১৬/১০. ধন্বন্তরী
(Archer (আর্চার)/ ‘بومان’ (বুমান)) Archangel (আখেঞ্জেল)/ ‘عزرائيل’ (আযরাইল)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কানাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘রজকিনী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনন্ত, কবন্ধ, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস’।

অভিধা (Appellation)
ধন্ব (বাপৌছ)বি ধনুক, ধনু, শরাসন, মরুভূমি (বাপৌছ) নৌকা (বাপৌচা) গাণ্ডীব (বাপৌউ) ঘাট, ধনুক (বাপৌরূ) ব্রজ (বাপৌমূ) ভগ।

ধন্বন্তরী (বাপৌচা)বিস্ত্রী দেব-চিকিৎসক, অত্যন্ত ভালো চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে অতুলনীয় চিকিৎসক, আরোগ্য করার অব্যর্থ শক্তিসম্পন্ন ঔষধ, archangel, ‘عزرائيل’ (আযরাইল), archer, ‘بومان’ (বুমান), divine doctor, ‘ﻂﺒﻴﺐ ﺍﻠﺴﻤﺎﻮﻴﺔ’ (ত্ববিব আসসামাবিয়া) (ব্য্য) পুরুষদের কাম যন্ত্রণা উপশম করে বলে যোনিকে চিকিৎসক বলা হয় (শ্ববি) যোনি, sex, vagina, ফারজ (আ.ﻔﺮﺝ) (রূপ্রশ) কানাই, অযোধ্যা, কবন্ধ, করঙ্গ, কালনাগিনী, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, চুলা, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী, স্রাবস্তী, হিবাচী (ইংপ) destroyer, origin (ইপ) মক্কা (আ.ﻤﻜﺔ) (ইদে) দাজ্জাল (আ.ﺪﺟﺎﻞ), হামান (আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ), হারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ), হেরা (ﺤﺭﺍ), হাজরে আসুদ (حجر أسود) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; বাঙালী পুরাণে স্বর্গীয় অব্যর্থ চিকিৎসককে ধন্বন্তরী বলা হয় ২. ভারতীয় শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, যোনিকে রূপকার্থে ধন্বন্তরী বলা হয় (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই {বাং.ধন্ব+ বাং.ধারী> ধন্বধারী> ধন্বন্তরী>}

ধন্বন্তরীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of archangel)
১.   “গৌর রূপের কালে যারে দংশায়, সে বিষ কী বুঝে ওঝায়, ক্ষণেক জ্বলে ক্ষণেক সাজায়, ধন্বন্তরীর ঔষধ খায়রে ফিরে।” (পবিত্র লালন- ৩০৯/২)।
২.   “ধন্বন্তরীর গুণ শিখলে, তাই কী মানে রূপের কালে, সে গুণ তার উল্টিয়ে ফেলে, মস্তকে দংশায়।” (পবিত্র লালন- ৯৫৮/৩)।

ধন্বন্তরীর সংজ্ঞা (Definition of archangel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; স্বর্গীয় অব্যর্থ চিকিৎসককে ধন্বন্তরী বলে।

ধন্বন্তরীর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of archangel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে ধন্বন্তরী বলে।

ধন্বন্তরীর প্রকারভেদ (Variations of archangel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ধন্বন্তরী দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ধন্বন্তরী ও ২. উপমিত ধন্বন্তরী।

১. উপমান ধন্বন্তরী (Analogical archangel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; স্বর্গীয় অব্যর্থ চিকিৎসককে উপমান ধন্বন্তরী বলে।

২. উপমিত ধন্বন্তরী (Compared archangel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে উপমিত ধন্বন্তরী বলে।

