চন্দ্র

৪৮/৪. চন্দ্র
Phoebe (ফিবি)/ ‘القمر’ (আলক্বামার)

ভূমিকা (Prolegomenon)

এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর পালনকর্তা পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা। এর বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা পালনকর্তা। এর বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা সাঁই। এর অন্যান্য বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা অমৃতসুধা, গ্রন্থ, জল, তীর্থবারি, পাখি, ফল ফুল। এর বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা ননি, বিষ্ণু, মাণিক, রাজা, রাম, লালন, স্বরূপ হরি এবং এর বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা ঈশ্বর, উপাস্য, চোর, পতিতপাবন, পরমগুরু, প্রভু, মনেরমানুষ সুধা। এ পরিভাষাটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর সব বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা ও পরিভাষার সহগশব্দ রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন; “নয়ন-চন্দ্র প্রসন্ন যার স্বরূপ-চন্দ্র দৃষ্ট হয় তার।”

অভিধা (Appellation)
চন্দ্র (বাপৌউ)বি চাঁদ, শশী, চন্দমা, চন্দন, নিশাকর, নিশাকান্ত, শশধর, হিমাংশু, সুধাংশু, সুধাকর, ইন্দু, বিধূ, মৃগাংক, শ্রেষ্ঠ, phoebe, ‘القمر’ (আলক্বামার), Moon, ‘ﻗﻤﺮ’ (ক্বমার) বিণ চিত্তরঞ্জক, আনন্দদায়ক, আহ্লাদজনক, চন্দ্রের মতো সুন্দর (প্র). পৃথিবীর একটি উপগ্রহ; যা পৃথিবীকে মাসে একবার প্রদক্ষিণ করে. বাঙালী হিন্দুদের উপাধি বিশেষ. শ্বরবিজ্ঞানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তুর পরে ‘চাঁদ বা চন্দ্র’ পরিভাষাটি প্রত্যয়ের মতো ব্যবহৃত হয় (গুরুচাঁদ, গুরু-চন্দ্র)। এ প্রত্যয়টি সব গুরুত্বপূর্ণ শব্দের পরে বসে কিন্তু শব্দের মূল-অর্থের পরিবর্তন কখনই ঘটায় না (শ্ববি) এমন তরল-মানুষ; যে এখনও মূর্তাকার ধারণ করে নি। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ লালনপালনের দায়িত্ব পালনকারী সুমিষ্ট, সুপেয় ও শ্বেতবর্ণের জল (রূপ্রশ) উপাস্য, নারায়ণ, নিধি, নিমাই, নিরঞ্জন, স্বরূপ (পারদে) খোদা (ফা.ﺨﺪﺍ) (ইদে) মা’বুদ (.ﻤﻌﺑﻭﺪ), মুহাম্মদ (.ﻤﺤﻤﺪ), রাসুল (.رَسُول) (ইপ) কাওসার (.ﻜﻭﺛﺮ), ফুরাত (.ﻔﺭﺍﺖ) (ইপ) God, nectar, elixir (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর পালনকর্তা পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ (সংজ্ঞা). পৃথিবীর একটি উপগ্রহকে চন্দ্র বলা হয়. সারা জগতের পালনকর্তাকে সাঁই বা রূপকার্থে চন্দ্র বলা হয় (বাপৌছ) ঈশ্বর, উপাস্য, চোর, পতিতপাবন, পরমগুরু, প্রভু, মনের-মানুষ ও সুধা (বাপৌচা) ননি, বিষ্ণু, মাণিক, রাজা, রাম, লালন, স্বরূপ ও হরি (বাপৌউ) অমৃতসুধা, গ্রন্থ, চন্দ্র, জল, তীর্থবারি, পাখি, ফল ও ফুল (বাপৌরূ) সাঁই (বাপৌমূ) পালনকর্তা।

চন্দ্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of phoebe)
১.   “অমাবস্যার দিনে চন্দ্র থাকে কোন শহরে, প্রতিপদে উদয় হয় সে, দৃষ্ট হয় না কেন তারে।” (পবিত্র লালন- ৬০/১)
২.   “চাঁদ হয়েছে চাঁদে উদয়, চাঁদে চাঁদে চন্দ্রগ্রহণ, চাঁদেই বিশ্ব জ্যোতির্ময়।।” (বলন তত্ত্বাবলী)
৩.   “ভূমিতে বসিয়া যে চন্দ্র বিখণ্ড করতে চায়, আঙ্গুল সোজা রেখে হাজার বছর থাকা চাই, বলন কাঁইজি কয়গো নিতে, অষ্টসখী আর পঞ্চছিলে।” (বলন তত্ত্বাবলী-১২৮)
৪.   “হীরা কাঞ্চন জহরত কোটিময়, সে চাঁদ সহস্র যোজন ফাঁকে রয়, কোটি চন্দ্রে জোৎস্নাময়।” (পবিত্র লালন- ৯৯৬/১)

