৪৮/৮. ফল৩
Fruit (ফ্রুট)/ ‘فاﻜﻬﺔ’ (ফাকিহা)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পালনকর্তা’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘পালনকর্তা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘সাঁই’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অমৃতসুধা, গ্রন্থ, চন্দ্র, জল১, তীর্থবারি, পাখি৬ ও ফুল১’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘ননি, বিষ্ণু, মাণিক, রাজা, রাম, লালন, স্বরূপ ও হরি’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘ঈশ্বর, উপাস্য, চোর, পতিতপাবন, পরমগুরু, প্রভু, মনের–মানুষ ও সুধা’। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘দুগ্ধ’, ‘শুক্র’, ‘পালনকর্তা’, ‘সৃষ্টিকর্তা’ ও ‘সন্তান’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ব্যাপক পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন।
অভিধা (Appellation)
ফল৩ (বাপৌউ)বি ১. বীজাধার, সন্তান, ছানা, পোনা, শাবক ২. ফলা, ফলক, ফাল (লাঙলের ফল), fruit, ‘ﻔﻜﻬﺔ’ (ফাকিহা) (আল) লাভ, পরিণাম, নির্ধারণ, সিদ্ধান্ত, সমাধান, নিষ্পত্তি, শাস্তি, দণ্ড, মীমাংসা, উপকার (শ্ববি) এমন তরল-মানুষ; যে এখনও মূর্তাকার ধারণ করে নি। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ লালনপালনের দায়িত্ব পালনকারী সুমিষ্ট, সুপেয় ও শ্বেতবর্ণের জল (রূপ্রশ) ঈশ্বর, উপাস্য, নারায়ণ, নিধি, নিমাই, নিরঞ্জন, প্রভু, স্বরূপ (পারদে) খোদা (ফা.ﺨﺪﺍ) (ইদে) মা’বুদ (আ.ﻤﻌﺑﻭﺪ), মুহাম্মদ (আ.ﻤﺤﻤﺪ), রব (আ.ﺮﺐ), রাসুল (আ.رَسُول) (ইপ) কাওসার (আ.ﻜﻭﺛﺮ), ফুরাত (আ.ﻔﺭﺍﺖ) (ইংপ) God, guardian, nectar, elixir (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পালনকর্তা’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; জীববিজ্ঞানে; ফুলের গর্ভাশয়ের পরিপক্ব রূপকে ফল বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; পালনকর্তাকে উপমার্থে ফল বলা হয় (বাপৌছ) ঈশ্বর, উপাস্য, চোর, পতিতপাবন, পরমগুরু, প্রভু, মনের-মানুষ ও সুধা (বাপৌচা) ননি, বিষ্ণু, মাণিক, রাজা, রাম, লালন, স্বরূপ ও হরি (বাপৌউ) অমৃতসুধা, গ্রন্থ, চন্দ্র, জল১, তীর্থবারি, পাখি৬, ফল ও ফুল১ (বাপৌরূ) সাঁই (বাপৌমূ) পালনকর্তা।
ফলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of fruit)
১. “আকাশে মই লাগাইয়া, ফল পাড়ে দুইজনে গিয়া, বলন কয় দ্বার খুলিয়া, সাধুরা ফল খাইতেছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৮)।
২. “ডাল নাই তার পাতা আছে, তিনডালে জগৎজুড়েছে, লালন বলে ভাবিস মিছে, ফুল ছাড়া ফল রয়েছে।” (পবিত্র লালন- ৮৩৮/৪)।
৩. “মূল শাখা ডাল আকাশে গাছের ফল ধরে পাতালে, গুরু কৃপায় কারো ভাগ্যে সেই তাজা ফলটি মিলে, উল্টোবৃক্ষে ফল পাকিলে- গুরু খাইয়া শিষ্যে দিলে, মরার আগে মরিলে- যমদুত ভয়ে পালায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৬)।
ফলের সংজ্ঞা (Definition of fruit)
সাধারণত; জীববিজ্ঞানে; ফুলের গর্ভাশয়ের পরিপক্ব রূপকে ফল বলে।
ফলের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of fruit)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পালনকর্তাকে উপমার্থে ফল বলে।
ফলের প্রকারভেদ (Variations of fruit)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ফল দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ফল ও ২. উপমিত ফল।
১. উপমান ফল (Analogical fruit))
