প্রতিমা

৯৩/২. প্রতিমা
Fetish (ফেটিশ)/ ‘معبود’ (মা‘বুদ)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর সন্তান পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা। এর বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা সন্তান। এর বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা মূর্তি। এর বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা শৈবালসঞ্জীব এবং এর বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা অপত্যপরকাল

অভিধা (Appellation)
প্রতিমা (বাপৌউ)বি মূর্তি, প্রতিমূর্তি, প্রতিকৃতি, দেবমূর্তি, দেববিগ্রহ, মাটি বা অন্যকিছু দিয়ে নির্মিত মূর্তি, fetish, ‘معبود’ (মা‘বুদ), ‘صنم’ (সনম) (শ্ববি) সন্তান, অপত্য, সন্ততি, পুত্রকন্যা, child, বাচ্চা (ফা.ﺒﭼﻪ), আওলাদ (.ﺍﻮﻻﺪ), জুররিয়া (.ﺬﺭﻴﺔ), আবনাউ (.ﺍﺒﻨﺎﺀ) (ইংপ) offspring, progeny,  statue, figure (ইপ) আখিরাত (.ﺍﺧﺭﺖ), শরিক (.ﺸﺭﻴﻚ), হাশর (.ﺤﺸﺭ) (ইদে) পুতলা (হি.ﭙﺗﻼ), ফরজন্দ (ফা.ﻔﺭﺰﻨﺩ) (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর সন্তান পরিবারের বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ (সংজ্ঞা). মাটি অথবা অন্য কিছু দিয়ে নির্মিত প্রতিমূর্তিকে প্রতিমা বলা হয়. শ্বরবিজ্ঞানে; সন্তানকে প্রতিমা বলা হয় (বাপৌছ) অপত্য ও পরকাল (বাপৌচা) শৈবাল ও সঞ্জীব (বাপৌউ) প্রতিমা (বাপৌরূ) মূর্তি (বাপৌমূ)  সন্তান।

প্রতিমার ওপর ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of fetish)
প্রতিমা ও ভাস্কর্য গড়ে, তাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে, গুরু বলে প্রণাম করে, এমন পাগল কে দেখেছে” (পবিত্র লালন- ৮৮৪/৩)

প্রতিমার সংজ্ঞা (Definition of Fetish)
সাধারণত; মাটি বা অন্য কিছু দিয়ে নির্মিত মূর্তিকে প্রতিমা বলে।

প্রতিমার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of fetish)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সন্তানকে প্রতিমা বলে।

প্রতিমার প্রকারভেদ (Variations of fetish)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে প্রতিমা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান প্রতিমা ও ২. উপমিত প্রতিমা।

. উপমান প্রতিমা (Analogical fetish)
সাধারণত; মাটি বা অন্য কিছু দিয়ে নির্মিত মূর্তিকে উপমান প্রতিমা বলে।

. উপমিত প্রতিমা (Compared fetish)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সন্তানকে উপমিত প্রতিমা বলে।

প্রতিমার পরিচয় (Identity of fetish)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর সন্তান পরিবারের অধীন একটি বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; মাটি, পাথর, কাষ্ঠ বা ধাতু দ্বারা নির্মিত প্রতিমূর্তিকে প্রতিমা বলা হয় কিন্তু সূক্ষ্মবিচারে সব পদার্থের মূর্তমান রূপকেই মূর্তি বা প্রতিমা বলা হয়। অর্থাৎ; পদার্থের বিমূর্ত বা বায়বীয় অবস্থা মূর্তমান বা তরল কিংবা কঠিন অবস্থা প্রাপ্ত হলেই তাকে মূর্তি বা প্রতিমা বলা হয়। কয়েকটি পদার্থের বায়বীয়রূপ পরিবর্তিত হয়ে তরল ও কঠিন রূপ-ধারণ করেই সন্তানের দেহ সৃষ্টি হয়। সেজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; সন্তানকে মূর্তি বা প্রতিমা বলা হয়। প্রতিমূর্তি বা প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হিন্দুদের সাম্প্রদায়িক সংস্কার মাত্র। আবার পথের বাঁকে বা তেমাথা ও চৌমাথায় নির্মিত ভাস্কার্যগুলো একটি জাতির সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ঐতিহ্যবাহী কালসাক্ষী মাত্র। এসব শ্বরবিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় নয়। শ্বরবিজ্ঞানের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো সন্তান নামক মূর্তি বা সন্তান নামক প্রতিমা। এ সূত্র ধরে সন্তান লালনপালন করাকেই প্রতিমাপূজা বা মূর্তিপূজা বলা হয়।