ধন্বন্তরীর পরিচয় (Identity of archangel)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। বাংলা ধন্ব ও ধারী শব্দ দুটির সন্ধিযোগে সৃষ্টি হয়েছে ধন্বধারী (ধন্ব+ ধারী)। অতঃপর; ধন্বধারী> ধন্বন্তরী পরিভাষাটির সৃষ্টি হয়েছে। ধন্বন্তরী অর্থ ধনুকধারী। যোনি ধনুকের মতো বাঁকা। এজন্য; এর এমন নামকরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত রূপকার মনীষীদের মতে; সবচেয়ে বড় রোগ হলো ‘কামযন্ত্রণা’। ঔষধ সেবন দ্বারা বিশ্বের সব রোগ আরোগ্য হয়। অন্যদিকে; এ রোগটি কখনই আরোগ্য হয় না। এটি; আরোগ্য হওয়ার একমাত্র পথ কামযজ্ঞ। ধন্বন্তরী একাই সারাবিশ্বের সব কাম-কামিনী রোগীর চিত্তদাহ বা কামদাহ আরোগ্য করেন। তিনি কাম-আতঙ্ক, কামজ্বর, কামজ্বালা, প্রেমাগুন ও প্রেমানল ইত্যাদি রোগ উপশম করেন। সত্যি বলতে; কেবল কামযজ্ঞ ব্যতীত কামরোগের ঔষধ ভবে নেই। যেমন; কামজ্বালা প্রশমনের জন্য মানুষ যোনিরূপী ধন্বন্তরীর নিকট ছুটে যায়; তেমনই; ষাঁড়, পাঁঠাসহ বিশ্বের সব প্রাণীই যার যার ধন্বন্তরীর নিকট ছুটে যায়। ধন্বন্তরীও নির্দ্বিধায় বিশ্বের সব প্রাণীর কামজ্বালা বা কামরোগ প্রশমন করেন। তাই; শ্বরবিজ্ঞানে; ধন্বন্তরীকে অব্যর্থ চিকিৎসক বা স্বর্গীয় চিকিৎসক বলা হয়। হিন্দুরাই ধন্বন্তরী পরিভাষা নিয়ে অধিক লেখালেখি করেছে। এখন ধন্বন্তরীকে চিহ্নিত করা এবং তার দ্বারা উপকৃত হওয়ার সময় এসেছে। তবুও; কেউ যদি বলে যে; ধন্বন্তরী এদেশের কোনো সত্তা নয়। কিংবা তাঁকে স্বর্গ ছাড়া পাওয়া যাবে না। তবে; তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। পরিশেষে বলা যায়; শ্বরবিজ্ঞানে; ব্যবহৃত ধন্বন্তরী হলো যোনি।

গ্রিক পুরাণে ধন্বন্তরীকে Archangel (আখেঞ্জেল) বলা হয়েছে। অতঃপর; গ্রিক আখেঞ্জেল হতে আরবি ‘عزرائيل’ (আযরাইল) পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য; আযরাইল পরিভাষাটি কুরানে উল্লেখ নেই।

আযরাইলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotes of the Archangel)
“But even the archangel Michael, when he was disputing with the devil about the body of Moses, did not dare to bring a slanderous accusation against him, but said, “The Lord rebuke you!” (Jude 9).

ইংরেজি Arch (আর্ক) ও Angel (এ্যাঞ্জেল) পরিভাষাদ্বয়ের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে Archangel (আখেঞ্জেল)। Arch অর্থ ধনুকাকৃতি ও Angel অর্থ প্রধান। অর্থাৎ; Archangel (আখেঞ্জেল) অর্থ হচ্ছে ধনুকশ্রেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠধনুক, প্রধান ধনুক ও ধনুক প্রধান ইত্যাদি। ধনুকশ্রেষ্ঠ বা ধন্বধারী হতেই ধন্বন্তরী পরিভাষার উদ্ভব হয়েছে। স্ত্রী-ভগ দেখতে ধনুকের মতো বাঁকা। এজন্য; বাঙালী পুরাণে ভগকে ধনুক বলা হয়। এখান থেকেই হরধনু, রামধনু, ধনুভঙ্গ, ধনুকভঙ্গ পণ ইত্যাদি পরিভাষা সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে; যোনি এতই শক্তিশালী যে; সাধারণ পুরুষরা কাম দ্বারা তাকে অবদমিত করতে পারে না। বাঙালী পুরাণে এর অসংখ্য উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম রয়েছে। যেমন; অনন্ত ও ধন্বন্তরী ইত্যাদি। শ্বরবিজ্ঞানের সূত্র অনুসারে; ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র রূপক নামকরণ করা হলে তা দেবতায় পরিণত হয়। এজন্য; ধন্বন্তরী একজন দেবতা।