চন্দ্রের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of phoebe)
১.   “অনুরাগে মন যেদিকে ফিরায়, পূর্ণ-চন্দ্র ঝলক দেখতে পায়, ক্ষণেক অচেতন- ক্ষণেক চেতন, ক্ষণেক ব্রহ্মাণ্ডের ওপর চলে।” (পবিত্র লালন- ৮৬২/২)
২.   “অমাবস্যার দিনে চন্দ্র থাকে কোন শহরে, প্রতিপদে উদয় হয় সে, দৃষ্ট হয় না কেন তারে।” (পবিত্র লালন- ৬০/১)
৩.   “অমাবস্যার পর চন্দ্র উদয়, দেখতে যার বাসনা হয়, লালন বলে থাকো সদাই, ত্রিবেণীতে থাকো বসে।” (পবিত্র লালন- ৯৭৬/২)
৪.   “আসমানে উদয় চন্দ্র সর্বলোকে কয়, দেহের চন্দ্র মেঘে ঘিরে রয়, সিরাজ সাঁইজির বচন শোনরে লালন, সে মানুষের করণ এমন নয়।” (পবিত্র লালন- ৬৬৪/৩)
৫.   “উভয় চন্দ্রের গুণপণা, সাধু বিনা কেউ জানে না, বলন কয় পাগলমনা, ঘুররে কালো চন্দ্রের আশে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮১)
৬.   “একটি চন্দ্র হাজার তারা, সারা আকাশ ছেয়ে রয়, অমাবস্যা লাগলে সে চন্দ্র, আবার কোথায় গিয়ে লুকায়।” (পবিত্র লালন- ৬৭৯/৩)
৭.   “চন্দ্র সাদা সূর্য কালো, যাতে উদয় জ্ঞানের আলো, কোন সাধনে পাবো বলো, তা এখন কারে শুধাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮২)
৮.   “চন্দ্র সূর্য যে গড়েছে, ডিম্ব রূপে সে ভেসেছে, একদিন হিল্লোলে এসে, নিরঞ্জনের জন্ম হয়।” (পবিত্র লালন- ৬৬৮/২)
৯.   “চব্বিশচন্দ্রে ঘর সারা, বাহান্নহাটে খুঁটা গাড়া, হবি একদিন সকল হারা, তেষট্টিবাই রবে পড়ি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৭)
১০. “জোয়ারে আইসা বান্ধব জোয়ারে যায় ভাসিয়া, মনের-মানুষ ফেলিয়া রইলে মরার ঘুমে ঘুমাইয়া, ভাঙ্গাঘরে চন্দ্র উদয়, দিবসে প্রতি মাসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫১)
১১.  “তিন তিনটি চন্দ্র উদয় আকাশ ভূমি পাতালে, পশ্চিমে সূর্য উদয় হয়গো ভরা সন্ধ্যাকালে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২৮)
১২.  “তের তিথি বারো মাসে, সে চাঁদের নাই অমাবস্যে, ভজনে স্থিতি হয় কিসে, লালন বলে জোয়ারের সাথে, চন্দ্র উদয় সেখানে।” (পবিত্র লালন- ৪০৪/৩)
১৩. “ত্রিধারা আটকুঠরী, দিবানিশি নয় প্রহর-ই, ষোল কলা আঠারপুরী, চব্বিশ-চন্দ্র সাতাশই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৬)
১৪. “নিচের চাঁদ রাহুতে ঘিরা, গগনচাঁদ কী যায়রে ধরা, যখন হয় অমাবস্যে, তখন চন্দ্র রয় কোন দেশে, লালন ফকির হারায় দিশে, চোখ থাকতে কানা।” (পবিত্র লালন- ৬৩৬/৪)
১৫. “পুষ্করিণী সাড়ে তিনরতি, ঘাটলাতে জ্ঞানের বাতি, নয় শিরে নয় ধার খেলে, দই দুগ্ধ উদয় চন্দ্র রামানন্দ ভক্তবৃন্দ, পারের ঘাটে একদিন যদি মিলে।” (পবিত্র লালন- ১৫৯/২)
১৬.  “পূর্ণ-চন্দ্র উদয় করো মন বিবেচনা, আগমে আছে প্রকাশি, ষোল কলা-ই পূর্ণ-শশী, পনেরোই পূর্ণমাসী, শুনে মনের ঘোর গেল না।” (পবিত্র লালন- ৬৩৬/১)
১৭. “পূর্ণ-চন্দ্র কৃষ্ণ রসিক শিখরে, শক্তির উদয় যার শরীরে, শক্তিতে সৃজন- মহাসংকর্ষণ, বেদ আগমে যারে বিষ্ণু বলে।” (পবিত্র লালন- ৪৯/২)
১৮. “বড় নিগম ঘরে আছেন সাঁই, যে ধামেতে বাস করেন সে, সেথা চন্দ্র-সূর্যের কিরণ নাই।” (পবিত্র লালন- ৬৬৮/১)
১৯.  “মণিমহলে যে লীলাখেলা, বলতে আকুল হই যায় না বলা, অরসিক জনে- বললে কী মানে, মণিচন্দ্রে স্বর্ণ-চন্দ্র উদয়।” (পবিত্র লালন- ৪৩৬/৩)
২০. “মাসে মাসে চন্দ্রের উদয়, অমাবস্যা মাসান্তে হয়, সূর্যের অমাবস্যার নির্ণয়, জানতে হয় লিহাজ করে।” (পবিত্র লালন- ৬০/২)
২১.  “মিশ্র-চন্দ্র সাদা কালো, সাদা হতে কালো ভালো, আঙ্গুলের ইঙ্গিতে ভেঙ্গে ফেল, ভেদ বুঝে সাধুর কাছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮১)
২২. “মেয়ে হয়ে মেয়ের দেশে, ভক্তি সাধন করো বসে, আদি-চন্দ্র রাখ কষে, কখনও তারে ছেড় না, ডুব দিলে প্রেমানন্দে, সুধা পাবে দণ্ডে দণ্ডে, লালন কয় পাপ খণ্ডে, আমার মুক্তি হলো না।” (পবিত্র লালন- ৬৯/৪)।২৩. “যেথারে সে চন্দ্র-ভুবন, দিবারাত্রির নাই অন্বেষণ, হাজার চন্দ্র করে কিরণ, বিজলি সঞ্চারে সদাই।” (পবিত্র লালন- ৫১/৩)
২৪. “যে লীলা ব্রহ্মাণ্ডের ’পর, সে লীলা ভাণ্ড মাঝার, ঢাকা যেমন চন্দ্র আকার, মেঘের পাশে।” (পবিত্র লালন- ৬৭০/৩)
২৫. “শক্তি-চন্দ্র মণি-চন্দ্র হয়, তা তো ভিন্ন কিছু নয়, এ চাঁদ ধরলে সে চাঁদ মিলে, লালন কয় তাই নির্জনে।” (পবিত্র লালন- ৫৮৭/৪)
২৬. “শক্তি সাঁই আত্মা ইন্দ্রিয়, রিপু কর্ম ভাবকেন্দ্র, আকাশ ভূমি সূর্য চন্দ্র, চল্লিশগুণ চুরাশি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৬)
২৭. “সাধুর বাজার কী আনন্দময়, অমাবস্যার পর চন্দ্র উদয়, ভক্তি নয়ন যার- চাঁদ দৃষ্ট হয় তাঁর, ভববন্ধন জ্বালা যায় গো দূরে।” (পবিত্র লালন- ১৭০/২)
২৮. “সিরাজ সাঁইজি বলে, লালন ডুবে থাকরে সিন্ধুজলে, তাতে অঙ্গ শীতল হলে, হবি চন্দ্রভেদী তোরা।” (পবিত্র লালন- ৬৯৬/৪)
২৯. “সে গাছের মূল কাটা, পাহারা দেয় ছয়বেটা, সাড়ে চব্বিশ চন্দ্র আঁটা, সেথায় গুরুরূপ ঝলক দিচ্ছে।” (পবিত্র লালন- ৪৯১/৩)
৩০. “সে যে আজব গাছে, চন্দ্র সূর্য ফুল ফুটেছে, কী শোভা তাতে দেখাচ্ছে, বোঁটাহীন ফুল ধরে গাছে।” (পবিত্র লালন- ৪৯১/২)

