১৬/০৮. প্রস্তর
Rock (রক)/ ‘صخرة’ (সাখরা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কানাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘রজকিনী’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা ও পাখি^২’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস’। এটি; শ্বরবিজ্ঞানের ‘কামরস’ ও ‘কানাই’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ব্যাপক পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন।

অভিধা (Appellation)
প্রস্তর^২ (বাপৌউ)বি শিলা, অশ্ম, মণি, রত্ন, মূল্যবান ধন, বাটখারা, rock, ‘صخرة’ (সাখরা), stone, ‘حجر’ (হাজরা) (আল) পাষাণ, কঠোর, নিষ্ঠুর, নির্মম, নির্দয়, pebble, ‘جَنْدَل’ (জান্দাল) (শ্ববি) যোনি, sex, vagina, ফারজ (আ.ﻔﺮﺝ) (রূপ্রশ) কানাই, অযোধ্যা, গণ্ডগ্রাম, গোকুল, গোষ্ঠ, চুলা, নাগিনী, নৌকা, পাথর, ব্রজ, রজকিনী, স্রাবস্তী, হিবাচী (ইংপ) destroyer, origin (ইপ) মক্কা (আ.ﻤﻜﺔ) (ইদে) দাজ্জাল (আ.ﺪﺟﺎﻞ), হামান (আ.ﻫﺎﻤﺎﻦ), হারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ), হেরা (ﺤﺭﺍ), হাজরে আসুদ (حجر أسود) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; এক প্রকার কঠিন শিলাকে প্রস্তর বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, যোনিকে রূপকার্থে প্রস্তর বলা হয় (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই।

প্রস্তরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of rock)
১.   “উড়ন্ত পাথর মহীমা, পাপ থাকে না দিলে চুমা, যে পাথরের পরশ পেলে, জন্ম-মরণ রহে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪০)।
২.   “পাথরে অগ্নি থাকে, বের করতে হয় ঠুকনি ঠুকে, সিরাজ সাঁইজি দেয় অমনি শিক্ষে, বোকা লালন সঙ নাচায়।” (পবিত্র লালন- ৯৪৬/৪)।

প্রস্তরের সংজ্ঞা (Definition of rock)
সাধারণত; এক প্রকার কঠিন শিলাকে প্রস্তর বলে।

প্রস্তরের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of rock)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে প্রস্তর বলে।

প্রস্তরের প্রকারভেদ (Variations of rock)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; প্রস্তর দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান প্রস্তর ও ২. উপমিত প্রস্তর।

১. উপমান প্রস্তর (Analogical rock)
সাধারণত; এক প্রকার কঠিন শিলাকে উপমান প্রস্তর বলে।

২. উপমিত প্রস্তর (Compared rock)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যোনিকে উপমিত প্রস্তর বলে।

প্রস্তরের পরিচয় (Identity of rock)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ার কারণে; সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; এক প্রকার কঠিন শিলাকে প্রস্তর বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে;  কামরস ও যোনিকে প্রস্তর বলা হয়। তবে; এখানে; কেবল যোনিকেই প্রস্তর বলা হয়েছে। উল্লেখ্য; বিশ্বের সর্বপ্রকার মরমী, সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুরাণে ব্যবহৃত প্রস্তর পরিভাষাটির দ্বারা হয়তো কামরস; নয়তো যোনিকেই বুঝানো হয়েছে। অথচ; অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো সারাবিশ্বের সাম্প্রদায়িক মনীষী ও বক্তারা পুরাণে বর্ণিত প্রস্তর বলতে কেবল ভৌত শিলাকেই বুঝে এবং বুঝিয়ে থাকে। এ কারণেই সর্ব শ্রেণির সাম্প্রদায়িকরা ক্রমে ক্রমে আত্মজ্ঞান বা আত্মদর্শন হতে অন্ধবিশ্বাস ও মনগড়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নির্ভর হয়ে পড়ছে। যোনি একটি স্বর্গীয় প্রস্তর। স্বর্গীয় এ প্রস্তরটি আরোহীর ইচ্ছে মতো ছোট-বড় হয়। আরোহীর পা পাঁচ হতে সাত কর যা-ই হোক না কেন; পা স্থাপন করার সাথে সাথেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রস্তরটিও সে পরিমাণ ছোট-বড় হয়। এ কারণেই বিশ্বের সর্বপ্রকার মরমী, সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুরাণে এ প্রস্তরকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পৌরাণিক কাহিনী নির্মিত হয়েছে। এ প্রস্তরটির স্বর্গীয় মহীমা বা অলৌকিতার কারণেই একে কেন্দ্র করে একেক সাম্প্রদায়িক দর্শনে একেক প্রকার সাম্প্রদায়িক সংস্কার গড়ে ওঠেছে। যেমন; মুসলমানরা এ প্রস্তরের প্রতীক নির্মাণ করে; এতে চুমা দেওয়ার সাম্প্রদায়িক সংস্কার করেছে। কোনো সাম্প্রদায়িক মতবাদে; এর বিশেষ পূজাপদ্ধতি সংস্কার করা হয়েছে। আবার কোনো সাম্প্রদায়িক মতবাদে; এর ওপর বসে জপ-তপ করার পদ্ধতি সংস্কার করা হয়েছে।

মোটকথা; যোনি অবশ্য অবশ্যই স্বর্গীয় প্রস্তর। এ প্রস্তরকে কেন্দ্র করেই বিশ্বের সব সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মতবাদ নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কোনো সাম্প্রদায়িক মতবাদে একে উড়ন্ত প্রস্তর, ভাসমান প্রস্তর, মহিমাময় প্রস্তর ও অলৌকিক প্রস্তর ইত্যাদিও বলা হয়েছে। বিশ্বের সব আত্মজ্ঞানী দার্শনিকের নিকট এর সর্বপ্রকার প্রস্তর ভনিতার অত্যন্ত চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছে। সভ্যতার সপ্তযুগের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রস্তরযুগ। কারণ; পদার্থ ব্যবহারের মধ্যে আদিম-মানুষ সর্বপ্রথম প্রস্তরের ব্যবহার শিখেছিল। তেমন; অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর মধ্যে আদিম-মানুষ সর্বপ্রথম জনিত্রের ব্যবহার শিখেছিল। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে জনিত্রকে প্রস্তরের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এছাড়া; জনিত্রকে প্রস্তর বলার আরও একটি কারণ হলো; এটি; প্রস্তরের মতো বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেমন; ছোট ছোট প্রস্তরগুলো ক্রমে ক্রমে বড় হয়; তেমনই; যোনিও পুরুষের শিশ্নের পরিমাপে ছোট-বড় হয়। পরিশেষে বলা যায় যে; এর আদি-ব্যবহার এবং ছোট-বড় হওয়ার প্রতি লক্ষ্য করেই; শ্বরবিজ্ঞানে একে প্রস্তর বলা হয়। সারাবিশ্বের পুরাণ উপমিত প্রধান। এজন্য; স্ত্রী জননাঙ্গের ওপর এমন উপমা নির্মাণ করা যথার্থ ও যুক্তিযুক্ত হয়েছে।