জীবাত্মা

৬২/৪. জীবাত্মা
Electronegativity (ইলেক্ট্রনিগেটিভিটি)/ ‘كهرسلبية’ (কাহারসিলাবিয়া)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বিদ্যুৎ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা। এর বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা বিদ্যুৎ। এর বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা আত্মা। এর বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা পাখি এবং এর বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা বিজলি

অভিধা (Appellation)
জীবাত্মা (বাপৌছ)বি ত্তজস্বিতা, জীবের প্রাণ ধারণ ক্ষমতা, যে শক্তির বলে জীব বেঁচে থাকে, জীবকোষ সৃষ্টি ও জীবিত রাখার দায়িত্বপালনকারী শক্তি, electronegativity, ‘كهرسلبية’ (কাহারসিলাবিয়া), embodied soul, current electricity, ‘ﻨﻔﺲ ﺍﻟﺤﻴﻮﻴﺔ’ (নাফ্সুল হায়াবিয়া), (ﺒﺮﻖ ﺍﻟﺠﺎﺮﻯ .বারকুজ জারি) (ব্য্য) শ্বরবিজ্ঞানে জীবাত্মা বলতে কেবল জীবদেহের বিদ্যুৎকে বুঝায় (প্র) বঙ্গদেশের বাউলদের সৃষ্ট ১.পরমাত্মা ২.ভূতাত্মা ৩.জীবাত্মা ৪.প্রেতাত্মা ৫.গোয়াত্মা এ পঞ্চাত্মার একটি (শ্ববি) আত্মা, প্রাণ, জীবন, soul, life,রুহ (.ﺭﻮﺡ) (আঞ্চ) পরান (রূপ্রশ) অলোক, আলেক (ফাপ) জান (ফা.ﺠﺎﻦ), জি (হি.ﺠﻰ) (ইংপ) spirit (পরি) প্রাণীদেহে ব্যাপৃত চৈতন্যময়-সত্তা (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বিদ্যুৎ পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; জীবের প্রাণশক্তিকে জীবাত্মা বলা হয়. শ্বরবিজ্ঞানে জীবদেহের বিদ্যুৎকে জীবাত্মা বলা হয় (বাপৌছ) জীবাত্মা (বাপৌচা) বিজলি (বাপৌউ) পাখি (বাপৌরূ) আত্মা (বাপৌমূ) বিদ্যুৎ{বাং.জীব+ বাং.আত্মা}

জীবাত্মার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of electronegativity)
১.   “জীবাত্মা আর পরমাত্মা, ত্রিসংসারের জগৎকর্তা, কিভাবে এ কর্মকর্তা, সহস্র যোনি কোথায় ফিরে।” (পবিত্র লালন- ৪৭৫/৩)
২.   “জীবাত্মা পরমাত্মা, ভূতাত্মা আত্মারাম, আত্মারামেশ্বর দিয়ে পঞ্চাত্মা, এ ধড় হয় তাদের আস্তানা।” (পবিত্র লালন- ৫৪৯/২)

জীবাত্মার সংজ্ঞা (Definition of electronegativity)
সাধারণত; জীবের প্রাণশক্তিকে জীবাত্মা বলে।

জীবাত্মার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of electronegativity)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবদেহকে সজীব রাখতে সহায়তাকারী বিদ্যুৎকে জীবাত্মা বলে।

জীবাত্মার প্রকারভেদ (Variations of electronegativity)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবাত্মা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান জীবাত্মা ও ২. উপমিত জীবাত্মা।

. উপমান জীবাত্মা (Analogical electronegativity)
সাধারণত; জীবের প্রাণশক্তিকে উপমান জীবাত্মা বলে।

. উপমিত জীবাত্মা (Compared electronegativity)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবদেহ সজীব রাখতে সহায়তাকারী বিদ্যুৎকে উপমিত জীবাত্মা বলে।

জীবাত্মার পরিচয় (Identity of electronegativity)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বিদ্যুৎ পরিবারের অধীন একটি বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।

