৬৮/১. ঘাট
Moorage (মুরেজ)/ ‘رسو’ (রাসু)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভগ’ পরিবারের অধীন গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনিমুখ’। এর রূপান্তরিত মূলক ‘ভগ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘গোধূম ও ধনুক’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘কুব্জা ও গাণ্ডিব’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘নৌকা ও ব্রজঘাট’।
অভিধা (Appellation)
ঘাট১ (বাপৌছ)বি অপরাধ, অন্যায়, দোষ, ত্রুটি, ন্যূনতা, স্বল্পতা।
ঘাট২ (বাপৌরূ)বি ঘাটি, পথ, মার্গ, জলাশয়ে নামবার স্থান, নৌকা ও জাহাজ ভিড়ার স্থান, প্রবেশ পথ, বাদ্যযন্ত্রের সুরের পর্দা, moorage, ‘رسو’ (রাসু) (শ্ববি) ভগ, যোনিমুখ, vulva, বোদা (আ.ﺑﺿﻌﻪ) (রূপ্রশ) ধনুক, নৌকা, পথ (ইপ) গন্দম (ফা.ﮔﻨﺪﻢ), দরজা (ফা.ﺪﺭﻮﺍﺯﻩ), মিম্বর (আ.ﻤﻧﺒﺮ), সুরাখ (ফা.ﺴﻭﺭﺍﺥ) (ইপৌচা) নুহ (আ.ﻨﻭﺡ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভগ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; জলাশয়ে অবতরণ স্থান ও নৌকা/ জাহাজ ভিড়াবার স্থানকে বাংলায় ‘ঘাট’ বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, স্ত্রী জননপথের বহির্দ্বারকে রূপকার্থে ‘ঘাট’ বলা হয় (বাপৌছ) নৌকা ও ব্রজঘাট (বাপৌচা) কুব্জা ও গাণ্ডিব (বাপৌউ) গোধূম ও ধনুক (বাপৌরূ) ঘাট (বাপৌমূ) ভগ।
ঘাটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of moorage)
১. “আমি একা রইলাম ঘাটে, ভানু সে বসল পাটে, তোমায় বিনা ঘোর সঙ্কটে, না দেখি উপায়।” (পবিত্র লালন- ৬৩২/২)।
২. “কে ভাসায় ফুল প্রেমের ঘাটে, অপার মহিমা সে ফুলের বটে।” (পবিত্র লালন- ৩৪৮/১)।
৩. “ঘাটে একবার আসি একবার যাই, যাইয়া দেখি শ্যাম ঘাটে নাই।” (কবি রাজ্জাক)।
৪. “নামিস না পিছলঘাটে, পিছলানী যে মানুষ কাটে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৮)।
৫. “বলাই যাস না যমুনা ঘাটে, নিবে তোর মাথা কেটে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৯৮)।
৬. “বাপ্পুতে একঘাটে মরে, কপালটারে দোষী করে, বলন কয় বিনয় করে, দেখ ভুলের নথি খুলি।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
ঘাটের সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of moorage)
১. “অটল-রূপের সরোবর, শ্রীরূপ সে ঘাটের ঘেটেলা, যাও যদি মন সে শহরে, মায়ের চরণ ধরো এ বেলা।” (পবিত্র লালন- ৪৭/১)।
২. “অষ্টযোগে দাঁড়িপাল্লা, আগে পরে বারোমাল্লা, ছয়জনে করে হল্লা, অঘাটে কেউ পিছলে মরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ০৫)।
৩. “আছে ঘাটে যার রাজা, সেতো তার প্রজা, সাব্যস্ত করে আগে তার ডিঙ্গা সাজা, নইলে পাবি ধোঁকা সারবে দফা, মৃণালের দুইভাগে।” (পবিত্র লালন- ৭১৩/২)।
