পথ

৬৬/৪. পথ
Path (পাথ)/ ‘ﺴﺑﻴﻞ’ (সাবিল)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা। এর বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা যোনিপথ। এর রূপান্তরিত মূলক বৈতরণী। এর বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা নদী। এর অন্যান্য বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা উঠান দুয়ার। এর বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা ডাঙ্গা, বিরজা যমুনা এবং এর বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা খাল, নালা সুড়ঙ্গ

অভিধা (Appellation)
পথ (বাপৌউ)বি পন্থ, সড়ক, সরণি, মার্গ, বর্ত্ম, উপায়, পন্থা, ব্যবস্থা, কৌশল, রন্ধ্র, ছিদ্র, দ্বার, অভিমুখ, দিক, গোচর, গমনের দিক, যার দ্বারা গমনাগমন করা যায়, path, ‘ﺴﺑﻴﻞ’ (সাবিল) (শ্ববি) জননদ্বার, জননপথ, vagina, সাওয়া (.ﺴﻭﺀﺓ) (রূপ্রশ) গণ্ডকী, গোদাবরী, ফল্গু, মন্দাকিনী, যমুনা, সুরধুনী, সুরনদী, অযোধ্যা (ইংপ) canal (ইপ) দজলা (ﺪﺠﻠﺔ), বরজখ (.ﺒﺮﺯﺥ) (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের অধীন বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; পন্থ বা সরণিকে বাংলায় পথ বলা হয়. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, ভগ হতে ভৃগু পর্যন্ত দীর্ঘ যোনিনালীকে রূপকার্থে বাংলায় পথ বলা হয় (বাপৌছ) খাল, নালা ও সুড়ঙ্গ (বাপৌচা) ডাঙ্গা, বিরজা ও যমুনা (বাপৌউ) উঠান, দুয়ার ও পথ (বাপৌরূ) নদী (বাপৌমূ) বৈতরণী।

সাবিল [ﺴﺑﻴﻞ] (আপৌছ)বি পথ, বর্ত্ম, মার্গ, উপায়, পন্থা, , way, path, road, track, approach, street, route, pathway, ‘طريق’ (ত্বরিক্ব), ‘ﺴﻟﺴﻟﺔ’ (সিলসিলা) (শ্ববি) বৈতরণী, গণ্ডকী, গোদাবরী, ফল্গু, মন্দাকিনী, যমুনা, সুরধুনী, সুরনদী (প্রাঅ) জননপথ, vagina, সাওয়া (.ﺴﻭﺀﺓ) (ইংপ) canal (ইপ) দজলাঃ (ﺪﺠﻠﺔ), বরজখ (.ﺒﺮﺯﺥ) (দেপ্র) এটি আরবীয় পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের আরবীয় পৌরাণিক উপমান পরিভাষা একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; সর্বপ্রকার গলি, ঘাট ও বর্ত্মকে আরবিতে সাবিল (ﺴﺑﻴﻞ) বলা হয়. আরবীয় শ্বরবিজ্ঞানে ও আরবীয় পুরাণে; ভগ হতে ভৃগু পর্যন্ত দীর্ঘ যোনিনালীকে রূপকার্থে আরবিতে সাবিল (ﺴﺑﻴﻞ) বলা হয় (বাপৌছ) খাল, নালা ও যমুনা (বাপৌচা) ডাঙ্গা, বিরজা ও সুড়ঙ্গ (বাপৌউ) উঠান, দুয়ার ও পথ (বাপৌরূ) নদী (বাপৌমূ) বৈতরণী {}

সাবিলিল্লাহ [ﺴﺑﻴﻞ ﺍﻠﻟﻪ] (আপৌছ)বি কাঁইয়ের পথ, কাঁই আগমনের পন্থ (প্র) মর্ত্যধাম হতে স্বর্গধামে গমনের একমাত্র পথ (ব্য্য) মানব দেহের বাইরে কাঁইয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিশ্বের সব আত্মজ্ঞানী, শ্বরবিজ্ঞানী ও মরমী মনীষী মানবদেহের মধ্যে কাঁইয়ের অবস্থান সম্পর্কে একমত। যেহেতু; আর কাঁই সৃষ্টিকর্তা। অর্থাৎ; দ্বিপস্থ জীবের ভ্রূণ সৃষ্টিকারী ঐশিদূতই কাঁই। সনাতনী পদ্ধতিতে উক্ত সত্তার দর্শনলাভ কেবল জননপথের মাধ্যমে সুসম্পন্ন হয় বলে বৈতরণীকে কাঁইয়ের পথ বলা হয় (শ্ববি) বৈতরণী, গণ্ডকী, গোদাবরী, ফল্গু, মন্দাকিনী, যমুনা, সুরধুনী, সুরনদী (প্রাঅ) জননপথ, vagina, সাওয়া (.ﺴﻭﺀﺓ) (ইংপ) canal (ইপ) দজলাঃ (ﺪﺠﻠﺔ), বরজখ (.ﺒﺮﺯﺥ) (দেপ্র) এটি আরবীয় পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের আরবীয় পৌরাণিক উপমান পরিভাষা একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; ইসলামী সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মতবাদে প্রভু প্রাপ্তির পথকে আরবিতে সাবিলিল্লাহ (ﺴﺑﻴﻞ ﺍﻠﻟﻪ) বলা হয়. আরবীয় শ্বরবিজ্ঞানে ও আরবীয় পুরাণে, ভগ হতে ভৃগু পর্যন্ত দীর্ঘ যোনিনালীকে রূপকার্থে আরবিতে সাবিলিল্লাহ (ﺴﺑﻴﻞ ﺍﻠﻟﻪ) বলা হয় (বাপৌছ) খাল, নালা ও যমুনা (বাপৌচা) ডাঙ্গা, বিরজা ও সুড়ঙ্গ (বাপৌউ) উঠান, দুয়ার ও পথ (বাপৌরূ) নদী (বাপৌমূ) বৈতরণী {.সাবিল. ﺴﺑﻴﻞ+ .আল্লাহ. ﺍﻟﻟﻪ}

