১৬/০৪. গোকুল
Herd (হার্ড)/ ‘قطيع’ (ক্বাত্বিয়া)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কানাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘রজকিনী’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অন্ধকূপ, করঙ্গ, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস’। এ পরিভাষাটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’, ‘জরায়ু’ ও ‘দেহ’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র রূপক, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা প্রত্যেক পাঠক-শ্রোতার একান্ত প্রয়োজন।

অভিধা (Appellation)
গোকুল (বাপৌউ)বি গোষ্ঠ, গোপাল, গোয়াল, গোশালা, বাথান, গরুর পাল, herd, ‘قطيع’ (ক্বাত্বিয়া) (প্র) যমুনা নদীর তীরের একটি গ্রাম, বাঙালী পুরাণে বর্ণিত; শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালীন লীলাভূমি (শ্ববি) যোনি, sex, vagina, ফারজ (আ.ﻔﺮﺝ) (রূপ্রশ) কানাই, অযোধ্যা, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, ভজঙ্গ, ভজঙ্গনা, রজকিনী, স্রাবস্তী, হিবাচী (ইংপ) destroyer, origin (ইপ) মক্কা (আ.ﻤﻜﺔ) (ইদে) দাজ্জাল (আ.ﺪﺟﺎﻞ), হামান (আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ), হারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ), হেরা (ﺤﺭﺍ), হাজরে আসুদ (حجر أسود) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; বাঙালী পুরাণে বর্ণিত; যমুনা নদীর তীরবর্তী শ্রীকৃষ্ণের বাল্য-লীলাভূমিকে গোকুল বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, যোনিকে রূপকার্থে গোকুল বলা হয় (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই।

গোকুলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of herd)
১.   “এ গোকুলে শ্যামের প্রেমে, কেবা না মজেছে সখী, কারো কথা কেউ বলে না, আমি একা হই অসতী।” (পবিত্র লালন- ২১৪/১)।
২.   “গোষ্ঠে চল হরি-মুরারী, লয়ে গোধন গোষ্ঠের কানন, চল গোকুল-বিহারী।” (পবিত্র লালন- ৪২৫/১)।
৩.   “সখী জলকে চল জলকে চল, জলকে চল গোকুলে, শ্যামের বাঁজি বাজে বাজেরে, রাধা রাধা বলে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।

জরায়ু অর্থে গোকুল পরিভাষার ব্যবহার (Using the terminology herd sense for uterus)
১.   “আর কী আসবে সে কেলেসোনা এ গোকুলে, তারে চেনে না নন্দরাণী কী ভোলে।” (পবিত্র লালন- ১৬৭/১)।
২.   “একি লীলা মানুষ-লীলা দেখি গোকুলে, হরি নন্দঘোষের দোষ মাথায় নিলে।” (পবিত্র লালন- ২০৯/১)।
৩.   “গোলকের চাঁদ গোকুলের চাঁদ, নদীয়ায় গৌরাঙ্গ সে পূর্ণচাঁদ, আর কী আছে চাঁদ- সে কেমন চাঁদ, ঐ ভাবনা মনে মনে।” (পবিত্র লালন- ৪৩৮/৩)।
৪.   “না দেখি গোকুলের চাঁদ, কোথায় পাতব বিনোদ ফাঁদ, লালন বলে গৌরাঙ্গ রূপচাঁদ, কেঁদে আকুল হই চিত্তে।” (পবিত্র লালন- ৮১৭/৪)।

গোকুলের সংজ্ঞা (Definition of herd)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে বর্ণিত; যমুনা নদীর তীরবর্তী শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালীন লীলাভূমিকে গোকুল বলে।

গোকুলের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of herd)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে কানাই বা রূপকার্থে গোকুল বলে।

গোকুলের প্রকারভেদ (Variations of herd)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; গোকুল দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান গোকুল ও ২. উপমিত গোকুল।

১. উপমান গোকুল (Analogical herd)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যমুনা তীরবর্তী শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালীন লীলাভূমিকে উপমান গোকুল বলে।

২. উপমিত গোকুল (Compared herd)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে কানাই বা উপমিত গোকুল বলে।

গোকুলের পরিচয় (Identity of herd)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ার কারণে; সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; গোয়াল বা গোশালাকে গোকুল বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; ‘কানাই’, ‘জরায়ু’ ও ‘দেহ’ এ ৩টি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’কে গোকুল বলা হয়। বাস্তবে গোকুলের কোনো অস্তিত্ব আগেও ছিল না; এখনও নেই। এটি; কল্পিত ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’। সাম্প্রদায়িক ভারতীয় হিন্দু মনীষীরা দাবি তুলেছে যে; তারা এর অবস্থান খুঁজে পেয়েছে। তারা বলে যে; এর অবস্থান বর্তমান যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে। অন্যদিকে; পুরাণ বিশারদ বিখ্যাত আত্মজ্ঞানী দার্শনিক মনীষীদের মতে; মানবদেহের মধ্যেই বিশাল যমুনা নদী বিদ্যমান। নাভিমূল দেহের মধ্যস্থল। নাভির ওপরের অংশকে বলা হয় আকাশ বা স্বর্গপুর। অন্যদিকে; নাভির নিচের অংশকে বলা হয় মর্ত্যধাম বা নরক। আবার শ্বরবিজ্ঞানের দিক-সূত্র অনুযায়ী নাভির ওপরের অংশকে বলা হয় পশ্চিম। অন্যদিকে; নাভির নিচের অংশকে বলা হয় পূর্ব। এ সূত্র অনুযায়ী কল্পিত গোকুলের অবস্থান নাভির নিচে। যেহেতু; এর অবস্থান বিশাল যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে। আর দেহ সদৃশ বিশাল যমুনার পূর্বপাড় হচ্ছে নাভির নিম্নাংশ। এছাড়াও; ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় সর্ব শ্রেণির আত্মজ্ঞানী ও মরমী মনীষীগণ একমত যে; রূপক-বিশ্বের গোকুল বলতে দেব-বিশ্বের কানাইকে বুঝানো হয়। আমরাও এ সিন্ধান্তকে স্বাগতম জানাই।