৪. “আমায় পার কর দয়াল, ত্রিবেণীর স্বরূপ-ঘাটে, তুমি বিনা এ অধিনে, পারের কাণ্ডার কে আছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮)।
৫. “আমি কেন এলাম যমুনা ঘাটে, ঐ কালারূপ দেখলাম তটে, আমার কাঙ্খের কলসি কাঙ্খে রইল, দুই নয়নের জলে, কলসি ভেসে গেল।” (পবিত্র লালন- ৫৬৩/২)।
৬. “আমি চরণ পাব কোন্ দিনে, ঘাটে ঘাটে পথে পথে, কাঁদছি তোমার জন্যে।” (পবিত্র লালন- ১৫১/১)।
৭. “আসতে কাঁটা যেতে কাঁটা, গৌরহরির পিছলঘাটা, দোধারে যায় মাথা কাটা, লালন কয় কারে বলবো কী।” (পবিত্র লালন- ২১০/৩)।
৮. “উবুদগাছে ফুল ফুটেছে প্রেমনদীর ঘাটে, গাছের ডালপালা খালি, ভিতরেতে ফুল ফুটে।” (পবিত্র লালন- ১৯৫/১)।
৯. “এক ঘাটে আসা যাওয়া, এক পাটনি দিচ্ছে খেয়া, কেউ খায় না কারো ছোঁয়া, ভিন্নজল কে কোথায় পান।” (পবিত্র লালন- ৯১৯/২)।
১০. “একদিন গিয়েছিলাম সে যমুনার ঘাটে, কত কথা মনে পড়ল গো পথে, আমি রাধে সারানিশি কেঁদে কাটাই, তবু তো দেখা দিলো না।” (পবিত্র লালন- ২৫১/২)।
১১. “এসো দয়াল আমায়, পার করো ভবের ঘাটে, দেখে ভবনদীর তুফান, ভয়ে মন কেঁপে ওঠে।” (পবিত্র লালন- ২৩৪/১)।
১২. “কতবার আসবি যাবি, পারের ঘাটে চুবনি খাবি, ঘুরবি এ নাগরদোলায়, নিজ দোষে জেল খাটবি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬১)।
১৩. “কারে বলছ মাগী মাগী, সে ঘাট এড়াতে পারে যে; সে-ই তো মহাযোগী।” (পবিত্র লালন- ২৮৩/১)।
১৪. “নদীর কালীধার পূর্বঘাটে, এক মৃণালে তিনফুল ফোটে, যোগ ছাড়া চলে না, তুলব বলে সে নদীর ফুল, ছয়পাগলের গোল মিটে না।” (পবিত্র লালন- ১২৮/৩)।
১৫. “গুরুধন চিনলি না মন, হলো না জলের সাধন, পারঘাটে হয়রে মরণ, বৈঠা ভাঙ্গে জন্মনালে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৬)।
১৬. “গুরুর সাথে করলে নিষ্ঠারীতি, জলের সাথে হয় পিরিতি, বাঁধে নয়নে দেহরতী, সুজন সুদিন ঘাটে গেলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৬)।
১৭. “ঘাট অঘাটায় মনোলোভা, তেমনি, যেন চাঁদের আভা, গুরু বিনা কেবা চেনে, লালন কয় গুরুপদ্ম উপায়।” (পবিত্র লালন- ৫৪৬/৪)।
১৮. “ঘাটের সে পঞ্চনারী, বসে আছে খড়গ ধরি, হঠাৎ করে নাইতে গেলে তারই, এক কোপে ছেদন করে।” (পবিত্র লালন- ৯৫২/৩)।
১৯. “চতুরালি থাকতে বল, প্রেমযাজনে বাঁধবে কল, হারিয়ে শেষে দুটি ফল, কান্নাকাটি লাগবে পথে ঘাটে।” (পবিত্র লালন- ১৫৮/৩)।
২০. “চাঁদ পাড়তে যমুনা ঘাটে, ডুবিস না রে মাথা কেটে, উদয়-অস্ত প্রতিমাসে, ভেদ জেনে ভাঙ্গরে বসে, ঐ চাঁদে জগৎ উজ্বালা, বলন কয় তুলনা নাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩২)।
২১. “ছাড়ো বৃথা রঙ্গরস, রিপু করো বশ, কাজেতে হলে অলস, পড়ে রবে পারঘাটে।” (পবিত্র লালন- ২৯৬/৩)।
২২. “জানতে পারলে নদীর ধারা, যোগ বুঝে মীন পড়ে ধরা, সিরাজ সাঁইজি বলে খাড়া, লালন ঘাটে খায় চুবানি।” (পবিত্র লালন- ৮২২/৪)।
