২৭/০৫. ফুল২
Asphodel (অ্যাস্ফাডেল)/ ‘سوسن’ (সাওইস্না)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘জরায়ু’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘জরায়ু’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘নিধুয়া’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘কুঞ্জ, ঢাকা, পাতাল ও স্বর্গপুর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অম্বর, আকাশ, বৈকুণ্ঠ ও মিথিলা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কাশী, দেবধাম, ব্রজধাম, মথুরা ও স্বর্গধাম’। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের ‘জরায়ু’, ‘নারী’, ‘রজ’, ‘শুক্র’, ‘দুগ্ধ’, ‘সুধা’, ‘মধু’, ‘দাঁত’ ও যৌবন’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ব্যাপক পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়।
অভিধা (Appellation)
ফুল২ (বাপৌউ)বি পুষ্প, কুসুম, প্রসুন, অমরা, পুষ্পাকৃতি অলঙ্কার, রেশম উল ইত্যাদিতে বোনা পুষ্পাকৃতি কারুকাজ বিশেষ, asphodel, ‘سوسن’ (সাওইস্না), amaranth, ‘قطيفة’ (ক্বাত্বিফা) (ব্য্য) জরায়ুতে ডিম্বাণু সদৃশ ফুল ফুটে বলে শ্বরবিজ্ঞানে জরায়ুকেই ফুল বলা হয় (প্র) ১. (প্রাবি) রমণীদের জরায়ু ও গর্ভস্থ সন্তানের নাভির সঙ্গে সংযুক্ত পুষ্টি সরবরাহকারী অংশ, placenta ২. শ্বরবিজ্ঞানে বিশেষ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তুর পরে ‘ফুল’ পরিভাষাটি প্রত্যয়ের মতো ব্যবহৃত হয়। এটি; গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষার পরে বসে কিন্তু মূল অর্থের কোনো পরিবর্তন ঘটায় না (গুরুফুল) (শ্ববি) জরায়ু, গর্ভাশয়, uterus, womb, রেহেম (আ.ﺮﺤﻢ) (রূপ্রশ) মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান (ইংপ) heaven, paradise (ফাপ) বেহেস্ত (ফা.ﺒﻬﺷﺖ) (ইপ) জান্নাত (আ.ﺠﻨﺎﺖ), আরশ (আ.ﻋﺭﺶ), ক্বলব (আ.ﻗﻟﺐ), মদিনা (আ.ﻤﺪﻴﻧﻪ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘জরায়ু’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; সর্বপ্রকার পুষ্পকে ফুল বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, স্ত্রী জননতন্ত্রের সন্তান ধারণ ও লালনপালনে নিয়োজিত অন্ত্রকে উপমার্থে ফুল বলা হয় (বাপৌছ) কাশী, দেবধাম, ব্রজধাম, মথুরা ও স্বর্গধাম (বাপৌচা) অম্বর, আকাশ, বৈকুণ্ঠ ও মিথিলা (বাপৌউ) কুঞ্জ, ঢাকা, পাতাল, ফুল২ ও স্বর্গপুর (বাপৌরূ) নিধুয়া (বাপৌমূ) জরায়ু।
Asphodel [অ্যাস্ফাডেল] (GMP)n তারাফুল, পদ্মজাতীয় ফুল, রজনীগন্ধা-গোত্রীয় পুষ্পবৃক্ষ, lily, ‘زنبق’ (জাম্বাক্ব), ‘سوسن’ (সাওইস্না) (রূপ্রশ) পারিজাত, মন্দারপুষ্প, নন্দনবনজাত অমরপুষ্প, amaranth, ‘قطيفة’ (কাত্বিফা) (প্র) গ্রিক পুরাণে বর্ণিত স্বর্গলোকের অমর পুষ্প বিশেষ {ই}
ফুলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some important quotations of asphodel)
১. “আছে একটি গাছে দুটি মূল, তিনকলি চারফুল, শোভা করে ছয়ডালে।” (পবিত্র লালন- ৮১/১)।
২. “ও সে ফুলের মর্ম জানতে হয়, যে ফুলে অটলবিহারী, শুনতে লাগে ভয়।” (পবিত্র লালন- ২৬০/১)।
৩. “ফকির দরবেশ বাদশাহ অলি, তুলিতে সে ফুলের কলি, কাঁধে লইয়া ভিক্ষার ঝুলি, বাস করে তারা গাছতলায়।” (জনৈক গীতিকার)।
৪. “বারো বছরে এক ফুল ফুটেছে, দুইরঙ্গ হইয়া সে, যুগ যুগান্তর সাধু সন্ন্যাসী, ঘুরে সে ফুলের আশে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৮)।
ফুলের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of asphodel)
১. “এক ফুলে চার রঙ ধরেছে, ও সে ভাবনগরে ফুলে ফুলে, কী আজব শোভা করেছে।” (পবিত্র লালন- ২০০/১)।
২. “চিরদিন সে যে ফুল, দিন দুনিয়ার মুক্ববুল, যাতে পয়দা দিনের রাসুল, মালিক সাঁই যার পৌরুষ গায়।” (পবিত্র লালন- ২৬০/৩)।
৩. “জন্মপথে ফুলের ধ্বজা, ফুল ছাড়া নয় গুরুপূজা, সিরাজ সাঁইজি কয় এ ভেদ বুঝা, লালন ভেড়োর কার্য নয়।” (পবিত্র লালন- ২৬০/৪)।
৪. “ডুবে দেখ মন দিল দরিয়ায়, যে ফুলে সাঁইয়ের জন্ম হয়, সে ফুল তো সামান্য নয়, লালন কয় যার মূল নাই দেশে।” (পবিত্র লালন- ২০০/৪)।
৫. “দশডালি চল্লিশশাখা গাছে একটি মাত্র মূল, বাহাত্তর হাজার পত্র গাছে একটি মাত্র ফুল, তিন রঙ পাপড়ি মুকুল- দুটি ফল দেখতে অতুল, পেরিয়ে দু’কূল তুলে বিপুল- সাধু সন্ন্যাসী খায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৬)।৬. “দেখ আজগুবি এক ফুল ফুটেছে, ক্ষণে ক্ষণে মুদিত হয় ফুল, ক্ষণে আলো করছে।” (পবিত্র লালন- ৫৩২/১)।
৭. “নীরাকারে ভাসছেরে এক ফুল, বিধি বিষ্ণু হর আদিপুরন্দর, সে ফুলের ঊল হয় মাতৃফুল।” (পবিত্র লালন- ৬০৭/১)।
৮. “ফুলে মধু প্রফুল্লতা, ফলে তার অমৃতসুধা, এমন ফুল দিন দুনিয়ায় পয়দা, জানলে দুর্গতি যায়।” (পবিত্র লালন- ২৬০/২)।
৯. “মূলের নিচে গাছের পাতা, ডালের সঙ্গে শিকড় গাঁথা, মধ্যস্থলে গাছের মাথা, ফুল দেখি তার কাছে।” (পবিত্র লালন- ৫৩২/২)।
১০. “পাশাখেলতে ফুলবনে, নিত্য আসো নিধুবনে, লালবাতি জ্বালাইয়ারে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
১১. “মূল ছাড়া এক আজগুবি ফুল, ফুটেছে সে ভবনদীর কূল, চিরদিন এক রসিক বুলবুল, সে ফুলের মধু খায়।” (পবিত্র লালন- ১৯৭/৩)।
১২. “মূল ছাড়া সে ফুলের লতা, ডাল ছাড়া তার আছে পাতা, এ বড় অকৈতব কথা, সে ভেদ কই কার কাছে।” (পবিত্র লালন- ২০০/৩)।
