৬২/২. পাখি১
Strix (স্টেক্স)/ ‘بومة’ (বুমা)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বিদ্যুৎ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘বিদ্যুৎ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘আত্মা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘বিজলি’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘জীবাত্মা’। এ পরিভাষাটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপাসক’, ‘কানাই’, ‘পালনকর্তা’, ‘বিদ্যুৎ’, ‘ভৃগু’, ‘মন’, ‘শান্তি’ ও ‘শ্বাস’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক আত্মতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা প্রত্যেক পাঠক-শ্রোতার একান্ত প্রয়োজন। যেসব ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র অধীনে পাখি পরিভাষাটি ব্যবহার হয় তাদের সারণী নিচে দেখানো হলো।
ক্রমি | বাংলা | ইংরেজি | আরবি | তুলনা | মূলক |
চকোর | Partridge (পার্ট্রিজ) | ‘الحجل’ (আলহাজালা) | উপমান | উপাসক | |
চাতক | Jacobinus (জ্যাকৌবিনাস) | ‘عندليب’ (আন্দালীব) | উপমান | উপাসক | |
পাখি১ | Strix (স্টেক্স) | ‘بومة’ (বুমা) | উপমান | বিদ্যুৎ | |
পাখি২ | Phoenix (ফিনিক্স) | ‘عنقاء’ (আনক্বা) | উপমান | কানাই | |
পাখি৩ | Hoopoe (হুপী) | ‘ﻫﺪﻫﺪ’ (হুদহুদ) | উপমান | ভৃগু | |
পাখি৪ | Pigeon (পিজিন) | ‘حمامة’ (হামামা) | ছদ্মনাম | শান্তি | |
পাখি৫ | Dragon (ড্র্যাগন) | ‘تنين’ (তানিনা) | ছদ্মনাম | মন | |
পাখি৬ | Pegasus (পেগাসাস) | ‘بيغاسوس’ (বিয়াগাসুস) | উপমান | পালনকর্তা | |
পাখি৭ | Siren (সাইরেন) | ‘صفارة’ (সাফারা) | ছদ্মনাম | শ্বাস |
অভিধা (Appellation)
পাখি১ (বাপৌউ)বি পক্ষী, বিহগ, বিহঙ্গম, strix, ‘بومة’ (বুমা), bird, ‘ﻄﺎﺌﺮ’ (ত্বয়ির) (শ্ববি) আত্মা, প্রাণ, জীবন, জীবাত্মা, soul, life, রুহ (আ.ﺭﻮﺡ) (আঞ্চ) পরান (রূপ্রশ) অলোক, আলেক (ফাপ) জান (ফা.ﺠﺎﻦ), জি (হি.ﺠﻰ) (ইংপ) spirit (পরি) প্রাণীদেহে ব্যাপৃত চৈতন্যময় বিদ্যুৎ (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘আত্মা’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সর্বপ্রকার খেচর প্রাণীকে পাখি বলা হয় ২. জীবকুলের জীবন ধারণে সহায়তাকারী বিদ্যুৎকে রূপকার্থে পাখি বলা হয় ৩.রমণীদের জননাঙ্গকে পাখি বলা হয় (বাপৌছ) জীবাত্মা (বাপৌচা) বিজলি (বাপৌউ) পাখি১ (বাপৌরূ) আত্মা (বাপৌমূ) বিদ্যুৎ।
পাখি২ বি ২৬/৩৩/৩৫ শতাংশ পরিমাণ ভূমি।
পাখি৩ (বাপৌছ)বি খড়খড়ির কাষ্ঠদণ্ড, চরকার খুরায় সংলগ্ন কাষ্ঠদণ্ডাবলী, মইয়ের খিল।
Strix [স্টেক্স] (GMP)n এক প্রকার পেঁচা, owl, hooter, ‘بومة’ (বুমা) (প্র) একটি নিশাচর পাখি, লোকবিশ্বাসে এরা মানুষের রক্তমাংস খেয়ে বেঁচে থাকে (রোমান) (A nocturnal bird-like creature believed to feed on human flesh) (Roman) {ই}
‘بومة’ [বুমা] (আপৌমূ)বি এক প্রকার পেঁচা, Strix (স্টেক্স), owl, hooter (প্র) একটি নিশাচর পাখি, লোকবিশ্বাসে এরা মানুষের রক্তমাংস খেয়ে বেঁচে থাকে (রোমান) (A nocturnal bird-like creature believed to feed on human flesh) (Roman) {আ}