রাহা [ﺭﺍﻩ] (ফাপৌছ)বি পথ, ঘাট, বর্ত্ম, গলি, উপায়, ব্যবস্থা, মাধ্যম way, path, road, track, approach, street, route, pathway, ‘ﺴﺑﻴﻞ’ (সাবিল), ‘طريق’ (ত্বরিক্ব), ‘ﺴﻟﺴﻟﺔ’ (প্রাঅ) জননপথ, vagina, সাওয়া (.ﺴﻭﺀﺓ) (শ্ববি) বৈতরণী, গণ্ডকী, গোদাবরী, ফল্গু, মন্দাকিনী, যমুনা, সুরধুনী, সুরনদী (ইংপ) canal (ইপ) দজলাঃ (ﺪﺠﻠﺔ), বরজখ (.ﺒﺮﺯﺥ) (দেপ্র) এটি পারসিক পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের পারসিক পৌরাণিক উপমান পরিভাষা ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; সর্বপ্রকার গলি, ঘাট ও বর্ত্মকে ফার্সিতে রাহা (ﺭﺍﻩ) বলা হয় . পারসিক শ্বরবিজ্ঞানে ও পারসিক পুরাণে, ভগ হতে ভৃগু পর্যন্ত দীর্ঘ যোনিনালীকে রূপকার্থে ফার্সিতে রাহা (ﺭﺍﻩ) বলা হয় (বাপৌছ) খাল, নালা ও যমুনা (বাপৌচা) ডাঙ্গা, বিরজা ও সুড়ঙ্গ (বাপৌউ) উঠান, দুয়ার ও পথ (বাপৌরূ) নদী (বাপৌমূ) বৈতরণী {ফা}

রাহে খোদা [ﺭﺍﻩ ﺨﺩﺍ] (ফাপৌছ)বি সাঁই পাবার পথ, সাঁইয়ের পথ (ব্য্য) মানবদেহের বাইরে সাঁইয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিশ্বের সব আত্মজ্ঞানী, শ্বরবিজ্ঞানী ও মরমী মনীষী মানবদেহের মধ্যেই সাঁইয়ের অবস্থান সম্পর্কে একমত। যেহেতু; আর সাঁই পালনকর্তা। অর্থাৎ; দ্বিপস্থ জীবের ভ্রূণ পালনকারী ঐশিদূতই সাঁই। সনাতনী পদ্ধতিতে উক্ত সত্তার দর্শনলাভ কেবল জননপথের মাধ্যমে সুসম্পন্ন হয় বলে বৈতরণীকে সাঁইয়ের পথ বলা হয় (প্র) মর্ত্যধাম হতে স্বর্গধামে গমনের একমাত্র পথ (শ্ববি) জননপথ, vagina, সাওয়া (.ﺴﻭﺀﺓ) (রূপ্রশ) বৈতরণী, গণ্ডকী, গোদাবরী, ফল্গু, মন্দাকিনী, যমুনা, সুরধুনী, সুরনদী (ইংপ) canal (ইপ) দজলাঃ (ﺪﺠﻠﺔ), বরজখ (.ﺒﺮﺯﺥ) (দেপ্র) এটি পারসিক পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের পারসিক পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; ইসলামী সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মতবাদে প্রভু প্রাপ্তির পথকে ফার্সিতে রাহে খোদা (ﺭﺍﻩ ﺨﺩﺍ) বলা হয়. পারসিক শ্বরবিজ্ঞানে ও পারসিক পুরাণে, ভগ হতে ভৃগু পর্যন্ত দীর্ঘ যোনিনালীকে রূপকার্থে ফার্সিতে রাহে খোদা (ﺭﺍﻩ ﺨﺩﺍ) বলা হয় (বাপৌছ) খাল, নালা ও যমুনা (বাপৌচা) ডাঙ্গা, বিরজা ও সুড়ঙ্গ (বাপৌউ) উঠান, দুয়ার ও পথ (বাপৌরূ) নদী (বাপৌমূ) বৈতরণী {ফা.রাহে. ﺭﺍﻩ+ ফা.খোদা. ﺨﺩﺍ}