চন্দ্রের ওপর কয়েকটি পূর্ণ বলন (Some full Bolon on the phoebe)
.                 তিন তিনটি চন্দ্র উদয় আকাশ ভূমি পাতালে
পশ্চিমে সূর্য উদয় হয় গো ভরা সন্ধ্যাকালে।

আকাশ ভূমি বিশ্বব্যাপী একটি শশী দেখা যায়
সপ্ত তল পাতালে দেখ দুটি চন্দ্র শোভা পায়
একটি চন্দ্র দেখে সবে
দুটি রয় মেঘের আড়ালে।

আকাশে যে মই লাগিলে পাতালে যায় বাতাসে
সাদা কালো দুটি চন্দ্র তার হাতে আসে অনায়াসে
পায় না চাঁদ অস্ত গেলে
পাহাড় সাগর খগোলে।

নিজ ভূমিতে বসে যে চন্দ্র বিখণ্ড করতে চায়
এক আঙ্গুল সোজা রেখে হাজার বছর থাকা চাই
বলন কাঁইজি কয় নিতে
অষ্ট সখী আর পঞ্চ ছিলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২৮)

.                 পাতালের চাঁদ ওঠে আকাশে
সে চাঁদ দ্বিখণ্ড হয় অনায়াশে।

মিশ্র-চন্দ্র সাদা কালো
সাদা হতে কালো ভালো
আঙ্গুলের ইঙ্গিতে ভেঙ্গে ফেল
ভেদ বুঝে সাধুর কাছে।

সাদা চাঁদ আলো যোগায়
কালো চাঁদ আঁধার ঘুচায়
ভয় রহে না ঝরে মরায়
যুগল চাঁদ প্রতি মাসে।

এক দশে চাঁদ সাদা রয়
শেষে কালো শশী উদয়
গুরু-চন্দ্র হলে সদয়
আপন চাঁদ হাতে আসে।

উভয় চন্দ্রের গুণপণা
সাধু বিনা কেউ জানে না
বলন কয় পাগলমনা
ঘুররে কালো চন্দ্রের আশে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮১)

চন্দ্রের ওপর কয়েকটি পূর্ণ লালন (Some full Lalon on the phoebe)
.                 অমাবস্যার দিনে
            চন্দ্র থাকে কোন শহরে,
প্রতিপদে উদয় হয় সে,
দৃষ্ট হয় না কেন তারে।

মাসেমাসে চন্দ্রের উদয়,
অমাবস্যা মাসান্তে হয়,
সূর্যের অমাবস্যার নির্ণয়,
জানতে হয় লিহাজ করে।

ষোল কলা হলে শশী,
তবে তো হয় পূর্ণমাসী,
পনেরই পূর্ণিমা কিসি,
পণ্ডিতেরা কয় সংসারে।

জানতে পারলে দেহ-চন্দ্র ঘর,
স্বর্গচন্দ্রের পায় সে খবর,
লালন কয় মন-চন্দ্র তোর,
মূল হারালি কুলের ঘোরে।(পবিত্র লালন- ৬০)

.                 চাঁদ বলে চাঁদ কাঁদে কী কারণে
আমার গৌর-চাঁদ ত্রিজগতের চাঁদ,
চাঁদে চাঁদ ঘিরা প্রেম আবরণে।

গৌর-চাঁদে শ্যামচাঁদের আভা,
সহ্রস-চন্দ্র যিনি করছেন শোভা,
রূপে মুনির মন- করে আকর্ষণ,
ক্ষুধা শান্ত সুধা বরিষণে।

গোলকের চাঁদ গোকুলের চাঁদ,
নদীয়ায় গৌরাঙ্গ সে পূর্ণচাঁদ,
আর কী আছে চাঁদ- সে কেমন চাঁদ
ঐ ভাবনা মনে মনে।

লয়ে গলে গৌর-চাঁদের ফাঁদ,
আবার শুনি পরমচাঁদ,
অপরূপ চাঁদের গুণ- কেঁদে কয় লালন
নাই উপায় চাঁদগৌর বিনে।” (পবিত্র লালন- ৪৩৮)

.                 চাঁদে চাঁদে চন্দ্রগ্রহণ হয়,
সে যোগের উদ্দীপন যে জানে,
সে হয় মহাশয়।

চাঁদ রাহু চাঁদের গ্রহণ,
সে বড় করণ কারণ,
বেদ পড়ে তার ভেদ নিরূপণ,
পাবে কোথায়।

উভয় যেন বিমুখ থাকে,
মাস অন্তে সুদৃষ্টি রাখে,
মহাযোগ তার গ্রহণযোগে,
তা বলতে লাগে ভয়।

কখন রাহুরূপ ধরে,
কোন চাঁদ কখন উদয় ঘরে,
লালন বলে স্বরূপ দ্বারে,
জানলে জানা যায়।” (পবিত্র লালন- ৪৩৯)

.                 চারটি চন্দ্র ভাবের ভুবনে,
তার দুটি চন্দ্র প্রকাশ্য হয়,
তাই জানে অনেক জনে।

যে জানে চন্দ্রভেদের কথা,
বলবো কী তার ভক্তির ক্ষমতা,
অন্বেষণ করো চাঁদের বারতা,
যে চাঁদ কেউ না পায় গণে।

