৪৮/৫. জল১
Water (ওয়াটার)/ ‘ﻤﺎﺀ’ (মাও)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পালনকর্তা’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘পালনকর্তা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘সাঁই’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অমৃতসুধা, গ্রন্থ, চন্দ্র, তীর্থবারি, পাখি৬, ফল ও ফুল১’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘ননি, বিষ্ণু, মাণিক, রাজা, রাম, লালন, স্বরূপ ও হরি’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘ঈশ্বর, উপাস্য, চোর, পতিতপাবন, পরমগুরু, প্রভু, মনের–মানুষ ও সুধা’। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘কামরস’, ‘দুগ্ধ’, ‘মূত্র’, ‘রজ’, ‘শুক্র’, ‘পালনকর্তা’ ও ‘সৃষ্টিকর্তা’ এ সাতটি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ব্যাপক পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন।
অভিধা (Appellation)
জল১ (বাপৌউ)বি অম্বু, অশ্রু, উদক, নীর, পয়, বর্ষণ, বারি, বৃষ্টি, বৃষ্টিপাত, সলিল, water, ‘ﻤﺎﺀ’ (মাও) (আল) অপচয়, নষ্ট, ব্যর্থ, অপচিত, সরল, সহজবোধ্য, লঘু আহার (জল খাওয়া), ক্ষয় বা ব্যয় (রক্ত জল করা অর্থ) (প্র) বাংলা পুরাণে বর্ণিত; ১.আগুন ২.জল ৩.মাটি ৪.বাতাস ও ৫.বিদ্যুৎ এ পঞ্চাত্মার একটি (শ্ববি) এমন তরল-মানুষ; যে এখনও মূর্তাকার ধারণ করে নি। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ লালনপালনের দায়িত্ব পালনকারী সুমিষ্ট, সুপেয় ও শ্বেতবর্ণের জল (রূপ্রশ) ঈশ্বর, উপাস্য, নারায়ণ, নিধি, নিমাই, নিরঞ্জন, পতি, বুদ্ধ, স্বরূপ, স্বামী, guardian, রব (আ.ﺮﺐ) (পারদে) খোদা (ফা.ﺨﺪﺍ) (ইদে) মা’বুদ (আ.ﻤﻌﺑﻭﺪ), মুহাম্মদ (আ.ﻤﺤﻤﺪ), রাসুল (আ.رَسُول) (ইপ) কাওসার (আ.ﻜﻭﺛﺮ), ফুরাত (আ.ﻔﺭﺍﺖ) (ইংপ) God, nectar, elixir (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পালনকর্তা’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; তরল পানীয়কে জল বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; মাতৃগর্ভে ভ্রূণ লালনপালনে নিয়োজিত শ্বেতবর্ণের মানবজলকে পালনকর্তা বা রূপকার্থে জল বলা হয় (বাপৌছ) ঈশ্বর, উপাস্য, চোর, পতিতপাবন, পরমগুরু, প্রভু, মনের-মানুষ ও সুধা (বাপৌচা) ননি, বিষ্ণু, মাণিক, রাজা, রাম, লালন, স্বরূপ ও হরি (বাপৌউ) অমৃতসুধা, গ্রন্থ, চন্দ্র, জল১, তীর্থবারি, পাখি৬, ফল ও ফুল১ (বাপৌরূ) সাঁই (বাপৌমূ) পালনকর্তা।
জলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of water)
১. “ইল্লতে বসন হলে, জলেতে যায়রে ধুলে, খাসলতি কিসে ধুবা, লালন বলে হিসাব কালে, মন সকল ফিকির হারাবা।” (পবিত্র লালন- ৭৫১/৪)।
২. “একটা নারকোলের মালা, তাতে জল তোলা ফেলা, করঙ্গ সে, আবার হরি বলে পড়ছে ঢলে, ধূলার মাঝে।” (পবিত্র লালন- ৪৮৯/২)।
৩. “করলি বহু পড়াশুনা, কাজে কর্মে ঝলসেকানা, কথায় তো চিড়ে ভিজে না, জল কিংবা দুধ না দিলে।” (পবিত্র লালন- ৬১৬/২)।
৪. “কাঁই কাঁইরে (মজার), খাল কেটেছে ভারি কৌশলে, একবিন্দু জল নাইরে খালে, কাপড় ভিজে ঝাঁপ দিলে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৫. “তাওহিদ সাগর কঠিন পাড়ি, অথৈ জলে মাণিক পাবি হলে ডুবুরী।” (পবিত্র লালন- ৫০২/১)।৬. “সখী জলকে চল জলকে চল, জলকে চল গোকুলে, শ্যামের বাঁশী বাজে বাজেরে, রাধা রাধা বলে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
জলের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of water)
১. “অরসিকের ভোলে ভুলে, ডুবিস না কূপ-নদীর জলে, কারণ বারির মধ্যস্থলে, ফুটেছে ফুল অচিনদলে, চাঁদ চকোর তাতে খেলে, প্রেমবাণে প্রকাশিয়ে।” (পবিত্র লালন- ৫৬৪/২)।
২. “করণকারায় বসে থেকে, ত্রিবেণে বাজায় বীণখানা, জলের মধ্যে জ্বালায় বাতি, সাধু বিনে দেখে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫২)।
৩. “কে বুঝতে পারে আমার সাঁইয়ের কুদরতি, অগাধ জলের মাঝে জ্বলছে বাতি।” (পবিত্র লালন- ৩৪১/১)।
৪. “গহিন জলে বাস করে মীন, গুরু বলে ছাড়ছেরে ঝিম, যে চিনেছে সে জলের ঝিম, মীন ধরা দেয় তার হাতে।” (পবিত্র লালন- ৫০৭/২)।
৫. “ঘটেপটে সব জায়গায়, আছে আবার নাই বলা যায়, চন্দ্র যে প্রকার- উদয় জলের ওপর, অমনি সাঁই বিরাজে এ মানুষে।” (পবিত্র লালন- ৭২২/২)।
৬. “জলে স্থলে সব জায়গায়, তোমার কীর্তি প্রকাশ পায়, ত্রিবিধ সংসারে, না বুঝে অবোধ লালন, মরল বিষম ঘোরতরে।” (পবিত্র লালন- ৬২৮/৪)।
৭. “তরী না দেখি আর, চারদিকে কেবল শূন্যকার, প্রাণ বুঝি যায় এবার, দেখি এ ঘূর্ণিপাকের জলে।” (পবিত্র লালন- ৩৫৩/২)।
৮. “তেমাথা রাস্তায় বসে কাপুরুষ পাইলে ধরে, জলের চুলায় মরামাথা বাতাসে রান্না করে, জোয়ান কী বালক বৃদ্ধ- একপাকে করে সিদ্ধ, কত করে ত্রিশূল বিদ্ধ, অমাবস্যার পরে সে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।
৯. “দেখ না রে ভাবনগরে, ভাবের ঘরে ভাবের কীর্তি, অগাধ জলের মাঝে জ্বলছে বাতি।” (পবিত্র লালন- ৫৩৭/১)।
১০. “ভরানদী শূন্য করো- শূন্যনদী জলে ভরো, যা খুশি তা করো- কেহ নাই বাঁধা দিবার- তিনপাড়েতে বার্নিস করা- মধু সুধা জল ত্রিধারা, মধু খায় মদনচোরা- মধুমতি নামটি তার।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৬)।
১১. “মরলে যদি হয় ঈশ্বরপ্রাপ্ত, সাধু অসাধু সমস্ত, তবে কেন জপ-তপ এত, করেরে জলে-স্থলে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৬/২)।
১২. “যে জলেতে লবণ জন্মায়, সে জলেতে তাও গলে যায়, আমার মন তেমনি প্রায়, শক্তি উপাসনা ভুলে।” (পবিত্র লালন- ৬৮৬/৩)।
১৩. “রাধে কেন করো মান, কুঞ্জে আসে না যে শ্যাম, জলে আগুন দিতে পারি, বিন্দে আমার নাম, হাত ধরে মন সঁপেছিলি, সেকথা কী নাই মনে।” (পবিত্র লালন- ২১২/২)।
১৪. “রামদাস সে মুচির ছেলে, গঙ্গা যাকে হরে নিলে, লালন কয় গভীর জলে, আপন চামকুঠরায়।” (পবিত্র লালন- ৯৫/৪)।
