১৮/০৪. উল্কা
Meteor (মিটিয়র)/ ‘شِهَاب’ (শিহাব)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের অধীন গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যৌনরস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কামরস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘ঘোষক^১’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘তীর ও পাথর’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনীক’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘উষ্ণজল ও বিজলা’।

অভিধা (Appellation)
উল্কা (বাপৌচা)বি অগ্নিপিণ্ড, আলেয়া, মশাল, আকাশ হতে পতিত জ্বলন্ত জ্যোতিষ্ক, আকাশে দৃষ্ট সঞ্চরণশীল জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড, meteor, ‘شِهَاب’ (শিহাব) (শ্ববি) কামরস, serenity, জাকুল ফারজ (আ.ﺫﻮﻖ ﺍﻟﻔﺮﺝ) (রূপ্রশ) উশিজ, তীর, পাথর, বজ্র, রক্ষী, সৈন্য (ইদে) আবাবিল (আ.ﺍﺑﺎﺑﻴﻝ), বেলাল (আ.ﺒﻼﻞ), মুয়াজ্জিন (আ.ﻤﺆﺬﻦ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; আকাশ হতে পতিত জ্বলন্ত জ্যোতিষ্ককে উল্কা বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, নর-নারীর যৌনমিলনের সময়ে রমণীদের যোনি হতে নিঃসৃত; সুধা ও মধু ব্যতীত আঠালো রসকে রূপকার্থে উল্কা বলা হয় (বাপৌছ) উষ্ণজল ও বিজলা (বাপৌচা) অনীক ও উল্কা (বাপৌউ) তীর ও পাথর (বাপৌরূ) ঘোষক (বাপৌমূ) কামরস।

উল্কার সংজ্ঞা (Definition of meteor)
সাধারণত; আকাশ হতে পতিত জ্বলন্ত জ্যোতিষ্ককে উল্কা বলে।

উল্কার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of meteor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কামরসকে উল্কা বলে।

উল্কার প্রকারভেদ (Variations of meteor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; উল্কা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান উল্কা ও ২. উপমিত উল্কা।

১. উপমান উল্কা (Analogical meteor)
সাধারণত; আকাশ হতে পতিত জ্বলন্ত জ্যোতিষ্ককে উপমান উল্কা বলে।

২. উপমিত উল্কা (Compared meteor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কামরসকে উপমিত উল্কা বলে।

উল্কার পরিচয় (Identity of meteor)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ার কারণে; সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; আকাশ হতে পতিত জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডকে উল্কা বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; আকাশ বলতে বৈকুণ্ঠ ও উল্কা বলতে আদিরসকেই বুঝায়। মৈথুনের সময়ে শিশ্নের মাথার ওপর বৈকুণ্ঠবৎ আকাশ হতে আদিরস সদৃশ উল্কা বা বজ্র নিক্ষেপ করা হয়। যাতে সহজে কোনো সাধক বৈতরণী অতিক্রমণ করে বৈকুণ্ঠে প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু; মজার বিষয় হলো; বর্তমানে অধিকাংশ পাঠক, শ্রোতা, অনুবাদক, অভিধানবিদ, লেখক ও গবেষক উল্কা বা বজ্র বলতে মহাশূন্য হতে পতিত জ্বলন্ত জ্যোতিষ্ককেই বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে। এর ফলেই; সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকা মানবকল্যানে ব্যবহার না হয়ে; মানবের অকল্যাণেই ব্যবহার হচ্ছে অধিক।