এক চন্দ্রে চারচন্দ্র মিশে রয়,
ক্ষণেক ক্ষণেক ভিন্নরূপ হয়,
খবর করো মণিকোঠায়,
দাস্যপনা করে দিব্যজ্ঞানে।

ধরতে চাও মূল-চন্দ্র যেজন,
গরলচন্দ্রের করো অন্বেষণ,
লালন কয় দেখরে মন,
বিষামৃতে মিলনে।” (পবিত্র লালন- ৪৪৩)

.                 নিচে পদ্ম উদয় জগৎময়,
আসমানে যার চাঁদ চকোরে,
কেমন করে যুগল হয়।

নিচে পদ্ম দিবসে মূদিত,
আসমানে চন্দ্র হয় বিকশিত,
তারা দুয়েতে এক যুগল আত্মা,
সহস্রযোজন ছাড়া রয়।

চন্দ্রপদ্ম কান্ত শান্ত যে;
মালির সঙ্গে রসরঙ্গে যোগ করছে সে
মালী যেমন সাজিয়ে ডালি,
বসে আছে দরজায়।

গুরুপদ্ম শিষ্য-চন্দ্র হয়,
শিষ্যপদ্মে গুরু বন্দি রয়,
লালন বলে একরূপ হলে,
তাদের যুগল আত্মা জানা যায়।” (পবিত্র লালন- ৬০২)

.                 চাঁদের নদে এক চাঁদ ভেসে যায়
কোন্ সাধনে ধরবি তারে
ধরতে গেলে দূরে পালায়।

সাদা ও কালো দুটি শশী
আলো জ্বালায় দিবানিশি
চাঁদ কুড়াতে সাধু সন্ন্যাসী
বসে রয় তেমাথায়।

যুগল চাঁদের স্বরূপ আভা
সকাল বিকাল মনলোভা
ভূলোক দ্যুলোক করে শোভা
ষোড়শী ষোলকলায়।

চাঁদ ধরবি নদীর মাঝে
আগে জানো সাধুর কাছে
বলন কয় জলে ভাসে
প্রাণনাথ দয়াল কাঁই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১০৫)

চন্দ্রের সংজ্ঞা (Definition of phoebe)
সাধারণত; পৃথিবীর একটি উপগ্রহকে চন্দ্র বলে।

চন্দ্রের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of phoebe)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সারা জগতের পালনকর্তাকে সাঁই বা রূপকার্থে চন্দ্র বলে।

চন্দ্রের প্রকারভেদ (Variations of phoebe)
চন্দ্র চার প্রকার। ১. সরল চন্দ্র ২. গরল চন্দ্র ৩. রোহিণী চন্দ্র ও ৪. মোহিনী চন্দ্র।

. সরল চন্দ্র (Simplistic phoebe)
সহজে হস্তগত করা যায় বলে শ্বরবিজ্ঞানে দুগ্ধ ও শুক্রকে সরল বলা হয়। আর এ সরলকেই সরল-চন্দ্র বলা হয়। সারা বিশ্বের সর্বপ্রকার পারম্পরিক, মরমী ও আধ্যাত্মিক পুস্তক-পুস্তিকার মধ্যে এর অধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

সরল চন্দ্র (বাপৌছ)বি সরলচাঁদ, সহজে হস্তগত হয় যে চাঁদ (প্র) শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ১. সরল ২. গরল ৩. রোহিণী ও ৪. মোহিনী; এ চার প্রকার চন্দ্রের প্রথম চন্দ্র বিশেষ (শ্ববি) মিষ্টান্ন, সুধা, সুরা, মদ, মধু, শুভ্রজল, অন্নদেবতা, স্বর্গীয় পানীয় (প্রাঅ) দুগ্ধ, দুধ, ক্ষীর, স্তন্য, milk, হালিব (.ﺤﻟﻴﺐ) (ইপ) দিররা (.ﺪﺭﺓ) (ইংপ) sap, latex, suck (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর দুগ্ধ পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা বিশেষ (সংজ্ঞা) মাতৃস্তন হতে নিঃসৃত সুপেয় শ্বেতবর্ণের পানীয়কে সরল-চন্দ্র বলা হয় (বাপৌউ) অমৃত, অমৃতরস, পয়, রস (বাপৌরূ) ক্ষীর (বাপৌমূ) দুগ্ধ {বাং.সরল + বাং.চন্দ্র}

সরল-চন্দ্র (বাপৌছ)বি সরলচাঁদ, সহজে হস্তগত হয় যে চাঁদ (প্র) শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ১. সরল ২. গরল ৩. রোহিণী ও ৪. মোহিনী; এ চার প্রকার চন্দ্রের প্রথম চন্দ্র বিশেষ (শ্ববি) শুক্র, বীর্য, বিন্দু, semen, মনি (.ﻤﻧﻰ), নুত্বফা (.ﻧﻂﻔﺔ) (রূপ্রশ) গোবিন্দ, জল, জীবনজল, জীবনবারি, পিতৃধন, মাটি, রতী Jস্ত্রী অহল্যা, কালী, দুর্গা, সীতা (ইদে) আদম (.ﺍﺪﻢ), ওয্যা (.ﻋﺯﻯٰ), জিন (.ﺠﻦ), পরি (ফা.ﭙﺮﻯ), আজ্ঝাকাত (.الزكاة), লুত্ব (.ﻟﻮﻄ), ইয়াজিদ (ﻴﺯﻴﺪ) Jস্ত্রী জুলেখা (.ﺯﻟﻴﺠﺎ), বিলকিস (.بلقيس) (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর শুক্র পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা বিশেষ (সংজ্ঞা) মৈথুনের সময়ে শিশ্ন হতে নিঃসৃত শুভ্রবর্ণের তরল পদার্থকে রূপকার্থে সরল চন্দ্র বলা হয় (বাপৌছ) আদিপিতা, আদিমানব, আদ্যাশক্তি ও মা (বাপৌচা) নারাঙ্গী, বেহুলা, রতী, সীতা ও সুন্দরী (বাপৌউ) অমির, আঙ্গুর, ধেনু, নির্যাস, পদ্ম, পিতৃধন, রুটি ও স্বর্গীয় ফল (বাপৌরূ) ধন (বাপৌমূ) শুক্র {বাং.সরল + বাং.চন্দ্র}