১৫. “শুনি নদে তিন পাগলে, জলে মিশে রয় সকলে, দেয় না ধরা ধরতে গেলে, একত্রে রয় তিনজনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮৮)।
সাধারণ জল অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense ordinary water)
১. “ঢাকানগর ছাড় গো গিন্নী, সামনের মাসে না করো বাসা, লোডশেডিংয়ে ঘুম আসে না, পচাজল ওয়াসা।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২. “রাম রহিম বলছে সেজন, ক্ষিতি জল কী বাও হুতাশন, শুধালে তার অন্বেষণ, মূর্খ দেখে কেউ বলে না।” (পবিত্র লালন- ৩২৮/৩)।
৩. “সবে বলে প্রাণপাখি, শুনে চুপে চুপে থাকি, জল কী হুতাসন- ক্ষিতি কী পবন, আমি ধরতে গেলে পাই না তারে।” (পবিত্র লালন- ১২৩/৩)।
———————————————————————————-
১. “অগাধ জলে মৎস্য ধরা, জীবের সপ্তকর্ম সারা করা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১)।
২. “অনুমানে শাস্ত্র হয় না, জলে যেমন চাঁদ রহে না, বলন কয় মনরে কানা, সার শূন্যতা ডুবপাড়া।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৪)।
৩. “মালর শহর ভারী, তাতে আজব কারিগরি, জোয়ারে জল নাই- ভিটে ডুবে ভাই, কী প্রকারি এ কারখানা।” (পবিত্র লালন- ৫২৭/২)।
৪. “আসমান জমিন জলাদি পবন, যে নূরীর নূরে হয় সৃজন, বলো কিসে ছিল সে নূরের আসন, পুরুষ কী প্রকৃতি আকার তখনে।” (পবিত্র লালন- ৫৬/২)।
৫. “এক ঘাটে আসা যাওয়া, এক পাটনি দিচ্ছে খেয়া, কেউ খায় না কারো ছোঁয়া, ভিন্নজল কে কোথায় পান।” (পবিত্র লালন- ৯১৯/২)।
৬. “কুল গৌরবিনী যারা, কুলে পড়ে থাকে তারা, কুলের ছাই গৌরব করা, কুল ধুয়ে কী খাবো জল।” (পবিত্র লালন- ৬২৭/৩)।
৭. “ক্ষিতি জল বাও হুতাশনে, যার যার বস্তু সে সেখানে, মিশবে তাই মনা, আকাশে মিশবে আকাশ, সবার গোড়ায় এ পাঁচজনা।” (পবিত্র লালন- ৯৯৯/৩)।
৮. “গঙ্গার জল গঙ্গায় থাকলে, সে জল কী ফুরায় সেচলে, তেমনই, তারে তার মিশিয়ে, হয় অমর।” (পবিত্র লালন- ৪১৪/২)।
৯. “গায়ের জোর যতদিন, তোরে আদর করবে সবে, কামাই ফুরাবে আদর যাবে, কেউ দিবে না অন্ন জল।” (পবিত্র লালন- ৬১৭/৩)।
১০. “চাতকের প্রাণ যদি যায়, তবু কী অন্য জল খায়, ঊর্ধ্বমুখে থাকে সদাই, নবঘন জল চেয়ে, তেমনই, মতন- হলে সাধন, সিদ্ধি হয় এ দেহে।” (পবিত্র লালন- ৫০৬/২)।
১১. “ছুতার পরশে কাষ্ঠ-লোহা কেউ কাউরে ছাড়ে না, কাষ্ঠ লোহার হলে পিরিত তারা জলে ডুবে না, অধীন বলনকে রক্ষা কর, দয়াল সাঁই গুণমনি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯২)।
১২. “জল ছাড়া মীন বাঁচে না, দুগ্ধ ছাড়া ননি ওঠে না, শোনরে বেটা বোকা পাঁঠা, ধান্ধা তোমার লেগেছে।” (পবিত্র লালন- ৫৫১/২)।
১৩. “জল সেচিয়ে মৎস্যাহরণ, তা নয় কঠিন সাধন, জলে ধরা মৎস্য সাধন, মরার আগেই মরে যারা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১)।
১৪. “জল থেকে হয় মাটির সৃষ্টি, জাল দিলে হয় গো মাটি, বুঝে দেখ এ কথাটি, ঝিয়ের পেটে মা জন্মায়।” (পবিত্র লালন- ৯৫৫/২)।
১৫. “জল বিনা এক নদ কলকলে চলে, বিনা হাওয়ায় ঢেউ খেলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৫)।
১৬. “জলে যেমন চাঁদ দেখা যায়, ধরতে গেলে হাতে না পায়, লালন অমনি সাধন দ্বারায়, পড়ল গোলমালে।” (পবিত্র লালন- ৯৬৯/৪)।
১৭. “জলে যেমন চাঁদ দেখি, ধরতে গেলে সব ফাঁকি, তেমনই, যেন অধর চাঁদটি, নিকটে চাঁদ দূরে ঠাঁই।” (পবিত্র লালন- ৫৪৬/২)।
১৮. “জলের মাঝে চাঁদ দেখা যায়, ধরতে গেলে দূরে পালায়, বলন কয় মনের ধোঁকায়, তেমন ঘুরবি জনম জনমে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪)।
১৯. “জলের মধ্যে চাঁদ দেখা যায়, ধরতে গেলে হাতে কে পায়, তেমনি, আলেক-মানুষ সদাই, থাকে আলেকে মিশে।” (পবিত্র লালন- ৭৮৭/২)।
২০. “জাতকুল নিয়ে আছ যারা, জাতকুল নিয়ে থাক তারা, কুল ধুয়ে কী জল খাবরে, এমন কুলের মুখে ছাই।” (পবিত্র লালন- ৮১৮/২)।
২১. “জানাতে ভজন কথা, তাইতো; অলিরূপ হয় খোদা, লালন করে জল ঘোলা, দাহরিয়া আর নয়।” (পবিত্র লালন- ৭৫২/৪)।
২২. “দুগ্ধে জল মিশালে, বেছে খায় রাজহংস হলে, কারো সাধ যদি হয় সাধনবলে, হয় সে হংসরাজের ন্যায়।” (পবিত্র লালন- ৯৪৬/২)।
২৩. “দুগ্ধে জল মিশালে যেমন, হংসরাজ করে তা ভক্ষণ, ফকির লালন ঘুরে বেড়ায়, সব ফিকিরি না বুঝে।” (পবিত্র লালন- ৭২৯/৪)।
২৪. “দুগ্ধে জল যদি মিশায়, রাজহংস হলে বেছে খায়, লালন বলে আমি সদাই, আমোদ করি জলহ্রদ নিয়ে।” (পবিত্র লালন- ৯৮৭/৪)।
২৫. “না ছিল আসমান জমিন পবন জল, সাঁই তখন নিরাকারে, ইলাহি আলামিন সিদরাতুর এক্বিন, কুদরতি গাছ পয়দা করে।” (পবিত্র লালন- ৫৮৪/১)।
২৬. “নিরাকার সাধন করা, আঁন্ধার ঘরে সর্প ধরা, মরিচিকার পিছে পড়া, জলের চাঁদ হাতে ওঠে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬৮)।
২৭. “নিরীক্ষ বিনা সাধন হয় না, জলেতে চাঁদ মিলে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬৯)।২৮. “বিল ঝিল বা নদী খালে, পাহাড় ফেটে জল চুঁয়ালে, জলের জাত কী ভিন্ন মূলে, বলন কয় ভিন্ন না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৯)।
২৯. “ভিতরে লালসার থলি, ওপরে জল ঢালাঢালি, লালন বলে মন মুসল্লি, তোর দিশে হয় আর কোন্ দিনে।” (পবিত্র লালন- ৫৯৩/৪)।
৩০. “মূল কেটে জল ঢালো আগায়, এ চাতুরি শিখলে কোথায়, উচিত ফল পাবে হেথায়, নইলে টের পাবে না।” (পবিত্র লালন- ৮১৫/২)।
৩১. “মেঘের কোলে সৌদামিনি, এ দেহে সাঁই বাস তেমনি, অগ্নিবায়ু জলে যেমন, তেমনই, থাকে জগৎসাঁই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩৭)।
৩২. “মোটামোটা মালা গলে, তিলক চন্দন তার কপালে, থাকতে হয় গাছের তলে, মালাতে হয় জল খেতে।” (পবিত্র লালন- ৬৪/২)।
৩৩. “যা হবার তাই হলো আমার, সেসব কথায় কী ফল আবার, জল খেয়ে জাতির বিচার, করলে কী হবে।” (পবিত্র লালন- ৬৮/৩)।
‘তাচ্ছিল্য’ অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense for neglectful)