অথচ বড় মজার বিষয় হলো মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদীরা- ভারতীয় হিন্দু ও বৌদ্ধদের পূজামণ্ডপে স্থাপিত দেবমূর্তি ও দেশের ঐতিহ্যবাহী ভাস্কার্যগুলো ব্যতীত মূর্তি বা প্রতিমা বলে অন্য কোনকিছুই কল্পনা বা অনুমান করতে পারে না। তারা নিজেরাই যে মূর্তি, তারা নিজেরাই যে প্রতিমা, তারা নিজেরাই যে ভাস্কর্য, যার যার সন্তানই যে মূর্তি, যার যার সন্তানই যে প্রতিমা, যার যার সন্তানই যে ভাস্কর্য, এটা তারা ধারণা বা কল্পনাও করতে পারেন না। বিশ্বের সব সাম্প্রদায়িক কিংবা পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকার মধ্যে সাঁই ও কাঁইরূপ উপাস্যদ্বয়ের পূর্জা ও উপাসনা পরিত্যাগ করে সন্তানগ্রহণ ও লালনপালন করাকেই যে মূর্তি বা প্রতিমা পূজা বলা হয়েছে তা তারা ঘূর্ণাক্রমেও জানেন না। মানবের প্রকৃত উপাস্যদ্বয়কে সাম্প্রদায়িক মনীষীগণ চেনেন না ও জানেন না। এজন্য; তারা ভৌতমূর্তি নির্মাণ ও যত্ন করাকে মূর্তিপূজা বা প্রতিমাপূজা বলে অভিহিত করেন। কেবল প্রতিমাপূজা সিদ্ধাসিদ্ধের আলোচনা করে বেড়ান। পদার্থ দ্বারা নির্মিত দেবমূর্তি বা প্রতিমূর্তিকে মূর্তিপূজা বলে তা পরিত্যাগ করে নিরাকার কাঁইয়ের উপাসনা করতে বলে থাকেন। প্রকৃত বিষয় হলো মাটি, পাথর, কাষ্ঠ ও ধাতু দ্বারা নির্মিত মূর্তি বা প্রতিমা কখনই প্রভুর উপাসনা করতে বাঁধা প্রদান করে না। প্রভুর উপাসনা করতে বাঁধা প্রদান করে কেবল সন্তান। একটা সন্তান ১০ মাস পেটে করে বহন ও ভূমিষ্ঠের পর হতে তার লালনপালনই পিতা-মাতাকে সর্বকাজে বাঁধা প্রদান করতে থাকে। তারপর; তার শিক্ষদীক্ষা, বৃত্তি-ব্যবসা ও বিবাহ-আবাসনই পিতা-মাতার ঈশ্বর পূজার জন্য বড় বাঁধা। এসব কারণেই বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় কেবল সন্তানকেই মূর্তি এবং সন্তান লালনপালনকেই মূর্তিপূজা বলে অভিহিত করা হয়েছে। অথচ খুষ্কমুষ্ক সাম্প্রদায়িক মনীষীরা মাটি ও পাথর দ্বারা প্রতিমা বা প্রতিমানির্মাণ শিল্পকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এসবের প্রতি সাম্প্রদায়িক গ্রন্থের সিদ্ধাসিদ্ধের সাম্প্রদায়িক নিয়মরূপ খড়গহস্ত ব্যবহার করে। প্রকৃত মূর্তিপূজা পরিত্যাগ না করে মৃতশিল্পকে মূর্তিপূজা বলে উপহাস করা তাদের চরম দৈন্যতা বৈ নয়। বর্তমান বাংভারতে সাম্প্রদায়িকরা মতবাদকে ধর্ম বলে সমাজে প্রচার করে যাচ্ছে। অথচ ধর্ম হলো চিরন্তন কিন্তু মতবাদ হলো আপেক্ষিক। ধর্ম আদি ও অনন্ত কিন্তু মতবাদ মাত্র কয়েক হাজার বছরের জন্য। তাদের এসব ভুল ব্যাখ্যার শক্ত প্রতিবাদ করার যথোপযুক্ত সময় এখনই।