২৩. “জোয়ার এলে ওঠে সোনা, ধরে নেয় রসিক জনা, কামনদীর ঘাটে লোনা, লালন কয় সেথায় মানুষ মরে।” (পবিত্র লালন- ৮৩৪/৫)।
২৪. “ডুবে না মন ওঠে কেঁদে, ডুবাতে চায় কলসি বেঁধে, লালন ফকির বলছে খেদে, জানি না কোন ঘাটে ডুবায়।” (পবিত্র লালন- ৭৭১/৪)।
২৫. “তোর চাঁদবদন দেখার আশে, ত্রিবেণীঘাট বাঁধলাম কষে (রে), মদনরাজা বুদ্ধি নাশে, ছয়চোরাতে কাটে ঘর।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮৭)।
২৬. “ত্রিবেণীর কোন ঘাটে মধু, সে ভেদ জানে নিষ্ঠাসাধু, সাধুর নিকট জেনে যাদু, মধু খারে হাজার মাসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮৬)।
২৭. “ত্রিবেণীর পিছনঘাটে, বিনা হাওয়ায় মৌজ ছোটে, বোবায় কথা কয়- কালায় শুনতে পায়, আন্ধেলায় পরখ করে সে না।” (পবিত্র লালন- ৫২৭/৩)।
২৮. “দক্ষিণের কালশশী উদয় হয় উত্তরে গিয়া, বসে থাকে পারঘাটেতে শক্তিরূপ ধরিয়া, পারমিদের মহান মহিমা- অলৌকিকশক্তির নিশানা, পাইতে সে শক্তিখানা- নিরীক্ষ ধররে ত্রিবেণী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬৪)।
২৯. “নদীর স্রোত যদি তীরে ছুটে, কামনদীর পিছলঘাটে তরঙ্গ ওঠে, লালন বলে মোহর এঁটে, নিরীক্ষ রাখ রাগের তলায়।” (পবিত্র লালন- ১০১/৪)।
৩০. “নবি সে পারের কাণ্ডার, পারঘাটাতে করবেন পার, হেন নবি না চিনলে, হয়ে থাকবি দিনকানা।” (পবিত্র লালন- ৮৭৭/২)।
৩১. “নিত্যগঙ্গায় স্নান করি, কূলে বসে ঐরূপ হেরি, নদীর কূলে কূলে বেড়াই ঘুরি, পাই না ঘাটের ঠিকানা।” (পবিত্র লালন- ৭২০/২)।
৩২. “নীরাকারে দু’জন নূরী, ভাসছে সদাই, ঝরার ঘাটে যুগান্তরে হচ্ছে উদয়।” (পবিত্র লালন- ৬০৬/১)।
৩৩. “পথের নাম ত্রিবেণীঘাট, বাঘে সর্পে ঘিরে আছে বাট, রসিকজনা ঘাটের লাট, মহামীন আসে তার সাথে।” (পবিত্র লালন- ২৩৩/৩)।
৩৪. “পরোয়ারদিগার মালিক সবার, ভবের ঘাটে পারের কাণ্ডার, তাইতো; রহিম নাম তার, প্রকাশ সংসারে।” (পবিত্র লালন- ৭২৬/২)।
৩৫. “পলক ভরে পড়ে চরা, পলকে বয় তড়কা ধারা, সে ঘাট বেঁধে মৎস্য ধরা, সামান্য কাজ নয়।” (পবিত্র লালন- ৮৩৬/৩)।
৩৬. “পাকা গুরুর সঙ্গ নিলে, মরবি না মন ঘাটে গেলে, বলন কাঁইজি ভেবে বলে, লও অমূল্য নিধি লুটে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৮)।
৩৭. “পারঘাটেতে পারের আশে, দয়াল নামে ডাকি বসে, নিজ গুণে দয়াল এসে, পার করিয়া নাও আমায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০২)।
৩৮. “পারে কে যাবি তোরা আয় না ছুটে, নিতাইচাঁদ হয়েছে নেয়ে, ভবের ঘাটে।” (পবিত্র লালন- ৬২৯/১)।
৩৯. “পাশাখেলা জানে যারা, তাদের করণ সারা, তারাই ধরে অধর ধরা, তাদের কুমিরে না ধরে, না এঁটে ঘাটের চাবি, কতজন যাচ্ছে ডুবি, পা দিয়ে অমনি গড়াগড়ি, চুবানি খেয়ে মরে।” (পবিত্র লালন- ২৫০/৩)।