১. “নদীর জল কূপজল হয়, বিল বাওড়ে পড়ে রয়, সাধ্য কী জল গঙ্গাতে যায়, গঙ্গা না এলে পরে, তেমনই, জীবের ভজন বৃথা, তোমার দয়া নাই যারে।” (পবিত্র লালন- ৮৬২/৩)।২. “রাখলেন সাঁই কূপজল করে, আন্ধেলা পুকুরে।” (পবিত্র লালন- ৮৬০/১)।
‘অশ্রু’ অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense for tears)
১. “অভাগিনী ছটফট করে, বন্ধু হারা হইয়া (ময়না), চোখের জলে নদী বহে, কাঁন্দিয়া কাঁন্দিয়া।” (বলন তত্ত্বাবলী)।২. “বন্ধু বিনা মন মানে না, একা ঘরে ঘুম আসে না, চক্ষুজলে বক্ষ যায় ভেঁসে- দিয়ে গেল প্রেম-জ্বালাতন, নিয়ে গেল অবলার মন, সে যে রইল কোন দেশে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩)।৩. “পূর্ণিমাশশী বিলীন হইলে তমসা নেমে আসে, মনের-মানুষ ছাড়িয়া গেলে নয়ন-জলে ভাসে, ডুবিয়া গেলে রবি শশীরে, ঐ আলো জ্বলে কী কিরণে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২৭)।
———————————————————————————-
১. “আমি কেন এলাম যমুনা ঘাটে, ঐ কালারূপ দেখলাম তটে, আমার কাঙ্খের কলসি কাঙ্খে রইল, দুই নয়নের জলে, কলসি ভেসে গেল।” (পবিত্র লালন- ৫৬৩/২)।
২. “একবার উঠি একবার বসি বিষের বিছানায়, সারানিশি জেগে কাটাই নিদারুন ব্যথায়, নয়ন জলে বুক ভেঁসে যায়, পোড়াবক্ষ জুড়ায় না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫৩)।
৩. “একমাস কাঁদিয়া কাটায়, কেহ নিতে আসবে আমায় (গো), রক্ত বয়রে বুক ফাটিয়া, জল শুকাইয়া চক্ষেতে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৯)।
৪. “গুরু তোমার দয়া বিহনে এ জনম বিফলে যায়, লাভে মূলে সব হারাইয়া আমি জলে বুক ভাসায়, বলন কয় দয়াল সাঁইজি, নিও গো পার করিয়া।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৩)।
৫. “ছেলের ভীরু অশ্রুজলে, মায়ের কভু হৃদ না গলে, মাপেতে সঠিক না হলে, দুইমুখে কামড়াইয়া খায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩১৩)।
৬. “দেখে এলাম সোনার-মানুষ, কোপনি পরা, সে মানুষ ক্ষণে হাসে ক্ষণে কাঁদে, দুই নয়নে বয় জল ধারা।” (পবিত্র লালন- ৫৪৭/১)।
৭. “বিরহ যাতনা সয়ে থাকি, চোখের জলে ভিজাই আঁখি, কে আছে ব্যথার ব্যথী, লালন কয় কাঁদে হিয়ে।” (পবিত্র লালন- ৯৭২/৪)।
৮. “হরি বলে গৌররায় প্রেমাকুল হয়, নয়নের জলে বদন ভেসে যায়, দেখে তার দশা সবাই, কেঁদে এ জগৎ কান্দালে।” (পবিত্র লালন- ৪২৬/২)।
৯. “হরি বলে হরি গোরা, নয়নে বয় জলধারা, কী ছলে এসেছে গোরা, এ নদীয়া ভুবনে।” (পবিত্র লালন- ৯৮৬/২)।
‘কামরস’ অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense for mucus)
১. “কাঁই কাঁইরে (মজার), খাল কেটেছে ভারি কৌশলে, একবিন্দু জল নাইরে খালে, কাপড় ভিজে ঝাঁপ দিলে। (বলন তত্ত্বাবলী)।
২. “ডুবে দেখ রে মন, প্রেমনদীর জলে, (মীন রূপে সাঁই খেলে), প্রেমডুবুরী না হলে মীন, বাঁধবে না জালে।” (পবিত্র লালন- ৪৮৩/১)।
৩. “প্রহ্লাদের চরিত্র দেখ পৃথ্বীধামে, কত কষ্ট হলো তার কৃষ্ণনামে, তারে অগ্নিতে পুড়াল- জলেতে ডুবাল, তবু না ছাড়ল শ্রীনাম সাধনা।” (পবিত্র লালন- ৭৩৩/৩)।
———————————————————————————-
১. “একে সে প্রেমনদীর জলে, থাই মিলে না নোঙর ফেলে, বেঁহুশ হয়ে নাইতে গেলে, কাম-কুম্ভীরে খায়।” (পবিত্র লালন- ৪২৮/৩)।
২. “কও গুরু কোন সাগরে, জল বাইরে সুধা ভিতরে, বায়ুকলে আহরণ করে, পাড়ি দিয়ে সে ত্রিমোহনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৭)।
৩. “কারণনদীর জলে একটা, যুগলমীন খেলছে নীরে, ঢেউয়ের ওপর ফুল ফুটেছে, তার ওপর চাঁদ ঝলক মারে।” (পবিত্র লালন- ২৭৬/১)।
৪. “কিবারে কুদরতি খেলা, জলের মাঝে অগ্নিজ্বালা, খবর জানতে হয় নিরালা, নীরে ক্ষীরে আছে জ্যোতি।” (পবিত্র লালন- ২২২/২)।
৫. “চুল পেকে হলো হুড়ো, না পেল পথের মুড়ো, লালন বলে সন্ধি ধুড়ো, প্রেমনদীর জলে ঠাঁই।” (পবিত্র লালন- ২৯২/৪)।
৬. “জল সেচে নদী শুকায়, এমন সাধ্য কারবা হয়, কে পায় পরশখানা, লালন বলে ছন্দি পেলে, যায় সমুদ্দুর লঙ্ঘনা।” (পবিত্র লালন- ৭২২/৪)।
৭. “জলের নিচে স্থলপদ্ম, তার নিচে কত মধু, কালোভ্রমর জানে মধুর মর্ম, অন্য কেউ জানে না।” (পবিত্র লালন- ৭২০/৩)।
৮. “জলের বিম্ব রাগের ওপর, তিনখণ্ড প্রলয়ের মাঝার, যার বিন্দুতে হয় সিন্ধু আকার, ধারা ত্রিগুণে।” (পবিত্র লালন- ৩৯৩/২)।
৯. “জলের মধ্যে কলের কোঠা, সপ্ততালা আয়না আঁটা, তার ভিতরে রূপের ছটা, মেঘেতে বিজলি খেলে।” (পবিত্র লালন- ৩১৩/৩)।
১০. “ডাঙ্গাতে পেতে আসন, জলে রয় তার কৃর্তি এমন, বেদে কী তার পায় অন্বেষণ, রাগের পথ ভুলে।” (পবিত্র লালন- ৯৬৯/২)।
১১. “তুমি বৃন্দে নামটি ধরো, জলে অনল দিতে পারো, রাধারে ভুলতে তোর, এবার বুঝি কঠিন হয়।” (পবিত্র লালন- ২৪১/২)।
১২. “তুলসি এ জলে, উজাবে কোন কালে, মন তুলসি হলে, অবশ্য হয়।” (পবিত্র লালন- ৮০৭/৩)।
১৩. “পঙ্কজলে ফুলের সন্ধিবিন্দু, আদ্যমূল তার সুধাসিন্ধু সে সিন্ধু মাঝে- আলেক নাচে, সে উদয় হচ্ছে সদাই রাত্রদিন।” (পবিত্র লালন- ৬৫৯/৩)।
১৪. “বলন কাঁইজি ভেবে বলে- প্লবতা নাই ঐ নদীর জলে, গুরু-রূপের দিব্যি দিলে- হয়ে যায় সে নদী পার, অথৈজলের ডুবুরী হলে- অমূল্য-ধন মাণিক মিলে, গুরুর করুণা হলে- অনায়াসে হয় নদী পার।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।
১৫. “বিষম অগ্নি জল হতে, সে কল পাতা ভিতরেতে, ধড়ফড় করে ওঠে ছবি, কোন টিপে যায় হেঁটে।” (পবিত্র লালন- ৯৯৩/২)।
১৬. “সে যে নদী জলে ভরা, নাই তাতে কূল কিনারা, মাণিক মুক্তা কাঞ্চন হীরা, সে নদীর গভীরে।” (পবিত্র লালন- ৫৮৮/২)।
‘মূত্র’ অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense for urine)
“আশা করে খাল কেটে তুই আনলি লোনাজল, স্রোতের টানে কাম-কুম্ভীর এসে খাল করল পয়মাল।” (পবিত্র লালন- ৬১৭/২)।
‘রজ’ অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense for menses)
১. “জল বয়িবে রক্তিমা রঙ- পাতালে উড়িবে নিশান, অনর্গল গুলি বরষণ- করিবে এক জলযান- অগ্নিকন্যা আসবে ছুটে- জীবকুল পড়বে লুটে, ভূপাতিত হবে তাপের চোটে, বিশ্বে বয়িবে অগ্নিবান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৬)।