জীবাত্মাই হলো জীবের প্রকৃত আত্মা। জীবাত্মার আলোচনা আরম্ভ করার পূর্বে সুমহান পুস্তক-পুস্তিকাগুলো হতে জীবাত্মার উদ্ধৃতি বা ব্যবহার জেনে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমরা প্রথমে পবিত্র লালন হতে জীবাত্মার উদ্ধৃতিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। যেমন; “জীবাত্মা পরমাত্মা, ভূতাত্মা আত্মারাম, আত্মারামেশ্বর দিয়ে পঞ্চাত্মা, এ ধড় হয় তাদের আস্তানা” (পবিত্র লালন-৫৪৯/২)। আবার জীবাত্মার অন্য নাম আত্মারাম। এজন্য; সাঁইজি বলেছেন; ১.“জীবাত্মা পরমাত্মা, ভূতাত্মা আত্মারাম, আত্মারামেশ্বর দিয়ে পঞ্চাত্মা, এ ধড় হয় তাদের আস্তানা” (পবিত্র লালন-৫৪৯/২)। ২.“সদাই বল আত্মারাম, মুখে লওরে কৃষ্ণনাম, যাতে মুক্তি পাই, সে নামে তো- হয় না রত, খাব খাব রব সদাই” (পবিত্র লালন-৮৬৩/২)

জীবাত্মাকে মুসলমান পারম্পরিকরা কোথাও কোথাও রুহে হাইওয়ানি (رُوحِ ﺤﻴﻮﺍﻨﻰ) বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে; এটার ব্যবহার অত্যন্ত স্বল্প।

জীবাত্মা এক প্রকার শক্তি। জীবাত্মার বর্ণ, রূপ, দৈর্ঘ্য-প্রস্থ, ছোট-বড়, আকার ও আয়তন কিছুই নেই। তবে; জীবাত্মার সৃষ্টি-ধ্বংস বা সংযোজন-বিয়োজন রয়েছে। জড়বস্তুর জীবাত্মা নেই তবে ধর্ম রয়েছে। যে শক্তির বলে জড়বস্তু তার ধর্ম অটুট রাখে তাকেই জড়বস্তুর পরমাত্মা বলা হয়।  জীবাত্মা একমাত্র জীবকোষে ক্রিয়াশীল এবং প্রতিটি জীবকোষে সমানভাবে ক্রিয়াশীল। জীবাত্মার অপসারণ করলে জীবের প্রয়াণ ঘটে। যেমন; ডিম বা ধান সিদ্ধ করলে জীবাত্মা মারা যায়। যারফলে; সিদ্ধ ডিমের ছানা ফোটে না এবং সিদ্ধ ধানের অঙ্কুরোদ্গম হয় না। জীবাত্মাকেই জীবের প্রকৃত আত্মা বলা হয়।

জীবাত্মার প্রভাবেই জীবকুল জীবিত থাকে। আগুন, জল, মাটি ও বাতাস দ্বারা জীবাত্মা সৃষ্টি করা যায়। যাকে সৃষ্টি করা যায় তাকে হত্যাও করা যায়। মহাবিজ্ঞানে বৈষয়িক জীবাত্মার কোনো সাধন ও ভজন নেই। তবে; স্ব স্ব জীবকে দীর্ঘায়ু করা সব সাধকের মূল লক্ষ্য। এ শাস্ত্রে কেউ কেউ মনকেও জীবাত্মা বলে ধারণা করে থাকে। আবার কোনো কোনো প্রবক্তা জীবের কামশক্তিকেও জীবাত্মা বলে মত প্রকাশ করে থাকে। এসব মনগড়া মতবাদ খণ্ডণের জন্য আমরা বলবো অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদের কামক্রিয়া বা কামশক্তি কোনটিই নেই তারাও তো জীব। তাই; এ মত গ্রহণযোগ্য নয়। যারা মনকে জীবাত্মা বলে থাকে তাদের ব্যাপারে বলবো- কখনও কখনও প্রাণীর মন অপসারণ করলে বা মন না থাকলেও জীব বেঁচে থাকে। তাই; মনকে জীবাত্মা বলা যায় না। যেমন; সাধারণ অজ্ঞান বা কৃত্রিম রূপে অজ্ঞান জীব। ঔষধ সেবন বা প্রয়োগের মাধ্যমে জীবের মন ও জ্ঞান অপসারণ করে জীবকে অজ্ঞান করে দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। তখনো তো জীব বেঁচে থাকে কিন্তু মন ও জ্ঞান কিছুই থাকে না। পরিশেষে বলা যায় জীব মন ব্যতীত বেঁচে থাকতে পারে। তাই; মন আত্মা হতে পারে না।

