৯২/৮. জগৎগুরু
Inhaler (ইনহ্যালার)/ ‘مستنشق’ (মুস্তানাশাক্ব)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শ্বাস’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক প্রকৃত মূলক সত্তা’ ‘শ্বাস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক সহযোগী মূলক সত্তা’ ‘প্রাণায়াম’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘বাতাস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘কুকুর, প্রহরী ও সুর১’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনিল, পবন ও সমীর’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘ফুৎকার’। এ পরিভাষাটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর বলাই ও শ্বাস এ দুটি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ব্যাপক পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। সেজন্য; এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা সব পাঠক-পাঠিকার একান্ত প্রয়োজন।
অভিধা (Appellation)
জগৎ (বাপৌছ)বি বিশ্ব, ব্রহ্মাণ্ড, ভুবন, পৃথিবী, লোক, সমাজ, সংসার (আল) রাজ্য, কুল, দল, গোত্র, অধিকারভুক্ত প্রদেশগুলো (শ্ববি) দেহ, খাঁচা, ধড়, পিঞ্জর, body, horse, জাসাদ (আ.ﺠﺴﺪ), বদন (আ.ﺒﺪﻦ), ফারাস (আ.ﻔﺮﺱ) (রূপ্রশ) ১. উষ্ট্র, ঘোড়া, নদীয়া, নবদ্বীপ, পাহাড়, ব্রহ্মাণ্ড, হাতি ২. কল্পতরু, কল্পদ্রুম, কল্পবৃক্ষ (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; পৃথিবীকে ‘জগৎ’ বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; মানবদেহকে বাংলায় রূপকার্থে ‘জগৎ’ বলা হয় (বাপৌছ) দেবালয়, বিশ্ব, মন্দির, রথ১, শাস্ত্র ও স্বর্গালয় (বাপৌচা) কানন, পাহাড়, বপু, বিপিন, ব্রজ৩ ও ভুবন (বাপৌউ) অশ্ব, গাড়ি, জাহাজ, তরী, বৃক্ষ ও হাতি (বাপৌরূ) পৃথিবী (বাপৌমূ) দেহ।
জগৎগুরু (বাপৌছ)বি জগতের শিক্ষক, সারাজগতের দিশারী, inhaler, ‘مستنشق’ (মুস্তানাশাক্ব), supreme preceptor, ‘مُعَلِّمُ الْعَالَمُ’ (মুয়াল্লিম আলয়ালাম) (প্রাঅ) বাতাস, শ্বাস, divine teacher, ‘ﻤﻌﻠﻡ ﺍﻠﺴﻤﺎﻮﻴﺔ’ (মুয়াল্লিমুস সামাবিয়া) (প্র) নাসিকার সূর্যশ্বাস ও চন্দ্রশ্বাস বিশেষ (শ্ববি) শ্বাস, নিঃশ্বাস, প্রশ্বাস, breath, respiration, দম (আ.ﺪﻡ), নাফ্স (আ.ﻧﻔﺲ) (রূপ্রশ) ঘোণা, সৈনিক, যোদ্ধা, কুকুর, প্রহরী, সুর, ফুঁক, diarchy (ইংপ) horn, trumpet (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শ্বাস’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সারা জগতের সব মানুষের জ্ঞানদানকারীকে জগৎগুরু বলা হয় ২. নাসিকাযোগে চলাচলকারী শ্বাসকে রূপকার্থে জগৎগুরু বলা হয় (বাপৌছ) জগৎগুরু ও ফুৎকার (বাপৌচা) অনিল, পবন ও সমীর (বাপৌউ) কুকুর, প্রহরী ও সুর১ (বাপৌরূ) বাতাস (বাপৌমূ) শ্বাস {বাং.জগৎ + বাং.গুরু}