১৩. “যাতে জগতের গঠন, সে ফুলের হলো না যতন, বারে বারে তাইতো; ভ্রমণ, ভবের হাটে।” (পবিত্র লালন- ৩৪৮/২)।
১৪. “শনি শুক্ল এরা দু’জন, এক ফুলে হলো সৃজন, সিরাজ সাঁইজি বলেরে লালন, ফুলের ভ্রমর কে তা করগে ঊল।” (পবিত্র লালন- ২০৬/৪)।
১৫. “শম্ভু-বিম্ব নাই যে ফুলে, সেথায় মধুকর কেমনে খেলে, পড় সহজ প্রেমস্কুলে, জ্ঞানের উদয় হলে যাবে ভুল।” (পবিত্র লালন- ২০৬/৩)।
নারী অর্থে ‘ফুল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology asphodel sense for female)
১. “যৌবন জোয়ার একবার আসেরে বন্ধু চলে গেলে আর আসে না। ফুল শুকালে সে ফুলে আর ভ্রমর তো কভু বসে না।” (অজ্ঞাত গীতিকার)।২. “উবুদগাছে ফুল ফুটেছে প্রেমনদীর ঘাটে, গাছের ডালপালা খালি, ভিতরেতে ফুল ফুটে।” (পবিত্র লালন- ১৯৫/১)।৩. “বারো মাসে বারো ফুল ধরে, কত ফুল তার যাচ্ছে ঝরে, শক্তিবারি পেলে পরে, ফুলের মোহর আঁটে।” (পবিত্র লালন- ১৯৫/২)।৪. “ফুল ফুটে হয় জগৎ আলো, তারে দেখে মন শীতল হলো, লালন কয় উপায় বলো, খেলছে সাধু দরবেশ অলি।” (পবিত্র লালন- ৪৫৪/৩)।
এখানে; ফুল শুকিয়ে যাওয়া অর্থাৎ; নারীর যৌবনকাল অতিবাহিত হয়ে বৃদ্ধা অবস্থায় উপনীত হওয়া। প্রেমনদীর ঘাটে ফুল ফুটা অর্থাৎ; অরজা কিশোরী রজস্বলা হওয়া। বারো মাসে বারো ফুল ধরা বলতে রজস্বলাদের প্রতি মাসে রজস্রাব হওয়াকে বুঝানো হয়েছে। ফুল ফুটা বলতে কিশোরী বা কুমারী যৌবন প্রাপ্ত হওয়া বুঝানো হয়েছে।
রজ অর্থে ‘ফুল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology asphodel sense for menses)
১. “এক অঙ্গ হতে মূল, ফুটেছে তার পাঁচটি ফুল, লালন তা ভেবে আকুল, না পেল চারযুগে সে মূল।” (পবিত্র লালন- ৫৭৩/৫)।
২. “এস গো দয়াল বন্ধু শ্যাম কালাচাঁন, মনের বনে ফুল ফুটেছে, প্রেমযমুনায় ভরা বান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫৪)।
৩. “কারণনদীর জলে একটা, যুগলমীন খেলছে নীরে, ঢেউয়ের ওপর ফুল ফুটেছে, তার ওপর চাঁদ ঝলক মারে।” (পবিত্র লালন- ২৭৬/১)।
৪. “কে ভাসায় ফুল প্রেমের ঘাটে, অপার মহিমা সে ফুলের বটে।” (পবিত্র লালন- ৩৪৮/১)।
৫. “বারোমাসে ফোটে চব্বিশ ফুল, জানতে হয় কোথায় তার মূল, আন্দাজি সাধন- করো না রে মন, মূলে ভুল ফল তোর পাবি কিসে।” (পবিত্র লালন- ৩৬১/২)।
৬. “মাস অন্তে ফোটে ফুল, কোথায় গাছ কোথায়রে মূল, জানলে তার ঊল, ঘোর যায় ছুটে।” (পবিত্র লালন- ৩৪৮/৩)।
বীর্য অর্থে ‘ফুল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology asphodel sense for semen)