৪০. “পিছলঘাটা ত্রিভঙ্গ বাঁকা, কতজন কাটল মাথা, মানে না দোহায়ের কথা, পিতৃধন সব তুলে লাটে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৮)।
৪১. “পুষ্করিণী সাড়ে তিনরতী, ঘাটলাতে জ্ঞানের বাতি, নয় শিরে নয় ধার খেলে, দই দুগ্ধ উদয় চন্দ্র রামানন্দ ভক্তবৃন্দ, পারের ঘাটে একদিন যদি মিলে।” (পবিত্র লালন- ১৫৯/২)।
৪২. “পূর্ণিমার যোগাযোগ হলে, শুকনানদী উজান চলে, ত্রিবেণীর পিছলঘাটে, নিঃশব্দে বন্যা ছোটে, চাঁদ-চকোরে ভাটার চোটে, বাঁধ ভেঙ্গে যায় তৎক্ষণা।” (পবিত্র লালন- ৬৩৬/৩)।
৪৩. “পেয়ে তিনঘাটা এক গোয়ালী, জনমভর ডুব পাড়লি, নিধি-রতন সব হারালি, আমোদ করে মনকানা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৯৩)।
৪৪. “প্রেমযমুনা চৌদ্দভুবন, তিনঘাটে রয় তিনজন, মাঝখানে স্বরূপ কিরণ, ভাসছে সে নীরাকারে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩০০)।
৪৫. “প্রেমরত্নধন পাওয়ার আশে, ত্রিবেণীঘাট বাঁধলাম কষে, কামনদীর এক ধাক্কা এসে, কেটে যায় বাঁধন ছাদন।” (পবিত্র লালন- ২৬৫/২)।
৪৬. “প্রেমের ঘাটে বসি, ভাসায় মনোতুলসি, লালন কয় দাসী, লিখে খাতায়।” (পবিত্র লালন- ৮০৭/৪)।
৪৭. “প্রেমের হাট মতিঝিলে, ব্যাংক বীমা এনজিও খুলে, দয়াল দেখায় অপার লীলে, বসে সে পারঘাটায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮৮)।
৪৮. “ফের পড়ল মন তোর ফিকিরেতে, যে ঘাটে মরে সারা ফকির ফাকার, ডুবে মরলি সে ঘাটেতে।” (পবিত্র লালন- ৬৬৫/১)।
৪৯. “বলন কয় জাতির ধোঁকায়, কতজন চুবানি খায়, শেষে করে হায়ঃ হায়ঃ, বাপ্পুতে একঘাটে মরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩০)।
৫০. “বলন কাঁইজি ভেবে বলে- পথে-ঘাটে বন্ধু মিলে, রসিক মিলে ভাগ্যের ফলে, হারাইয়া নয়ন-মণি- কাঁন্দি বসে দিনরজনী, প্রাণ হারাইয়া দেহ লই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬২)।
৫১. “বসে রইলাম পারের ঘাটে, দয়ালরে তোর আশায়, আমায় কোন্ দিনে, পারে নিতে আসবে দয়াল সাঁই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০২)।
৫২. “বাড়াবাড়ি হলে কর্মে, ব্রজঘাটে ধরে যমে, লালন কয় পাষাণগণে, শুনে বৃন্দের ভর্ত্সনা।” (পবিত্র লালন- ৩০৬/৪)।
৫৩. “বাপবেটা করে ঘটা, একঘাটে নাও ডুবালে, হেঁট নয়নে দেখ রে চেয়ে, কী করতে কী করলে।” (পবিত্র লালন- ৬৮৬/১)।
৫৪. “বাপের ভোজনালয় গেল লাটে, কামলোভী আর হোসনেরে মন, নাগরদোলার ঐ ঘাটে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৫)।
৫৫. “বিজলি ঘেরা, নবীন গোরা, পিছল সে ঘাট রসে ভরা, ধরতে গেলে দেয় না ধরা, তবু কতজন যায় মরিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৫৬. “ভাবের আসন করে শ্রীপাটে, শুভযোগে যাও স্বরূপ চাঁদের ঘাটে, তারের খবর অকপটে, সহজ হলে হয় উদয়।” (পবিত্র লালন- ১০১/২)।