গ্রিক রূপক-সাহিত্যে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ দেবতা হচ্ছে Archangel (আখেঞ্জেল)। আরবীয় পুরাণে একে বলা হয় ‘عزرائيل’ (আযরাইল)। হিন্দু সাম্প্রদায়িক মনীষীরা; একে নরান্তক, ‘ধন্বন্তরী’ ও যম ইত্যাদি বলে থাকে। ‘যম’ অর্থ মৃত্যু দেবতা বা মৃত্যুদূত। ইংরেজি পুরাণে একে Archangel (আখেঞ্জেল) ও Reaper (রিপার) ইত্যাদি বলা হয়। বাঙালী পুরাণে ধন্বন্তরীকে দেব-চিকিৎসক বলা হয়। কামদেবতা মদনের কামরোগ উপশম করে, তাই তিনি দেব চিকিৎসক। ধনুকের মতো বাঁকা (ভগ) আকৃতিধারী অর্থাৎ; ধন্ব ধারী যে; সে-ই ধন্বন্তরী। আরও পরিষ্কার করে বলা যায় যে; বাংলা ধন্ব (ধনুক) ও ধারী পরিভাষা দ্বারা ধন্বধারী হতে ধন্বন্তরী পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। অর্থাৎ; ধন্ব + ধারী = ধন্বধারী > ধন্বন্তরী হয়েছে। বাঙালী পুরাণে বর্ণিত ধন্বন্তরী পরিভাষাটির ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ হচ্ছে যোনি।

Arch [আচ] (GMP)n ধনুকাকৃতি খিলান, স্থাপত্য-অলঙ্কার বা তোরণ রূপে নির্মিত খিলানে ঢাকা পথ, যে কোনো ধনুকাকৃতি বস্তু, লতা-গুল্মাদি বেয়ে উঠবার জন্য নির্মিত ধনুকাকৃতি কাঠামো qক্রি ধনুকাকারে বাঁকানো, ধনুকাকৃতি করা, ধনুকাকৃতি হওয়া qবিবিণ (নারী ও শিশু সম্বন্ধে) সকৌতুক দুষ্টুমিতে ভরা, সকৌতুক দুষ্টুমিপূর্ণ, বাঁকা চাহনি, বাঁকা হাসি qবিণ প্রধান, বিশিষ্ট, চরম; Archenemy (প্রধান শত্রু) {ই}

Angel [অ্যাঞ্জেল] (GMP)n ১. দেবতা, দেবদূত ২. অনুপম সৌন্দর্যের অধিকারী ও নিষ্পাপ ব্যক্তি ৩. (সদয়, চিন্তাশীল ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা বা প্রশংসা জ্ঞাপনে ব্যবহৃত) কুলদেবতা qবিণ দেবতাপ্রতিম, দেবদূত প্রতিম {ই}

Archangel [আখেঞ্জেল] (GMP)n ১. ‘ধন্বন্তরী’, নরান্তক, যম, যমদূত, মৃত্যুদূত ২. কামদেব, চন্দ্রচেতনা (প্র) ১. সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রেণির স্বর্গীয় দূত, উঁচু শ্রেণির দেবতা ২. দেবতাগণের যুবরাজ ৩. উত্তর-পশ্চিম রাশিয়ার শ্বেত সাগরের একটি বন্দর বিশেষ। এর জনসংখ্যা ৩,৪৮,৭০০ (২০০৮)। শ্রেষ্ঠশ্রেণির দেবদূত আখেঞ্জেল মাইকেলের নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে (শ্ববি) অযোধ্যা, কবন্ধ, করঙ্গ, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, চুলা, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী, স্রাবস্তী (প্রাঅ) গুদ, গুহ্য, ভগ, মাঙ্গ, মার্গ, যোনি, sex, vagina, ফারজ (আ.ﻔﺮﺝ) (আঞ্চ) গুয়া, সেঁটা, গাঁড় (ইংপ) destroyer, origin (আদৈ) মক্কা (আ.ﻤﻜﺔ), দাজ্জাল (আ.ﺪﺟﺎﻞ), হামান (আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ), হারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ), হেরা (ﺤﺭﺍ), হাজরে আসুদ (حجر أسود) (দেপ্র) এটি; শ্বরবিজ্ঞানের; ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘গ্রিক পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সেমিটিক (Semitic) মনীষীদের রূপক-বর্ণনা মতে; জীবের প্রাণ সংহারকারী দেবতাকে Archangel বলা হয় ২. সারাবিশ্বের আত্মজ্ঞানী মনীষীদের বাস্তব বর্ণনা মতে; যোনিকে Archangel বলা হয় (বাপৌছ) কালনাগিনী, দস্যু, দানব/  দৈত্য^৩, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই {ই}