সাধারণত; জীববিজ্ঞানে; ফুলের গর্ভাশয়ের পরিপক্ব রূপকে উপমান ফল বলে।
২. উপমিত ফল (Compared fruit)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পালনকর্তাকে উপমিত ফল বলে।
“প্রেমগাছের ফল একটি নয় বরং দুটি” (The fruits of love tree not one rather than two)
শ্বরবিজ্ঞানে; প্রেমগাছ বলতে কেবল মানবদেহকে বুঝায়। তাহলে মানবদেহের কোনো দুই বিষয়বস্তুকে শ্বরবিজ্ঞানে দুই ফল বলা হয়? এমন কঠিন প্রশ্নের উত্তর উপস্থাপন করার আগে বিশ্ববিখ্যাত মহাগ্রন্থগুলো হতে কিছু উদ্ধৃতি তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন।
বেদ (Significance)
“ইন্দ্র বলেছেন, যে আমার মাতা মৃত হবেন; তথাপি পুরাতন পথ অনুগমন করব না, শীঘ্র বহির্গত হব। ইন্দ্র অভিষবকারী ত্বষ্টার গৃহে বলপূর্বক সোমাভিষব দুটি ফল অভিষুত সোম পান করেছিলেন। সে সোম শত ধনের দ্বারা ক্রীত (২)।” (ঋকবেদ, চতুর্থমণ্ডল, সুক্ত ১৮/৩)।
ত্রিপিটক (Triplet)
“এই ভাবিয়া সেই ব্রাহ্মণ ভোজনশালা অবলোকন করিবার সময় দুটি দ্রব্য দেখিতে পাইলেন না, যবাগূ এবং মধুগোলক (লাড়ু)।” (ত্রিপিটক, ১ম খণ্ড, বিনয়-পিটক, যবাগু ও লাড়ুর বিধান)।
কুরান (ﻘﺭﺍﻦ) (Triad)
১. “উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবণ।” (কুরান, সুরা রহমান- ৫০)।
২. “তথায় আছে উদ্বেলিত দুই প্রস্রবণ।” (কুরান, সুরা রহমান- ৬৬)।
৩. “নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো প্রাপ্য হক বিন্দু-বিসর্গও রাখেন না; আর যদি তা সৎকর্ম হয়, তবে তাকে দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকে বিপুল সওয়াব দান করেন।” (কুরান, সুরা নিসা- ৪০)।
৪. “যারা কাঁইয়ের পথে স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে কাঁইয়ের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিজের মনকে সুদৃঢ় করার জন্যে তাদের উদাহরণ টিলায় অবস্থিত কাননের মত, যাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। অতঃপর; দ্বিগুণ ফসল দান করে।” (কুরান, বাকারা- ২৬৫)।
লালন (Lalon)
১. “ব্রহ্ম ঈশ্বর দুই তো, লেখা যায় সাধ্য মতো, উঁচুনিচু কী তারও তো, করতে হয় সেও দিশে।” (পবিত্র লালন- ৮০৪/২)।
২. “যে জানে সে দুই নূরীকে, সিদ্ধি করে যোগে জেগে, লালন ফকির পড়ল ফাঁকে, মনের দ্বিধায়।” (পবিত্র লালন- ৬০৬/৪)।
বলন (Bolon)
১. “আকাশে যে মই লাগিলে উড়ে পাতালে যায় বাতাসে, সাদা কালো দুটি চন্দ্র তার হাতে আসে অনাসে, পায় না চাঁদ অস্ত গেলে, পাহাড় সাগর খগোলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১২৮)।
২. “কত সাধু চাঁদের আশে, যুগ যুগান্তর ঘুরিতেছে, একগাছে দুই চাঁদ ধরে, কত ভ্রমর পাগল করে, চাঁদ পেড়ে চাঁদের মালা, পরবি কে আয় গলায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩২)।
৩. “দয়াল কত করুণাময়, দুইছানা এক হরিণে রয়, বলন কহে সর্বদায়, কোন দিন কার ভাগ্যে হয়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫৮)।
৪. “দশজনে বাঁধ বাঁন্ধিলে- ছয়’জনে কাটিয়া ফেলে, দুইজন ঘরে মহাজন-, পঞ্চরস সদা ভুলে রই- পঞ্চবাণ ছিলে কাটিলে কই, পঞ্চভূত করছনি বশীকরণ।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৯)।
৫. “দশডালেতে চৌদ্দশাখা, মগডালে পাখির বাসা, মাসে ফুটে দুটি ছা, কথা কয় হাজার মাসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৮)।
৬. “প্রেমসন্ধি সরোবরে, সাদা কালো দুই ফল ধরে, গুরু যদি আহার করে, শিষ্যও বিহার করতে পারে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯৯)।