জগৎগুরুর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of inhaler)
১. “অখণ্ড মণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং সারা চরাচর, গুরু তুমি পতিতপাবন পরমও ঈশ্বর।” (পবিত্র লালন- ৪২/১)।
২. “গুরু চেনা সহজ নয়রে গুরু চেনা সহজ নয়, জগৎগুরু চিনতে গেলে মানুষগুরু ভজতে হয়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯৬)।
৩. “মানুষগুরুর প্রেমপণ্যারে- জগৎগুরু চলেফেরে, ধরতে গেলে যায়রে দূরে- পরমগুরু কাছে রয়- মানুষগুরু হইলে সদয়- জগৎগুরু দেয় পরিচয়, জানতে হয় তা নিরালায়- ভক্তিভজন রেখে ভয়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯৬)।
৪. “ষোল কলার গোপন-নীতি, পঞ্চবাণে হয় পিরিতি, জগৎগুরুকে করলে পতি, যেতে সেজন পারে- বলন কয় জাতির ধোঁকায়, কতজন চুবানি খায়, শেষে করে হায়ঃ হায়ঃ, বাপ্পুতে এক ঘাটে মরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩০)।
জগৎগুরুর ওপর কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ বলন (Some full Bolon on the inhaler)
১. “গুরু চেনা সহজ নয়রে গুরু চেনা সহজ নয়
জগৎগুরু চিনতে গেলে মানুষগুরু ভজতে হয়।
মানুষগুরুর প্রেমপণ্যারে- জগৎগুরু চলেফেরে
ধরতে গেলে যায়রে দূরে- পরমগুরু কাছে রয়-
মানুষগুরু হইলে সদয়- জগৎগুরু দেয় পরিচয়
জানতে হয় তা নিরালায়- ভক্তিভজন রেখে ভয়।
মানুষগুরু হয় আকারে- জগৎগুরু রয় নিরাকারে
জ্ঞান দ্বারা ধরো তারে- নিকটে সে দূরে নয়
দমে যায় দমেতে আসে- দিনরজনী ডানে বাঁয় সে
ফাঁদ পাঁতিয়া ধর কষে- ভক্তি দিয়ে উত্তরা বায়।
জগৎগুরু অপারলীলা- দেখবি তার রূপ রঙ্গিলা
করিসনে আর অবহেলা- সময় তোর অধিক নাই-
উত্তরা বায় ধরলে পাড়ি- মানুষগুরু হয় কাণ্ডারী
বলন কয় ভয় কী তারই- কালসমন দূরে পালায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯৬)।
২. “মন গুরু গুরু বল কারে এ কৃত্রিম গুরু গুরু না
যদি না সে দিতে পারে সেই জগৎগুরুর ঠিকানা।
বই পুস্তক পড়ে কী হয়- আদ্যভেদ হৃদয়ে রয়
না বুঝে পড়া বৃথা যায়- বেতনহীন হয় ভজনা-
জাতির ঘোরে হীনদশায়- গোলকধাঁধায় ঘুরে সদাই
আলস্যপনায় দাসত্ব নাই- সময় বসে রহে না।
নিগূঢ়ঘরের খুলে তালা- জগৎগুরু নিয়ে কর মেলা
খেললে সেথা অটলখেলা- দেখতে পাবিরে নমুনা-
নয় দরজা এগারনালা- ত্রিবেণে ত্রিরসের খেলা
উযানধারায় করলে হেলা- জীবনে গুরু মিলে না।
দাসের গুরু সাঁই কাঁই- অন্ধে কী তা দেখিতে পায়
কুরান পুরান খুঁজে সদাই- আপন ঘর ধুঁড়ে না-
গুরু রয় নদীয়ায়- বৃথা বৃন্দাবন কাঁশি যায়
জগৎগুরু ঘরের কোণায়- বলন কয় খুঁজে দেখ মনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩৪)।
