২৬/০. পুনর্জন্ম
Regeneration (রিজেনারেশন)/ ‘تجديد’ (তাজদিদ)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘জন্ম’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক সহযোগী মূলক সত্তা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘জন্ম’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক সহযোগী মূলক সত্তা’ ‘জন্মান্তর, জন্মান্তরবাদ ও পুরুত্থানবাদ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘পুনরুত্থান’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘ফিরা ও ভাসা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘প্রবসন ও মন্বন্তর’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘পুনর্জীবন ও সম্মেলন’।

অভিধা (Appellation)
পুনর্জন্ম (বাপৌছ)বি জন্মান্তর, দেহান্তর, দেহান্তরগ্রহণ, নবজন্ম, নবোত্থান, নবোদ্গম, পুনর্জীবন, নবজীবন, পুনরুদয়, পুনরুদ্ভব, পুনরুত্থান, পুনর্জন্মলাভ, পুনরজ্জীবিত, regeneration, ‘تجديد’ (তাজদিদ), reincarnation, transmigration, reborn, reanimation, reproduction, palingenesis, renascence, ‘إحياء’ (ইহইয়া) (ব্য্য) নিজেই দেহান্তরিত হয়ে সন্তান রূপে আগমন, বীর্যপাত সদৃশ মরণ দ্বারা জরায়ুতে প্রবেশ করে জন্ম সদৃশ উত্থান দ্বারা পুনর্জন্মগ্রহণ (শ্ববি) জন্ম, উৎপত্তি, উদ্ভব, প্রসূত, ভূমিষ্ট, born, birth, বিলাদ (আ.ﻮﻻﺪﺓ) (রূপ্রশ) ভাসা, আবির্ভাব (ইপ) নাশয়া (আ.ﻨﺸﺄﺓ), বুরুঝু (আ.ﺒﺮﻮﺯ) (ইংপ) desent, lineage (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘জন্ম’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক সহযোগী মূলক সত্তা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; কোনকিছু একাধিকবার উদ্ভব হওয়াকে রূপকার্থে পুনর্জন্ম বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, মাতৃগর্ভ হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়াকে রূপকার্থে পুনর্জন্ম বলা হয় (বাপৌছ) পুনর্জীবন ও সম্মেলন (বাপৌচা) প্রবসন ও মন্বন্তর (বাপৌউ) ফিরা ও ভাসা (বাপৌরূ) পুনরুত্থান (বাপৌমূ) জন্ম {বাং.পুন+ বাং.জন্ম˃}

পুনর্জন্মের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of regeneration)
১.    “দেখ রে মন, পুনর্জন্ম কেমন করে হয়, মরে যদি ফিরে আসে, হিসাব নিক্বাশ কে কার পায়।” (পবিত্র লালন– ৫৩৮/১)।
২.   “পিতার বীর্যে পুত্রের সৃজন, তাতেই পিতার পুনর্জনম, সুধা শুক্রে দেহের গঠন, আলেক রূপে ফিরে সদাই। (পবিত্র লালন– ৫৩৮/২)।

পুনর্জন্মের সংজ্ঞা (Definition of regeneration)
সাধারণত; প্রাণী বা উদ্ভিদের ধড়ান্তর বা কায়ান্তরকে পুনর্জন্ম বলে।

পুনর্জন্মের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of regeneration)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মাতৃগর্ভ হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়াকে জন্ম বা পুনর্জন্ম বলে।

পুনর্জন্মের প্রকারভেদ (Variations of regeneration)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুনর্জন্ম দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান পুনর্জন্ম ও ২. উপমিত পুনর্জন্ম।

১. উপমান পুনর্জন্ম (Analogical regeneration)
সাধারণত; প্রাণী বা উদ্ভিদের ধড়ান্তর বা কায়ান্তরকে উপমান জন্মান্তর বলে।

২. উপমিত পুনর্জন্ম  (Compared regeneration)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মাতৃগর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হওয়াকে জন্ম বা উপমিত জন্মান্তর বলে।

পুনর্জন্মের পরিচয় (Identity of regeneration)
এটি; শ্বরবিজ্ঞানের অত্যন্ত জটিল (complicated) বিষয় বিশেষ। সেজন্য; বিষয়টি সহজে সাধারণ পাঠক-শ্রোতার বোধগম্য হয় না। এর অসংখ্য বাংলা, ইংরেজি ও আরবি প্রতিশব্দ রয়েছে। একেকটি প্রতিশব্দের আবার রয়েছে অসংখ্য রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষা। সব মিলিয়ে এ পরিভাষাটির অনুকূলে কয়েক শত পৃষ্ঠা লেখলেও এর বর্ণনা শেষ হবে না। এতটুকু বলা যায় সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করাই জীবের পুনর্জন্ম।