রাহে লিল্লাহ [ﺭﺍﻩ ﻟﻟﻪﺍ] (ফাপৌছ)বি কাঁই পাবার পথ, কাঁইয়ের পথ ব্য্য) মানবদেহের বাইরে কাঁইয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিশ্বের সব আত্মজ্ঞানী, শ্বরবিজ্ঞানী ও মরমী মনীষী মানবদেহের মধ্যেই কাঁইয়ের অবস্থান সম্পর্কে একমত। যেহেতু; কাঁই সৃষ্টিকর্তা। অর্থাৎ; দ্বিপস্থ জীবের জরায়ুতে রজঃস্রাব সৃষ্টি করা সৃষ্টিকর্তার প্রধান কাজ। সনাতনী পদ্ধতিতে উক্ত সত্তার দর্শনলাভ কেবল জননপথের মাধ্যমে সুসম্পন্ন হয়। এজন্য; বৈতরণীকে কাঁইয়ের পথ বলা হয় (প্র) মর্ত্যধাম হতে স্বর্গধামে গমনের একমাত্র পথ (শ্ববি) জননপথ, যোনিপথ, vagina, সাওয়া (.ﺴﻭﺀﺓ) (রূপ্রশ) বৈতরণী, গণ্ডকী, গোদাবরী, ফল্গু, মন্দাকিনী, যমুনা, সুরধুনী, সুরনদী (ইংপ) canal (ইপ) দজলাঃ (ﺪﺠﻠﺔ), বরজখ (.ﺒﺮﺯﺥ) (দেপ্র) এটি পারসিক পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের পারসিক পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; ইসলামী সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মতবাদে প্রভু প্রাপ্তির পথকে ফার্সিতে রাহে লিল্লাহ (ﺭﺍﻩ ﻟﻟﻪﺍ) বলা হয়. পারসিক শ্বরবিজ্ঞানে ও পারসিক পুরাণে, ভগ হতে ভৃগু পর্যন্ত দীর্ঘ যোনিনালীকে রূপকার্থে ফার্সিতে রাহে লিল্লাহ (ﺭﺍﻩ ﻟﻟﻪﺍ) বলা হয় (বাপৌছ) খাল, নালা ও যমুনা (বাপৌচা) ডাঙ্গা, বিরজা ও সুড়ঙ্গ (বাপৌউ) উঠান, দুয়ার ও পথ (বাপৌরূ) নদী (বাপৌমূ) বৈতরণী {ফা.রাহ. ﺭﺍﻩ+ .লিল্লাহ.ﻟﻟﻪ}

ত্বরিক্ব [طريق] (আপৌছ)বি পথ, রাস্তা, সড়ক, সরণি, way, road, path, route, track, pathway, ‘ شارع ’ (শারয়া) {}

ত্বরিক্বত [طريقة] (আপৌছ)বি পথ, পদ্ধতি, পন্থা, নিয়ম, প্রণালী, method, mode, style, procedure, process, fashion (প্র) . শ্বরবিজ্ঞানের আরবি পরিভাষা বিশেষ . আরবীয় এলমে রুহানিয়্যাত (ﻋﻠﻢ ﺮﻮﺤﺎﻨﻴﺔ) এর শরিয়ত (ﺸﺭﻴﻌﺖ), ত্বরিক্বত (طريقة), মারিফাত (ﻤﻌﺮﻔﺔ) ও হাক্বিক্বত (ﺤﻗﻴﻗﺖ)- এ চারটি স্তরের দ্বিতীয় স্তর বিশেষ . বাংভারতীয় শ্বরবিজ্ঞানের; স্থূল, প্রবর্ত, সাধন ও সিদ্ধি; এ চতুর্স্তরের দ্বিতীয় স্তর বিশেষ . বাংলা শ্বরবিজ্ঞানের; অন্ধকার, ধন্ধকার, কুয়াকার ও নৈরাকার; এ চতুর্স্তরের দ্বিতীয় স্তরবিশেষ . জ্ঞানের এ স্তর এবং ভাবাশ্রয় ও প্রেমাশ্রয় থেকে ত্বরিক্বতপন্থী (طريقة) ‘অলিগণের (ﻮﻠﻰ)’ উৎপত্তি (বাপ) ধন্ধকার, প্রবর্ত (দেপ্র) এটি আরবীয় পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের আরবীয় পৌরাণিক উপমান পরিভাষা একটি দেবতা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; সর্বপ্রকার গলি, ঘাট ও বর্ত্মকে আরবিতে ত্বরিক্বত (طريقة) বলা হয়. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, গুরু পরম্পরার জ্ঞানকে রূপকার্থে আরবিতে ত্বরিক্বত (طريقة) বলা হয় (বাপৌচা) কুলুজি (বাপৌউ) কুলক্রম (বাপৌরূ) পরম্পরা (বাপৌমূ) প্রকৃতপথ {}

ত্বরিক্বা [طريقة] (আপৌছ)বি পথ, পদ্ধতি, পন্থা, নিয়ম, প্রণালী, method, mode, style, procedure, process, fashion (প্রাঅ) আনুপূর্ব, যথাক্রম, অনুক্রম, ধারা (শ্ববি) পরম্পরা, ভেদবিদ্যা, ভেদবিধান (আসং) সিলসিলা (.ﺴﻟﺴﻟﺔ), শাজরা (.ﺸﺠﺭﻩ) (ইসং) series, tradition (দেপ্র) এটি আরবীয় পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর প্রকৃতপথ পরিবারের আরবীয় পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ (সংজ্ঞা) . সাধারণত; সর্বপ্রকার গলি, ঘাট ও বর্ত্মকে আরবিতে ত্বরিক্বা (طريقة) বলা হয়. গুরু-শিষ্যের ক্রম সম্পৃক্ততালব্ধ জ্ঞানকে রূপকার্থে আরবিতে ত্বরিক্বা (طريقة) বলা হয় (বাপৌচা) কুলুজি (বাপৌউ) কুলক্রম (বাপৌরূ) পরম্পরা (বাপৌমূ) প্রকৃতপথ {}

পথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of path)
১.   “অহল্যা পাষাণী ছিল, তোমার চরণধুলায় মানবী হলো, লালন পথে পড়ে রইল, যা করেন সাঁই দয়াময়।” (পবিত্র লালন- ১৫৬/৪)।২.   “গুরু দোহাই তোমার, মনকে আমার লও গো সুপথে, তোমার দয়া বিনা তোমায়, সাধব কী মতে।” (পবিত্র লালন- ৩৯৫/১)।৩.   “নাই আমার ভজন সাধন, চিরদিন কুপথে গমন, নাম শুনেছি পতিতপাবন, তাইতো; দিই দোহাই।” (পবিত্র লালন- ৬৩২/৩)।৪.   “যেতে পথে কামনদীতে, পাড়ি দিতে ত্রিবেণে, কত ধনীর ভারা যাচ্ছে মারা, পড়ে নদীর ঘোর তুফানে।” (পবিত্র লালন- ৩১৬/২)।৫.   “রাজি হলে দারোয়ানি, দ্বার খুলে দিবেন তিনি, তারে বা কই চিনি জানি, বেড়াই কুপথে।” (পবিত্র লালন- ১২৪/৩)

পথের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of path)
১.   “অমূল্য দোকান খুলিয়া দয়াময় তেমাথা পথে, শিষ্যের পানে রয় চাহিয়া আপনার ধন বিলাতে, মনের দরে জ্ঞান বেচিয়া, দান করে ধনের খনি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯২)
২.   “আত্মতত্ত্ব জানে যে; সব খবরের জবর সে, লালন ফকির ফেরে পড়ল, নিগূঢ়পথ ভুলে।” (পবিত্র লালন- ৫০৪/৪)
৩.   “আপন দেশে যাবার পথে, কী দেখলাম দিব্য চক্ষেতে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬)
৪.   “আপন দেশে যেতে পথে, মানুষ খণ্ড হয় মূল হতে, পুনর্জনম কয় সাধু মতে, শাস্ত্রে সন্তান জন্ম হয়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮৪)
৫.   “এমনই সে নিগমপথ, হাওয়া তাতে নাই যাতায়াত, ফাঁদ পেতে- বসলে পথে, সাধন সিদ্ধি হয় নিশ্চয়।” (পবিত্র লালন- ৮৪৬/৩)
৬.   “এসেছরে মন যে পথে, যেতে হয় সে পথে।” (পবিত্র লালন- ২৩৩/১)
৭.   “ওহাদানিয়াতের রাহা, ভুল যদি মন করো তাহা, হুজুরেতে পথ পাবি না, ঘুরবি ভুবন ভুবনে।” (পবিত্র লালন- ৫৫৫/২)
৮.   “কারণমরণ যে পথে, ভুল হলো তাই জানতে, ঐ ভুলে রইলে, ঘুরতে হয় বেড়ি লয়ে গলে।” (পবিত্র লালন- ৬৮৬/২)
৯.   “কোন পথে সাঁই ঘুরেফেরে, কাঁই আসে কয়দিন পরে, কোন গলিতে নিরীক্ষ ধরে, বসে থাকি ত্রিবেণে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬৭)
১০. “গো চারণে গোষ্ঠের পথে, কষ্ট নাই মা গোষ্ঠে যেতে, আমরা সবে কাঁন্ধে করে, গোপাল লয়ে যাই, তোর গোপালের ক্ষুধা পেলে, দণ্ডে দণ্ডে ননি খাওয়াই।” (পবিত্র লালন- ২৫৬/৩)
১১.  “জন্মপথে ফুলের ধ্বজা, ফুল ছাড়া নয় গুরু-পূজা, সিরাজ সাঁইজি কয় এ ভেদ বুঝা, লালন ভেড়োর কার্য নয়।” (পবিত্র লালন- ২৬০/৪)
১২.  “ঠিক না হলে বায়ুর মাপ, পথে যেতে ঘটে বিপদ, বলন কয় নদীপথ, সাধু ছাড়া নিস্তার নাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯৬)
১৩. “তেতলা এক ভোজনালয়, নিত্যকর্মে মাপিয়া লয়, মাপকাঠিতে ঠিক নাহি হয়, যেতে পথে ডাঙ্গায় মরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫)
১৪. “ত্বরিক্ব দিচ্ছে নবি জাহির বাতিনে, যথাযোগ্য লায়েক্ব চেনে, রোজা আর নামাজ- ব্যক্ত এ কাজ, গুপ্তপথ মিলে ভক্তির সন্ধানে।” (পবিত্র লালন- ১৬০/২)
১৫. “নিত্য যাওয়া আসার পথে, ধন রেখেছে চাবি এটে, হাজার বছর দেখ রে খেটে, উত্তরে উড়িয়ে নায়ের পাল।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১০২)
১৬.  “নেংড়া যায় পথ পাড়িতে, অন্ধ যায় জনসভাতে, বোবা যায় বক্তব্য দিতে, বয়রা শুনে বোবার বাণী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৭৩)
১৭. “পথ গড়িয়া মধ্য পথে, তালা ঝুলায় রাখে তাতে, চাবি রাখে গুরুর হাতে, দেখ রে যতনে গোপনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৪)
১৮. “প্রভুর যে মত ঐ মত সার, আর যত সব যায় ছারখার, তাইতো; ঘুরি কিবা করি, ব্রজের পথে না পাই দিশে।” (পবিত্র লালন- ৩৬৬/২)
১৯.  “ভবের পিরিত ভুতের কীর্তন, ক্ষণেক বিচ্ছেদ ক্ষণেক মিলন, অবশেষে বিপাকে মরণ, তেমাথা পথে।” (পবিত্র লালন- ৫৯৪/৩)
২০. “ভয় পেয়ে জন্মাবধি, সেপথে না যায় যদি, হয় না সাধন সিদ্ধি, তা শুনে নয়ন ঝরে, লালন বলে যা করে সাঁই, থাকো সে পথ ধরে।” (পবিত্র লালন- ৮৪৭/৫)
২১.  “ভেবে তারে পঞ্চমতে, ঘুরে বেড়াই পঞ্চপথে, যে পথে সরল সে পথে গরল, অধীন লালন বলে পড়লাম ফেরে।” (পবিত্র লালন- ৮২৬/৫)
২২. “যাবরে স্বরূপ কোন পথে স্বরূপ আয়রে আয়, এসে আমায় ব্রজের পথ বলে দে।” (পবিত্র লালন- ৮১৭/১)
২৩. “যার ভাবে এ কোপনি মজা, শ্বেত বসনে সাধু সাজা, জাতি কুল সব ত্যাজিয়ে, সেজেছে সে পথের রাজা।” (বলন তত্ত্বাবলী)
২৪. “যেতে পথে প্রেমনদেতে, পিতৃধন খায় কুরে কুরে (ভোলামন মনরে), না জানি হায়, ষোল কলায়, ভরা দেহ উজাড় করে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৯০)
২৫. “যেতে পথে সাঁইসাগরে, কত ধনী ডাঙ্গায় মরে, বলন কয় নাই কিনারে, সাঁই থাকে রসাতলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩১০)
২৬. “যে পথ ত্রিভঙ্গ বাঁকা, তাতে হীরের ধার চোখা, ঈমান আমল হলে পাকা, তরবি সেদিনে।” (পবিত্র লালন- ৬৩৫/২)
২৭. “যে পথ ধরে গেলাম এলাম, সে পথ চেনা হলো না, আপন দেশের গোপন কুশল, জানা হলো না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৭০)
২৮. “যে পথে আসা যাওয়া, সে পথ ছেড়ে বনে খুঁজা, সে পথের হয় কোন ঠিকানা, কে জানাবে আজ আমারে।” (পবিত্র লালন- ৮২৬/৪)
২৯. “যে পথে সাঁই চলেফেরে, সবাই চলে সে পথটি ধরে, কত জনাই পিছলে মরে, হাতড়ে ফিরে আন্দাজী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৯)
৩০. “স্বরূপ নদের ত্রিমোহনা, পাড়ি দিবার পথ চিনি না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩০১)
৩১. “স্বরূপপথে নারদকাঠি, হাজার মাস থাকলে টিকি, চেনায় সোনা রাঙ্গ কী মেকি, পরিমাপটা যায় জানা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯০)