জগৎগুরুর সংজ্ঞা (Definition of inhaler)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সারা জগতের সব মানুষের জ্ঞানদানকারীকে জগৎগুরু বলে।
জগৎগুরুর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of inhaler)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নাসিকার শ্বাসকে জগৎগুরু বলে।
জগৎগুরু প্রকারভেদ (Variations of inhaler)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জগৎগুরু দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান জগৎগুরু ও ২. উপমিত জগৎগুরু।
১. উপমান জগৎগুরু (Analogical inhaler)
সাধারণত; সারা জগতের সব মানুষের জ্ঞানদানকারীকে উপমান জগৎগুরু বলে।
২. উপমিত জগৎগুরু (Compared Inhaler)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে নাসিকাযোগে চলাচলকারী শ্বাসকে উপমিত জগৎগুরু বলে।
জগৎগুরুর পরিচয় (Identity of inhaler)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শ্বাস’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সারাজগতের দিশারীকে জগৎগুরু বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে কেবল নাসিকার শ্বাসকে জগৎগুরু বলা হয়। শ্বরবিজ্ঞানে; গুরু চার প্রকার। যথা; ১. মানুষগুরু ২. জগৎগুরু ৩. কামগুরু ও ৪. পরমগুরু।
সাধারণত; বিশ্বের বিখ্যাত আত্মজ্ঞানী বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরা সজসম্মুখে বাতাসকেই জগৎগুরু বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তবে; শ্বরবিজ্ঞানে; বাতাস বলতে বায়ুমণ্ডলে চলমান বাতাস না বুঝিয়ে বরং নাসিকা যোগে চলাচলকারী শ্বাসকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ; শ্বরবিজ্ঞানে; নাসিকার শ্বাসকে জগৎগুরু বলা হয়। এ বিষয়টি বিশ্বের সর্ব রূপকার কর্তৃক স্বীকৃত। নাসিকার শ্বাসরূপ জগৎগুরু ডান ও বাম গতি ধারণ করে সর্বসময় শিষ্য বা ভক্তকুলের সাথে সাথে অবস্থান করেন এবং প্রতিনিয়ত শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শিষ্যগণকে জীবনের প্রতিটি কাজের শুভাশুভ সংবাদাদি প্রদান করে থাকেন। শ্বাসরূপ বাতাস বিশ্বব্যাপী বিরাজমান বলে শ্বরবিজ্ঞানে তাকে জগৎগুরু বলা হয়।
মানুষগুরু জগতের সর্বত্রই বিরাজ করতে পারে না কিন্তু জগৎগুরু জগতের সর্বত্রই বিরাজ করতে পারেন। এ গুরু ব্যাপারে মহাত্মা লালন সাঁইজি লিখেছেন; “অখণ্ড মণ্ডলাকারং ব্যাপ্তং সারা চরাচর, গুরু তুমি পতিতপাবন পরমও ঈশ্বর” (পবিত্র লালন- ৪২/১)। আবার লোকনাথ ব্রহ্মচারী লিখেছেন; “রণে, বনে, পাহাড়ে ও জঙ্গলে যেখানে আমাকে স্মরণ করবে সেখানেই আমাকে পাবে।” একে পূর্বযুগে Natural mobile বলা হতো। পূর্বকালের সাধু সন্ন্যাসীরা কেবল নাসিকার শ্বাস ব্যবহার করেই জীবনের সর্বপ্রকার যোগাযোগ রক্ষা করে চলাফেরা করতেন। মানুষের নাসিকার ছিদ্র দুটি। যথা; বামছিদ্র