সমতা রক্ষা করে থাকেন। যারফলে; মৈথুনের সময়ে শরীর শীতল থাকে এবং কামের স্থায়ীত্ব অনেক বৃদ্ধি পায়। সেজন্য; ইড়াকে মানবদেহের জৈবিক শীতলকারী বা cooler & refrigerator বলা হয়। এক জন্য কামশাস্ত্রে ইড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।