প্রতিমাপূজা (Iconolatry)
সাধারণত; ভৌতিক বস্তু দ্বারা ঈশ্বরের প্রতীকীরূপ প্রস্তুত করে তাতে কাল্পনিক প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে তাকে উপাস্য রূপে ভালোবাসা ও ভক্তি নিবেদন করাকে প্রতিমাপূজা বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; কামযজ্ঞ দ্বারা নিজকে সন্তান রূপে বিখণ্ডণ করে তার প্রতিপালন করাকে প্রতিমাপূজা বলা হয়। কিন্তু বড় অবাক হবার বিষয় হচ্ছে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা শ্বরবিজ্ঞানে; ব্যবহৃত প্রতিমাপূজা পরিভাষাটির দ্বারা কেবল মাটি-পাথর ও কাঠ-বাঁশ দ্বারা নির্মিত মানব প্রতিমূর্তির পূজাকেই বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে। এটি; সাম্প্রদায়িকদের চরম জ্ঞান-দৈন্যতারই বহিঃপ্রকাশ।

অন্যদিকে; প্রতিমা-নির্মাণ, প্রতিমাপূজা ও প্রতিমা-বিসর্জন বাংভারতের সনাতনী সংস্কার। এসবের বয়স প্রায় তিন হাজার বছর। অন্যদিকে; প্রতিমা-বিদ্বেষী সংস্কার বিদেশী। হয়তো মেড ইন ইরান নয়তো মেড ইন আরব। আর এর বয়সও তেমন নয়। বড় জোর ১২০০ বছর। স্বজাতির সংস্কৃতি পরিত্যাগ করে বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ভেবে ভিনদেশী সংস্কৃতি গ্রহণ করা প্রথমত অকৃতজ্ঞেরই পরিচায়ক। অজ্ঞরা ধর্মকে ভয় করেই এটা গ্রহণ করছে। কারণ; অজ্ঞরা জানে না যে; ধর্ম ও ধার্মিকতা কী?

