১৬/১৬. দস্যু
Mobster (মবস্টার)/ ‘الشقي’ (আশশুক্বি)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কানাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘রজকিনী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কলাপী, কালনাগিনী, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস’। এ পরিভাষাটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’, ‘বলাই’ ও ‘শুক্র’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা প্রত্যেক পাঠক-শ্রোতার একান্ত প্রয়োজন।

অভিধা (Appellation)
দস্যু (বাপৌছ)বিণ লুটেরা, লুণ্ঠক, অপহারক, চোর, তস্কর, হরণকারী, লুণ্ঠনকারী, অপহারক, শক্তির দ্বারা পরদ্রব্য অপহরণকারী qবিণ নির্ভীক, অসমসাহসী, mobster, ‘الشقي’ (আশশুক্বি) (শ্ববি) যোনি, sex, vagina, ফারজ (আ.ﻔﺮﺝ) (রূপ্রশ) কানাই, অযোধ্যা, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী, স্রাবস্তী, হিবাচী (ইংপ) destroyer, origin (ইপ) মক্কা (আ.ﻤﻜﺔ) (ইদে) দাজ্জাল (আ.ﺪﺟﺎﻞ), হামান (আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ), হারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ), হেরা (ﺤﺭﺍ), হাজরে আসুদ (حجر أسود) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; বলপূর্বক সম্পদ হরণকারী বা অন্যায়ভাবে হত্যাকারীকে দস্যু বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, যোনিকে রূপকার্থে দস্যু বলা হয় (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই।

দস্যুর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of mobster)
১.   “ঘরের মাজে আড়া কষা, চোর দস্যুদের যাওয়া আসা, তার মাঝে ঘরামী বসা, এমন বিষম করণি।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২.   “জগাই মাধাই দস্যু ছিল, তাদের গুরুর কৃপা হলো, অধীন লালন দোহাই দিলো, সে আশাতে।” (পবিত্র লালন- ৩৯৫/৪)।

দস্যুর সংজ্ঞা (Definition of mobster)
সাধারণত; বলপূর্বক সম্পদ হরণকারী বা অন্যায়ভাবে হত্যাকারীকে দস্যু বলে।

দস্যুর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of mobster)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে দস্যু বলে।

দস্যুর প্রকারভেদ (Variations of mobster)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; দস্যু দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান দস্যু ও ২. উপমিত দস্যু।

১. উপমান দস্যু (Analogical mobster)
সাধারণত; বলপূর্বক সম্পদ হরণকারী বা অন্যায়ভাবে হত্যাকারীকে উপমান দস্যু বলে।

২. উপমিত দস্যু (Compared mobster)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে উপমিত দস্যু বলে।

দস্যুর পরিচয় (Identity of mobster)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ার কারণে; সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; দস্যু বলতে লুণ্ঠক ও লুটেরা বুঝায়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে দস্যু বলতে কেবল যোনিকেই বুঝায়। মৈথুনে শিশ্নের নিকট হতে বলপূর্বক শুক্রহরণ করে। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে যোনিকে দস্যু বলা হয়। কিন্তু মজার বিষয় হলো; সমাজের অধিকাংশ অনুবাদক, অভিধানবিদ, লেখক, গবেষক, আলোচক, পাঠক ও শ্রোতা পুরাণে ব্যবহৃত দস্যু বলতে মানুষ তস্করকেই বুঝে এবং বুঝিয়ে থাকে। এসব কারণে; বিশ্ববিখ্যাত সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির মূলশিক্ষা চরমভাবে বিঘ্নিত বা ব্যহত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে প্রচলিত সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে; এখনও যদি সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ কিংবা সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পৌরাণিক উপাখ্যানগুলোর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’গুলোর দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন না করা হয়; তবে ভাবি প্রজন্মকে মতবাদগত ও জাতিগত সহিংসতা হতে অবমুক্ত করতে চরমভাবেই ব্যর্থ হতে হবে। পরিশেষে স্মরণ করা যায় যে; সাম্প্রদায়িক গ্রন্থ ও পৌরাণিক সাহিত্যাদির মধ্যে ব্যবহৃত দস্যু পরিভাষাটির দ্বারা কখনই মানুষ-তস্কর বুঝায় না। বরং; দস্যু দ্বারা কেবল যোনিকে বুঝানো হয়। উল্লেখ্য; বিশ্বের বিভিন্ন পুরাণে অমুকদেশে এক বিখ্যাত দস্যু ছিল, অমুক দস্যু প্রতিদিন ১০১টি হত্যা করতো, অমুক দস্যু ৯৯টি হত্যা করে প্রাতরাশ গ্রহণ করতো ইত্যাদি উপখ্যান বর্ণিত হয়েছে। এর সবগুলোর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ই আলোচ্য যোনি। এসব বিবরণ দ্বারা কখনই মানুষ সদৃশ দস্যু বুঝায় না।