২. “জানো না মন খালে বিলে, থাকে না মীন জল শুকালে, কী হয় তাতে বাঁধাল দিলে, শুকনা মোহনা।” (পবিত্র লালন- ৯২১/২)।
৩. “ভরানদী শূন্য করো- শূন্যনদী জলে ভরো, যা খুশি তা করো- কেহ নাই বাঁধা দিবার- তিনপাড়েতে বার্নিস করা- মধু সুধা জল ত্রিধারা, মধু খায় মদনচোরা- মধুমতি নামটি তার।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৬)।
৪. “সময় বুঝে বাঁধাল বাঁধলি না, জল শুকাবে মীন পালাবে, পস্তাবিরে ভাই মনা।” (পবিত্র লালন- ৯২২/১)।
৫. “স্বর্গ-মর্ত্য পাতাল জুড়া তিনভূতের করাল থাবা, সেথা পঞ্চভূতে করছে খেলা ফাঁক দিলে গোল খাবা, রক্তিমজলা দীঘির পাশে- মরাগরু উড়ে বাতাসে, মরে শেষে হায়হুতাশে, মরা তার পিছু নিয়েছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।
———————————————————————————-
১. “অমাবস্যা অমঙ্গল তিথি, তাতে মিলন পুরুষের ক্ষতি, জল অমাবস্যায়- ওঠে ডাঙ্গায়, লালন কয় থেকো হুঁশিয়ার।” (পবিত্র লালন- ১০৭/৪)।
২. “আজবলীলা মানুষ-গঙ্গায়, আলোর ওপর জলময়, যেদিন শুকায় জল- সব হয় বিফল, মীন পালায় শূন্য ’পরে।” (পবিত্র লালন- ৯৫০/৩)।
৩. “রসেতে উবরনো থাকে জল, কুম্ভেতে কেমনে রাখে বল, একবিন্দু টলে না, আবার ভাটার টানে আনমনে, জল পড়ে বেগ মানে না।” (পবিত্র লালন- ৫২৯/২)।
৪. “শুকনা জমিন জলে ভাসে, আজব ধন্যলীলা গঙ্গা আসে, নিরন্তন সে মীন ভাসে, কুম্ভীর ভাসে তীর্থতীরে।” (পবিত্র লালন- ২৭৬/৩)।
‘শুক্র’ অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense for semen)
১. “আপন গর্ভে রেখে পতি, অনূঢ়া হয় গর্ভবতী, জলের মাঝে জ্বলছে বাতি, আকাশে বসিয়া সাঁই।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২. “উঠলি ঠেলে কোপের জ্বালায়, তাগা তাবিজ বাঁধলি গলায়, তাতে কী হয় ভালায়, মস্তকের জল শুষ্ক হলে।” (পবিত্র লালন- ৪১৬/৩)।
৩. “ব্রাহ্মণ চণ্ডাল চামার মুচি, একজলে সবার শুচি, দেখেশুনে হয় না রুচি, যমে তো কাউরে ছাড়বে না।” (পবিত্র লালন- ৪৬০/৩)।
৪. “ভালো জল সেচা কল পেয়েছে মনা, ডুবুরী যেজন পায় সে রতন, তোর কপালে ঢনঢনা।” (পবিত্র লালন- ৭২২/১)।
৫. “সাড়ে নয় ক্রোশ দীর্ঘ খালে, আট আঙ্গুলি বৈঠা ফেলে, সুরসিক সব যায়রে কূলে, অরসিক ডুবে জলে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
———————————————————————————-
১. “আগায় মোর মন মনরায়, বসে বসে চমক খেলায়, আমার দশা- তলাফাঁসা, জল সেচি আর বগল বাজায়।” (পবিত্র লালন- ৪৪৭/২)।
২. “আয় কে যাবি বড়শি বাইতে, নতুন পুকুরে, তলহীন সে উবুদপুকুর, জলহীন দুপুরে।” (পবিত্র লালন- ১৫৯/১)।
৩. “কেনরে মনমাঝি ভব-নদীতে মাছ ধরতে এলি, ওরে তোর মাছ ধরা ঠনঠনা, শুধু কাদাজল মাখালি।” (পবিত্র লালন- ৩৩৭/১)।
৪. “গুরুর সাথে করলে নিষ্ঠারীতি, জলের সাথে হয় পিরিতি, বাঁধে নয়নে দেহরতী, সুজন সুদিন ঘাটে গেলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৬)।
৫. “চান্দিছিলা মদনকানা, তুই ডুবালি ডিঙ্গিখানা, জলের মাঝে বাস করিয়া, ডিঙ্গি বাওয়া শিখলি না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১০৬)।
৬. “চিরদিন জল সেচি আমি, জল মানে না ভাঙ্গা নায়, একমালা জল সেচতে গেলে, তিনমালা জল জোগায় তলায়।” (পবিত্র লালন- ৪৪৭/১)।
৭. “ছিঃ ছিঃ লজ্জায় প্রাণ বাঁচে না, ভরা কলসের জল, ঢেলে যেন পড়ে না।” (পবিত্র লালন- ৪৫৩/১)।
৮. “ছিদ্রকুম্ভে জল আনতে যায়, তাতে জল কী মতে রয়, আসতে যেতে হয় গো দেরি, পিপাসায় প্রাণ বাঁচে না।” (পবিত্র লালন- ৩৯০/৪)।
৯. “ছিদ্র ছিল নায়ের মাঝখানে, ভরল তরী জল ছুয়ানে, জানতাম যদি ছিদ্র গোপনে, লালন কয় নায়ে চড়তাম না।” (পবিত্র লালন- ৭২/৪)।
১০. “জগৎজুড়া জাতি মুচি, একজলে সবারই সুচি, বলন কয় মনের রুচি, দয়াল সাঁইজির পদতলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৮)।
১১. “জলের মাঝে রয় অজলা, অথৈজলে লীলাখেলা, সুরসিকে মিলায় মেলা, ভাবিয়া কয় বলন তাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২৬)।
১২. “জাত বলে সবাই মুচি, একজলে সবার সুচি, বিজাতি বলে কেন অরুচি, সৃষ্টিকর্তা একজনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৯)।
১৩. “তেড়ে আসবে অগ্নিবালা- ছুড়িবে আগুনের গোলা, পাতালগামী কলের নালা- তল ছাড়া কত গহীন- লাখে লাখে নগরবাসী- আপন গলে পরবে ফাঁসি, আপনি মরবে জলে ভাসি-কত জগৎ হবে বিলীন।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৮)।
১৪. “না জানি কী হয় কপালে, চণ্ডীদাস ডুবল জলে, আমি এবার বাঁচলে, আর হব না কাণ্ডারী।” (পবিত্র লালন- ৯৫১/৩)।
১৫. “নিয়েছ জল সেচা এক চাকরি, পরিয়ে ধড়ি গেড়ে গুড়ি, সেচলি শুরু আখিরি, রসিক-পাড়ায় গেলে তোমায়, ঘুসকিরা দেয় লাথিয়ে।” (পবিত্র লালন- ৮৫৬/২)
।১৬. “নূরেতে কুল আলম পয়দা, আবার কয় জলের কথা, নূর কী পানি- বস্তু জানি, লালন ভাবে তাই।” (পবিত্র লালন- ৭৯৬/৪)।
১৭. “পড়লে ধরা পারাপারে- পড়ে এক জীবনের ফেরে, চুরাশি পূর্ণের দায়ে- আবার ধরে দেহাধার- দশ দেবতা ষোল সাথী- একদেহে করে বসতি, আবার হইয়া যায়রে মতি- বলন কয় সে জলধর।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩১)।
১৮. “পথের গোলমালে পড়ে, ডুবলাম কূপজল মাঝারে, লালন বলে কেশে ধরে, লাগাও গুরু কিনারায়।” (পবিত্র লালন- ৩৬৯/৪)।
১৯. “পুরুষ পরশমণি, কালাকাল তার কিসে জানি, জল দিয়ে সব চাতকিনী, করে সান্ত্বনা।” (পবিত্র লালন- ৪৬৫/৩)।
২০. “প্রেমনদেতে সাঁতার দিতে, জাগল না তোর বাসনা, ময়লা জলে প্যাক মাখালি, দেহের কুষ্ঠ সারল না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৮)।
২১. “বিন্দু-কায়া প্রদীপ দানী, মজাজল সে দীপখানি, মূলাধার ঐ চিমনি জানি, মুখখানি তারকাময়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮৫)।