১. আগুন ২. জল ৩. মাটি ও ৪. বাতাসের সুষম অবস্থানের ফলে কোষ সৃষ্টি হয়। অতঃপর; তারমধ্যে; বিদ্যুৎরূপ জীবাত্মা সঞ্চারিত হয়। কোষের মধ্যে জীবাত্মা সঞ্চারিত হলে কোষ জীবন্ত হয়। অন্যদিকে; আদি-চতুর্ভূতের সুষম অবস্থান না পেলে কোষও সৃষ্টি হয় না এবং তারমধ্যে; জীবাত্মা সঞ্চারিত হয় না। আবার কোষ সৃষ্টি হওয়ার পর কোষের সক্রিয়তাশক্তি বা চালিকাশক্তি জীবাত্মা সঞ্চারিত না হলে সে কোষটি মারা যায়। কোষের মধ্যে জীবাত্মা সঞ্চারিত হওয়ার পর শুধু জীবাত্মা জীবন্ত কোষকে মাত্র কয়েক দণ্ড, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা, আবার দৈবাৎ কয়েক দিবস পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে পারে। জীবন্ত কোষগুলো যখন খাদ্যসার গ্রহণ করা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তখন সে মন ও জ্ঞান ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে থাকে। পরমাত্মা, মন ও জ্ঞানের অভাবে শুধু জীবাত্মা একা জীবন্ত কোষগুলোকে বা জীবদেহকে দীর্ঘ সময় বাঁচিয়ে রাখতে পারে না। যারফলে; জীব প্রয়াণকোলে ঢলে পড়ে। যেমন; অজ্ঞান মানুষ।

অনুসিদ্ধান্ত (Corollary)
১.   জীবাত্মা এক প্রকার শক্তি।
২.   জীবাত্মাই জীবের প্রকৃত আত্মা।
৩.   জীবাত্মা শুধু জীবকোষে বিরাজিত, জড়পদার্থের মধ্যে জীবাত্মা থাকে না।
৪.   জীবাত্মার সৃষ্টি-ধ্বংস রয়েছে এবং জীবদেহে জীবাত্মার সংযোজন-বিয়োজন করা যায়।
৫.   সাধারণভাবে আত্মা বলতে জীবাত্মা বুঝায়।

জীবাত্মার উৎপত্তি (Provenance of electronegativity)
আমরা চর্মদৃষ্টিতে যদিও দেখি না এবং সাধারণভাবে আত্মাকে উপলব্ধি করতে পারি না। তবুও; আত্মার অস্তিত্ব চির বিদ্যমান। জীবাত্মার সৃষ্টির রহস্য অনেক গভীরে। জীবাত্মার সৃষ্টি শিরোনামে বিষটি আমরা আলোচনা করেছি। তবুও; এখানে; সংক্ষিপ্তভাবে এর সৃষ্টিতত্ত্ব আলোচনা করছি।

হৃদপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ার দ্বারা রক্তের কণিকগুলো অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। এর ফলে রক্তের দ্রুতবেগে চলমান কণিকগুলোর মধ্যে ব্যাপক ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। এ ঘর্ষণ হতেই উৎপন্ন হয় বিদ্যুৎ। এ বিদ্যুতের দ্বারাই জীবকুল জীবন্ত প্রাণী বা উদ্ভিদ রূপে বেঁচে থাকে। এজন্য; জীবদেহের বিদ্যুৎকেই জীবদেহের ভিতরের জীবাত্মা বলা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত হৃদযন্ত্রটি রক্ত সরবরাহ করতে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত জীবদেহে বিদ্যুৎ উৎপন্ন অব্যাহত থাকে। যারফলে; জীবকুল জীবিত থাকে। কিন্তু হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। যারফলে; বিদ্যুৎ উৎপন্নও বন্ধ হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের অভাবে জীব কোষগুলো ক্রমে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়তে থাকে। যারফলে; কিছুক্ষণের মধ্যেই জীবের প্রয়াণ সংঘটিত হয়।

