৫৮/৬. দৈত্য^১
Goliath (গলেথ)/ ‘جالوت’ (জালুত)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বলাই’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘শিশ্ন’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘বলাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘বৈঠা’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘আঁচল, খুঁটি, গাছ^২, চরণ, লাঠি ও হাত’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনস্থী, আঙ্গুল, কর্ণ, জগাই, জনক, বিম্বল ও শুক্রাচার্য’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কামগুরু, কিরীটী, বণিক, বাবা, বামন, মরা^৫ ও শ্রীচরণ’। এ পরিভাষাটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’, ‘বলাই’ ও ‘শুক্র’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’রই চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। সেজন্য; এ পরিভাষাটির ব্যবহারের প্রতি লক্ষ্য করেই এর সঠিক আত্মতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা প্রত্যেক পাঠকের একান্ত প্রয়োজন। যেসব ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র অধীনে দৈত্য পরিভাষাটি ব্যবহার হয় তাদের সারণী নিচে দেখানো হলো।

অভিধা (Appellation)
দৈত্য (বাপৌউ)বি অসুর, দানব, বিরাটাকার ব্যক্তি, অসুর প্রকৃতির লোক, goliath, ‘جالوت’ (জালুত), dickhead, ‘جنس’ (জান্নাসা) (আপ্রশ) শিশ্ন, বাঁড়া, মেঢ়্র, হোল, penis, জকর (আ.ﺬﻜﺭ) (আঞ্চ) সোনা, পোতা, ধন (শ্ববি) বলাই, কামদেব, নারদ, বিম্বল, মদন, মন্মথ, মহাদেব, মাধব, রাবণ, লাঠি, শিব, হাত, পা, গাছ, রশি (ইদে) আসা (আ.ﻋَﺼَﺎ), জাকারিয়া (আ.ﺯﻜﺭﻴﺎ), শিমার (আ.ﺸﻤﺭ), হাবিল (আ.ﺤﺎﺒﻞ), মারুত (আ.ﻤﺎﺭﻮﺕ) (ইংপ) finger (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বলাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. পুরাণের দৈত্যগুরু ও দেব পুরোহিতকে রূপকার্থে দৈত্য বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; পুরুষজাতির শিশ্নকে বলাই দৈত্য বলা হয় (বাপৌছ) কামগুরু, কিরীটী, বণিক, বাবা, মরা^৫ ও শ্রীচরণ (বাপৌচা) অনস্থী, আঙ্গুল, কর্ণ, জগাই, জনক, বিম্বল ও শুক্রাচার্য (বাপৌউ) আঁচল, খুঁটি, গাছ^২, চরণ, দৈত্য^১, লাঠি ও হাত (বাপৌরূ) বৈঠা (বাপৌমূ) বলাই {বাং.শুক্র+ বাং.আচার্য}

Goliath [গলেথ] (GMP)n দৈত্য, দানব, giant, demon, monster, genie, troll, fiend, prodigy, ‘جالوت’ (জালুত), ‘ترول’ (তুরাওয়িল) {ই}

‘جالوت’ [জালুত] (আপৌছ)বি দানব, দৈত্য, goliath, giant, demon, monster, genie, troll, fiend, prodigy,  ‘ترول’ (তুরাওয়িল) {আ}

প্রপক (Extensive)
কশ্যপের ঔরসে ও দক্ষরাজের অন্যতমা কন্যা দিতির গর্ভজাত বংশধরদের দৈত্য নামে ডাকা হয়। দেবতাগণের সাথে এদের চিরন্তন বিরোধ ও যুদ্ধ চলেছিল। এদের প্রধান কাজ ছিল দেবতাগণের যজ্ঞ ও পূজা নষ্ট করা। দেবতাগণের সঙ্গে অসংখ্য যুদ্ধের কাহিনী ও জয়-পরাজয়ের বিবরণ রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণে বর্ণিত আছে। উল্লেখ্য যে; দৈত্য ও দানব একই শ্রেণিভুক্ত।

দৈত্যের ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of goliath)
“আরবিতে মালাকি বলে ফার্সিতে ফেরেস্তা কয়, সংস্কৃতিতে দৈত্য দানব বাংলায় দেবতা হয়, জীবদেহে যোগাযোগকারী- জীবমাত্র রয় সবারি, ভাব উপলব্ধিকারী- যত আছে সৃষ্টিকুলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৯২)।

দৈত্যের সংজ্ঞা (Definition of goliath)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুরাণের দৈত্যগুরু ও দেব পুরোহিতকে দৈত্য বলে।

দৈত্যের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of goliath)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুরুষজাতির শিশ্নকে বলাই বা দৈত্য বলে।

দৈত্যের প্রকারভেদ (Variations of goliath)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; দৈত্য দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান দৈত্য ও ২. উপমিত দৈত্য।

১. উপমান দৈত্য (Analogical goliath)
সাধারণত; পুরাণের দৈত্যগুরু ও দেব পুরোহিতকে উপমান দৈত্য বলে।

২. উপমিত দৈত্য (Compared goliath)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুরুষজাতির শিশ্নকে বলাই বা উপমিত দৈত্য বলে।

দৈত্যের পরিচয় (Identity of goliath)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বলাই’ পরিবারের অধীন ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারা বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর সর্বাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।

যেমন; কবি কল্পিত রূপকথার দৈত্য অতি ক্ষুদ্র দেহ নিয়ে চলাফেরা করে কিন্তু দুর্বল চিত্তের মানুষ পেলে ক্রমে ক্রমে তার দেহকে বিশাল হতে বিশাল আকৃতিতে রূপান্তর করে প্রদর্শন করে থাকে। যারফলে; সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়। তেমনই; শিশ্ন সাধারণ অবস্থায় ক্ষুদ্র দেহ ধারণ করে থাকে কিন্তু কামদেশে গমন করার সাথে সাথে তার দেহকে বিশাল আকৃতিতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়। তাই; শ্বরবিজ্ঞানে; শিশ্নকে দৈত্যের সাথে তুলনা করা হয়। অর্থাৎ; দৈত্য রক্তমাংসে গড়া কোনো মানুষ নয় বরং সে হলো পুরুষজাতির শিশ্ন। শিশ্ন শুক্রের আগমনে উত্থিত হয় এবং শুক্রপাত দ্বারা পতিত হয়। তাই; একে রূপকথার দৈত্যের সাথে সার্থক তুলনা করা হয়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো অধিকাংশ সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, অনুবাদক, ব্যৈখ্যিক ও টৈকিক শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত দৈত্য পরিভাষাটির দ্বারা কেবল রূপকথার কল্পিত দৈত্যকেই বুঝেন এবং বুঝিয়ে থাকেন। সেজন্য; বিশ্ববাসী সে-ই তিন হাজার বছর পূর্ব হতে আজও তাদের মনগড়া মতবাদের নিকট বন্দী। তাই; তারা দৈত্যের ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ যে শিশ্ন তা আজও বের করতে পারেন নি। এছাড়াও; দৈত্য বলতে যে বাস্তবে কোনো প্রাণী নেই তাও অনেকেই জানেন।