‘عزرائيل’ [আযরাইল] (আপৌছ)বি ১. ‘ধন্বন্তরী’, নরান্তক, যম, যমদূত, মৃত্যুদূত ২. কামদেব, কামদেবতা, চন্দ্রচেতনা (প্র) আরবীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে; জীবের প্রাণ সংহারকারী দেবতা বিশেষ (শ্ববি) কানাই^১, অযোধ্যা, কবন্ধ, করঙ্গ, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, চুলা, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী, স্রাবস্তী (প্রাঅ) গুদ, গুহ্য, ভগ, মাঙ্গ, মার্গ, যোনি, sex, vagina, ‘আ.ﻔﺮﺝ’ (ফারজ) (আঞ্চ) গুয়া, সেঁটা, গাঁড় (ইংপ) leaky, destroyer, origin (আদৈ) ‘راشح’ (রাশাহ), (আ.ﻤﻜﺔ) (মক্কা), ‘আ.ﺪﺟﺎﻞ’ (দাজ্জাল), ‘আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ’ (হামান), ‘আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ’ (হারুত) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘আরবীয় পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. আরবীয় মনীষীদের রূপক-বর্ণনা মতে; জীবের প্রাণ সংহারকারী দেবতাকে ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয় ২. সারাবিশ্বের আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের বাস্তব বর্ণনা মতে; যোনিকে ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয় (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই {ই. Archangel>}

‘عزرائيل’ (আযরাইল) এর সংজ্ঞা (Definition of Archangel)
আরবীয় পুরাণে বর্ণিত; জীবের প্রাণ সংহারকারী দেবতাকে ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলে।

‘عزرائيل’ (আযরাইল) এর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theosophical definition of Archangel)
সারাবিশ্বের আত্মজ্ঞানী মনীষীদের বাস্তব বর্ণনা মতে; যোনিকে ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলে।

‘عزرائيل’ (আযরাইল) এর প্রকারভেদ (Classification of Archangel)
‘عزرائيل’ (আযরাইল) দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ‘عزرائيل’ (আযরাইল) ও ২. উপমিত ‘عزرائيل’ (আযরাইল)।

১. উপমান ‘عزرائيل’ (আযরাইল) (Analogical Archangel)
আরবীয় পুরাণ মতে; জীবের প্রাণ সংহারকারী দেবতাকে উপমান ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলে।

২. উপমিত ‘عزرائيل’ (আযরাইল) (Compared Archangel)
আরবীয় শ্বরবিজ্ঞানে ও আরবীয় পুরাণে; যোনিকে উপমিত ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলে।

‘عزرائيل’ (আজরাইল) এর কাজ (Archangel’s work)
আরবীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে; জীবের প্রাণ সংহার ও সর্বপ্রকার ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করা আযরাইল দেবতার প্রধান কাজ। ইসলামী সাম্প্রদায়িক মনীষীদের পুরাণ মতে; এ দেবতা সর্বদা সর্বজীবের প্রাণ সংহার, দুঃখ-দুর্দশা সৃষ্টি, সর্বপ্রকার দৈব দুর্ঘটনা সংঘটন ও গাড়ি দুর্ঘটনা সংঘটন কাজে নিয়োজিত থাকে। এছাড়া; ভূমিকম্প সৃষ্টি, পাহাড়ধ্বস ঘটানো, দালান-কোঠার ধ্বস ঘটানো, গাছপালা উপড়ে প্রাণী হত্যা করা, ঘূর্ণিবায়ু-ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করা, নৌকাডুবি করা, জাহাজডুবি করা ও বিমান দূর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ হত্যা ইত্যাদি ‘عزرائيل’ (আযরাইল) দেবতার প্রধান প্রধান কাজ।

‘عزرائيل’ (আযরাইল) এর পরিচয় (Identity of Archangel)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের একটি ‘আরবীয় পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; আরবীয় মনীষীদের রূপক-বর্ণনা মতে; জীবের প্রাণ সংহারকারী দেবতাকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয়। মুসলমান মনীষীদের রূপকথায় বর্ণিত আছে যে; Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) দেখতে বিকট আকৃতির। দেহ এত বিশাল যে; সর্বদা তাঁর এক পা ভূমিতে এবং অন্য পা আকাশে থাকে। তাঁর মাথায় সাত সাগরের জল ঢেলে দিলে; এক ফোঁটা জলও মাটিতে পড়বে না। তিনি দেখতে নিকষ কালো। গায়ে বড় বড় কালো কালো লোম। তিনি একসাথে অসংখ্য জীবের প্রাণ সংহার করতে সক্ষম। বিশ্বের এত জীবের প্রাণ তিনি একাই হরণ করেন। তাঁর সঙ্গী-সহচর কেউ নেই ———- ইত্যাদি। তিনি মানুষের বুকের ওপর বসে; সারা দেহ হতে তাড়িয়ে-দৌড়িয়ে ও টেনে-হেঁচড়ে আত্মা বের করে নিয়ে আসেন। তিনি যার মুখ দিয়ে আত্মা বের করেন; তার শবটি হাঁ করে থাকে। তিনি যার চোখ দিয়ে আত্মা বের করেন; তাঁর শবটি চোখ ফুটিয়ে থাকে। একথায় বলা যায়; তিনি যাকে ধরেন; তাঁর ধ্বংস বা মৃত্যু সুনিশ্চিত।