২২. “বৃন্দাবনে জলের সনে, খেলছি সেথা আনমনে, শূন্যস্থানে সঙ্গোপনে, রসের রসিক দেখ সবে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮৩)।
২৩. “বৃন্দাবনের মাখন ছানাই, পেট তো ভরে নাই, নৈদে এসে দই চিড়াতে ভুলেছে কানাই, যার বেণুর সুরে ধেনু ফিরে, যমুনার জল উজান ধায়।” (পবিত্র লালন- ৯৬১/৩)।
২৪. “মন জানে না রসের করণ, জানে না সে প্রেমের ধরণ, জল সেচে হয়রে মরণ, কথায় কেবল বাজি জিতা।” (পবিত্র লালন- ৮৮৮/৩)।
২৫. “মরাগাছেতে তাজা কলি বসন্তে শুকাইয়া যায়, জল দিলে মূল শুকাইয়া বৃক্ষের পত্র ঝইরা যায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৬)।
২৬. “মূল হারালাম লাভ করতে এসে, দিলাম ভাঙ্গা নায়ে বোঝাই ঠেশে, জনম ভাঙ্গা তরী নিয়ে, বল ফুরালাম জল সেচে।” (পবিত্র লালন- ৮০৩/১)।
২৭. “মৌলভির মুখে জানা যায়, নাপাক জলে জান পয়দা হয়, ধুয়ে কী তা পাক করা যায়, আসল নাপাক যেখানে।” (পবিত্র লালন- ৫৯৩/২)।
২৮. “যার আশায় জগৎ বেহাল, তার আছে কী সকাল বিকাল, তিলেক মাত্র না দিলে জল, ব্রহ্মাণ্ড রয় না।” (পবিত্র লালন- ৪৬৫/২)।
২৯. “লালন সাঁইজির বুদ্ধি কাণ্ড, জল সেচে করছে সব লণ্ডভণ্ড, মাছ ধরিস না মনপাষণ্ড, করে মদনরাজার মন মতো।” (পবিত্র লালন- ৫০৭/৪)।
৩০. “শুদ্ধপ্রেম রসিক হলে, রসরতী উজান চলে, ভিয়ানে সদ্য ফলে, অমৃতমিছরি ওলা, লালন বলে আমার কেবল, প্রেমজল তোলা ফেলা।” (পবিত্র লালন- ৩৬৫/৫)।
৩১. “সদাই নদীর জল করছেরে কলকল, ছিপের বাড়ি খেলে হবি রসাতল, কত রসিক জেলে জাল ফেলে, প্রাণ নিয়ে দিচ্ছে সাঁতার।” (পবিত্র লালন- ৬৪৬/৩)।
৩২. “সমঝে ভবে করো সাধন, যাতে মিলে গুরুর চরণ, সিরাজ সাঁইজির বচন- শোন বলি লালন, এবার ছাড় সাধের জল সেচা।” (পবিত্র লালন- ৪৪৬/৪)।
৩৩. “সর্ব শাস্ত্রে আছে লেখা, জল দিয়ে সব লেখাজোখা, কোথায় গোপন ঘরদরজা, কোথায় সে মনের রাজা, বয়ে বেড়ায় পুঁথির বোঝা, আপনারে আপনি ভুলে।” (পবিত্র লালন- ৬৮৭/২)।
৩৪. “সাঁতার শিখলি না, প্রেমযমুনার ডুবুরী হলি না, বিল বাওড়ে ফাও ডুবালি, ঐ অথৈজলে নামলি না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৮)।
৩৫. “সাধের একখান তরী ছিল, অযতনে বিনাশ হলো, জল চুয়ায় রাত্রি দিনে, সময়ে গাব দিতাম যদি, বাইতে পারতাম জীবন অবধি, তরী আদর করতো মহাজনে।” (পবিত্র লালন- ১৬৪/২)।
৩৬. “সুখ-সাগরের ঘাটে গিয়ে, মৎস্য ধর হুঁশিয়ারে, জল ছুঁয়ো না মনরসনা, বলি তোমায় বারে বারে।” (পবিত্র লালন- ৯৫২/১)।
৩৭. “হাওয়াতে হাওয়া মিশিয়ে, যাওরে মন উজান বেয়ে, জলের বাড়ি লাগবে না রে, যদি গুরুর দয়া হয়।” (পবিত্র লালন- ৯১১/২)।
‘পালনকর্তা’ অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense for guardian)
১. “অমৃত-সাগরের সুধা, পান করলে জীবের ক্ষুধা তৃষ্ণা, রয় না, লালন মরল জল পিপাসায়রে, কাছে থাকতে নদী মেঘনা।” (পবিত্র লালন- ২৫৭/৫)।
২. “আকাশে আখেটি করতে পাশ পাতে পাতালে, বাতাসে কৌশল করিয়া বসিয়া রহে জলে, প্রেমের রশি লাগায়- বাঁন্ধিয়া রাখে কারায়, যদি ধরা পড়ে হায়, মুক্তি পাবার সাধ্য নাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬০)।
৩. “করো সন্ধান আবহায়াত নদীর (মন আমার), কোন নদীতে রয় সে জল, কিভাবে তা হয় বাহির।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩২)।
৪. “চলাফেরা তাহার জলে, সাধুগণ অমৃতসুধা বলে, বলন কয় কপাল ফলে, মনরে ধর তারে ছেড় না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩)।
৫. “চাঁদ ধরবি নদীর মাঝে, জানগে পুছে সাধুর কাছে, বলন কয় জলে ভাসে, প্রাণনাথ দয়াল সাঁই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১০৫)।
৬. “চাতক মরলে যাবে জানা, ঐ নামের গৌরব রবে না, জল দিয়ে করো সান্ত্বনা, অবোধ লালনে।” (পবিত্র লালন- ৪৪১/৪)।
৭. “চাতক যেমন মেঘের জল বিনে, অহর্নিশি চেয়ে থাকে মেঘ ধিয়ানে, তৃষ্ণায় মৃতগতি জীবনে, আমায় ধরল সে দশায়।” (পবিত্র লালন- ১৫৪/২)।
৮. “চাতকের এমনই ধারা, তৃষ্ণায় জীবন যায় মারা, অন্য বারি খায় না তারা, মেঘের জল না হলে।” (পবিত্র লালন- ৪৪২/৩)।৯. “চামকুঠরী চিলেকোঠা, দু’ধারা জল খিড়কি আটা, পাহারাই রয় সেনা সেথা, কেউ বাঁচে না খালে পড়লে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৬)।
১০. “তুমি হে নব জলধর, চাতকিনী মরল এবার, ঐ নামের ফল সুফল রাখ এবার, এ ভুবনে।” (পবিত্র লালন- ৪৪১/২)।
১১. “নদী কিংবা বিল বাওড় খাল, সর্বস্থলে এক সে জল, একা মোর সাঁই- আছে সর্ব ঠাঁই, মানুষ রূপে হয় রূপান্তার।” (পবিত্র লালন- ৯২৬/২)।
১২. “পদাঘাতে জল বাহির হয়, সে জলেতে কুষ্ঠ সেরে য়ায়, সে জলেতে চার যুগেতে, জিয়ান রূপে রয় খিজির।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩২)।
১৩. “বিচারের দায় করবে খাড়া, মারিবে সে আগুনের কোড়ারে, পাগল মনরে সে জল বিনা, কূল পাবে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৩)।
১৪. “ভূলোক ছেড়ে দ্যুলোক গেলে, স্বর্গলোকের সপ্ততলে, আপনজনা পাবি জলে, বিনয় করে কয় বলন।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৪)।
১৫. “মহামায়ার জাল কাটিয়া, সংসার ছেড়ে উড়াল দিয়া, তেমাথায় ঘর বান্ধিয়া, বাস করে জলের পরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫৩)।
১৬. “মেঘপানে চাতকের ধ্যান, অন্য জল করে না পান, লালন কয় জগতে প্রমাণ, ভক্তির শ্রেষ্ঠ ভক্তি।” (পবিত্র লালন- ৩১৮/৪)।
১৭. “হায়রে বিধি ওরে বিধি, তোর মনে কী এটাই ছিল, সমুদ্রের কিনারে থেকে, জল বিনা চাতকী মরল।” (পবিত্র লালন- ৯৯৪/১)।
———————————————————————————-
১. “অনলে জল উষ্ণ হয় না, জলেতে অনল নিভে না, এমনই সে কুদরতির কারখানা, দিবারাতি।” (পবিত্র লালন- ৩৪১/২)।
২. “আপনি ফকির আপনি ফিকির, সে লীলার ছলে, আপনার আপনি- ভুলে রাব্বানি, আপনি ভাসে আপন প্রেমজলে।” (পবিত্র লালন- ৬১৪/২)।
৩. “আপনি সাঁই ফকির, আপনি হয় ফিকির, ও সে নিলে ছলে, আপনারে আপনি- ভুলে রাব্বানি, আপনি ভাসে আপন প্রেমজলে।” (পবিত্র লালন- ৭৪৭/৩)।