১. “আছে একটি গাছে দুটি মূল, তিন কলি চার ফুল, শোভা করে ছয় ডালে।” (পবিত্র লালন- ৮১/১)।২. “কালীধার পূর্বের ঘাটে, এক মৃণালে তিন ফুল ফোটে, যোগ ছাড়া চলে না, তুলব বলে সে নদীর ফুল, ছয় পাগলের গোল মিটে না।” (পবিত্র লালন- ১২৮/৩)।৩. “তুই আমাদের সঙ্গে যাবি, বনফুল খেতে পাবি, আমরা মরলে তুই বাঁচাবি, তাই তোরে সঙ্গী করি।” (পবিত্র লালন- ৪২৫/২)।
দুগ্ধ অর্থে ‘ফুল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology asphodel sense for milk)
১. “আছে একটি গাছে দুটি মূল, তিন কলি চার ফুল, শোভা করে ছয় ডালে।” (পবিত্র লালন- ৮১/১)।
২. “কালীধার পূর্বের ঘাটে, এক মৃণালে তিন ফুল ফোটে, যোগ ছাড়া চলে না, তুলব বলে সে নদীর ফুল, ছয়পাগলের গোল মিটে না।” (পবিত্র লালন- ১২৮/৩)।
সুধা অর্থে ‘ফুল’ পরিভাষাটির ব্যবহার(Using the terminology asphodel sense for nectar)
১. “অচিনদলে আদ্যমূল, তওবাগাছে আজব ফুল, যার হয়েছে সে ফুলের মূল, চৌদ্দভুবন দীপ্তকর।” (পবিত্র লালন- ৫৭৮/২)।
২. “অরসিকের ভোলে ভুলে, ডুবিস না কূপনদীর জলে, কারণ বারির মধ্যস্থলে, ফুটেছে ফুল অচিনদলে, চাঁদ চকোর তাতে খেলে, প্রেমবাণে প্রকাশিয়ে।” (পবিত্র লালন- ৫৬৫/২)।
৩. “আছে একটি গাছে দুটি মূল, তিন কলি চার ফুল, শোভা করে ছয় ডালে।” (পবিত্র লালন- ৮১/১)।
৪. “এনে কোন ফুলের সৌরভে, জগৎকে মাতালিরে।” (পবিত্র লালন- ২১৯/১)।
৫. “কারণ বারির মধ্যে সে ফুল, ভেসে বেড়ায় একূল ওকূল, শ্বেতবরণ এক ভ্রমর ব্যাকুল, সে ফুলের মধুর আশে।” (পবিত্র লালন- ২০০/২)।
৬. “কালীধার পূর্বের ঘাটে, এক মৃণালে তিন ফুল ফোটে, যোগ ছাড়া চলে না, তুলব বলে সে নদীর ফুল, ছয় পাগলের গোল মিটে না।” (পবিত্র লালন- ১২৮/৩)।
৭. “কোথায় তার বৃক্ষ কোথায় ডাল, তরঙ্গে ফুল ভাসছে চিরকাল, কখন এসে অলি- মধু খায় তুলি, লালন কয় চাইতে গেলে দেয় ধূল।” (পবিত্র লালন- ৬০৭/৪)।
৮. “নদীতে আজব ফুল ফুটেছে, সে ফুল যার ভাগ্যে আছে, ফুরায় না তার বাসনা, লালন বলে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর, ফুলের প্রহরি তিনজনা।” (পবিত্র লালন- ৫২৯/৪)।
৯. “ফুটেছে ফুল মানবসরোবর, শূন্য গোফায় ভ্রমরা তার, কখন মিলন হয়রে দোহার, রসিক হলে জানা যায় স্থুল।” (পবিত্র লালন- ২০৬/২)।
১০. “ফুলের নাম নীল লাল জবা, ফুলে মধু ফলে সুধা, বড় কঠিন তার মর্ম বুঝা, সে ফুল তুলতে মদনাবেটা, সদাই ছাড়ে হাই।” (পবিত্র লালন- ৪৫৯/২)।
১১. “ফুলের রসিক যারা মর্মমূলে, ডুব দিলো সে জীবন ফুলে, সদাই ঐ সুধা ফুল তুলে, মরণের ভয় কী আছে, দিলে শ্রীগুরুর দোহাই।” (পবিত্র লালন- ৪৫৯/৩)।
১২. “শুনেছি ত্রিবেণীর ঘাটে, আজগুবি এক ফুল ফুটে, সে ফুল থাকে মায়ের পেটে, রসিক ধরে ফুল প্রেমডুরিতে।” (পবিত্র লালন- ৮৩১/৩)।
১৩. “ফুল ফোটে তার গঙ্গাজলে, ফল ধরে তার অচিনদলে, পূর্ণ হয় সে ফুলে ফলে, তাতে কথা কয়।” (পবিত্র লালন- ৮৮০/৩)।