অন্যদিকে; আত্মতাত্ত্বিক দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানীদের বাস্তবমুখী দর্শন অনুযায়ী; যে দেবতা যৌনসঙ্গমে দ্বিপস্থ জীবের পুরুষদের শুক্রপাত ঘটায় তাকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয়। অর্থাৎ; বিশ্বের সব স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) বলা হয়। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুরাণে যোনিকে যম ও শুক্রপাতকে মৃত্যু বলা হয়। প্রয়াণ ও মৃত্যু কখনই এক নয়। জীবের প্রয়াণ হওয়া জৈবিক ব্যাপার। অন্যদিকে; মৃত্যু স্বেচ্ছাধীন। যেমন; বলা হয়; “মরার আগে মরো” বা ‘موت قبل أن تموت’ (মাওতু কাবলা আন তা‘মুতু) বা (Death before you die)।

বাঙালী পুরাণে ‘عزرائيل’ (আজরাইল) (Archangel in the Indian mythology)
অন্যদিকে; ভারতীয় মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে; মৃত্যুদূত বা যমের নির্দিষ্ট কোনো পরিচয় নেই। যেমন; শ্রীমদ্ভগ্বতগীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে;
“বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্নাতি নরোহপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণা
ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী।”
অর্থঃ “যেমন; মানুষ জীর্ণ-শীর্ণ পুরোনো বস্ত্রগুলি ত্যাগ করে অন্য নতুন বস্ত্র গ্রহণ করে; তেমন জীবাত্মা পুরোনো শরীর ত্যাগ করে অন্য নতুন শরীর গ্রহণ করে।” (শ্রীমদ্ভগ্বতগীতা)।

বাঙালী পুরাণ অনুসারে; সৃষ্টকর্তা ব্রহ্মা, পালনকর্তা বিষ্ণু ও সংহারকর্তা শিব। শিবের অন্যনাম মহাদেব। মহাদেব জীবের সংহারকর্তা। তবে; এখানে; এতটুকু বলা যায় যে; গ্রিক ও আরবীয় পুরাণ মতে; যোনিকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আজরাইল) বলা হয়। অন্যদিকে; বাঙালী পুরাণ মতে; পুরুষের শিশ্নকে Archangel বা ‘عزرائيل’ (আজরাইল) বলা হয়।

ভারতীয়, মিশরীয়, গ্রিক ও আরবীয় পুরাণের সামঞ্জস্য রক্ষার ক্ষেত্রে এমন বলা যায় যে; পুরুষের শুক্রক্ষয়, শুক্রধ্বংস ও শুক্রপাতকারী রূপে ভারতীয় রূপকার মনীষীগণ শিশ্নকে চিহ্নিত করেছেন। এ সূত্র ধরেই তাঁরা পুরুষাঙ্গ বা শিশ্নের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ শিব বা মহাদেবকে সংহারকর্তা বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে; গ্রিক ও আরবীয় রূপকারগণ শুক্রক্ষয় ও শুক্রধ্বংসকারী রূপে যোনিকে চিহ্নিত করেছেন। এ সূত্র ধরেই তাঁরা যোনির ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ Archangel বা ‘عزرائيل’ (আজরাইল) বা ধন্বন্তরীকে সংহারকর্তা বলে আখ্যায়িত করেছেন।