এবার প্রশ্ন হলো; এককোষী প্রাণী অম্বুকের তো হৃদযন্ত্র নেই। যারফলে; তার দেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াও নেই। এজন্য; রক্তের কণিকা কণিকাই ঘর্ষণও হয় না। তাহলে তার জীবাত্মা কী এবং কিভাবে তা সৃষ্টি হয়। এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়- অম্বুকের আত্মা হলো বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত স্থির বিদ্যুৎ। বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত এ স্থির বিদ্যুৎ দ্বারাই অম্বুক সর্বপ্রথম জীবন্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করে। যেহেতু; তার দেহ অত্যন্ত ক্ষুদ্র। এজন্য; তার জীবন ধারণের জন্য অতি সামান্য বিদ্যুৎই যথেষ্ট। তার জীবন ধারণের জন্য বা দেহকে সচল রাখার জন্য যেটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন তা বায়ুমণ্ডলে স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্টি হয়। এজন্য; বলা যায় অম্বুকের বেঁচে থাকার জন্য, হৃদপিণ্ডের রক্ত সঞ্চালনের দ্বারা রক্তের কণিকা কণিকার ঘর্ষণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কোনো প্রয়োজন হয় না।

বিগত দিনে যারা অম্লজানকে প্রাণীকুলের জীবাত্মা এবং অঙ্গারাম্লজানকে উদ্ভিদকুলের জীবাত্মা বলে মতামত প্রকাশ করেছিলেন, তাদের এমন ভুল সিদ্ধান্তের উত্তরে আমরা বলবো- অম্লজান প্রাণীদের দেহের জীবাত্মা বিদ্যুৎ উৎপাদন ও অঙ্গারাম্লজান উদ্ভিদের দেহের জীবাত্মা বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচাদ্রব্য বৈ নয়। যেমন; কোনো দ্রব্য উৎপাদনের উপাদানকে ঐদ্রব্য বলা যায় না; তেমনই; বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপাদানকে বিদ্যুৎ বলা যায় না। আবার যেহেতু; বিদ্যুৎ জীবের জীবাত্মা। এজন্য; অম্লজান ও অঙ্গারাম্লজানকে কোনো ক্রমেই বিদ্যুৎ বা জীবের জীবাত্মা বলা যায় না। আবার প্রাণীকুল প্রাণবায়ু রূপে যে অম্লজান গ্রহণ করে, উদ্ভিদকুল উদ্বানবায়ু রূপে সে অম্লজান বর্জন করে এবং প্রাণীকুল উদ্বানবায়ু রূপে যে অঙ্গারাম্লজান বর্জন করে উদ্ভিদকুল প্রাণবায়ু রূপে সে অঙ্গারাম্লজান গ্রহণ করে থাকে। আবার বায়ু রূপে প্রাণীকুলের বর্জ্য উদ্ভিদকুলের গ্রাহ্য এবং বায়ু রূপে উদ্ভিদকুলের বর্জ্য প্রাণীকুলের গ্রাহ্য। অর্থাৎ; প্রাণীকুলের বর্জ্যবায়ুরূপ অঙ্গারাম্লজান উদ্ভিদকুলের জীবাত্মা উৎপাদনের সহায়কদ্রব্য এবং উদ্ভিদকুলের বর্জ্যবায়ুরূপ অম্লজান প্রাণীকুলের জীবাত্মা উৎপাদনের সহায়কদ্রব্য। এ হতেই বলা যায় প্রাণী ও উদ্ভিদের জীবাত্মা হলো বিদ্যুৎ।