ও ডানছিদ্র। ছিদ্রদ্বয় দ্বারা সর্বদা সমানবেগে শ্বাস নির্গত হয় না। কখনও বাম এবং কখনও ডান ছিদ্রে শ্বাসের প্রাবল্য অধিক লক্ষ্য করা যায়। আবার এমনও দেখা যায় যে; বামছিদ্রে শ্বাসের প্রাবল্য অধিক থাকলে ডানছিদ্র প্রায় নিষ্ক্রিয় থাকে এবং ডানছিদ্রে শ্বাসের প্রাবল্য অধিক থাকলে বামছিদ্র প্রায় নিষ্ক্রিয় থাকে। অর্থাৎ; প্রবাহের ক্ষেত্রে একছিদ্র সবল হলে অন্য ছিদ্রটি দুর্বল হয়ে পড়ে। যেটি সবল বা প্রবল হয় সেটিই শুভ ইঙ্গিত বহণ করে। শ্বরবিজ্ঞানে; এ শুভ ইঙ্গিত প্রদানকারী অদৃশ্যশক্তিকেই জগৎগুরু বলা হয়। এ জগৎগুরুর ব্যাপারেই বাবা লোকনাথ বলেছেন; “রণে, বনে ও পাহাড়-পর্বতে, যেখানেই আমাকে স্মরণ করবে সেখানেই পাবে।” উল্লেখ্য যে; শ্বাসের শুভাশুভ নির্ধারণের অনেক মনগড়া নিয়ম সমাজের নির্বোধ সাধু সন্ন্যাসীদের মধ্যে পূর্বকাল হতেই প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯৯% ভাগই ভুল। বিষয়টি সাধক গোঁসাই বা গুরুর নিকট হতে ভালোভাবে জেনে নেওয়ার পরামর্শ রইল।
১. মানুষগুরু/ Inductor (ইন্ডাক্টর)/ ‘مغو’ (মোগু)
মানুষগুরুর সংজ্ঞা (Definition of inductor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সাধারণ মানুষকে আত্মতত্ত্ব ভেদ শিক্ষা প্রদানকারী মানুষ আকারধারী মহান মনীষীকে মানুষগুরু বলে।
মানুষগুরুর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of inductor)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; গুরুপদ প্রাপ্ত ব্যক্তির জ্ঞানকে গুরু বলে।
মানুষগুরুর শুধু আকার ও আকৃতিকে মানুষগুরু বলা হয় না। মানুষগুরু রূপ ব্যক্তির মধ্যে যে জ্ঞান রয়েছে প্রকৃতপক্ষে সে জ্ঞানকেই গুরু বলা হয়। কারণ; জ্ঞান হলো নিত্য, অক্ষয়, অমর ও অনন্ত কিন্তু আকারধারী মানুষ অনিত্য ও ধ্বংসশীল। অর্থাৎ; আকারধারী মানুষকে মানুষগুরু বলে সম্বোধন করলেও প্রকৃতপক্ষে মানুষগুরু হলো মানুষের জ্ঞান। গুরুদেবের জ্ঞানকে মানুষগুরু বলা হয়। পিতা-মাতা, বড়ভাই, বড়বোন, শ্বশুর-শাশুড়ী, দাদা-দাদী, মামা-মামী ও সর্বশ্রেণির পাঠশালার শিক্ষক-শিক্ষিকাগণসহ সবাই প্রত্যেক মানুষের জন্য মানুষগুরু। যার নিকট হতে কোনো জ্ঞানার্জন করা হয় তিনিই গুরু। আবার আধ্যাত্মিক দীক্ষকগণ মানুষগুরু। গুরুর কোনো জাত নেই একং গুরুর কোনো সাম্প্রদায়িক মতবাদ নেই। মানুষগুরু যে কোনো সাম্প্রদায়িক মতবাদ বা যে কোনো গোত্রের হতে পারেন। যে কোনো মতবাদের বা যে কোনো গোত্রের লোক তাঁর নিকট দীক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। গুরু ভক্তের উদ্ধারকারী বা ত্রাতা। মানুষগুরু প্রকৃতগুরু নয়। প্রকৃতগুরু হলেন- সাঁই। এজন্য; প্রকৃতগুরুর সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত একের পর এক মানুষগুরুর নিকট হতে জ্ঞানার্জন করে যাওয়ায় সব বুদ্ধিমানের কাজ। প্রকৃতগুরুর সন্ধানলাভ করার জন্য একাধিক গুরুর নিকট হতে জ্ঞানার্জন করা সর্বকালেই সিদ্ধ। প্রকৃতগুরুর সন্ধান পেয়ে গেলে, মানুষগুরু আর পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। (“গুরু যার থাকে সদয়, শমন বলে কিসের ভয়, লালন বলে মন তুই আমায়, করলি দোষী।” (পবিত্র লালন- ১৪৩/৪)।