প্রতিমা বিসর্জন (Fetish abandonment)
সাম্প্রদায়িক হিন্দু মনীষীরা বিশ্বাস করে যে; মানুষ পাঁচটি উপাদান দ্বারা সৃষ্টি। যথাঃ বিদ্যুৎ, বায়ু, অগ্নি, জল ও মাটি। মৃত্যুর পর দেহকে আগুনে দাহ করলে বা মাটিচাপা দিলে যে উপাদান দিয়ে দেহ সৃষ্টি হয়েছিল আবার সে একই উপাদানে মিশে যায়। আবার ঈশ্বর সর্বত্রই বিরাজিত। প্রতিটি বস্তু, প্রতিটি প্রাণীর মধ্যেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব চির বিদ্যমান। অতএব; মানবদেহের মধ্যেও ঈশ্বরের অস্তিত্ব অবশ্যই বিদ্যমান। তাই; পঞ্চ উপাদানে গড়া এ মানবদেহের কাল্পনিক প্রতীকীরূপ মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হয়। একেই প্রতিমা বলা হয়। অতঃপর; সে মাটির প্রতিমায় কাল্পনিক প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে তাকে ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করা হয়। এ প্রতিমা পূজার সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে বিসর্জন। বিসর্জনের অনেক পদ্ধতি আছে। যেমন; পূজিত প্রতিমা, মঠ, মন্দির, বেদি, বিহার, আশ্রম ও আখড়ায় সংরক্ষণ করা, জাঙ্গাল বা প্রান্তরে ফেলে দেওয়া, অগ্নিদাহ করে ফেলা এবং জলে নিক্ষেপ করা। এসব পদ্ধতির মধ্যে দাহ ও নিমজ্জন সর্বোত্তম। কারণ; বিসর্জনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে- যে পঞ্চভূত দ্বারা প্রতিমা নির্মাণ করা হয় বিসর্জন করার পর তা দ্রুত যেন তাতে মিশে যায়। প্রেমাবেগে পূজ্য প্রতিমা অগ্নিদাহ করা আবেগবিরুদ্ধ। তাহলে সর্বশেষ একটি বিসর্জন পদ্ধতি অবশিষ্ট রইল। তা হচ্ছে নিমজ্জন। তাই; সনাতনী হিন্দুরা প্রতিমা বিসর্জনের এ পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। সনাতনী হিন্দুদের প্রবল বিশ্বাস যে জলের মাধ্যমেই মাটির প্রতিমা পুনরায় প্রকৃতিতে দ্রুত মিশে যায়। জলের মধ্যে উত্তমজল হচ্ছে গঙ্গাজল। সেজন্য; গঙ্গাজলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার প্রথা উদ্ভাবন হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে পৃথিবীর সর্বত্র গঙ্গাজল না পাওয়ার কারণে সাম্প্রদায়িক হিন্দু মনীষীগণ যে কোনো প্রবাহমান জলে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার অনুমতি শাস্ত্রভুক্ত করেন। সে-ই হতে অধুনাকাল পর্যন্ত পরম শ্রদ্ধাভরে পূজ্য প্রতিমা প্রবাহমান জলে বিসর্জন দেওয়ার প্রথা চলে আসছে।

মানুষের হৃদয়ে যে নিরাকার ঈশ্বরের প্রেম রয়েছে, উপাসনার নিমিত্তে মাটির প্রতিমা প্রস্তুত করে তার ‘সাকার রূপ’ দেওয়া হয়। পূজা শেষে পুনরায় সে ‘সাকার রূপ’কে বিসর্জন দিয়ে নিরাকার ঈশ্বরকে হৃদয়ে স্থান দেওয়া হয়। সে কারণেই দুর্গা পূজার সময় যখন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। তখন মায়ের প্রতি হিন্দুদের প্রার্থনা থাকে- “মা যেন আবার আসে তাদের মাঝে। এ একটি বছর সে তাদের হৃদয়ে হৃদয়েই থাকে। আবার, বছর পরে তারা প্রতিমা গড়ে আমরা সাড়ম্বরে তার পূজা করে থাকে।” যে জন্ম নিয়েছে তার মৃত্যু অনিবার্য। এটাই প্রকৃতির শাশ্বত নিয়ম। ঠিক তেমনই, যাকে আবাহন করা হয় তার বিসর্জনও অনিবার্য। বিসর্জনের মাধ্যমেই ‘পুনরায় আগমনের’ আশা সঞ্চারিত হয়। এসব কারণেই হিন্দুরা প্রতিবছর হৃদয়স্থ ঈশ্বরের প্রতীকী মাটির প্রতিমা গড়ে তাকে বাহ্যিকভাবে পূজা করে থাকে। পূজা শেষে বিসর্জনের মাধ্যমে তাকে আবার হৃদয়ে স্থানান্তরিত করে। এটি;ই প্রতিমাপূজা ও প্রতিমা বিসর্জনের মূল তাৎপর্য।

