১৬/০৬. চুলা
Furnace (ফারসেন)/ ‘ﻤﻮﻘﺪ’ (মাওক্বিদ)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কানাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘রজকিনী’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, পাখি^২ ও  প্রস্তর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস’।

অভিধা (Appellation)
চুলা (বাপৌউ)বি আখা, উনান, চুল্লি, বাট্টি, ভাট্টি, শ্মশান, করবির, চিতা, শবদাহ করার জন্য ব্যবহৃত চিতা, furnace, ‘ﻤﻮﻘﺪ’ (মাওক্বিদ) (শ্ববি) যোনি, sex, vagina, ফারজ (আ.ﻔﺮﺝ) (রূপ্রশ) কানাই, অযোধ্যা, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী (ইংপ) destroyer, origin (ইপ) মক্কা (আ.ﻤﻜﺔ) (ইদে) দাজ্জাল (আ.ﺪﺟﺎﻞ), হামান (আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ), হারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ), হেরা (ﺤﺭﺍ), হাজরে আসুদ (حجر أسود) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; রান্না, ফুটানো ও দাহ করার উনুনকে চুলা বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, যোনিকে রূপকার্থে চুলা বলা হয় (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই।

চুলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of furnace)
১.   “তেমাথা রাস্তায় বসে কাপুরুষ পাইলে ধরে, জলের চুলায় মরা-মাথা বাতাসে রান্না করে, জোয়ান কী বালক বৃদ্ধ- এক পাকে করে সিদ্ধ, কত করে ত্রিশূল বিদ্ধ, অমাবস্যার পরে সে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২.   “না জেনে ফকিরি আঁটা, শিরেতে পরলে জটা, সার হলো ভাঙ ধুতরা গোঁটা, ভজনহীন সব চুলাতে।” (পবিত্র লালন- ৬৬৫/৩)।

চুলার সংজ্ঞা (Definition of furnace)
সাধারণত; রান্না, ফুটানো ও দাহন করার উনানকে চুলা বলে।

চুলার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of furnace)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে কানাই বা চুলা বলে।

চুলার প্রকারভেদ (Variations of furnace)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; চুলা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান চুলা ও ২. উপমিত চুলা।

১. উপমান চুলা (Analogical furnace)
সাধারণত; রান্না, ফুটানো ও দাহন করার উনানকে উপমান চুলা বলে।

২. উপমিত চুলা (Compared furnace)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে কানাই বা উপমিত চুলা বলে।

চুলার পরিচয় (Identity of furnace)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ার কারণে; সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।

সাধারণত; রান্নাবান্না করার উনানকে চুলা বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল যোনিকে চুলা বলা হয়। চুলার দ্বারা উত্তপ্ত করে ভেষজ হতে যেরূপে প্রাণরস বের করা হয়। তাদৃশ; যোনি দ্বারা শিশ্ন হতে শুক্র সদৃশ প্রাণরস বের করা হয়। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; যোনিকে চুলা বলা হয়। যোনি এমন একটি স্বর্গীয়-চুলা যে; এর দ্বারা বিশ্বের সব পুরুষ প্রাণীকেই সিদ্ধ করা হয়। সৃষ্টিকুলের দ্বিপস্থ জীবের কোনো পুরুষ প্রাণীই এ চুলায় পুড়ে মৃত্যুবরণ করা হতে প্রাণ রক্ষা করতে পারে না। অর্থাৎ; কামদেশে গিয়ে শুক্রপাত ব্যতীত কেউই রক্ষা পায় না।

অন্যদিকে; বড় হাস্যকর বিষয় হলো; সারাবিশ্বের অধিকাংশ সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, বৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদক পুরাণে ব্যবহৃত ‘চুলা’ পরিভাষাটির দ্বারা কেবল রান্না করার সাধারণ উনানকেই বুঝে এবং বুঝিয়ে থাকে। এ কারণে সাম্প্রদায়িকরা চিরকালই শ্বরবিজ্ঞানের বাস্তব শিক্ষা হতে বঞ্চিত। সাম্প্রদায়িকরা স্বস্ব পুস্তক-পুস্তিকার মূলশিক্ষা হতে বঞ্চিত। এজন্য; তাদের মধ্যে হতে একের পর এক সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ, আতঙ্কবাদ ও সন্ত্রাসীবৃত্তির উদ্ভব হচ্ছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে দিনের পর দিন সাম্প্রদায়িক নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায়; সাম্প্রদায়িক মতবাদের অনুসারীদের বধ, বলি, হত্যা ও হনন মহামারী রূপ-ধারণ করেছে। বর্তমানকালে ভূমিকম্প, বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের চেয়ে অধিক মানুষ মরছে সাম্প্রদায়িক মতবাদ অনুসারীদের বোমা-গুলির আঘাতে। তাই; এখনই শ্বরবিজ্ঞানের প্রকৃত শিক্ষার দিকে ফিরে আসা সব বুদ্ধিমানের আবশ্যক কাজ।