সাধারণ পথ অর্থে পথপরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology Path sense ordinary path)
১.   “এক কানা কয় আরেক কানারে, চল দেখি যায় ভবপারে, নিজে কানা পথ চেনে না, পরকে ডাকে বারে বার।” (পবিত্র লালন- ২৩১/২)
২.   “কথা বলে চটকমারি, শিষ্য বাড়ানোর বাহাদুরি, উল্টো কথা পুঁজি করি, পথে ঘাটে আস্তানা করে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯৪)
৩.   “পাগল যায় ভ্রান্ত পথে, পথ খুঁজে না পায় তাতে, বুদ্ধি নাশে তার কাম লোভেতে, মন তোরও বুদ্ধি নাইরে।” (পবিত্র লালন- ৩৬২/৩)
৪.   “বলন কাঁইজি কেঁদে বলে- পথে ঘাটে বন্ধু মিলে, রসিক মিলে ভাগ্যের ফলে, হারাইয়া নয়ন-মণি- কাঁন্দি বসে দিনরজনী, প্রাণ হারাইয়া দেহ লই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬২)
৫.   “মাসে মাসে ভাড়া বাড়ায়, ওয়াসা বিদ্যুৎ গ্যাসের ছুতায়, পথে গাড়ির কালো ধোঁয়া, রাতে জ্বালায় মশা।” (বলন তত্ত্বাবলী)
৬.   “যুদ্ধ করা ভাই ভাইয়ে, কুড়াল মারা নিজ পায়ে, কী হবে ছাই জাতি দিয়ে, রক্ত ঝরায় পথ রাঙ্গালে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৮)

