Sooth of God

১. পৌরাণিক ঈশ্বরের সংজ্ঞা (Definition of mythological god)
শ্বরবিজ্ঞানের ‘পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত মূলক সত্তার রূপক নামে ঈশ্বরায়িত পৌরাণিক চরিত্রকে পৌরাণিক ঈশ্বর বলে। যেমন; ভারতীয় পৌরাণিক ঈশ্বর কৃষ্ণ ও ব্রহ্মা।

অথবা; মানবদেহে প্রাপ্ত কালোবর্ণের অমৃত জলের রূপক নামে ঈশ্বরায়ন করে সৃষ্ট পৌরাণিক চরিত্রকে পৌরাণিক ঈশ্বর বলে। যেমন; ভারতীয় পৌরাণিক ঈশ্বর কৃষ্ণ ও ব্রহ্মা।

ব্যাখ্যা (Explanation)
এখানে মানবদেহে প্রাপ্ত কালোবর্ণের অমৃতজল এর রূপক নামে ঈশ্বরায়ন করে ভারতীয় পৌরাণিক ঈশ্বর ‘কৃষ্ণ’ সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ; মানবদেহে প্রাপ্ত কালোবর্ণের জলই হলেন ভারতীয় পৌরাণিক ঈশ্বর ‘কৃষ্ণ’। একে গ্রিক পুরাণে Christo (খ্রিস্ট) ও আরবীয় পুরাণে ইসা (عيسى) বলা হয়েছে। আর গ্রিক Christo (খ্রিস্ট) এসেছে ভারতীয় কৃষ্ণ হতে। অর্থাৎ; ভারতীয় কৃষ্ণ পরিভাষার গ্রিক বর্ণান্তরণ Christo (খ্রিস্ট)। অর্থাৎ; বাইবেলে বর্ণিত যিশুখ্রিস্ট চরিত্রটি ভারতীয় পুরাণ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে; আরবীয় ইসা (عيسى) এসেছে গ্রিক Christo হতে। যেমন; Christo > Chriso > Jesus > Issa. অর্থাৎ; ভারতীয় মহাভারতের কেন্দ্রিয় চরিত্র কৃষ্ণ হতেই এভাবে ‘কৃষ্ণ > Christo > Chriso > Jesus > Iesou > Issa > ইসা (عيسى)’ বাইবেলের খ্রিস্ট ও কুরানের ইসা পরিভাষার উৎপত্তি হয়েছে।

টীকা (Annotation)
এখানে বিশেষভাবে স্মরণীয় যে; শ্বরবিজ্ঞানে ঈশ্বর দুই প্রকার। যথা; ১. কালো ঈশ্বর ও ২. সাদা ঈশ্বর। এছাড়াও; শ্বরবিজ্ঞানে কালো ঈশ্বরকে সংক্ষেপে কাঁই বলা হয় {বাং.কালো+ বাং.ঈশ্বর)> (কা + ঈ) > কাঈ >}। আর সাদা ঈশ্বরকে সংক্ষেপে সাঁই বলা হয় {বাং. সাদা+ বাং.ঈশ্বর)> (সা + ঈ) > সাঈ >}। ।

২. পৌরাণিক ঈশ্বরের সংজ্ঞা (Definition of mythological deity)
শ্বরবিজ্ঞানের ‘পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত মূলক সত্তার রূপক নামে ঈশ্বরায়িত পৌরাণিক চরিত্রকে ঈশ্বর বলে। যেমন; রাম, লালন ও মুহাম্মদ।

অথবা; মানবদেহে প্রাপ্ত সাদাবর্ণের অমৃতজল এর রূপক নামে ঈশ্বরায়ন করে সৃষ্ট পৌরাণিক চরিত্রকে পৌরাণিক ঈশ্বর বলে। যেমন; ভারতীয় পৌরাণিক রাম ও বিষ্ণু।

ব্যাখ্যা (Explanation)
এখানে মানবদেহে প্রাপ্ত সাদাবর্ণের অমৃতজল এর রূপক নামে ঈশ্বরায়ন করে ভারতীয় পৌরাণিক ঈশ্বর ‘রাম’ সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ; মানবদেহে প্রাপ্ত সাদাবর্ণের জলই হলেন ভারতীয় পৌরাণিক ঈশ্বর ‘রাম’। একে গ্রিক পুরাণে Dinlas (দিনলাস) ও আরবীয় পুরাণে মুহাম্মদ (محمد) বলা হয়েছে।

(তথ্যসূত্র; আত্মতত্ত্ব ভেদ; লেখক; বলন কাঁইজি)।