৭. “মায়াকানন কুসুমবাগে, সাদা কালো দুই শশী জাগে, বাছাধন কেষ্ট মাঙ্গে, তোর দুয়ার দে খুলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০১)।
৮. “শুকনা গাঙ্গে জোয়ার আসে, সাদা কালো দুই চাঁদ ভাঁসে, পাব বলে কূলেই বসে, মরি মুখে লাল পড়ি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬৬)।
উপরোক্ত উদ্ধৃতির মধ্যে (দুই ছা, দুই ছানা, দুই চন্দ্র, দুই চাঁদ, দুই দ্রব্য, দুই নূরী, দুই প্রস্রবণ, দুই ফল, দুই মহাজন, দুই শশী, দ্বিগুণ, দ্বিগুণ ফসল ও ব্রহ্ম ঈশ্বর দুই) এসব ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ পাওয়া যায়। এগুলো সবই দুই ফলের ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’। অর্থাৎ; উপরোক্ত ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’গুলো দ্বারা কেবলই ‘দুইফল’ বুঝায়। দুলফলগুলো হলো;
১. হিন্দু বৈষ্ণব মনীষীদের মতে; ১. ব্রহ্মা ও ২. বিষ্ণু/ ১. কৃষ্ণ ও ২. রাম।
২. বৌদ্ধ সহজিয়া মনীষীদের মতে; ১. ব্রহ্মা ও ২. বিষ্ণু/ ১. যবাগূ ও ২. মধু।
৩. খ্রিস্টান ক্যাথলিক মনীষীদের মতে; ১. Lord ও ২. God।
৪. মুসলমান বাউল মনীষীদের মতে; ১. (ﺍﻟﻠﻪ) আল্লাহ ও ২. (ﺮﺴﻮﻞ) রাসুল।৫. লালনপন্থী মনীষীদের মতে; ১. কালোশশী ও ২. সাদাশশী।
৬. শ্বরবিজ্ঞানীদের মতে; ১. কাঁই ও ২.সাঁই।
পুরাণ পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম সাহিত্য। এ সাহিত্য হতেই পরবর্তীকালে অন্যান্য সাহিত্যের উদ্ভব হয়েছে। এ সাহিত্যে আদিকাল হতেই ‘প্রেমগাছ’ বলতে কেবল মানবদেহকে বুঝায়। আর প্রেমগাছ এর ফল বলতে মানবজলকে বুঝায়। মানবজল হলো অমির ও পীযূষ। এবার শক্ত করেই বলা যায় বিশ্বের অধিকাংশ সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক সাহিত্য ও সাম্প্রদায়িক মতবাদগুলোর জনক, যাজক ও রূপকার মনীষীগণের মতে; প্রেমগাছের ফল দুটি। প্রমাণের জন্য আমরা বিশ্ববিখ্যাত মহাপুস্তক-পুস্তিকার উদ্ধৃতিসহ ওপরে তুলে ধরেছি। অন্যদিকে; কেবল মাণিকগঞ্জের কালুশাহর এই বাণীটির দ্বারা শ্বরবিজ্ঞানের বিশ্ববিখ্যাত দুইফলকে একফল বলা কতটুকু সমীচীন?
এদেশের অধিকাংশ পারম্পরিক মনীষী প্রেমগাছ বলতে দেহকে বুঝালেও, প্রেমগাছ এর দুইফল বলতে রমণীদের স্ফীতাঙ্গকে বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। এটি; নিশ্চিত একটি লজ্জাস্কর বিষয়। এ লজ্জাস্কর বিষয়টি হতে বেরিয়ে যাওয়া কিংবা বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই হয়তো দুইফলকে একফল বলে পাঠক-শ্রোতার দৃষ্টিভঙ্গিকে অন্যদিকে; সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রকৃত কথা হলো প্রেমগাছের দুইফল রূপ Mythology এর ভুল ব্যাখ্যা হতে সৃষ্টি হয়েছে লজ্জাস্করতা। এই লজ্জাস্করতা দূর করার জন্য দুইফল কেটে একফল করা হলো। আত্মদর্শনে এর কোনো বাস্তবতা নেই। অর্থাৎ; মনগড়া ও অপব্যাখ্যার দ্বারা লজ্জাস্কর এক ভুলের সৃষ্টি করা হলো। উক্ত লজ্জাস্করতা দূর করার জন্য আরেক ভুলের জন্ম দেওয়া হলো। অর্থাৎ; ভুল দ্বারা ভুলের সৃষ্টি করা হলো।
এবার প্রশ্ন হতে পারে শ্বরবিজ্ঞানে; প্রেমগাছের পৌরাণিক কাল্পনিক কাহিনীর (Mythology) দুইফলের বাস্তবতা বা বাস্তব আত্মদর্শন (Theology) বলতে আত্মজ্ঞানী ও মরমী মনীষীগণ কাঁই ও সাঁইকে বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। কিন্তু যখন একফল বলা হলো তখন এর Mythological ব্যাখ্যাইবা কী হবে এবং Theological ব্যাখ্যাইবা কী হবে?