মতবাদ অর্থে পথপরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology path sense for doctrine)
১.   “অধীন লালন কয় কাতরে, পড়ে মলাম তিনধারে, কে দিবে আমায় সন্ধান করে, সুপথগামী রাস্তা খুলে।” (পবিত্র লালন- ৩৫৩/৪)
২.   “কোথায় এনে আমায়, পথ ভুলালে, দুরন্ত তরঙ্গে তরীখানি ডুবালে।” (পবিত্র লালন- ৩৫৩/১)
৩.   “ছিলি কোথায় এলি হেথা, নিরূপণ কী করলি তা, কী বুঝে মুড়ালি মাথা, পথের নাই অন্বেষণ।” (পবিত্র লালন- ২৪৯/৩)
৪.   “নিগূঢ় প্রেমরস রতীর কথা, জেনে মুড়াও মনের মাথা, কেন লালন ঘুরিস বৃথা, শুদ্ধ সহজ পথ ভুলে।” (পবিত্র লালন- ৭৯৪/৪)
৫.   “পথের গোলমালে পড়ে, ডুবলাম কূপজল মাঝারে, লালন বলে কেশে ধরে, লাগাও গুরু কিনারায়।” (পবিত্র লালন- ৩৬৯/৪)
৬.   “ভূমি কড়ি নয় সম্পদ, শুধু ডেকে আনে বিপদ, দেখাতে পারে না সুপথ, দেখ নামে মাত্র ধনবান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮২)
৭.   “মায়াতে মত্ত হলে, গুরুর চরণ না চিনলে, সত্যপথ হারালে, সব খুয়াবি গুরুবস্তু ধন।” (পবিত্র লালন- ১৫৩/২)
৮.   “যার ছাঁয়ায় দাঁড়াইব বলে বুক বান্ধিয়া যাই, থুথু ঘৃণা আর পদাঘাতে সেই তাড়াইয়া দেয়, চিরকাল সুপথের কাঙ্গাল, এ দুঃখ কারে জানাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৭৯)
৯.   “শরিয়ত ত্বরিক্বত আর যে; হাক্বিক্বত মারিফত লিখেছে, এ চার ছাড়া সরলপথ আছে, জানে দরবেশ ফকিরে।” (পবিত্র লালন- ৭৯৭/২)
১০. “শুনতে পাই পরমপিতা গো তুমি, তোমার অতি অবোধ বালক আমি, যদি ভজন ভুলে কুপথে ভ্রমি, তবে দাও না কেন সুপথ, স্মরণ করে।” (পবিত্র লালন- ৩৭২/২)

উপায় অর্থে পথপরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology path sense for way)
১.   “দিনে দিন ফুরিয়ে গেল, রঙমহল অন্ধকার হলো, লালন বলে হায়- কী করি উপায়, পথ দেখিনে।” (পবিত্র লালন- ৭৪৬/৪)
২.   “মনোবুদ্ধির অগোচর চোরা, বললে কী পথ করবি তোরা, আজ আমার কথায়, সাঁইজি লালন বলে- ভাবুক হলে, ধাক্কা লাগে গায়।” (পবিত্র লালন- ১৯৮/৪)

পথের ওপর ২টি পূর্ণ লালন (Two full Lalon on the path)
.                 এসেছরে মন যে পথে,
            যেতে হয় সে পথে।

মহামায়ায় ভুলে রইলি,
আজকাল বলে দিন ফুরালি,
করো ঐ নাম কৃতাঞ্জলি,
যদি সময় হয় তাতে।

পথের নাম ত্রিবেণীর ঘাট,
বাঘে সর্পে ঘিরে আছে বাট,
রসিকজনা ঘাটের লাট,
মহামীন আসে তার সাথে।

সে পথেতে তিনটি মরা,
জ্যান্ত-মানুষ খাচ্ছে তারা,
লালন বলে মরার মরা,
খেলছে খেলা তার সাথে।” (পবিত্র লালন- ২৩৩)

.                 যাবরে স্বরূপ কোন পথে
স্বরূপ আয়রে আয়,
এসে আমায় ব্রজের পথ বলে দে।

যার জন্যেতে ঝরে নয়ন,
তারে কোথায় পাইরে এখন,
যাব আমি শ্রীবৃন্দাবন,
পথ না পারি আজ চিনতে।

দেখব সে নন্দের কুমার,
মনে বাঞ্ছা হয়রে আমার,
মিনতি করি এবার,
সে পথের উদ্দেশ জানতে।

না দেখি গোকুলের চাঁদ,
কোথায় পাতব বিনোদফাঁদ,
লালন বলে গৌরাঙ্গ রূপচাঁদ,
কেঁদে আকুল হই চিত্তে।” (পবিত্র লালন- ৮১৭)

পথের সংজ্ঞা (Definition of path)
সাধারণত; পন্থ বা সরণিকে পথ বলে।

পথের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of path)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ভগ হতে ভৃগু পর্যন্ত যোনিনালীকে রূপকার্থে পথ বলে।

পথের প্রকারভেদ (Variations of path)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পথ দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান পথ ও ২. উপমিত পথ।

. উপমান পথ (Analogical path)
সাধারণত; পন্থ বা সরণিকে উপমান পথ বলে।

. উপমিত পথ (Compared path)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ভগ হতে ভৃগু পর্যন্ত যোনিনালীকে উপমিত পথ বলে।

পথের পরিচয় (Identity of path)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের অধীন একটি বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ। পথের অনেক অভিধা রয়েছে। ওপরে কয়েকটি অভিধা তুলে ধরা হয়েছে। তবে; এখানে; পথ বলতে কেবল বৈতরণীকেই পথ বলা হয়েছে। শ্বরবিজ্ঞানে; স্বর্গীয় পথ, স্বর্গীয় নদী, সাঁইয়ের পথ, কাঁইয়ের পথ এবং বসিধের পথ বলা হয়। এ পথ দিয়েই দয়াল বসিধ নিত্য আসা-যাওয়া করে থাকেন। কিন্তু বড় আশ্চর্য হবার বিষয় হলো সারা বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত ‘পথ’ পরিভাষাটির দ্বারা কেবল বাস-ট্রাক, গাড়ি-সাইকেল চলাচলকারী সাধারণ রাস্তাকেই বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। তাই; তারা শ্বরবিজ্ঞান ও আত্মদর্শন হতে চিরদিনের জন্যই চির বঞ্চিত। যেমন; “দয়াল আমার এই দিয়ে আসবেরে, আমি সদাই থাকি পন্থ পানে চাইয়া।” এই দয়ালও মানুষগুরু নন এবং এই পথও গাড়ি-যান চলার পথ নয়। এ দয়াল হলেন স্বয়ং সাঁই এবং এ পথ হলো বৈতরণী।