৫৭. “মনে চাই মনে চাই গো, রাধার ঘাটে নাও ভিড়াতে, এমন নাগরী যে দেখেছে, মন দিয়েছে ঐ রূপেতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৫৮. “মন্ত্রণাকারী ছয়জন সদাই, অশেষ কু’কাণ্ড বাঁধায়, ডুবাল ঘাট অঘাটায়, আজ আমারে।” (পবিত্র লালন- ৬২৬/২)।
৫৯. “মরে যদি ভেসে ওঠে, সে মরা বেড়ায় ঘাটে ঘাটে, কেউ কেউ ডুবে শ্রীপাটে, বিধির অধিকার ত্যাগেরে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৫/৩)।
৬০. “মাঠে ঘাটে রাসুলেরে, মেঘে রয় ছায়া ধরে, জানতে হয় তা লিহাজ করে, জীবের কী দরজা হয়।” (পবিত্র লালন- ৮৬৬/৩)।
৬১. “মূলের সন্ধান যে করে, পারের ঘাটে নাহি মরে, বলন কয় বিনয় করে, চিনরে স্বরূপটা কে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩০৩)।
৬২. “মৃণালগতি রসের খেলা, নবঘাটে রয় নব ঘেটেলা, দশমে যোগ বারিগোলা, যজ্ঞেশ্বর অযোনি।” (পবিত্র লালন- ৩৬৭/৩)।
৬৩. “যেদিন চাঁদ দেখতে পাবে, সেদিন হাবুডুবু খাবে, লালন বলে ভবের ঘাটে, ক্ষ্যাপা ডুবে হবি নাশ।” (পবিত্র লালন- ৭৮৯/৪)।
৬৪. “রক্তিম সাদা কালো ধারা এক নদীতে চলে, তার স্রোতের চিহ্নও রহে না নদীটি শুকালে, সেই নদী পারের ঘাটে, জীব কুলের হয় মরণ।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২৯)।
৬৫. “রূপ-কাষ্ঠের নৌকায় চড়ে মাসে মাসে হয় উদয়, কলির জীব তরাতে সাঁই ঘুরতেছে এ জগৎময়, প্রাতঃ সন্ধ্যা দুই ধারাতে- পার করে পারঘাটেতে, হাত ধরে কাঙ্গলের হাতে- পেলে সঠিক সন্ধানী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৪)।
৬৬. “রূপনদীর তীরঘাটে, যে বসেছে মহড়া এঁটে, সে নদীতে জোয়ার এলে, রসিক জনা মাছ ধরে।” (পবিত্র লালন- ৮৩৪/৪)।
৬৭. “লালন কয় শ্রীরাধে বলে, দেহতরী দিলাম ছেড়ে, সোনার কমল সুরর-ঘাটে, দেখ নাগরী যায় ভেসে কোন মানুষে।” (পবিত্র লালন- ২২৫/৩)।
৬৮. “লালন ফকির ভাবে বসে, মরার ঘাটে মরা ভাসে, মরায় কত জিন্দা নাশে, মরায় মরা খায়।” (পবিত্র লালন- ৬৮৪/৪)।
৬৯. “লীলারসে ডুবিতে যাও, পারঘাটে চুবানি খাও, মন ছেড়ে বসন রাঙ্গাও, মাকাল ফলের নমুনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩৮)।
৭০. “শমন-ঘাটের খেয়া নায়ে, চড়তে লোকে মরে ভয়ে, সিরাজ সাঁইজি হাতে লয়ে, করে লালনের ঠিকানা।” (পবিত্র লালন- ৬৫৭/৪)।
৭১. “শুকনাগাঙ্গে জোয়ারভাটা, ত্রিমোহনার পিছলঘাটা, বলন কয় মাথাকাটা, যাস না মধু খেতে এসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮৬)।
৭২. “শুনেছি ত্রিবেণীর ঘাটে, আজগুবি এক ফুল ফুটে, সে ফুল থাকে মায়ের পেটে, রসিক ধরে ফুল প্রেমডুরিতে।” (পবিত্র লালন- ৮৩১/৩)।
৭৩. “সকাল বেলা যেতে ঘাটে, গৌরাঙ্গরূপ উদয় পাটে, করোয়া ধারণ করেতে, কটিতে ডোর কোপনি।” (পবিত্র লালন- ৭৩৮/২)।