সরল চন্দ্রের সংজ্ঞা (Definition of simplistic phoebe)
শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল দুগ্ধ বা শুক্রকে একত্রে সরল চন্দ্র বলে।

সরল চন্দ্রের প্রকারভেদ (Variations of simplistic phoebe)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে সরল চন্দ্র দুই প্রকার। যথা; ১. দুগ্ধ ও ২. শুক্র।

. দুগ্ধ (Milk)
শ্বরবিজ্ঞানে; মাতৃস্তন্য হতে নিঃসৃত সুপেয় দুগ্ধকে সরল চন্দ্র বলে।

. শুক্র (Semen)
মৈথুনের সময়ে শিশ্নের মাধ্যমে স্খলিত শুক্রকে সরল চন্দ্র বলে।
১.   “মেয়ে হয়ে মেয়ের দেশে, ভক্তি সাধন করো বসে, আদি-চন্দ্র রাখ কষে, কখনও তারে ছেড় না, ডুব দিলে প্রেমানন্দে, সুধা পাবে দণ্ডে দণ্ডে, লালন কয় পাপ খণ্ডে, আমার মুক্তি হলো না।” (পবিত্র লালন- ৬৯/৪)
২.   “শক্তি-চন্দ্র মণি-চন্দ্র হয়, তা তো ভিন্ন কিছু নয়, এ চাঁদ ধরলে সে চাঁদ মিলে, লালন কয় তাই নির্জনে।” (পবিত্র লালন- ৫৮৭/৪)

যথাস্থানে উক্ত শিরোনামের অধীনে সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে।

গরল চন্দ্র (Venom phoebe)
গরল বা বিষ মানব দেহের জন্য যেমন ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। তাদৃশ মূত্র ও রজরক্ত দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলেই শ্বরবিজ্ঞানে মূত্র ও রজকে গরল বলা হয়। শ্বরবিজ্ঞানে; এ গরলকেই গরল-চন্দ্র বলা হয়। পারম্পরিক, মরমী ও আধ্যাত্মিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর অধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

গরল চন্দ্র (বাপৌছ)বি গরল চাঁদ, গরলবৎ যে চাঁদ (প্র) শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ১. সরল ২. গরল ৩. রোহিণী ও ৪. মোহিনী; এ চার প্রকার চন্দ্রের দ্বিতীয় চন্দ্র বিশেষ (শ্ববি) গরল, বিষ, হলাহল, কালকুট (প্রাঅ) মূত্র, চোনা, প্রস্রাব, পেসাব, বাওয়ালা (.ﺒﻮﻞ), urine, ‘ﺑﻮﻞ’ (বাওওয়ালা) (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর মূত্র পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) মূত্রথলি হতে প্রবাহিত বর্জ্যজলকে মূত্র বা রূপকার্থে গরলচাঁদ বলা হয় (বাপৌচা) চৈনিন (বাপৌউ) বিষ ও বিস্বাদজল (বাপৌরূ) গরল (বাপৌমূ) মূত্র {বাং.গরল + বাং.চন্দ্র}

গরল চন্দ্র (বাপৌছ)বি গরলচাঁদ, গরলবৎ যে চাঁদ (প্র) শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ১.সরল ২. গরল ৩. রোহিণী ও ৪. মোহিনী; এ চার প্রকার চন্দ্রের দ্বিতীয় চন্দ্র বিশেষ (শ্ববি) গরল, বিষ, হলাহল, কালকুট (প্রাঅ) রজ, আর্তব, স্রাব, menses, dust, menstrual, আদাত (.ﻋﺎﺪﺓ), কুরউ (.ﻘﺮﺃ), মাহিজ (.ﻤﺤﻴﺾ) (আঞ্চ) ঋতু, মাসিক (রূপ্রশ) অবতার, প্লাবন, বন্যা, ভার্গব, ভীষ্ম, রক্তবন্যা, লালজল, সরস্বতী (পারদে) পয়গাম্বর (ফা.ﭙﻴﮕﻤﺒﺭ) (ইদে) নবি (.نبي) হাওয়া (.ﺤﻮﺍﺀ) (ইপ) ইঞ্জিল (.ﺍﻧﺠﻴﻝ), যাবুর (.ﺯﺒﻮﺭ) (ইংপ) messenger (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর রজ পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) শ্বরবিজ্ঞানে; রজকে রূপকার্থে গরলচাঁদ বলা হয় (বাপৌছ) আদিমাতা, ঘোষক, নক্ষত্র, বসিধ ও সরস্বতী (বাপৌচা) অরুণ, মহল্লাল, রংলাল ও লালিমা (বাপৌউ) গরল, তিক্তজল, বন্যা, লালবাতি, সংবাদপত্র ও হলাহল (বাপৌরূ) জোয়ার (বাপৌমূ) রজ {বাং.গরল + বাং.চন্দ্র}

গরল চন্দ্রের সংজ্ঞা (Definition of venom phoebe)
শ্বরবিজ্ঞানে; মূত্র ও রজকে একত্রে গরল চন্দ্র বলে।

গরল চন্দ্রের প্রকারভেদ (Variations of venom phoebe)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; গরল চন্দ্র দুই প্রকার। যথা; ১. মূত্র ও ২. রজ।

. মূত্র (Urine)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মূত্রকে গরল চাঁদ বলে।

. রজ (Menses)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রজকে গরল চাঁদ বলে।

যথাস্থানে উক্ত শিরোনামের অধীনে সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে।

রোহিণী-চন্দ্র (Ascending phoebe)
মরমী ও আত্মজ্ঞানী সাধকরা সাধনের একটি বিশেষ স্তরে উপনীত হওয়ার পর মানবের পালনকর্তার সন্ধানলাভ করে থাকেন। শ্বরবিজ্ঞানে; এ হতেই মানবের পালনকর্তা বা সাঁইকে রোহিণী বস্তু বলা হয়। শ্বরবিজ্ঞানে; এ রোহিণী বস্তুকেই রোহিণী-চন্দ্র বলা হয়।