৩. কামগুরু/ Cupid (কিউপিড)/ ‘صولجان’ (সাওলাজান)
কামগুরুর সংজ্ঞা (Definition of cupid)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কামের দেবতা মদনকে কামগুরু বলে।
কামগুরুর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of cupid)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুরুষ জীবের শিশ্নকে কামগগুরু বলে।
কামগুরুর কোনো ভজন নেই। এ গুরুকে শাসন করাই ভক্তের কাজ। চারপ্রকার গুরুর মধ্যে কেবল কামগুরুকে শাসন করতে হয়। এ গুরু অটল না হওয়া পর্যন্ত একে ক্রমে ক্রমে শাসন করতেই হবে। এ ব্যাপারে মহাত্মা লালন সাঁইজি লিখেছেন; ১. “পরমগুরু প্রেম পিরিতি, কামগুরু হয় নিজপতি, কাম ছাড়া প্রেম পায় কী গতি, তাই ভাবে লালন।” (পবিত্র লালন- ২৬৫/৪) ২. “প্রেম প্রকৃতি স্বরূপসতী, কামগুরু হয় নিজপতি, ও মন অনুরাগী না হলে, ভজন সাধন হয় না।” (পবিত্র লালন- ৬৪৯/২) ৩. “প্রেমবাজারে কে যাবি, তোরা আয় গো আয়, প্রেমগুরু কল্পতরু, প্রেমরসে মেতে রয়।” (পবিত্র লালন- ৬৫১/১) ৪. “প্রেমের রাজা মদনমোহন, নির্হেতু প্রেম সাধনে শ্যাম, ধরে রাধার যুগলচরণ, প্রেমের সহচরী গোপীগণ, প্রেম-দ্বারে বাঁধা রয়।” (পবিত্র লালন- ৬৫১/২)।
৪. পরমগুরু/ Beverage (বেভ্যারিজ)/ ‘مشروبات’ (মাশরুবাত)
পরমগুরুর সংজ্ঞা (Definition of beverage)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবের লালনপালনকর্তা সাঁইকে পরমগুরু বলে।
পরমগুরুর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of beverage)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবজগতের পালনকর্তা সাঁইকে পরমগুরু বলে।
শ্বরবিজ্ঞানে; সাঁইকে পরমগুরু বলা হয়। সাঁই হলেন তরল-মানুষ; যে এখনও মূর্ত আকার ধারণ করে নি। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ লালনপালনের দায়িত্ব পালনকারী সুমিষ্ট সুপেয় ও শ্বেতবর্ণের জল। মাতৃগর্ভে সর্ব জীবের ভ্রূণ লালনপালনে নিয়োজিত অমৃতরসকে পালনকর্তা বা রূপকার্থে পরমগুরু বলা হয়। এ পরমগুরু ব্যাপারে মহাত্মা লালন সাঁইজি লিখেছেন; ১.“ত্রিবেণীর ত্রিধারে, মীন রূপে গুরু বিরাজ করে, কেমন করে ধরবি তারে, বলরে অবুঝ মন।” (পবিত্র লালন- ১৫৩/৩) ২.“হলো অমাবতীর বার, মাটি রসে হয় সরোবর, সাধু গুরু বৈষ্টম তিনে, উদয় হয় সে যোগের দিনে।” (পবিত্র লালন- ১৬২/২)।”
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.