খোদার পথ (সাঁইয়ের পথ)/Path of God / (‘ﺭﺍﻩ ﺨﺩﺍ’. রাহে খোদা)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি পরিভাষা বিশেষ। সারা বিশ্বের সর্ব শ্রেণির রূপকার, মরমী ও আত্মজ্ঞানী মনীষীদের মতে; সাঁইয়ের আবাস্থল কেবলই মানবদেহ। যদিও বিশ্বের সর্বপ্রকার উদ্ভিদ ও প্রাণী কুলের মধ্যেই সাঁইয়ের অবস্থান ও অবস্থিতি চির বিদ্যমান। সাঁই পরিভাষাটির বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা পালনকর্তা। উপমায় একে অমৃত, অমৃতরস, জল, বারি ইত্যাদি বলা হয়। মৌমাছি এ রস ফুল থেকে আহরণ করে চাকে সঞ্চয় করলে একে মধু বলা হয়। পূর্বকালে মানবদেহ হতে এ রস সনাতনী পদ্ধতিতে আহরণ করা হতো। তখন এ রস আহরণের জন্য কেবল জননপথ ব্যবহার করা হতো বলে শ্বরবিজ্ঞানে জননপথকে সাঁইয়ের পথ বলা হয়। উল্লেখ্য যে; বর্তমানকালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ রস আহরণ করা যায়।

অন্যদিকে; সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা ‘খোদার পথ (সাঁইয়ের পথ)/ Path of God / (‘ﺭﺍﻩ ﺨﺩﺍ’. রাহে খোদা)’ বলতে যে যা বুঝেন তাই বুঝিয়ে থাকেন। যেমন;

আহলে বায়াতদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
আহলে হাদিসদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
ওহাবিদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
খারিজিদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
ত্বরিক্বতবাদীদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
নামাজিদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
তাবলিগীদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
পিরবাদীদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
মারিফতবাদীদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
সুন্নিদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
শিয়াদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
শরিয়তবাদীদের নিকট ওটিই খোদার পথ,
হাক্বিক্বতবাদীদের নিকট ওটিই খোদার পথ,

তবে প্রকৃত খোদার পথ কোনটি? খোদার স্বরূপ নির্ণয় করার পূর্বে কারো পক্ষেই এমন প্রশ্নের সঠিক সমাধান করা সম্ভব নয়।

আল্লাহর পথ (কাঁইয়ের পথ)/Path of Lord/ (‘ﺴﺑﻴﻞ ﺍﻠﻟﻪ’. সাবিলিল্লাহ)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর বৈতরণী পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি পরিভাষা বিশেষ। সারা বিশ্বের সব মরমী ও আত্মজ্ঞানী মনীষী একমত যে কাঁইয়ের আবাস্থল একমাত্র মানবদেহ। যদিও সর্ব শ্রেণির উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহেই কাঁইয়ের অবস্থান ও অবস্থিতি চির বিদ্যমান। কাঁই পরিভাষাটির বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা সৃষ্টিকর্তা। উপমায় একে মধু, মধুরস ও অমৃতসুধা বলা হয়। পূর্বকালে কেবল সনাতনী পদ্ধতিতে মানবদেহ হতে এ রস আহরণ করা হতো। এ রস আহরণ করার জন্য জননপথ ব্যবহার করা হতো বলেই শ্বরবিজ্ঞানে জননপথকে কাঁইয়ের পথ বলা হতো। উল্লেখ্য যে; বর্তমানকালে বিকল্প পদ্ধতিতেও এ রস আহরণ করা যায়।

অন্যদিকে; সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা ‘আল্লাহর পথ (কাঁইয়ের পথ)/ Path of Lord / (‘ﺴﺑﻴﻞ ﺍﻠﻟﻪ’. সাবিলিল্লাহ)’ বলতে যে যা বুঝেন তাই বুঝিয়ে থাকেন। যেমন;

আহলে বায়াতদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
আহলে হাদিসদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
ওহাবিদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
খারিজিদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
তাবলিগীদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
ত্বরিক্বতবাদীদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
নামাজিদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
পিরবাদীদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
মারিফতবাদীদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
শরিয়তবাদীদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
সুন্নিদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
সিয়াদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ
হাক্বিক্বতবাদীদের নিকট ওটিই আল্লাহর পথ

তবে প্রকৃত আল্লাহর পথ কোনটি। আল্লাহর স্বরূপ নির্ণয় করার পূর্বে কারো পক্ষেই এমন প্রশ্নের সঠিক সমাধান করা সম্ভব নয়।