পাখির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of strix)
১. “কখন উড়াল দেয় পাখি, মুদে যায় ডাগর আঁখি, সোনার খাঁচা ভেঙ্গেচুরে, এ মহামায়ার জাল কাটি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫৯)।
২. “কপালের ফের নইলে কী আর, পাখিটির এমন ব্যবহার, খাঁচা খুলে পাখি আমার, কোন বনে পালায়।” (পবিত্র লালন- ৩৭৫/৩)।
৩. “কী এক অচিন–পাখি, পুষলাম খাঁচায়, না হলো জনম জনম, তার পরিচয়।” (পবিত্র লালন- ৩০১/১)।
৪. “চিরদিন পোষলাম এক অচিন–পাখি, ভেদ পরিচয় দেয় না আমায় ঐ খেদে ঝরে আঁখি।” (পবিত্র লালন- ৪৪৯/১)।
৫. “বিদ্যা-বুদ্ধি শূন্য এ ধড়, পরান–পাখি করে ধড়ফড়, ভাবিয়া কয় বলন ত্রিগড়, স্বস্তি পাবো মরিলে।” (বলনতত্ত্ব, গীতিকার, বলন কাঁইজি)।
৬. “সবে বলে প্রাণ–পাখি, শুনে চুপে চুপে থাকি, জল কী হুতাসন- ক্ষিতি কী পবন, আমি ধরতে গেলে পাই না তারে।” (পবিত্র লালন- ১২৩/৩)।
বিদ্যুৎ অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for electricity)
১. “থাক সে ভবের ভাই বেরাদর, প্রাণ–পাখিও নয় আপনার, পরের মজায় মজে এবার, প্রাপ্তধন হারায় পাছে।” (পবিত্র লালন- ৭৪৩/২)।
২. “দুঃখে দুঃখে গেল জীবন, শ্যাম বিনা কেউ নাইরে আপন, লালন বলে মনরে কখন, উড়ে যায় খাঁচার পাখি।” (পবিত্র লালন- ৫৮২/৪)।
৩. “যেদিন বাতি নিভে যাবে, ভাবেরশহর আঁধার হবে, শুকপাখি সে পালাবে, ছেড়ে সুখ আলয়।” (পবিত্র লালন- ৭২১/৩)।
৪. “মায়াডুরি বান্ধিস না, খাঁচায় পাখি রবে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫৭)।
৫. “মিছে কড়ির বাহাদুরী, যত করবি ছল চাতুরি, একদিন এ বিশ্ব ছাড়ি, পরান–পাখি যায় উড়ি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৭৭)।
৬. “শুদ্ধ মনে সকলই হয়, তাও তো জুটল না হেথায়, লালন বলে করবি হায় হায়, ছেড়ে গেলে প্রাণ–পাখি।” (পবিত্র লালন- ৬৩/৪)।
১. “১চিরদিন পোষলাম এক অচিন–পাখি
ভেদ পরিচয় দেয় না আমায়
ঐ খেদে ঝরে আঁখি।
২পাখি বুলি বলে শুনতে পাই,
রূপ কেমন দেখি না ভাই,
আমি উপায় কী করি,
চিনাল পেলে চেনে নিতাম,
যেত মনের ধুকধুকি।
৩আমি পুষে পাখি চিনলাম না,
এ লজ্জা তো যাবে না,
আমি বিষম ঘোর দেখি,
কোন্ দিন পাখি যাবে উড়ে,
ধূলো দিয়ে দুই চোখি।
৪নয় দুয়ার এ খাঁচাতে,
যায় আসে পাখি কোন পথে,
চোখে দিয়ে ভেল্কি,
সিরাজ সাঁইজি কয় বয় লালন রয়,
ফাঁদ পেতে ঐ সম্মুখী।” (পবিত্র লালন- ৪৪৯)।
২. “১পাখি কখন যেন উড়ে যায়,
বদ হাওয়া লেগে খাঁচায়।
২খাঁচার আড়া পড়ল ধ্বসে,
পাখি আর দাঁড়াবে কিসে,
এখন আমি ভাবছি বসে,
সদা চমকজ্বরা বইছে গায়।
৩কারবা খাঁচায় কেবা পাখি,
কার জন্যে কার ঝরে আঁখি,
(পাখি) আমারি আঙ্গিনায় থাকি,
আমারে মজাতে চায়।
৪শুকপাখি যাবে উড়ে,
খালি খাঁচা রবে পড়ে,
সঙ্গের সাথী কেউ না রবে,
লালন ফকির কেঁদে কয়।” (পবিত্র লালন- ৬১৯)।
সাধারণ পাখি অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for bird)
১. “ব্যাধ নলেতে পাখি ধরেরে, তেমনি, মতো ধরতে হয়রে, তেমনি, অনুরাগের আঠা, লাগাও গুরুর রাঙাপায়।” (পবিত্র লালন- ৮৬১/২)।