হিন্দুরা ভৌত দ্রব্যাদি দ্বারা প্রতিমা নির্মাণ করে ঈশ্বর রূপে পূজা করে আবার তাকে বিসর্জন দিয়ে থাকে। কেন তারা এমন করে? এটা অধিকাংশ মানুষের প্রশ্ন। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এমন প্রশ্নের অনেকটাই সমাধান হয়েছে। তারপর; দার্শনিক ও যুক্তিসঙ্গত আরেকটি উত্তর হলো; মানবদেহের মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব চির বিদ্যমান। এ নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা, চর্চা, অধ্যয়ন ও অনুশীলন না হতে থাকলে মানুষের চিত্ত হতে, এমনকি; পৃথিবীর বুক থেকে এক সময় মহাকালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এ বিষয়টি। ঈশ্বরের ভালোবাসা ও ঈশ্বরচর্চা যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সমাজ ও সংসারে অনন্তকাল বেঁচে থাকে। সেজন্য; ভৌতিক পদার্থ দ্বারা প্রতিনিয়ত প্রতিমা নির্মাণ করে তার পূজা করা হয়। পরিশেষে বলা যায় প্রতিমা প্রস্তুত ও বিসর্জন দ্বারা অনন্তকাল পর্যন্ত, এমনকি; প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত ঈশ্বর-জ্ঞান চর্চা ও অনুশীলন করার নবপ্রেরণা ও নবচেতনা সৃষ্টি হয়েছে, হচ্ছে ও হবে। আরও বলা যায় নিঃসন্দেহে এটি একটি মহৎকর্ম। হিন্দুদের এমন পবিত্র কর্মের ব্যাপারে কারোই কোনো প্রশ্ন বা দ্বিমত থাকা উচিত নয় বলেই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

তথ্যসূত্র (References)

(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)

১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula)
"আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"

রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)

২ যোজক সূত্র (Adder formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"

৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

< উৎস
[] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
() ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
> থেকে
√ ধাতু
=> দ্রষ্টব্য
 পদান্তর
:-) লিঙ্গান্তর
 অতএব
× গুণ
+ যোগ
- বিয়োগ
÷ ভাগ

Here, at PrepBootstrap, we offer a great, 70% rate for each seller, regardless of any restrictions, such as volume, date of entry, etc.
There are a number of reasons why you should join us:
  • A great 70% flat rate for your items.
  • Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
  • We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.

পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী

উপস্থ (শিশ্ন-যোনি) কানাই,(যোনি) কামরস (যৌনরস) বলাই (শিশ্ন) বৈতরণী (যোনিপথ) ভগ (যোনিমুখ) কাম (সঙ্গম) অজ্ঞতা অন্যায় অশান্তি অবিশ্বাসী
অর্ধদ্বার আগধড় উপহার আশ্রম ভৃগু (জরায়ুমুখ) স্ফীতাঙ্গ (স্তন) চন্দ্রচেতনা (যৌনোত্তেজনা) আশীর্বাদ আয়ু ইঙ্গিত ডান
চক্ষু জরায়ু জীবনীশক্তি দেহযন্ত্র উপাসক কিশোরী অতীতকাহিনী জন্ম জ্ঞান তীর্থযাত্রা দেহাংশ
দেহ নর নরদেহ নারী দুগ্ধ কৈশোরকাল উপমা ন্যায় পবিত্রতা পাঁচশতশ্বাস পুরুষ
নাসিকা পঞ্চবায়ু পঞ্চরস পরকিনী নারীদেহ গর্ভকাল গবেষণা প্রকৃতপথ প্রয়াণ বন্ধু বর্তমানজন্ম
পালনকর্তা প্রসাদ প্রেমিক বসন পাছধড় প্রথমপ্রহর চিন্তা বাম বিনয় বিশ্বাসী ব্যর্থতা
বিদ্যুৎ বৃদ্ধা মানুষ মুষ্ক বার্ধক্য মুমুর্ষুতা পুরুষত্ব ভালোবাসা মন মোটাশিরা যৌবন
রজ রজপট্টি রজস্বলা শুক্র মূত্র যৌবনকাল মনোযোগ রজকাল শত্রু শান্তি শুক্রপাত
শুক্রপাতকারী শ্বাস সন্তান সৃষ্টিকর্তা শুক্রধর শেষপ্রহর মূলনীতি সন্তানপালন সপ্তকর্ম স্বভাব হাজারশ্বাস
ADVERTISEMENT
error: Content is protected !!