৭৪. “সদাই সে নিরঞ্জন নীরে ভাসে, যে জানে সে নীরের খবর, নীরঘাটায় তারে খুঁজলে পায় অনায়াসে।” (পবিত্র লালন- ৯০৯/১)।
৭৫. “সপ্তকর্ম ঘাটা প্রেমতরণী, মূলবস্তু পঞ্চরস পঞ্চবাণই, বলন কয় দয়াল গুণি, দেখাও সে স্বরূপেরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩০০)।
৭৬. “সাড়ে সাত পান্তি পথের মুড়া, আটপান্তি আদ্যমূল গোড়া, সিরাজ সাঁইজির চরণ- ভুলে লালন, অঘাটেতে মারা যাচ্ছ কেমনে।” (পবিত্র লালন- ৭০৮/৪)।
৭৭. “সাতবার খেয়ে একবার স্নান, নাই পূজা নাই পাপ-পুণ্য-জ্ঞান, অসাধ্যরে সাধ্য-বিধান, শিখাচ্ছে সব ঘাটে পথে।” (পবিত্র লালন- ২২০/২)।
৭৮. “সুখ-সাগরের ঘাটে গিয়ে, মৎস্য ধর হুঁশিয়ারে, জল ছুঁয়ো না মনরসনা, বলি তোমায় বারে বারে।” (পবিত্র লালন- ৯৫২/১)।
৭৯. “সে ঘাটে জন্মে সোনা, লোভিকামী যেতে মানা, সে ঘাটে জোর খাটে না, চল ধীরে ধীরে, যার ছেলে কুমিরে খায়, তার দিলে লাগে ভয়, ঢেঁকিকে দেখে পালায়, আবার বুঝি ধরে।” (পবিত্র লালন- ২৫০/২)।
৮০. “সেথা ঘাটরাণী সর্বনাশে, জোয়ার ভাটা বারো মাসে, বলন কয় বাউল বাতাসে, পড়িয়া চুরাশিপাকে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৯৮)।
৮১. “সে নদীর পিছলঘাটা, চাঁদ কটালে খেলছে ভাটা, দিন দুনিয়ার পাড়া একটা, মীন রয়েছে মাঝখানে।” (পবিত্র লালন- ১২০/২)।
৮২. “সে না আহা প্রভু বলে আকুল হয়, অমনি অঘাটে অপথে পড়ে রয়, লালন বলে- এমনই হালে, গুরুর দেখা হয়েছে।” (পবিত্র লালন- ৫৬১/৪)।
৮৩. “স্বরূপের সেই পিছলঘাটা, দুইদরজা খিড়কি আটা, বলন কয়- যদি কৃপা হয়, তবে তারে পেতে পার।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৭৪)।
সাধারণ ঘাট অর্থে ‘ঘাট’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology moorage sense ordinary moorage)
কথা বলে চটকমারি, শিষ্য বাড়ানোর বাহাদুরি, উল্টো কথা পুঁজি করি, পথে ঘাটে আস্তানা করে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯৪)।
মধুর ওপর ২টি পূর্ণ লালন (Two full Lolon on the moorage)
১. “১আমার দেহনদীর বেগ থাকে না,
আমি বাঁধব কয় মোহনা,
কামজ্বালাতে জ্বলে মরি
কই হলোরে উপাসনা।
২নদীতে নামি নামি আশা করি,
মাঝখানে সাপের হাড়ি,
সাপেরই কারখানা,
ছয় কুমিরে যুক্তি করে,
ঐ নদীতে দিচ্ছে হানা।
৩নদীর কালীধার পূর্বঘাটে,
এক মৃণালে তিনফুল ফোটে,
যোগ ছাড়া চলে না,
তুলব বলে সে নদীর ফুল,
ছয়পাগলের গোল মিটে না।
৪অযোগে স্নান করতে যায়,
তারে কুম্ভীর সর্পে খায়,
যে ঘাটের ছন্দি জানে না,
সেথায় আছে কত ইন্দ্রিয় রিপু,
এখন তাদের চিনলাম না।
৫সে নদীর উজান বাঁকে,
অজগরের ছানা ফোটে,
কুম্ভীরের কারখানা,ঘাটে পার হয়ে যায় রসিকসুজন,
লালনের ভাগ্যে হলো না।” (পবিত্র লালন- ১২৮)।
২. “১প্রেমরসের ঘাট ভাঁড়িয়ে,
তরী বায়ো না,
আইন জানো না,
বললে কথা মানো না।
