১৮/০৫. উষ্ণজল
Discharge (ডিসচার্জ)/ ‘تفريغ’ (তাফরিগ)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যৌনরস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কামরস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘ঘোষক^১’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘তীর ও পাথর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনীক ও উল্কা’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘বিজলা’।

অভিধা (Appellation)
উষ্ণজল (বাপৌছ)বি তপ্তজল, উত্তপ্তজল, discharge, ‘تفريغ’ (তাফরিগ), hot water, ‘ﻤﺎﺀ ﺤﺎﺮ’ (মাউন হার) (শ্ববি) কামরস, serenity, জাকু আলফারজ (আ.ﺫﻮﻖ ﺍﻟﻔﺮﺝ) (রূপ্রশ) উশিজ, উল্কা, তীর, পাথর, বজ্র, রক্ষী, সৈন্য (ইদে) বেলাল (আ.ﺒﻼﻞ), মুয়াজ্জিন (আ.ﻤﺆﺬﻦ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; উত্তপ্ত জলকে উষ্ণজল বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, নর-নারীর যৌনমিলনের সময়ে রমণীদের যোনি হতে নিঃসৃত; সুধা ও মধু ব্যতীত আঠালো রসকে রূপকার্থে উষ্ণজল বলা হয় (বাপৌছ) উষ্ণজল ও বিজলা (বাপৌচা) অনীক ও উল্কা (বাপৌউ) তীর ও পাথর (বাপৌরূ) ঘোষক (বাপৌমূ) কামরস {বাং.উষ্ণ + বাং.জল}

উষ্ণজলের সংজ্ঞা (Definition of discharge)
সাধারণত; উত্তপ্ত জলকে ঊষ্ণজল বলে।

উষ্ণজলের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of discharge)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কামরসকে উষ্ণজল বলে।

উষ্ণজলের প্রকারভেদ (Variations of discharge)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে উষ্ণজল দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান উষ্ণজল ও ২. উপমিত উষ্ণজল।

১. উপমান উষ্ণজল (Analogical discharge)
সাধারণত; উত্তপ্ত জলকে উপমান ঊষ্ণজল বলে।

২. উপমিত উষ্ণজল (Compared discharge)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কামরসকে উপমিত উষ্ণজল বলে।

উষ্ণজলের পরিচয় (Identity of discharge)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। সাধারণত; উত্তপ্তজলকে উষ্ণজল বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল কামরসকে উষ্ণজল বলা হয়। মৈথুনের সময়ে এ জল বিম্বলের মাথায় নিক্ষেপ করে দ্রুত শুক্রনিক্ষেপ করতে বাধ্য করা হয়। পরপর কয়েকবার উষ্ণজল নিক্ষেপ করলে টলরা দ্রুত শুক্রপাত সদৃশ মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু অটলরা তা সহ্য করে স্তম্ভন প্রতিষ্ঠা করে। অত্যন্ত মজার বিষয় হলো; বিশ্বের বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুরাণে উষ্ণজল নিয়ে যেসব হাস্য-উপহাসমূলক পৌরাণিক কাহিনী নির্মাণ করা হয়েছে ও হচ্ছে। অধিকাংশ পাঠক ও শ্রোতাই এর অর্থ বা অভিধা জানে না ও বুঝে না। এজন্য; অন্ধবিশ্বাসী সাম্প্রদায়িকরা অনুমান করে যে; প্রয়াণোত্তর নরকবাসীদের গায়ে উষ্ণজল নিক্ষেপ করে শাস্তি প্রদান করা হবে। নরকযন্ত্রণায় কাতর জলপিপাসুদের উষ্ণজল পান করতে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য; চির বাস্তবতাকে দূরবর্তী ভবিষ্যতে স্থাপন করে সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক শাস্ত্রবিধি নির্মাণ করা হয়।