সঠিক পথ (Correct path. ‘الطريقة الصحيحة’)
ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন সঠিক পথ রয়েছে। তবে; এখানে; সাম্প্রদায়িক মতবাদ, পারম্পরিক মতবাদ এবং আত্মদর্শন বিষয়ের আলোচনা তুলে ধরা হলো। কথায় বলে বিজ্ঞানের ভিত্তি প্রমাণ, দর্শনের ভিত্তি যুক্তি, সাম্প্রদায়িক মতবাদের ভিত্তি চরম অন্ধবিশ্বাস এবং আত্মদর্শনের ভিত্তি মানবদেহ। শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত বিষয়গুলোকে অন্ধবিশ্বাস দ্বারা গ্রহণ না করে বরং যুক্তি ও প্রমাণসহ গ্রহণ করাই একমাত্র সঠিক পথ। ওপর দিকে অধিকাংশ মানুষের মতে; যার যার নিজ নিজ পথই সঠিক পথ। যেমন; হিন্দুদের নিকট ওটিই সঠিক পথ, বৌদ্ধদের নিকট ওটিই সঠিক পথ, খ্রিস্টানদের নিকট ওটিই সঠিক পথ, মুসলমানদের নিকট ওটিই সঠিক পথ, জৈনদের নিকট ওটিই সঠিক পথ, ওরিয়াদের নিকট ওটিই সঠিক পথ, কন্ফুসিদের নিকট ওটিই সঠিক পথ, শিখদের নিকট ওটিই সঠিক পথ। সাঁইদর্শন ও কাঁইদর্শনের জন্য আত্মতত্ত্ব জানা ও বুঝাকে আমরা সঠিক পথ বলে মনে করি। কারণ; ‘যাত পাত যার যার, আত্মদর্শন সবার।’

তাই কথা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মতবাদ যার যার কিন্তু আত্মদর্শন সবার। যে; যে মতবাদ ভালোবাসে বাসুক। যে; যে মতবাদে আছে থাক। সবাই স্বস্ব অবস্থানে থেকে কেবল আত্মদর্শন শিক্ষা করুক। কারণ; আত্মদর্শনই আত্মমুক্তির একমাত্র পথ। শক্ত করে বললে একমাত্র আত্মদর্শন বা আত্মতত্ত্বকে সঠিক পথ বলা যায়। এছাড়াও; সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক ও রাজনৈতিক পথকে কখনই সঠিক পথ বলা যায় না। পরিশেষে কেবল এতটুকু বলা যায় যে; সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পথ সৃষ্টি করা হয়েছিল আত্মমুক্তির জন্য। কিন্তু ঐসব অতিরঞ্জন ও অতিভঞ্জনের কারণে এখন আত্মমুক্তির পরিবর্তে আত্মধ্বংসের পথে পরিণত হয়েছে।

তথ্যসূত্র (References)

(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)

১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula)
"আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"

রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)

২ যোজক সূত্র (Adder formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"

৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

< উৎস
[] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
() ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
> থেকে
√ ধাতু
=> দ্রষ্টব্য
 পদান্তর
:-) লিঙ্গান্তর
 অতএব
× গুণ
+ যোগ
- বিয়োগ
÷ ভাগ

Here, at PrepBootstrap, we offer a great, 70% rate for each seller, regardless of any restrictions, such as volume, date of entry, etc.
There are a number of reasons why you should join us:
  • A great 70% flat rate for your items.
  • Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
  • We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.

পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী

উপস্থ (শিশ্ন-যোনি) কানাই,(যোনি) কামরস (যৌনরস) বলাই (শিশ্ন) বৈতরণী (যোনিপথ) ভগ (যোনিমুখ) কাম (সঙ্গম) অজ্ঞতা অন্যায় অশান্তি অবিশ্বাসী
অর্ধদ্বার আগধড় উপহার আশ্রম ভৃগু (জরায়ুমুখ) স্ফীতাঙ্গ (স্তন) চন্দ্রচেতনা (যৌনোত্তেজনা) আশীর্বাদ আয়ু ইঙ্গিত ডান
চক্ষু জরায়ু জীবনীশক্তি দেহযন্ত্র উপাসক কিশোরী অতীতকাহিনী জন্ম জ্ঞান তীর্থযাত্রা দেহাংশ
দেহ নর নরদেহ নারী দুগ্ধ কৈশোরকাল উপমা ন্যায় পবিত্রতা পাঁচশতশ্বাস পুরুষ
নাসিকা পঞ্চবায়ু পঞ্চরস পরকিনী নারীদেহ গর্ভকাল গবেষণা প্রকৃতপথ প্রয়াণ বন্ধু বর্তমানজন্ম
পালনকর্তা প্রসাদ প্রেমিক বসন পাছধড় প্রথমপ্রহর চিন্তা বাম বিনয় বিশ্বাসী ব্যর্থতা
বিদ্যুৎ বৃদ্ধা মানুষ মুষ্ক বার্ধক্য মুমুর্ষুতা পুরুষত্ব ভালোবাসা মন মোটাশিরা যৌবন
রজ রজপট্টি রজস্বলা শুক্র মূত্র যৌবনকাল মনোযোগ রজকাল শত্রু শান্তি শুক্রপাত
শুক্রপাতকারী শ্বাস সন্তান সৃষ্টিকর্তা শুক্রধর শেষপ্রহর মূলনীতি সন্তানপালন সপ্তকর্ম স্বভাব হাজারশ্বাস
ADVERTISEMENT
error: Content is protected !!