২নতুন আইন এলো নদীয়াতে,
প্রেমের ঘাটে উচিত কর দিতে,
না জেনে খবর- করলে জোর,
উচিত সাজায় বাঁচবে না।
৩প্রেমের ঘাটের রাজা নিতাই,
রাইরাধা রসবতী চুন্নী সেথাই,
সে ঘাট মাড়লে- পড়বি দায়মালে
এ ঝকমারি করো না।
৪মেড়েছিল সে ঘাট শ্যামরায়,
চালান হলো নদীয়া জেলায়,
লালন বলে- আমার কপালে,
ঘটে যেন কী ঘটনা।” (পবিত্র লালন- ৬৫৩)।
ঘাটের সংজ্ঞা (Definition of moorage)
সাধারণত; জলাশয়ে অবতরণের স্থান বা নৌযান ভিড়াবার স্থানকে ঘাট বলে।
ঘাটের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of moorage)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; স্ত্রী জননপথের বহির্দ্বারকে ভগ বা ঘাট বলে।
ঘাটের প্রকারভেদ (Variations of moorage)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ঘাট দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ঘাট ও ২. উপমিত ঘাট।
১. উপমান ঘাট (Analogical moorage)
সাধারণত; জলাশয়ে অবতরণ স্থান বা নৌকা/ জাহাজগুলো ভিড়াবার স্থানকে উপমান ঘাট বলে।
২. উপমিত ঘাট (Compared moorage)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; স্ত্রী জননপথের বহির্দ্বারকে ভগ বা উপমিত ঘাট বলে।
ঘাটের উপকার (Benefits of moorage)
১. জলাশয় হতে জল আনবার জন্য ঘাট ব্যবহার করা হয়।
২. নৌকা বা জাহাজগুলো ভিড়াবার জন্য ঘাট ব্যবহার করা হয়।
ঘাটের পরিচয় (Identity of moorage)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভগ’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ বিশেষ। যে কোনো স্থানে অবতরণের পথকে ঘাট বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে; দ্বিপস্থজীবের স্ত্রীচিহ্ন বা জনিত্রকে যোনিমুখ বা ঘাট নামে অভিহিত করা হয়। এটি; নারীদেহের গোপনস্থানে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সংস্থাপিত। এজন্য; সাধারণত; যোনিমুখ সর্বসময় অগোচর থাকে। দেহের অন্যান্য অঙ্গের মতো এ অঙ্গটি ততো সহজে চোখে পড়ে না। মৈথুনের জন্য এ পথ দ্বারা অবতরণ করতে হয় বলে শ্বরবিজ্ঞানে; শ্বরবিজ্ঞানে; একে ঘাট বলা হয়। এছাড়াও; নিচের পরিভাষাগুলো দ্বারা কেবল ভগকেই বুঝায়। যথা; “অঘাট, একঘাট, কামনদীর ঘাট, কামনদীর পিছলঘাট, গৌরহরির পিছলঘাট, ঘাটরাণী, ঝরার ঘাট, তিনঘাট, তিনঘাটা, ত্রিবেণীর ঘাট, ত্রিবেণীর পিছনঘাট, ত্রিমোহনার পিছলঘাট, নদীর পিছলঘাট, নবঘাট, নাগরদোলার ঘাট, নীরঘাট, পথঘাট, পারঘাট, পারঘাটা, পিছলঘাট, পূর্বঘাট, প্রেমনদীর ঘাট, প্রেমরসের ঘাট, প্রেমের ঘাট, ব্রজঘাট, ভবের ঘাট, মরার ঘাট, যমুনা ঘাট, রাধার ঘাট, রূপনদীর তীরঘাট, শমন ঘাট, সপ্তকর্ম ঘাট, সুখ-সাগরের ঘাট, সুরধুনীর ঘাট, স্বরূপ ঘাট, স্বরূপচাঁদের ঘাট ও স্বরূপের পিছলঘাট।”
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.