২. “ব্যাধে যখন পাখি ধরতে যায়, তখন ঊর্ধ্বমুখে রয়, থাকে এক নিরীক্ষে পাখির দিকে, ফিরে থাকায় না, তুমি আঁখি রেখ পাখির দিকে, নয়নে পলক দিও না।” (পবিত্র লালন- ৩৯০/২)।
উপাসক অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for admirer)
১. “চাতক পাখির এমনই ধারা, অন্য বারি খায় না তারা, প্রাণ থাকতে জ্যান্তমরা, ঐরূপ ডালে বসে ডাক।” (পবিত্র লালন- ৯৭৩/৩)।
২. “চাতক রূপ পাখি যেমন, করে সে প্রেম নিরূপণ, আছি তেমন প্রায়; কারে বা শুধাই, সে চাঁদের উদ্দেশ কে কয়।” (পবিত্র লালন- ১৬৮/২)।
কানাই অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for leaky)
“কলের পাখি কলের ছোঁয়া, কলের মোহর গিরা দেওয়া, কল ছুটলে যাবে হাওয়া, কে রবে কোথায়” (পবিত্র লালন- ৩৫৬/৩)।
১রাত পোহালে পাখি বলে,
দেরে খাই দেরে খাই,
এখন গুরুকার্য মাথায় থুয়ে,
কী করি কোথায় যাই।
২সদাই বল আত্মারাম,
মুখে লওরে কৃষ্ণনাম,
যাতে মুক্তি পাই,
সে নামে তো- হয় না রত,
খাব খাব রব সদাই।
৩এমন পাখি কেবা পোষে,
খেতে চায় সাগর চুষে,
কিরূপে জোগাই,
বুদ্ধি গেল- সাধ্যি গেল,
কী দিয়ে পেট ভরাই।
৪আমি লালন লালপড়া,
পাখি সেও নাছোড় ধড়া,
দের সবুরি নাই,
তাইতো; বলি- পেট ভরলে,
কী হয় আর গুরু গোঁসাই” (পবিত্র লালন- ৮৬৩)।
পালনর্কতা অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for guardian)
১. “আঁখির কোনায় পাখির বাসা, দেখতে নারি সে তামাসা, এ বড় আদলা দশা, কে আর ঘুচায়।” (পবিত্র লালন- ৩০১/৩)।
২. “আব খাকে পিঞ্জিরা বর্ত্ম, আতশে হলো পোক্ত, পবন আড়া সে ঘরে, আছে শুকপাখি সেথায়, প্রেমশিকল পায়, আজব খেলা খেলছে গুরু গোঁসাই মেরে।” (পবিত্র লালন- ১২১/২)।
৩. “আবে খাকে গঠল পিঞ্জিরে, শুকপাখি আমার কিসে গঠেছেরে, পাখি পুষলাম চিরকাল, নীল কিংবা লাল, একদিন না দেখলাম সে রূপ সামনে ধরে।” (পবিত্র লালন- ১২১/১)।
৪. “কত করি পাখির যতন, হলো না সে মনের মতন, উড়াল দিয়ে যাবে যখন, কী হবে কান্নাকাটি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫৯)।
৫. “করে আজব কারিগরি, বসে আছে ভান মিশ্রী, সে পিঞ্জিরার বাইরে, পাখির যাওয়া আসার দ্বার, আছে শূন্যের ’পর, লালন বলে কেউ কেউ জানতে পারে।” (পবিত্র লালন- ১২১/৪)।
৬. “দশ ডালেতে চৌদ্দশাখা, মগডালে পাখির বাসা, মাসেতে ফুটে দুটি ছা, কথা কয় হাজার মাসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৮)।
৭. “দুই পায়ে চলে পাখি, জগতে নাই তাকিয়ে দেখি, সে পাখির ফাঁকিফুকি, বুঝবি কিসে তোরা।” (পবিত্র লালন- ৪৫৭/৪)।
৮. “পাখি রাম রহিম বুলি বলে, করে সে অনন্তলীলে, বলো তারে কী চিনলে, বলো গো নিশ্চয়।” (পবিত্র লালন- ৩০১/২)।
৯. “পানিকাউড় দয়াল–পাখি, রাতদিন তারে জলে দেখি, হাবুডুবু করে মরল, তবুও; কাদা গায়ে মাখল না, আমার চিন্তাজ্বর তো গেল না গুরু উপায় বলো না।” (পবিত্র লালন- ৬২০/১)।
১০. “বন্ধ ছন্দ করিরে এঁটে, ফস্ করে যায় সকলি কেটে, অমনি সে গর্জিয়ে ওঠে, শুকপাখিরে হানা দেয়।” (পবিত্র লালন- ১১০/২)।
১১. “যখন মন ভবে এলি, জমা খরচ সব নিয়ে এলি, এবার লাভে মূলে সব খুয়ালি, কই রইল পিঞ্জিরার পাখি।” (পবিত্র লালন- ৬৬৩/২)।