১৪. “সে বৃক্ষের দুটি অপূর্ব ডাল, এক ডালে প্রেম অন্য ডালে কাল, চার যুগেতে আছে সে ফুল, নাই টলাটল জ্যোতির্ময়।” (পবিত্র লালন- ৮৯৭/২)।
১৫. “স্বরূপ বৃক্ষের কাননে ফুল ফোটে সাতাশ দিনে, সে ফুলের মালা গেঁথে গলায় পরে গো সাধু জনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০২)।
১৬. “হায়াত নদীর মধ্যে স্থিতি, আজগুবি ফুল হয় উৎপত্তি, ফুলের মধ্যে ফলের জ্যোতি, হয় উজ্জ্বালা।” (পবিত্র লালন- ৯২৯/৩)।
মধু অর্থে ‘ফুল’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology asphodel sense for honey)
১. “আছে একটি গাছে দুটি মূল, তিন কলি চার ফুল, শোভা করে ছয় ডালে।” (পবিত্র লালন- ৮১/১)।
২. “কালীধার পূর্বের ঘাটে, এক মৃণালে তিন ফুল ফোটে, যোগ ছাড়া চলে না, তুলব বলে সে নদীর ফুল, ছয় পাগলের গোল মিটে না।” (পবিত্র লালন- ১২৮/৩)।
৩. “নিরাকার নিগূঢ় ধ্বনি, সেও সত্য সবাই জানি, তুমি নিগমের ফুল আগমে রাসুল, আদমের ধড়ে এসে জান হলে।” (পবিত্র লালন- ১৭৮/৩)।
৪. “সে যে আজব গাছে, চন্দ্র সূর্য ফুল ফুটেছে, কী শোভা তাতে দেখাচ্ছে, বোঁটাহীন ফুল ধরে গাছে।” (পবিত্র লালন- ৪৯১/২)।
৫. “নবি রাসুল ও আল্লাহ, এক গাছে তিন ফুল, ভুল করলে পড়বি ফেরে, হারাবি দু’কূল।” (পবিত্র লালন- ৫৭৩/১)।
৬. “কত দিন পরেতে বনে, কালো-ফুল নিতে এসে রণে, মাগো তোর চরণ বিহনে, যাই বুঝি গো রসাতলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০১)।
৭. “বারো বছরে এক ফুল ফুটেছে, দুইরঙ্গ হইয়া সে, যুগ যুগান্তর সাধু সন্ন্যাসী, ঘুরে সে ফুলের আশে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৮)।
৮. “চৌদ্দশাখে চব্বিশ ফুল– দেখতে ভারি অতুল, একটি ফুল থাকে গোপনে- সাধু সন্ন্যাসী বাউল- তুলতে যায় সে কালো-ফুল, মোহিন্দ্র যোগে ত্রিবেণে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০২)।
ফুলের সংজ্ঞা (Definition of asphodel)
সাধারণত; সর্বপ্রকার পুষ্পকে ফুল বলে।
ফুলের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of asphodel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জরায়ুকে উপমার্থে ফুল বলে।
ফুলের প্রকারভেদ (Variations of asphodel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ফুল দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ফুল ও ২. উপমিত ফুল।
১. উপমান ফুল (Analogical asphodel)
সাধারণত; সর্বপ্রকার পুষ্পকে উপমান ফুল বলে।
২. উপমিত ফুল (Compared asphodel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জরায়ুকে উপমিত ফুল বলে।