পক্ষান্তরে; খুষ্কমুষ্ক সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী ও বক্তারা বড় গলায় বলে বেড়াচ্ছেন ব্যক্তির কৃতকর্মের জন্য আত্মাই অভিযুক্ত, আত্মার বিচার হয়, আত্মার স্বর্গগ্রহণ ও নরকবাস হয়, আত্মার পুনর্জনম হয়, আত্মার পুনরুত্থান হয়, দাদা/নানার আত্মা নাতি/নাতনীর মধ্যে প্রবেশ করে আবার ফিরে আসে, যম আত্মা হরণ করে, আত্মার বর্ণ ও আকার রয়েছে ইত্যাদি। অথচ মহান তাপস ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র এবং বিশ্ববিখ্যাত আত্মজ্ঞানী দার্শনিক বলন কাঁইজি জীবদেহের বিদ্যুৎকেই আত্মা বলে প্রমাণ করে গেছেন। সে সূত্র ধরে বর্তমানে আত্মা হাটে হাটে কিনতেও পাওয়া যায়। সেদিন হয়তো অধিক ব্যবধানে নয় যখন আত্মা ক্রয়বিক্রয় অত্যন্ত সুলভ হবে। সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক নামের অজ্ঞ, মূর্খ ও উগ্রবাদীদের শক্তহাতে দমন করা না হলে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, দর্শন ও আধুনিকতা হতে এ উপমহাদেশ আরও পিছনে পতিত হতে বাধ্য হবে। সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা মূলত মতবাদকেই সুকৌশলে ধর্ম বলে এদেশে প্রচার-প্রসার করে আসছেন। ধর্ম ও মতবাদ কখনই এক নয়। ধর্ম হলো চিরন্তন কিন্তু মতবাদ হলো আপেক্ষিক।

তথ্যসূত্র (References)

(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)

১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula)
"আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"

রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)

২ যোজক সূত্র (Adder formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"

৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

< উৎস
[] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
() ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
> থেকে
√ ধাতু
=> দ্রষ্টব্য
 পদান্তর
:-) লিঙ্গান্তর
 অতএব
× গুণ
+ যোগ
- বিয়োগ
÷ ভাগ

Here, at PrepBootstrap, we offer a great, 70% rate for each seller, regardless of any restrictions, such as volume, date of entry, etc.
There are a number of reasons why you should join us:
  • A great 70% flat rate for your items.
  • Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
  • We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.

পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী

উপস্থ (শিশ্ন-যোনি) কানাই,(যোনি) কামরস (যৌনরস) বলাই (শিশ্ন) বৈতরণী (যোনিপথ) ভগ (যোনিমুখ) কাম (সঙ্গম) অজ্ঞতা অন্যায় অশান্তি অবিশ্বাসী
অর্ধদ্বার আগধড় উপহার আশ্রম ভৃগু (জরায়ুমুখ) স্ফীতাঙ্গ (স্তন) চন্দ্রচেতনা (যৌনোত্তেজনা) আশীর্বাদ আয়ু ইঙ্গিত ডান
চক্ষু জরায়ু জীবনীশক্তি দেহযন্ত্র উপাসক কিশোরী অতীতকাহিনী জন্ম জ্ঞান তীর্থযাত্রা দেহাংশ
দেহ নর নরদেহ নারী দুগ্ধ কৈশোরকাল উপমা ন্যায় পবিত্রতা পাঁচশতশ্বাস পুরুষ
নাসিকা পঞ্চবায়ু পঞ্চরস পরকিনী নারীদেহ গর্ভকাল গবেষণা প্রকৃতপথ প্রয়াণ বন্ধু বর্তমানজন্ম
পালনকর্তা প্রসাদ প্রেমিক বসন পাছধড় প্রথমপ্রহর চিন্তা বাম বিনয় বিশ্বাসী ব্যর্থতা
বিদ্যুৎ বৃদ্ধা মানুষ মুষ্ক বার্ধক্য মুমুর্ষুতা পুরুষত্ব ভালোবাসা মন মোটাশিরা যৌবন
রজ রজপট্টি রজস্বলা শুক্র মূত্র যৌবনকাল মনোযোগ রজকাল শত্রু শান্তি শুক্রপাত
শুক্রপাতকারী শ্বাস সন্তান সৃষ্টিকর্তা শুক্রধর শেষপ্রহর মূলনীতি সন্তানপালন সপ্তকর্ম স্বভাব হাজারশ্বাস
ADVERTISEMENT
error: Content is protected !!