১দেখ না এবার আপনার,
ঘর ঠাওরিয়ে,
আঁখির কোনায় পাখির বাসা,
যায় আসে হাতের কাছ দিয়ে।
২সবেতে পাখি একটা,
সহস্রকুঠরি কোঠা,
আছে আড়া পাতিয়ে,
নিগমে তার- মূল একটি ঘর,
সেথা রয় অচিন হয়ে।
৩ঘরের আয়না আঁটা চৌপাশে,
মাঝখানে পাখি বসে,
আনন্দিত হয়ে,
দেখ রে ভাই- ধরার জো নাই,
সামান্য হাত বাড়িয়ে।
৪কেউ দেখতে যদি সাধ করো,
সন্ধানী চেনে ধর,
দিবে দেখিয়ে,
সিরাজ সাঁইজি কয়- লালন তোমায়
বুঝাতে দিন যায় বয়ে।” (পবিত্র লালন- ৫৩৫)।
মন অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for nous)
১. “মন–পাখি তুই আর কতকাল থাকবি খাঁচাতে।” (জনৈক গীতিকার)।
২. “সাঁই নাম বলরে আমার মন–পাখি, ভবে কেউ কারো নয়রে দুঃখের দুঃখী।” (পবিত্র লালন- ৯৩৪/১)।
শান্তি অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for peace)
“ভেঙ্গে গেল যৌবনের ডাল, সুখপাখিটা দিলো উড়াল, জনমদুঃখী নিঃস্ব কাঙাল, আমায় করে রাখিলে।” (বলন তত্ত্বাবলী, গীতিকার, বলন কাঁইজি)।
শ্বাস অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for breath)“খাঁচার ভিতর অচিন–পাখি, কেমনে আসে যায়, তারে ধরতে পারলে মনোবেড়ি, দিতাম তার পায়।” (পবিত্র লালন- ৩৭৫/১)।
বিমান অর্থে ‘পাখি’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology bird sense for aeroplane)
“ফাল্গুন মাসের তিনতারিখ শনিবার যেদিন, ধাতব-পাখি হানবে আঘাত করিবে জনহীন, পাতাল-ভেদী কত মানুষ- কর্মদায় রবে বেহুঁশ, কাঁধে লয়ে আপনার দোষ পূর্বেতে করবে ধিয়ান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৭)।
পাখির সংজ্ঞা (Definition of strix)
সাধারণত; সর্বপ্রকার খেচর প্রাণীকে পাখি বলে।
পাখির আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of strix)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবকুলের জীবন ধারণে সহায়তাকারী বিদ্যুৎকে পাখি বলে।
পাখির প্রকারভেদ (Variations of strix)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পাখি দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান পাখি ও ২. উপমিত পাখি।
১. উপমান পাখি (Analogical strix)
সাধারণত; সর্বপ্রকার খেচর প্রাণীকে উপমান পাখি বলে।
২. উপমিত পাখি (Compared strix)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবকুলের জীবন ধারণে সহায়তাকারী বিদ্যুৎকে উপমিত পাখি বলে।
পাখির পরিচয় (Identity of strix)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বিদ্যুৎ’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; খেচর প্রাণীকে পাখি বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে আত্মা, পালনকর্তা ও স্ত্রী জননাঙ্গকে পাখি বলা হয়। তবে; এখানে; কেবল আত্মাকে পাখি বলা হয়েছে। জীবাত্মাকে পাখি বলে উল্লেখ করার এ ধারাটি এ উপমহাদেশে প্রায় কয়েক হাজার বছর পূর্ব হতেই প্রচলিত রয়েছে। কয়েক হাজার বছর পূর্বে এ ধারা প্রবর্তিত হয়েছে এবং আজও তা বিদ্যমান রয়েছে।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.