রোহিণী-চন্দ্র (বাপৌছ)বি রোহিণীচাঁদ, রোহণ দ্বারা লব্ধ যে চন্দ্র, নির্দিষ্ট সাধনস্তরে আরোহণের দ্বারা লব্ধ চন্দ্র (প্র) শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ১.সরল, ২.গরল, ৩.রোহিণী ও ৪.মোহিনী- এ চার প্রকার চন্দ্রের তৃতীয় চন্দ্র বিশেষ (শ্ববি) উপাস্য, নারায়ণ, নিধি, নিমাই, নিরঞ্জন, স্বরূপ (রূপ্রশ) ঈশ্বর, গুরু, গোঁসাই, পতি, প্রভু, বিষ্ণু, বুদ্ধ, সাঁই, স্বামী (পারদে) খোদা (ফা.ﺨﺪﺍ) (ইদে) মা’বুদ (.ﻤﻌﺑﻭﺪ), মুহাম্মদ (.ﻤﺤﻤﺪ), রাসুল (.رَسُول) (ইপ) কাওসার (.ﻜﻭﺛﺮ), ফুরাত (.ﻔﺭﺍﺖ) (ইংপ) God, nectar, elixir (পরি) এমন তরল-মানুষ যে এখনও মূর্ত আকার ধারণ করে নি (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর পালনকর্তা পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) শ্বরবিজ্ঞানে; শ্বেতবর্ণের মানবজলকে পালনকর্তা বা রূপকার্থে রোহিণী-চন্দ্র বলা হয় (বাপৌছ) ঈশ্বর, উপাস্য, চোর, পতিতপাবন, পরমগুরু, প্রভু, মনের-মানুষ, রাজা ও স্বরূপ (বাপৌচা) বিষ্ণু, রাম ও লালন (বাপৌউ) অমৃতসুধা, গ্রন্থ, চন্দ্র, জল, ননি, পক্ষী, ফল, ফুল, মাণিক ও সুধা (বাপৌরূ) সাঁই (বাপৌমূ) পালনকর্তা {বাং.রোহণ + বাং.চন্দ্র>}

রোহিণীচন্দ্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of ascending phoebe)
১.   “একটি চন্দ্র হাজার তারা, সারা আকাশ ছেয়ে রয়, অমাবস্যা লাগলে সে চন্দ্র, আবার কোথায় গিয়ে লুকায়।” (পবিত্র লালন- ৬৭৯/৩)
২.   “চন্দ্র সাদা সূর্য কালো, যাতে উদয় জ্ঞানের আলো, কোন সাধনে পাবো বলো, তা এখন কারে শুধাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮২)
৩.   “সে যে আজব গাছে, চন্দ্র সূর্য ফুল ফুটেছে, কী শোভা তাতে দেখাচ্ছে, বোঁটাহীন ফুল ধরে গাছে।” (পবিত্র লালন- ৪৯১/২)
৪.   “হীরা কাঞ্চন জহরত কোটিময়, সে চাঁদ সহস্র যোজন ফাঁকে রয়, কোটি চন্দ্রে জোৎস্নাময়।” (পবিত্র লালন- ৯৯৬/১)

রোহিণীচন্দ্রের সংজ্ঞা (Definition of ascending phoebe)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শ্বেতবর্ণের মানবজলকে পালনকর্তা বা রোহিণী-চন্দ্র বলে।

মোহিনী-চন্দ্র (Seductress phoebe)
মরমী ও আত্মজ্ঞানী সাধকরা কাঁইকে সর্বদা মোহনীয় বস্তু বলে অভিহিত করে থাকেন। শ্বরবিজ্ঞানে; এ মোহনী বস্তু হতেই মোহিনী-চন্দ্র পরিভাষাটির উদ্ভব। শ্বরবিজ্ঞানে; এ মোহিনী-চন্দ্র দ্বারা সর্বদা কাঁইকে বুঝায়।

মোহিনী-চন্দ্র (বাপৌছ)বি মোহিনীচাঁদ, মোহন করে যে চন্দ্র, বিশ্ববাসীকে বিমোহন বা সম্মোহন করে রাখে এমন চাঁদ (প্র) শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ১. সরল ২. গরল ৩. রোহিণী ও ৪. মোহিনী; এ চার প্রকার চন্দ্রের চতুর্থ চন্দ্র বিশেষ (শ্ববি) সৃষ্টিকর্তা, নির্মাতা, পিতা, জনক, Creator, খালিক্ব (.ﺨﺎﻟﻖ) (রূপ্রশ) ঈশ্বর, অনন্ত, বিধাতা, স্বায়ম্ভু (বাদে) কাঁই, কালা, কৃষ্ণ, বিরিঞ্চি, ব্রহ্মা, শ্যাম, স্রষ্টা (ইদে) আল্লাহ (.ﺍﻠﻠﻪ), ইসা (.ﻋﻴﺴﻰٰ), মসিহ (.ﻤﺴﻴﺢ), শাম (.ﺷﺄﻢ), শামস (.ﺸﻤﺲ), শিশ (.ﺸﻴﺶ) (ইংপ) Lord, maker, designer (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর সৃষ্টিকর্তা পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) শ্বরবিজ্ঞানে; সৃষ্টিকর্তাকে মোহিনী-চন্দ্র বলা হয় (বাপৌছ) আদি, স্রষ্টা, স্বায়ম্ভু ও হর (বাপৌচা) অসিত, কালা, কালু ও কৃষ্ণ (বাপৌউ) ঘি, নীর, পীযূষ, মধু, শস্য ও সূর্য (বাপৌরূ) কাঁই (বাপৌমূ) সৃষ্টিকর্তা {বাং.মোহন + বাং.চন্দ্র>}

মোহিনীচন্দ্রের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of seductress phoebe)
১.   “উভয় চন্দ্রের গুণপণা, সাধু বিনা কেউ জানে না, বলন কয় পাগলমনা, ঘুররে কালো চন্দ্রের আশে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮১)
২.   “মিশ্র-চন্দ্র সাদা কালো, সাদা হতে কালো ভালো, আঙ্গুলের ইঙ্গিতে ভেঙ্গে ফেল, ভেদ বুঝে সাধুর কাছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮১)

মোহিনীচন্দ্রের সংজ্ঞা (Definition of seductress phoebe)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সৃষ্টিকর্তাকে মোহিনী-চন্দ্র বলা হয়
আবার, বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে চন্দ্র দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান চন্দ্র ও ২. উপমিত চন্দ্র।