৪. “আপনি সাঁই ফকির, আপনি ফিকির, সে লীলার ছলে, আপনার আপনি- ভুলে রাব্বানি, আপনি ভাসে আপন প্রেমজলে।” (পবিত্র লালন- ১১৯/৩)।
৫. “আয়রে সাত আকাশের দ্বার খুলিয়া জলেতে মিশে, আয়রে প্রাতঃ সন্ধ্যা কোমলকোঠায় বাতাসে ভেঁসে, হাজার মাস যোগ ধরিলে, দেখতে পাবি গুরুসাঁই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩১২)।
৬. “আসমানে বরিষণ হলে, জল দাঁড়ায় মৃত্তিকা স্থলে, লালন ফকির বলে, সে বারি চিনবে ভাবুক যারা।” (পবিত্র লালন- ৬৫৫/৪)।
৭. “ঐ ছড়ার হাঁড়ির জল, কখনও হয় পরমফল, কখনও তারে ছুঁসনে বলে, করে আড়ি।” (পবিত্র লালন- ৭১২/২)।
৮. “এক নেংড়া এক কানা, পাহারা দেয় এ দুইজনা (গো), তৃষ্ণার জল চাইতে গেলে, চড়াইয়া দেয় শূলেতে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৯)।
৯. “একবিন্দু জল পান করে, জন্ম-মরণ যায়রে দূরে, বলন কয় সাধুরা ঘুরে, সে জলের আশে সকলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২)।
১০. “এক-শূন্য হলে নিরূপণ, জল রূপে সাঁই বরিষণ, বিনয় করে কয় বলন, এক হাজার মাস পরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৯)।
১১. “কবে হয় সজল বরষা, রেখেছি মন সে ভরসা, আমার এ ভগ্নদশা, যাবে কতদিন পরে, এবার যদি না পাই চরণ, আবার কী পড়ি ফেরে।” (পবিত্র লালন- ৮৬০/২)।
১২. “কিরূপে নীর আকার হলো, ডিম্ব রূপে সাঁই জলে ভাসল, সে অন্বেষণ যে করল, সে যায় দেশে।” (পবিত্র লালন- ৫৬৫/৩)।
১৩. “কুল ত্যেজে গিয়ে অকুলে, বসে রয় সে সিদ্ধিমূলে, ক্ষণেক ভাসে শুভ্রজলে, উত্তরে উড়িয়ে ধ্বজা।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
১৪. “কূপজলে সে গঙ্গার জল, পড়লে সে হয়রে মিশাল, উভয় এক ধারা, তেমনই, জেনো ফানার করণ, স্বরূপ রূপে রূপ মিলন করা।” (পবিত্র লালন- ৯৩৩/৩)।
১৫. “কেমন সুখ রান্নার জল আনা, তা কেন কেউ দেখলে না, মুখের কথার মিষ্টি দিয়ে সে না, করেন ইষ্ট গোঁসাই ফষ্টামি।” (পবিত্র লালন- ৯১২/২)।
১৬. “গঙ্গা জুড়া একমীন গাঙ্গে, খেলছে খেলা পরম রঙ্গে, লালন বলে জল শুকালে, মীন যাবে হাওয়ায়।” (পবিত্র লালন- ৮৮০/৪)।
১৭. “গঙ্গায় রইলে গঙ্গাজল হয়, গর্তে গেলে কূপজল কয়, বেদ বিচারে, তেমনই, সাঁইয়ের বিভিন্ন আকার, জানায় পাত্র অনুসারে।” (পবিত্র লালন- ৯৩৯/২)।
১৮. “গুরুধন চিনলি না মন, হলো না জলের সাধন, পারঘাটে হয়রে মরণ, বৈঠা ভাঙ্গে জন্মনালে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৬)।
১৯. “ঘরে বধূ বিষ্ণুপ্রিয়ে, রেখে এলাম ঘুমিয়ে, নিতাই এসে জল ঢেলে, শান্ত করবে আপন মনে।” (পবিত্র লালন- ৮৫১/৩)।
২০. “জল নিরূপণ হয় যদি, জানা যায় সে রূপনিধি, মানুষের করণ হয় সিদ্ধি, সে রূপ দেখলে।” (পবিত্র লালন- ৯৭৫/২)।
২১. “জলের মধ্যে পবিত্রজল, শুন্যেতে সাঁই সাদাজল, ধরতে গেলে হয় তলাতল, সাধুজন বড় পাঁজি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৯)।
২২. “জলের-মানুষ না হলে, মানুষ-নিধি ভাগ্যে কী মিলে, যে জলে জ্বালায় আগুন, সে জল পায় যোগ্য হলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৬)।
২৩. “ত্রিধারা জলের কারবার, পুণ্য হয় অটল-বিহার, অধঃপতন পাপ সমাচার, সাধের দেহ হয় শ্মশান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮১)।
২৪. “ত্রিমণ্ডলে নিতাইশালে, দয়াল সেথা থাকে জলে, দাসের ’পর করুণা হলে, খুলে দেয় দুয়ারখানা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯০)।
২৫. “নারিকেলেতে জলের সঞ্চার, জলপূর্ণ হওয়া বুঝে ওঠা ভার, আছে গোপিকার গোপনকর্ম, জানে রসিকজন, মরতে পারলে ধরতে পারা যায়, মুখের কথা না।” (পবিত্র লালন- ৩৯০/৩)।
২৬. “দ্বিদলে চলে যোগেশ্বরী, অষ্টাঙ্গেতে হলে হাজারী, নিরাকার সাঁই হয় আকারী, জলাকারে যায় চেনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯৩)।
২৭. “নিজে কর নিজ অন্বেষণ, দেখবে জল রূপে শীল বরিষণ, করো না রে হায়ঃ হুতাষণ, যেতে কঠিন পারাপারে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১)।
২৮. “নিগূঢ়ে নিগমেতে সাঁই জলাকার স্বরূপ ধরি, নীরাকারে চলেফেরে বলিতে সে রূপ ডরি, হাজার মাস হলে তাপন- নীরাকার হয় নিরঞ্জন, জলাকারে হয় বরিষণ- বানে ভাসে জন্মনালা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৪০)।
২৯. “পানিকাউড় দয়াল-পাখি, রাতদিন তারে জলে দেখি, হাবুডুবু করে মরল, তবুও; কাদা গায়ে মাখল না, আমার চিন্তাজ্বর তো গেল না গুরু উপায় বলো না।” (পবিত্র লালন- ৬২০/১)।
৩০. “পাশাখেলতাম নিরজনে বান্ধব তোরই সনে, আজ সুধাজলে মাখামাখি করিতাম দু’জনে, রাত কাটে না প্রহর গণে, বিরহ ব্যথা সহে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫৩)।
৩১. “পাহাড় গলে সুধা ঝরে, থাকে না কোনো লোনা। শূন্যে উড়ে সাঁই সাদাজল, এই দেশে নাই ঠিকানা, বলন কয় বায়ু বেন্ধে, কর সাঁইয়ের সাধনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫২)।
৩২. “প্রাতরাশ কর পবিত্রজলে, সান্ধ্যেও তা পানে পেলে, উপোস হয় খাঁটি মূলে, দূর হয় জন্ম-মরণ।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯৭)।
৩৩. “প্রেমনদীতে প্রেমজল থাকে চিরকাল, প্রেমকোদাল এনে কাট প্রেমখাল, প্রেমচওড়া পাতো পথে- প্রেমের মাছ বাঁধবে তাতে, কই জিওল খয়রা পুঁটি বাঁধবে না।” (পবিত্র লালন- ৫৩৯/২)।
৩৪. “প্রেমযমুনার মিষ্টিজল, স্বরূপ কী চিনলি না, দেখ দেখ প্রেমযমুনায়, চলছে সেথা ত্রিঝরণা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৮)।
৩৫. “ফুল ফোটে তার গঙ্গাজলে, ফল ধরে তার অচিনদলে, পূর্ণ হয় সে ফুলে ফলে, তাতে কথা কয়।” (পবিত্র লালন- ৮৮০/৩)।
৩৬. “বলন কাঁইজি ভাবিয়া বলে, শেষে সাঁইরূপ দেখবি জলে, দেশে গমন ঠিক না বলে, পথের মাঝে মরবি পুড়ে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬৯)।
৩৭. “বান এলে প্রেমযমুনায়, ধ্যান রাখলে মণিকোঠায়, অধীন বলন বলে তাই, পাবি সে জল কৌশলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৬)।