মানবদেহে ‘عزرائيل’ (আজরাইল) এর অবস্থান (Archangel’s position in the human body)
মানবদেহে ‘ধন্বন্তরী’ বা Archangel বা ‘عزرائيل’ (আযরাইল) এর অবস্থান বিষয়ে অনেক মতবাদ পাওয়া যায়। যেমন; কোন ঘরানায় বলা হয় যমের বাস কানে। যারা এ মতবাদের প্রবক্তা; তাদের যুক্তি হলো; কান দিয়ে কোনো কথা শোনার পর মানুষের রাগ সৃষ্টি হয়; ফলে সে কাউকে আঘাত করে। ঐ আঘাতে সে প্রয়াণলাভ করে। তাদের এ খোঁড়া যুক্তি ধোপে টেকে না। কারণ; কান দিয়ে শোনা ছাড়াও চোখ দিয়ে দেখে, জ্ঞান দ্বারা গবেষণা করে ও মন দিয়ে ভেবেও মানুষের রাগ সৃষ্টি হয়। আর সে রাগে হত্যাকাণ্ডও হয়ে থাকে। আবার অনেক ভাড়াটিয়া হত্যাকারীও মানুষ হত্যা করে। অতএব; কান দ্বারা কোনো কিছু শোনা ছাড়াও মানুষের রাগ সৃষ্টি হতে পারে এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। আবার কোনো ঘরানার মনীষীরা বলে যে; যমের বাস পিঠে। যারা এ মতবাদের প্রবক্তা; তাদের যুক্তি হলো; মৈথুনের সময়ে নারীরা যদি পুরুষের পিঠ স্পর্শ করতে পারে; তবে দ্রুত শুক্রপাত হয়ে যায়। তাই; যমের বাস পিঠে। এদের এ খোঁড়া যুক্তিও ধোপে টেকে না। কারণ; অনেক নারী কাম আসনের জন্য পিঠ স্পর্শ করতে পারে না বা করে না। তবে; তাদের শুক্রপাত কি বন্ধ থাকে? আবার পশুকুল তো পিঠ স্পর্শ করার প্রশ্নই আসে না। তবে; কামের সময়ে পুরুষ জাতীয় পশুদের শুক্রপাত কি বন্ধ থাকে?

  আবার বাইবেল অনুসারী অনেক গবেষকের মতে; Archangel নামে ভিন্ন কোনো দেবতা নেই। তাদের মতে; প্রধান দেবতাগণের সমষ্টিকে একত্রে Archangel বলা হয়। অর্থাৎ; প্রধান দেবতাগণের সংখ্যাকে Archangel বলা হয়। যেমন; Seven Archangels & eight Archangels. অন্যদিকে; অনেক বাইবেল গবেষকের মতে; Archangel হচ্ছে দেবতাগণের পদবি। এটি; বাস্তবিকভাবে কোনো নাম নয়। তাদের বক্তব্য হলো; আদি বাইবেলে সরাসরি মাত্র দু‘জন প্রধান দেবতার নাম রয়েছে। যথা; Gabriel & Michael. অন্যান্য নামগুলো বিভিন্ন পুস্তক-পুস্তিকা হতে সাম্প্রদায়িক শাস্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করেছে। তাই; Archangel কে কোনভাবেই স্বতন্ত্র দেবতা বলা যায় না।

আরেকদল গবেষকের মতে; সাম্প্রদায়িক মূল পুস্তকে উল্লেখ না থাকলেই যে দেবতা বলা যাবে না; এমন যুক্তি সঠিক নয়। কারণ; কুরানেও তো ‘اسرافيل’ (ইস্রাফিল) ও ‘عزرائيل’ (আজরাইল) দেবতার উল্লেখ নেই। তবে; ধর্মান্ধ মুসলমানদের মধ্যে দেবতা দুইজনের প্রেম ও ভালোবাসা কি উক্ত দেবতা দুইজনের চেয়ে কম আছে? বরং তারা সমানভাবেই চারজন দেবতাকে মান্য করে। সেহেতু; শক্ত করেই বলা যায় যে; বাইবেলে উল্লেখ থাকুক বা না থাকুক; Archangel একজন বিশিষ্ট দেবতা। কারণ; সারা সাম্প্রদায়িক বিশ্বে Archangel এর স্বতন্ত্র আকৃতি, ভালোবাসা, ব্যবহার ও চরিত্র গড়ে উঠেছে। তাই; একে একজন শ্রেষ্ঠ দেবতার মর্যাদা দিয়ে শ্রেষ্ঠ আসনে আসীন করাই প্রত্যেক গবেষকের উচিত। পরিশেষে বলা যায়; গ্রিক পুরাণে বর্ণিত Archangel ও আরবীয় পুরাণে বর্ণিত ‘عزرائيل’ (আজরাইল) হলো বাঙালী পুরাণে বর্ণিত ধন্বন্তরী। আর ধন্বন্তরীর ভাবার্থ হলো যোনি।