. উপমান চন্দ্র (Analogical phoebe)
সাধারণত; ভূগোলে পৃথিবীর একটি উপগ্রহকে উপমান চন্দ্র বলে।

. উপমিত চন্দ্র (Compared phoebe)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সারা জগতের পালনকর্তাকে সাঁই বা উপমিত চন্দ্র বলে।

চন্দ্রের পরিচয় (Identity of phoebe)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর পালনকর্তা পরিবারের একটি বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; পৃথিবীর একটি উপগ্রহকে চন্দ্র বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; মানুষে বিদ্যমান সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তুকেই চন্দ্র বলা হয়। তবে; এখানে; কেবল সাঁই বা পালনকর্তাকে চন্দ্র বলা হয়েছে। সাধুশাস্ত্রে প্রবাদ আছে যে; চার চন্দ্রের ভেদ যিনি জানেন; দৈত্য, দানব ও দেবতাগণও তাঁকে মানেন। শ্বরবিজ্ঞানে; ব্যবহৃত চন্দ্র পরিভাষাটি দ্বারা কখনই সৌরজগতের শীতল জ্যোতিষ্ক চন্দ্রকে বুঝায় না। বরং চন্দ্র দ্বারা সর্বদাই উপাস্য, কাঁই, কৈশোরকাল, দুগ্ধ, দেহ, মানুষ, মানুষগুরু, মুখমণ্ডল, শুক্র, শিশ্ন ও সাঁই ইত্যাদি বুঝায়। অথচ অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো; সারাবিশ্বের সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী ও বক্তারা সাম্প্রদায়িক, পারম্পরিক ও মরমী পুস্তক-পুস্তিকার মধ্যে ব্যবহৃত চন্দ্র পরিভাষাটির দ্বারা সৌরজগতের শীতল জ্যোতিষ্ক বা পৃথিবীর উপগ্রহ চন্দ্রকেই বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে। দেহজগতের চন্দ্রের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সৌরজগতের চন্দ্র দ্বারা কোটি বছর পর্যন্ত লিখলেও তার নিজের ও বিশ্ববাসীর তিল পরিমাণ উপকারও হবে না।

(প্র) ১. ব্রহ্মার মানসপুত্র অত্রিমুণির পুত্র। জন্মের পরেই চন্দ্র ত্রিচক্র রথে আরোহণ করে পৃথিবী পরিক্রমা ও আলোকদান করতে থাকেন। দক্ষের ভরণী, কৃত্তিকা, আর্দ্রা, অশ্লেষা, মঘা, উত্তরফাল্গুনী, বিশাখা, উত্তরাষাঢ়া ও রোহিণী প্রমুখ সাতাশটি কন্যাকে তিনিই বিবাহ করেন। তাঁদের মধ্যে রোহিণীই চন্দ্রের সর্বাপেক্ষা প্রিয়তমায় উত্তীর্ণ হয়। এজন্য; অন্য কন্যারা দক্ষের নিকট পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। জামাতার মত পরিবর্তনে অসমর্থ হয়ে দক্ষ অভিশাপ দেন যে; চন্দ্র পুত্র-কন্যাহীন ও যক্ষ্মা রোগগ্রস্ত হবেন। এতে তাঁর স্ত্রীরা অত্যন্ত ভীত হয়ে পিতাকে শাপ প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেন। কন্যাদের কথায় তিনি শাপ পরিবর্তন করে বলেন যে; যক্ষ্মারোগে চন্দ্র মাসের মধ্যে এক পক্ষে ক্ষয়প্রাপ্ত হবেন ও অন্যপক্ষে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হবেন। এখানে বিশেষভাবে স্মরণীয় যে; পৌরাণিক কাহিনীর প্রতি অন্ধবিশ্বাসীরা মনে করে যে; তখন হতেই চন্দ্রের দিইটি পক্ষের সৃষ্টি হয়। যা এখন চন্দ্রের কৃষ্ণপক্ষ ও শুক্লপক্ষ নামে প্রসিদ্ধ (কালিকা পুরাণ)

২. সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত, পারিজাত, লক্ষ্মী, ঐরাবত ও ঊচ্চৈঃশ্রবার সঙ্গে চন্দ্রের জন্ম হয়। তিনি দেবতাগণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রূপে গণ্য হন। অমৃত পানকালে দেবতাগণের মধ্যে রাহু নামে এক অসুর গোপনে অমৃত পান করতে উদ্যত হয়। চন্দ্র তাকে দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ তা বিষ্ণুকে বলে দেন। কণ্ঠের নিচে অমৃত গলাধঃকরণের পূর্বেই বিষ্ণু তাঁর চক্র দ্বারা রাহুর মস্তক ছেদন করেন। তখন হতেই রাহুর সঙ্গে চন্দ্রের শত্রুতা এবং মস্তকহীন রাহু সুযোগ পেলেই চন্দ্রকে গ্রাস করেন কিন্তু ছিন্ন কণ্ঠ দিয়ে চন্দ্র পুনরায় নির্গত হন। একেই লোকে চন্দ্রগ্রহণ বলে থাকেন।