ফুলের পরিচয় (Identity of asphodel)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘জরায়ু’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। শ্বরবিজ্ঞানে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষাকে অধিক হৃদয়গ্রাহী ও মর্মস্পর্শী করার জন্য; তার সঙ্গে ‘ফুল’ শব্দ যুক্ত করা হয়। যেমন; গুরুফুল, শিষ্যফুল, মনোফুল, বনফুল, অমৃতফুল ও অচিনফুল ইত্যাদি। শ্বরবিজ্ঞানে; ‘জরায়ু’, ‘নারী’, ‘দুগ্ধ’, ‘শুক্র’, ‘সুধা’, ‘মধু’, ‘দাঁত’ ও ‘যৌবন’ ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’কে ব্যাপক পরিভাষায় ‘ফুল’ বলা হয়। তবে; শ্বরবিজ্ঞানের কোথাও কোথাও ফুলকে নিতান্ত ফুল অর্থেই ব্যবহার করা হয়। যেমন; “মুচির চামকুঠিতে গঙ্গা মা, কোন গুণে যায় দেখ মনা, কেউ ফুল দিলেও পায় না তো, মন রাজি নয়- পূজলে কী হয় ফুল দিয়ে শত শত।” (পবিত্র লালন- ১৯৩/৩)। কেবল এমন উদাহরণের ক্ষেত্রে ফুলকে ফুল অর্থেই ব্যবহার করা হয়। অথবা “কিসে হয় আমার ভজন সাধন, মন হলো না মনের মতন, দেখে শিমুলফুল- সদাই ব্যাকুল, মনকে বুঝাইতে নারী জনম ভরে।” (পবিত্র লালন- ৭৪৪/২)। কেবল এমন উদাহরণের ক্ষেত্রে ফুলকে ফুল অর্থেই ব্যবহার করা হয়।
অত্যন্ত মজার বিষয় হলো; সাম্প্রদায়িক ঘরানার মনীষী, বক্তা, বৈখ্যিক, টৈকিক ও নীতিনির্ধারকরা সাম্প্রদায়িক শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণে ব্যবহৃত ‘ফুল’ বলতে কেবল গাছের পুষ্পকে বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে। উল্লেখ্য; সাম্প্রদায়িক পুরাণে ব্যবহৃত ‘ফুল’ বলতে কখনই উদ্ভিদের ফুল বুঝানো হয় না। বরং ফুল বলতে মানুষে বিদ্যমান বিষয়বস্তুকেই বুঝানো হয়। এছাড়া; শ্বরবিজ্ঞানের ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ‘পৌরাণিক মূলক সংখ্যা’র ৩২ দাঁতকেও ৩২ ফুল বলা হয়। যেমন; লালন সাঁইজি অত্যন্ত চমৎকারভাবে উল্লেখ করেছেন; “বত্রিশফুল কারে বলে, দেহের বাও-বাতাস কোন দিকে চলে, ফকির লালন কয় দেহের মূল, কোন দিকে রয়।” (পবিত্র লালন- ৭৯)। যেমন; এখানে; ৭৯ নং লালনে সাঁইজি প্রশ্ন করে গেছেন। আবার ৮৯৩ নং লালনে তিনি উত্তর প্রদান করেছেন। যেমন; “লালন ফকির ভেবে বলে, বত্রিশ ফুল দন্তকে বলে, ঊনপঞ্চাশ বায়ু চলে, মনের-মানুষ উজান ধায়।” (পবিত্র লালন- ৮৯৩/৪)। এছাড়াও; শ্বরবিজ্ঞানে; কোথাও কোথাও যৌবনকেও ফুল বলা হয়। যেমন; বলন কাঁইজি লিখেছেন; “হলো না ভজন-সাধনা, মরাগাছে ফুল ফুটল না, বলন কয় হয়রে জানা, জানলে পরে নাকের দম।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯৮)। এখানে; ফুল বলতে কেবল যৌবনকেই বুঝানো হয়েছে।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.