পাঠক-শ্রোতা প্রত্যেকেরই এমন ধারণা করা স্বাভাবিক যে; প্রেমগাছের দুইফলের সন্তোষজনক আত্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে। এবার জানা প্রয়োজন প্রেমগাছের একফলবাদীদের ব্যাখ্যা কী? অর্থাৎ; প্রেমগাছের একফল কী? এর উত্তরে- কেউ বলবে প্রেম, কেউ বলবে বিশ্বাস, কেউ বলবে ভক্তি, কেউ বলবে গুরুর-জ্ঞান, কেউ বলবে নারী, কেউ বলবে স্ত্রী এই তো। এবার বলুন- “ঐ ফল গুরুকে দিয়ে শিষ্যে খাইলে অমর হয় সে সংসারে।”– এর অর্থ কী হবে? যদি প্রেমগাছ এর ফল এগুলোই হয়- তবে এগুলো খায় কিভাবে এবং অমর হয় কিভাবে?
আত্মদর্শন (Theology)
সমাধান হচ্ছে প্রেমগাছ এর ফল একটি নয় বরং দুটি। আর তা হচ্ছে সুধা ও মধু। এখানে; পীযূষ এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ হলো কাঁই এবং সুধার ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ হলো সাঁই। এগুলো প্রকৃত অমৃত মানবরস নাকি বর্জ্যজল? আত্মজ্ঞানী মনীষীদের মতে; পরীক্ষার জন্য এ রসদ্বয় আগে গুরুর নিকট প্রেরণ করতে হয়। দয়াময় গুরুদেব স্বয়ং পরীক্ষা করে সঠিক বললে অবশ্যই তা পানযোগ্য ও পবিত্র। এ রস নিয়মিত পান করতে থাকলে তার আর সন্তানরূপ পুনর্জন্ম হয় না। এখানে; রসদ্বয় গুরুর নিকট পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করাকে বলা হয়েছে গুরুকে দেওয়া। এবং সন্তান গ্রহণ না করাকে বলা হয়েছে অমর হওয়া। শ্বরবিজ্ঞানে; এছাড়াও; অটল বা ঊর্ধ্বরেতা হওয়াকেও অমর হওয়া বলা হয়। এমন অবস্থা হতেই বলা হয়েছে- “ঐ ফল গুরুকে দিয়ে শিষ্যে খাইলে অমর হয় সে সংসারে।” উপরোক্ত আলোচনা ও উদ্ধৃতি হতে পরিষ্কারভাবেই জানা যায় যে; প্রেমগাছের ফল দুটি। তাই; নির্দ্বিধায় বলা যায় প্রেমগাছ এর ফল একটি নয় বরং দুটি। কালুশাহর বাণীটি নিচে তুরে ধরা হলো।
“নিরীক্ষ বান্ধরে দুই নয়নে ভুইলনা মন তাহারে
ঐ নাম ভুল করিলে যাবিরে মারা
পড়বিরে বিষম ফেরে।
আগে আপনকে চেন
পরে গুরুকে মান
দেহ পাশ করে আন
ওরে সই মহলের নকলগুরু
দেবেন তোমায় দয়া করে।
প্রেমের গাছে দুটি ফল
রসে করে টলমল
কত ভ্রমর হয় পাগল
সে ফল গুরুকে দিয়ে শিষ্য খাইলে
অমর হয় সে সংসারে।
প্রেমের হাটে গেলা না
প্রেমের সদাই কিনলানা
প্রেমের-মানুষ চিনলানা
ওরে সেই মানুষের লাইগারে
মানুষ জঙ্গলে বসত করে।
ফকির কালুশাহ তাই কয়
মনরে বলি যে তোমায়
এই প্রেম সামান্যেতে নয়
এই প্রেমের লাইগারে মানুষ
ঘুরে জনম জনমভরে।” (গীতিকারঃ কালুশাহ ফকির)।
ফলের পরিচয় (Identity of fruit)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পালনকর্তা’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। উদ্ভিদবিজ্ঞানে ফুলের গর্ভাশয়ের পরিপক্বরূপকে ফল বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে; দুগ্ধ, শুক্র, সুধা, মধু ও সন্তানকে ফল বলা হয়। তবে; এখানে; কেবল সুধাকেই ফল বলা হয়েছে। ফলের মধ্যে যেমন খাদ্যসার সঞ্চিত থাকে তাদৃশ সুধার মধ্যেও খাদ্যসার সঞ্চিত থাকে বলেই সুধাকে ফল বলা হয়। সুধা হলো মানবগাছের মানবফল। মানবগাছে মানবফলের সন্ধান জানেন না বলেই সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির মধ্যে ব্যবহৃত ফল পরিভাষাটির দ্বারা কেবলই উদ্ভিজ্য ফল বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.