৩. একদা রাজসূয় যজ্ঞ করে চন্দ্র অতি অহংকারী ও কামাসক্ত হন। দেবগুরু বৃহস্পতির স্ত্রী তারাকে হরণ করেন। যারফলে; তিনি দেবতাগণের বিরাগভাজন হন। এজন্য স্বর্গলোকে ঘোর অশান্তির সৃষ্টি হয়। বহু দৈত্য, দানব ও অসুর চন্দ্রের পক্ষে যোগদান করেন। ইন্দ্র ও অন্যান্য দেবতাগণ বৃহস্পতির পক্ষ গ্রহণ করেন। যারফলে; দুই পক্ষে তুমুল যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। মহাদেব ও শুক্রাচার্য বৃহস্পতির পক্ষ গ্রহণ করেন। বৃহস্পতি পুত্র কচ শুক্রাচার্যের প্রিয় শিষ্য। এজন্য; দেবগুরু বৃহস্পতির বিপদে দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের সাহার্যের জন্য অগ্রসর হন। অবশেষে; ব্রহ্মা স্বয়ং যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে মহাদেব ও শুক্রাচার্যকে বিবৃত্ত করেন এবং তারাকে চন্দ্রের নিকট হতে গ্রহণ করে বৃহস্পতির নিকট প্রত্যার্পণ করেন। তারা তখন অন্তঃসত্বা ছিলেন। বৃহস্পতির আদেশে তারা তৎক্ষণাৎ এ গর্ভ শরস্তম্ভে ত্যাগ করেন। যারফলে; একটি পুত্রের জন্ম হয়। ব্রহ্মা তারাকে জিজ্ঞেস করেন যে; ইনি কার পুত্র? উত্তরে তারা বলেন যে; চন্দ্রের। তখন চন্দ্র এই পুত্রকে গ্রহণ করে তার নাম রাখেন বুধ। আকাশে এ বুধ চন্দ্রের বিপরীত দিকে উদিত হয়। বৃহস্পতির শাপে চন্দ্র যক্ষ্মারোগগ্রস্ত হন ও রোগমুক্ত হবার জন্য পিতা অত্রির শরণাপন্ন হন। অত্রির অনুগ্রহে তিনি শাপমুক্ত হন ও পুনরায় দীপ্তিসম্পন্ন হন।

চাঁদ/ চন্দ্র শ্বরবিজ্ঞানের প্রত্যয় বিশেষ (Moons/ phoebe are special affix of the theology)

প্রত্যয় বি দেবতা, বিশ্বাস, নিঃসন্দিগ্ধতা (ব্যা) যে শব্দাংশ; নামপদ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ নির্দেশ করে।

এটি; শ্বরবিজ্ঞানের একটি প্রত্যয় বিশেষ। শ্বরবিজ্ঞানে মানুষে বিদ্যমান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তুর পরে ‘চাঁদ বা চন্দ্র পরিভাষাটি প্রত্যয়ের মতো ব্যবহৃত হয় (গুরুচাঁদ, গুরুচন্দ্র)। এটি; আধ্যাত্মিক গুরুত্বপূর্ণ শব্দের পরে বসে কিন্তু মূল শব্দের অর্থের পরিবর্তন কখনই ঘটায় না। এছাড়াও; শ্বরবিজ্ঞানে আরও কিছু প্রত্যয় দেখা যায়। যেমন; ‘পদ্মফুল। এ পরিভাষা দুটিও শ্বরবিজ্ঞানের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষার পরে বসে কিন্তু অর্থের কোনো পরিবর্তন ঘটায় না। যেমন; গুরু ফুল, গুরু পদ্ম, নয়ন পদ্ম ও পাদপদ্ম ইত্যাদি।

সর্বশেষে; আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে; সারাবিশ্বের সব সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ ও মরমী বাণীতে ব্যবহৃত চাঁদ ও চন্দ্র পরিভাষা দ্বারা উদাহরণ দেওয়ার জন্য মাত্র দুয়েকটি স্থানে সৌরজগতের জ্যোতিষ্ক চাঁদকে বুঝানো হয়। এছাড়া সর্বক্ষেত্রেই চাঁদ, চন্দ্র —— (যত প্রতিশব্দ আছে) পরিভাষা দ্বারা উপাস্য, কাঁই, কৈশোরকাল, জ্ঞান, দুগ্ধ, দেহ, মানুষ, শিশ্ন, শুক্র ও সাঁই ইত্যাদি পৌরাণিক মূলক সত্তাকেই বুঝানো হয়।

তথ্যসূত্র (References)

(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)

১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula)
"আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"

রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)

২ যোজক সূত্র (Adder formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"

৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

< উৎস
[] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
() ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
> থেকে
√ ধাতু
=> দ্রষ্টব্য
 পদান্তর
:-) লিঙ্গান্তর
 অতএব
× গুণ
+ যোগ
- বিয়োগ
÷ ভাগ

Here, at PrepBootstrap, we offer a great, 70% rate for each seller, regardless of any restrictions, such as volume, date of entry, etc.
There are a number of reasons why you should join us:
  • A great 70% flat rate for your items.
  • Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
  • We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.

পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী

উপস্থ (শিশ্ন-যোনি) কানাই,(যোনি) কামরস (যৌনরস) বলাই (শিশ্ন) বৈতরণী (যোনিপথ) ভগ (যোনিমুখ) কাম (সঙ্গম) অজ্ঞতা অন্যায় অশান্তি অবিশ্বাসী
অর্ধদ্বার আগধড় উপহার আশ্রম ভৃগু (জরায়ুমুখ) স্ফীতাঙ্গ (স্তন) চন্দ্রচেতনা (যৌনোত্তেজনা) আশীর্বাদ আয়ু ইঙ্গিত ডান
চক্ষু জরায়ু জীবনীশক্তি দেহযন্ত্র উপাসক কিশোরী অতীতকাহিনী জন্ম জ্ঞান তীর্থযাত্রা দেহাংশ
দেহ নর নরদেহ নারী দুগ্ধ কৈশোরকাল উপমা ন্যায় পবিত্রতা পাঁচশতশ্বাস পুরুষ
নাসিকা পঞ্চবায়ু পঞ্চরস পরকিনী নারীদেহ গর্ভকাল গবেষণা প্রকৃতপথ প্রয়াণ বন্ধু বর্তমানজন্ম
পালনকর্তা প্রসাদ প্রেমিক বসন পাছধড় প্রথমপ্রহর চিন্তা বাম বিনয় বিশ্বাসী ব্যর্থতা
বিদ্যুৎ বৃদ্ধা মানুষ মুষ্ক বার্ধক্য মুমুর্ষুতা পুরুষত্ব ভালোবাসা মন মোটাশিরা যৌবন
রজ রজপট্টি রজস্বলা শুক্র মূত্র যৌবনকাল মনোযোগ রজকাল শত্রু শান্তি শুক্রপাত
শুক্রপাতকারী শ্বাস সন্তান সৃষ্টিকর্তা শুক্রধর শেষপ্রহর মূলনীতি সন্তানপালন সপ্তকর্ম স্বভাব হাজারশ্বাস
ADVERTISEMENT
error: Content is protected !!