১৮/০২. তীর
Arrow (অ্যারৌ)/ ‘رمح’ (রামহা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যৌনরস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কামরস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘ঘোষক^১’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘পাথর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনীক ও উল্কা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘উষ্ণজল ও বিজলা’।

অভিধা (Appellation)
তীর^১ (বাপৌছ)বি কুল, তট, পাড়, ধার, কানছি, কান্ধা, জলাশয়ের পাড় (বাপৌছ) খাল, নালা ও সুড়ঙ্গ (বাপৌচা) ডাঙ্গা, বিরজা ও যমুনা (বাপৌউ) উঠান, দুয়ার ও পথ (বাপৌরূ) নদী (বাপৌমূ) বৈতরণী।
তীর^২ (বাপৌউ)বি বাণ, শর, ইষু, কাঁটা, শেল, শল্য, শায়ক, বিশিখ, arrow, ‘رمح’ (রামহা)/ arrowhead, shaft, dart, ‘ارو’ (উরওয়া), ‘سهم’ (সাহিমা), ‘وثبة’ (ওয়াসবা), ‘رأس سهم’ (রাসা সাহিমা) (শ্ববি) কামরস, mucus  (রূপ্রশ) উশিজ, পাথর, বজ্র, রক্ষী, সৈন্য, announcer (ইদে) আবাবিল (আ.ﺍﺑﺎﺑﻴﻝ), বেলাল (আ.ﺒﻼﻞ), ‘ﻤﺆﺬﻦ’ (মুয়াজ্জিন), ‘مخاط’ (মুখাত) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; এক প্রান্ত ছুঁচালো নির্দেশক বা নিক্ষেপযোগ্য শরকে তীর বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, নর-নারীর যৌনমিলনের সময়ে রমণীদের যোনি হতে নিঃসৃত কামরসকে রূপকার্থে তীর বলা হয় (বাপৌছ) উষ্ণজল ও বিজলা (বাপৌচা) অনীক ও উল্কা (বাপৌউ) তীর ও পাথর (বাপৌরূ) ঘোষক (বাপৌমূ) কামরস।

তীরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of arrow)
১.   “আনন্দ বাজারে এলে, ব্যাপারে লাভ করবে বলে, শূন্য সদকা, সঙ্গীর সঙ্গে- মজে কুরঙ্গে, হাতের তীর হারা হলি ক্ষ্যাপা।” (পবিত্র লালন- ২২১/৩)।
২.   “বিষ মাখাইয়া তিরের মুখে, মারলি তীর আমার বুকে, দেহ ছেড়ে প্রাণ চলে যেতে চায়।” (জনৈক মরমী কবি)।

পাড় অর্থে ‘তীর’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology arrow sense for bank)
১.   “রূপনদীর তীর ঘাটে, যে বসেছে মহড়া এঁটে, সে নদীতে জোয়ার এলে, রসিক জনা মাছ ধরে।” (পবিত্র লালন- ৮৩৪/৪)।
২.   রূপনদে সদাই বয় ত্রিধারা, ও তার সপ্ততলে নিগমকারা, ডুবে ভরা- যেতে মিঠাধারা, তবু খুঁজে পায় না তীর।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৭৪)।
৩.   “রসরতীর নাই নিরূপণ, আন্দাজি করি সাধন, কিসে হয় প্রাপ্তি সে ধন, ঘুচে না মনের ঘোলা, উজানে কী ভেটেনে পড়ি, ত্রিবেণীর তীর নালা।” (পবিত্র লালন- ৩৬৫/৫)।

তীরের সংজ্ঞা (Definition of arrow)
সাধারণত; এক প্রান্ত ছুঁচালো নির্দেশক বা নিক্ষেপযোগ্য বাণ, শর বা শায়ককে তীর বলে।

তীরের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of arrow)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রমণীদের কামরসকে তীর বলে।

তীরের প্রকারভেদ (Variations of arrow)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; তীর দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান তীর ও ২. উপমিত তীর।

১. উপমান তীর (Analogical arrow)
সাধারণত; এক প্রান্ত ছুঁচালো নির্দেশক বা নিক্ষেপযোগ্য বাণ, শর বা শায়ককে উপমান তীর বলে।

২. উপমিত তীর (Compared arrow)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রমণীদের কামরসকে উপমিত তীর বলে।

তীরের পরিচয় (Identity of arrow)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কামরস’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। এক প্রান্ত ছুঁচালো নির্দেশক বা নিক্ষেপযোগ্য বাণ, শর ও শায়ককে তীর বলা হয়। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর অত্যাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ার কারণে; সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। মৈথুনের সময়ে শিশ্নের ওপর বৈকুণ্ঠ সদৃশ আকাশ হতে কামরস সদৃশ তীর নিক্ষেপ করা হয়। যাতে সহজে কোনো সাধক বৈতরণী অতিক্রমণ করে বৈকুণ্ঠে প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু মজার বিষয় হলো; বর্তমানে অধিকাংশ পাঠক-শ্রোতা, অনুবাদক, অভিধানবিদ, লেখক ও গবেষক তীর বলতে সাধারণ বাণাধার হতে নিক্ষিপ্ত তীরকেই বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে। এর ফলেই; সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকা অদ্যাবোধি মানবকল্যাণে ব্যবহার হচ্ছে না। বরং মানবের অকল্যাণেই ব্যবহার হচ্ছে। পরিশেষে বলা যায়; পুরাণে ব্যবহৃত তীর পরিভাষা দ্বারা কখনই বাণাধার যোগে নিক্ষিপ্ত তীর বুঝায় না। এর দ্বারা কেবল কামরসকেই বুঝানো হয়
।