২৪/০৩. ঝড়
Storm (স্ট্রম)/ ‘عاصفة’ (আসিফা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘চন্দ্রচেতনা’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যৌনোত্তেজনা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘চন্দ্রচেতনা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘আগুন’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘জ্বর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘যম ও শিখা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘নরান্তক ও রৌরব’।

অভিধা (Appellation)
ঝড় (বাপৌউ)বি ঝঞ্ঝা, ঝটিকা, নিম্নচাপ, বাতাসের প্রবল প্রবাহ, storm, ‘عاصفة’ (আসিফা) (শ্ববি) কামোত্তেজনা, sexuality, ‘جنسانية’ (জেনাসানিয়া) (রূপ্রশ) ইরম্মদ, চন্দ্রচেতনা, প্রেমাগুন, আগুন, যৌবনজ্বালা, হোমানল, nymphomania, ফাওরাত আশশাবাব (আ.ﻔﻮﺮﺓ ﺍﻟﺸﺑﺎﺐ) (ইপ) Archangel (ইপ) নার (আ.ﻧﺎﺮ), নারই-জাহান্নাম (আ.ﻧﺎﺮ ﺠﻬﻧﻢ) (ইংপ) oomph, fire (ইদে) আযরাইল (আ.ﻋﺫﺭﺍﺌﻴﻞ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘চন্দ্রচেতনা’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; ঝঞ্ঝা, ঝটিকা ও বেগে প্রবাহিত বায়ুকে ঝড় বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, মানুষের যৌনোত্তেজনাকে রূপকার্থে ঝড় বলা হয় (বাপৌছ) নরান্তক ও রৌরব (বাপৌচা) যম ও শিখা (বাপৌউ) জ্বর ও ঝড় (বাপৌরূ) আগুন (বাপৌমূ) চন্দ্রচেতনা।

ঝড়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of storm)
১.   “ওপরে রবে ঝড়ের জ্বালা, চৌদিকে আগুনের লালা, জ্বলে পুড়ে হবে কালা, যারা রবে সাধনবিহীন- ভঙ্গ করে আপন সন্ধি, লাখে লাখে হবে বন্দী, সত্তরহাত শিকলে বান্ধি, করবে কত কারাধীন।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৮)।
২.   “সবেমাত্র একটি খুঁটি, খুঁটির গোড়ায় নাইরে মাটি, কিসে ঘর রবে খাঁটি, ঝড়ি তুফান এলে পরে।” (পবিত্র লালন- ৫৫৭/২)। (মুখ; “^১ধন্য ধন্য বলি তারে, বেঁধেছে এমন ঘর, শূন্যের ওপর পোক্তা করে”)।

ঝড়ের সংজ্ঞা (Definition of storm)
সাধারণত; ঝঞ্ঝা, ঝটিকা ও বেগে প্রবাহিত বায়ুকে ঝড় বলে।

ঝড়ের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of storm)
শ্বরবিজ্ঞানে; দ্বিপস্থ জীবের কামবাসনাকে চন্দ্রচেতনা বা রূপকার্থে ঝড় বলে।

ঝড়ের প্রকারভেদ (Variations of storm)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ঝড় দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ঝড় ও ২. উপমিত ঝড়।

১. উপমান ঝড় (Analogical storm)
সাধারণত; ঝঞ্ঝা, ঝটিকা ও বেগে প্রবাহিত বায়ুকে উপমান ঝড় বলে।

২. উপমিত ঝড় (Compared storm)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; দ্বিপস্থ জীবের কামবাসনাকে উপমিত ঝড় বলে।

ঝড়ের পরিচয় (Identity of storm)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘চন্দ্রচেতনা’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ার কারণে; সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; ঝঞ্ঝা, ঝটিকা ও বেগে প্রবাহিত বায়ুকে ঝড় বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; দ্বিপস্থ জীবের কামবাসনাকে চন্দ্রচেতনা বা উপমার্থে ঝড় বলা হয়। যেমন; ঝড় সবকিছুকে উড়িয়ে নিয়ে যায়; তেমনই; চন্দ্রচেতনাও মানুষের মনকে কাম বায়ুতে উড়াতে থাকে। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; চন্দ্রচেতনাকে উপমার্থে ঝড় বলা হয়। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণে ঝড় দ্বারা কেবল চন্দ্রচেতনা অর্থই প্রকাশ করা হয়।

অন্যদিকে; বড় পরিতাপের বিষয় হলো; সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী ও বক্তারা ঝড় দ্বারা কেবল ঝঞ্ঝাকেই বুঝে এবং বুঝিয়ে থাকে। এসব কারণে; বিশ্ববিখ্যাত মহা গ্রন্থাদির প্রকৃতশিক্ষা বর্তমানে সমাজে দেখা যায় না। সাম্প্রদায়িক মহা গ্রন্থাদির সঠিক শিক্ষার প্রচলন যে যুগে ছিল সে যুগকে সোনালী যুগ বলা হয়। তখন; মানুষের মধ্যে এত হানাহানি, দলাদলি ও সহিংসতা ছিল না। সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ বা পৌরাণিক সাহিত্যাদির আত্মদর্শন ও আত্মতত্ত্বমূলক কোনো শিক্ষাই বর্তমান সমাজে প্রচলিত নেই। তাই; সাম্প্রদায়িক চরমপন্থীদের এত আতঙ্কবাদ, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ঘনঘটা দেখা যায়।