৩৮. “বিনা হয় চরণামৃত, যা খেলে যায় জরা-মৃত, লালন বলে চেতনগুরুর সঙ্গ নিলে, সোজা দেখিয়ে দেয়।” (পবিত্র লালন- ৯১৬/৪)।
৩৯. “মণিপুরে মনোহারী নল, ত্রিবেণীতে আছে বাঁকা কল, মাকড়ার আঁশে বন্দি জল, লালন বলে কেউ বুঝে কেউ পড়ে ফেরে।” (পবিত্র লালন- ৯৫/৪)।
৪০. “মেঘের জল বৈ চাতক যেমন, অন্য জল করে না গ্রহণ, কৃষ্ণ ভক্তজন একান্ত মন, কৃষ্ণের লাগি।” (পবিত্র লালন- ৩২৬/২)।
৪১. “যাস যদি জল আনিবারে, যাত্রা শুভ ঐ সোমবারে, অটলযজ্ঞ শিক্ষা করে, মন বেচিয়া সাধুর কাছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৯৮)।
৪২. “শূন্যপুরে জলের কারা, গুরু বিহীন যায় না ধরা, বলন কয় বয়রে ধারা, পঞ্চাশ হাজার বছরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩০৪)।
৪৩. “শোষায় শোষে না ছাড়ে বান, ঘোর তুফানে বায় তরী উজান, তার কামনদীতে চর পড়েছে, প্রেমনদীতে জল পোরা।” (পবিত্র লালন- ৪৭৭/২)।
৪৪. “সকাল সাঁঝে জোয়ার ভাটা, ধারা সুধা মধু লবণকটা, সাধনে নাই কোনো ঘটা, ত্রিধারা জল তল-ওপরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩০৪)।
৪৫. “সহজবস্তু সহজ হয়ে, পাকাগুরুর শিক্ষা লয়ে, সেধেছে যেজনা, তার কাম-সাগরে চর পড়েছে, প্রেমসাগরে জল আঁটে না।” (পবিত্র লালন- ৮৫৮/২)।
৪৬. “সাক্ষী আছে চাতকরে, ওসে কোন সাধনে যায় মরে, চাতক অন্য বারি খায় না রে, থাকে মেঘের জলের আশায়।” (পবিত্র লালন- ৫০/২)।
৪৭. “সিরাজ সাঁইজি বলে, লালন ডুবে থাকরে সিন্ধুজলে, তাতে অঙ্গ শীতল হলে, হবি চন্দ্র-ভেদী তোরা।” (পবিত্র লালন- ৬৯৬/৪)।
৪৮. “সে অন্ন পাক হয় না, ঠাণ্ডা জল উষ্ণ হয় না, বলন কয় প্রেম-উপাসনা, হলো না জীবনভরি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৭৭)।
৪৯. “সাঁই আমার জলের ব্যাপারী, সাধু হলো হাজারী, শূন্যে সাঁইয়ের সহস্র কোঠা, পঞ্চাশ হাজার কাচারী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩৫)।
৫০. “সাগর পাড়ে জন্ম আমার সাগরে আনাগোনা, জনমভরে জল খুঁজিলাম চখে দেখলাম না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৯)।
৫১. “সারানিশি যোগ ধরিয়া একা ঘরে থাকি বসিয়া, জলেতে উদয় প্রাণনাথ দাসের বাতাসে মিশিয়া, গুরু বিনা দেয় না দেখা, ঐ নিশি হইলে প্রভাত।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫০)।
৫২. “হলেরে সাধুর করুণা, মিলেরে সে জল মহীমা, করণকারা ভাণ্ডখানা, সাধুর নিকট জানিলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২)।
‘সৃষ্টিকর্তা’ অর্থে ‘জল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology water sense for creator)
১. “সখী জলকে চল জলকে চল, জলকে চল গোকুলে, শ্যামের বাঁশী বাজে বাজেরে, রাধা রাধা বলে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২. “সাধন হলে একনিষ্ঠ, সারিবে আঠারোকুষ্ঠ, আপনা আপন হবে দৃষ্ট, প্রেমনদের মধুজলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২)।
—————————————————–
১. “ভাণ্ডের জল ঢেলে ফেলে, শ্যাম বলে ওঠালে, আধা যায় খাকে মিলে- জল আর কী মিলে, সেখানে নাই টলাটল, সে অটল হয়ে বসেছে।” (পবিত্র লালন- ৮২১/২)।
২. “সাতকুড়ি ত্রিবেণী তলে, আল্লাহ ব্রহ্মা কাঁই জলে, যোগাযোগ দুই মৃণালে, বিণয় করে বলন কয়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৩)।
জলের ওপর কয়েকটি পূর্ণ বলন (Some full Bolon on the water)
১. “আবহায়াত নদীর কূলে
হলে পরে ঊর্ধ্বগমন
যেতে পারবি ও পাগল মন
মরার আগেই মরিলে।
হলেরে সাধুর করুণা
মিলেরে সে জল মহীমা
করণকারা ভাণ্ডখানা
সাধুর নিকট জানিলে।
সাধন হলে একনিষ্ঠ
সারিবে আঠারোকুষ্ঠ
আপনা আপন হবে দৃষ্ট
প্রেমনদের মধুজলে।
একবিন্দু জল পান করে
জন্ম-মরণ যায়রে দূরে
বলন কয় সাধুরা ঘুরে
জলের আশে সকলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২)।
২. “আমি শত্রু মেরে রাজা হ্ব বল কী করে বল কী করে
তাড়ালে তেড়ে আসে মারিলে বাড়ে অচেনশহরে।
অথৈজলে জল কারাগার সে সপ্তসাগর তলে
কিঞ্চিৎ জল দেয় পান করিবার মাসটি গত হলে
মনোহরী সাগরকন্যা সেথায় মানুষ ধরে খায়
পালাক্রমে আহার করে কারো নিস্তার নাই
কী ঘটে অন্তিমকালে
আমার পরাণ কাঁপে ডরে।
চৌদিকেতে শত্রুসেনা সদা পাহারা দেয় ঘরে
হস্ত পদ বান্ধিয়া আমায় রাখে অন্তপুরে
সাধন-হারা বন্দীকারা সেথা আপন কেহ নাই
কার ছায়ায় দাঁড়াব এখন কেবা দিবে ঠাঁই
কেউ বলে না জল নমুনা
জনমভর জলে মারে।
মুখ বাঁন্ধা রইছে পাত্রের জল খাই কেমন করে
হস্ত পদ বাঁধা বলনের তৃষ্ণায় যাই মরে
ভজন সাধন যায় রসাতল প্রাণেতে লাগে ভয়
ক্ষণেক পর লইয়া যায় জল কোনো উপায় নাই
মানে না আত্মীয় স্বজনা
সদাই লেনাদেনা পরেপরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩৩)।
৩. “করো সন্ধান আবহায়াত নদীর (মন আমার)
কোন নদীতে রয় সে জল
কিভাবে তা হয় বাহির।
পদাঘাতে জল বাহির হয়
সে জলেতে কুষ্ঠ সেরে য়ায়
সে জলেতে চার যুগেতে
জিয়ান রূপে রয় খিজির।
দেখবি গিয়ে সাগরপাড়ে
ত্রিধারা বয় এক সাগরে
যেতে হবে মিঠা ধারে
নিরীক্ষ ধরে ত্রিবেণীর।
কৃষ্ণ-শুক্ল ভেদ বিচারে
জোয়ার-ভাটা হয় সাগরে
বলন কয় পেতে তারে
করো গুরুর দাস্যগির।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩২)।
৪. “সাগর পাড়ে জন্ম আমার সাগরে আনাগোনা
জনমভরে জল খুঁজিলাম চখে দেখলাম না।
জলের বুকে করি বসবাস
জলই বৈরী জলই সর্বনাশ
তৃষ্ণায় হয় প্রাণনাশ
জলের সন্ধান পেলাম না।
যে জলে এ তরী চলে
যারে অমৃতসুধা বলে
তারে আমি অবহেলে
জল সাধনা হলো না।
জলের নৌকা বায়ুর বৈঠা
গোপনে সেই জলকোঠা
বলন কয় জল বারতা
জল ছাড়া কল চলে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৯)।
৫. “সাঁতার শিখলি না
প্রেমযমুনার ডুবুরী হলি না
বিল বাওড়ে ফাও ডুবালি
ঐ অথৈজলে নামলি না।
প্রেমনদীতে সাঁতার দিতে
জাগল না তোর বাসনা
ময়লা জলে প্যাক মাখালি
দেহের কুষ্ঠ সারল না।
প্রেমযমুনার মিষ্টিজল
স্বরূপ কী চিনলি না
দেখ দেখ প্রেমযমুনায়
চলছে সেথা ত্রিঝরণা।
অগাধ জলে ত্রিমণ্ডলে
দেখ সাঁইরূপ মহিমা
বলন কয় কিনার নাই
কী চমৎকার কারখানা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৮)।
জলের ওপর ১টি পূর্ণ লালন (A full Lalon on the water)
১কে বুঝতে পারে আমার
সাঁইয়ের কুদরতি,
অগাধ জলের মাঝে জ্বলছে বাতি।
২অনলে জল উ হয় না,
জলেতে অনল নিভে না,
এমনই সে কুদরতির কারখানা,
দিবারাতি।
৩বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে,
জল রয়েছে বিনা স্থলে,
আখিরে হয় জল অনলে,
প্রলয় অতি।
৪জলে যেদিন ছাড়বে হুংকার,
ডুবে যাবে আগুনের ঘর,
লালন বলে সেদিন বান্দার,
হয় কী গতি।” (পবিত্র লালন- ৩৪১)।
জলের সংজ্ঞা (Definition of water)
সাধারণত; তরল পানীয়কে জল বলে।
জলের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of water)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মাতৃগর্ভে ভ্রূণ লালনপালনে নিয়োজিত শ্বেতবর্ণের মানবজলকে পালনকর্তা বা রূপকার্থে জল বলে।
জলের প্রকারভেদ (Variations of water)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে জল দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান জল ও ২. উপমিত জল।
১. উপমান জল (Analogical water)
সাধারণত; তরল পানীয়কে উপমান জল বলে।
২. উপমিত জল (Compared water)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে মাতৃগর্ভে ভ্রূণ লালনপালনে নিয়োজিত শ্বেতবর্ণ মানবজলকে পালনকর্তা বা উপমিত জল বলে।
জলের পরিচয় (Identity of water)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পালনকর্তা’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর সর্বাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; তরল পানীয়কে জল বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; কামরস, দুগ্ধ, শুক্র, সুধা, মধু, মূত্র ও রজ ইত্যাদিকে জল বলা হয়। তবে; এখানে; কেবল পালনকর্তাকেই জল বলা হয়েছে। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুরাণে ব্যবহৃত জল পরিভাষাটির দ্বারা উক্ত ৭টি সত্তাকেই বুঝানো হয়। কেবল ব্যবহারের ক্ষেত্র অনুযায়ী এদের অভিধা উদ্ঘাটন করা সব পাঠক-পাঠিকা ও অনুরাগীদের একান্ত প্রয়োজন।
অন্যদিকে; বড় আশ্চর্য হবার বিষয় হলো সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ‘জল’ পরিভাষাটির দ্বারা কেবল সাধারণ H2O (হাইড্রোক্সিল) বা সাধারণ জলকেই বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। তাই; সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা কখনই শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত জলের শিক্ষা কখনই পায় না। এ কারণে শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত জল দ্বারা তারা কেবল সাগর, নদী, বিল, ঝিল, কূপ ও বৃষ্টির জল ছাড়া অন্য কোনো জলের কল্পনাও করতে পারে না। কার্যত দেখা যায় শ্বরবিজ্ঞানে যেসব জলের বর্ণনা করা হয়েছে- সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা তার বর্ণনা করছে না। যেমন; ‘অশ্রু’, ‘কামরস’, ‘মূত্র’, ‘রজ’, ‘শুক্র’, ‘পালনকর্তা’ ও ‘সৃষ্টিকর্তা’ ইত্যাদি। এসব পরিভাষার উদাহরণ ওপরে তুলে ধরা হয়েছে। বিপরীতক্রমে শ্বরবিজ্ঞানে যে জলের বর্ণনা করার প্রশ্নই আসে না, কখনও কোনো ক্রমেই যে জলের বর্ণনা করা হয় না, এমনকি; যে জলের বর্ণনার কোনো প্রয়োজনই নেই- তারা সে সাধারণ জল নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে সময় কাটিয়ে থাকে। তারা সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও অনুসারীদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গেছে- জল পচা ও দুর্গন্ধ কী না?, সাগর নাকি নদীর জল?, জলে কোনো মরা পড়েছে কী না? জলে কেউ মল-মূত্র ফেলেছে কী না? জলাশয়ের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ দশহাত বাই দশহাত কী না? জলাশয়টি সরকারী নাকি বেসরকারী? হ্যাঁ হাঁসবেন না। এসবই হলো হিন্দু ও মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক পাঠ্যক্রম। উপনিষদ ও হেদায়াতে এসব আলোচনাই অধিক করা হয়। অর্থাৎ; এককথায় বলা যায় শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ‘অশ্রু’, ‘কামরস’, ‘মূত্র’, ‘রজ’, ‘শুক্র’, ‘পালনকর্তা’ ও ‘সৃষ্টিকর্তা’ এসব জলের পরিবর্তে সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা সাগর, নদী, বিল, ঝিল, কূপ ও বৃষ্টির জল নিয়েই আলোচনায় ব্যস্ত থাকে।
পরিশেষে বুকভরা দুঃখ ও বেদনার সাথে জানাতে চাই যে; সারা বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকদের অবস্থ ঠিক একই। সবাই দেহতত্ত্ব পরিত্যাগ করে প্রকৃতি নিয়ে ব্যস্ত। এরা সবাই ছিন্নমূল। পুরাণের জ্ঞানহীন, শিক্ষাহীন অজ্ঞরা মরমী, সাধু ও সন্ন্যাসীদের প্রতিনিয়ত গালিগালাজ করে। মন্দ ভাষায় কথা বলে। সারা বিশ্বের দিকে চেয়ে দেখুন আগ্রাসন, হত্যা, হনন, বধ ও বলিতে কারা জড়িত সাধুরা নাকি সাম্প্রদায়িকরা? যারা সাধু-সন্ন্যাসী, মুনি ও ঋষিদের সব সময়ই গালাগালি করে থাকে সেই সাম্প্রদায়িকরাই আজ সারা বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী। অযোধ্যা, রোহিঙ্গা, ইরাক ও ফিলিস্তিন এসব স্থানে হত্যা হনন বধ বা বলির কারণ একমাত্র সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক সন্ত্রাসবৃত্তি। বুদ্ধিমানগণ এগিয়ে আসুন। এখনই বিশ্ববিখ্যাত সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকার সঠিক-বাস্তবমুখী শিক্ষা বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরতে চেষ্টা করি। সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক অন্ধবিশ্বাস হতে ভাবি প্রজন্মকে তথ্য, দর্শন, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান গ্রহণ ও ব্যবহার করার মুক্তাঙ্গনে আনায়ন করতে চেষ্টা করি।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.