৯২/৯. ফুৎকার
Puff (পাফ)/ ‘ﻨﻔﺨﺔ’ (নাফখা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শ্বাস’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক প্রকৃত মূলক সত্তা’ ‘শ্বাস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক সহযোগী মূলক সত্তা’ ‘প্রাণায়াম’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘বাতাস’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘কুকুর, প্রহরী ও সুর^১’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনিল, পবন ও সমীর’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘জগৎগুরু’।

অভিধা (Appellation)
ফুৎকার (বাপৌছ)বি ফুঁ, ছুঁ, মুখ থেকে নির্গত বায়ু, puff, ‘ﻨﻔﺨﺔ’ (নাফখা) (প্র) নাসিকার সূর্যশ্বাস ও চন্দ্রশ্বাস বিশেষ (শ্ববি) শ্বাস, নিঃশ্বাস, প্রশ্বাস,  breath, respiration, দম (আ.ﺪﻡ), নাফ্স (আ.ﻧﻔﺲ) (রূপ্রশ) ঘোণা, সৈনিক, যোদ্ধা, diarchy (ইংপ) horn, trumpet (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শ্বাস’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. মুখ দ্বারা দ্রুতবেগে বায়ু বের করাকে ফুৎকার বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; নাসিকাযোগে চলাচলকারী বায়ুকে শ্বাস বা রূপকার্থে ফুৎকার বলা হয় (বাপৌছ) জগৎগুরু ও ফুৎকার (বাপৌচা) অনিল, পবন ও সমীর (বাপৌউ) কুকুর, প্রহরী ও সুর^১ (বাপৌরূ) বাতাস (বাপৌমূ) শ্বাস।

ফুৎকারের ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of puff)
“فَإِذَا سَوَّيْتُهُ وَنَفَخْتُ فِيهِ مِنْ رُوحِي فَقَعُوا لَهُ سَاجِدِينَ” “ফাইজা সাওয়ার্তুহু ওয়া নাফাখতু ফিহি মির রুহি, ফাকাউ লাহু সাজিদিন” অর্থ; “অতঃপর; যখন আমরা তাকে সুঠাম করব এবং তারমধ্যে; আত্মা ফুৎকার করব, তখন তোমরা তাকে ভক্তি করবে।” (কুরান, সোয়াদ- ৭২)।

ফুৎকারের সংজ্ঞা (Definition of puff)
সাধারণত; মুখ দ্বারা দ্রুতবেগে বায়ু বের করাকে ফুৎকার বলে।

ফুৎকারের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of puff)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নাসিকাযোগে চলাচলকারী বায়ুকে শ্বাস বা রূপকার্থে ফুৎকার বলে।

ফুৎকারের প্রকারভেদ (Variations of puff)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে ফুৎকার দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ফুৎকার ও ২. উপমিত ফুৎকার।

১. উপমান ফুৎকার (Analogical puff)
সাধারণত; মুখ থেকে দ্রুতবেগে বায়ু বের করাকে উপমান ফুৎকার বলে।

২. উপমিত ফুৎকার (Compared puff)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে নাসিকাযোগে চলাচলকারী বায়ুকে শ্বাস বা উপমিত ফুৎকার বলে।

ফুৎকারের পরিচয় (Identity of puff)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শ্বাস’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।

সাধারণত; মুখ দ্বারা দ্রুতবেগে বায়ু বের করাকেই ফুৎকার বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নাসিকাযোগে প্রথম বাতাস প্রবেশ করে ফুসফুস যন্ত্র চালু করাকে ফুৎকার বলা হয়। এ সূত্র ধরেই এক ফুৎকার হতে অন্য ফুৎকার পর্যন্ত সময়কে জীবের পুনর্জনম ধরা হয়। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সব দৈহিক কার্যক্রম মাতৃকোষ দ্বারাই পরিচালিত হয়। অতঃপর; সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাসিকা বা মুখ দ্বারা বাতাস প্রবেশ করে তার ফুসফুসকে সক্রিয় করে। সাথে সাথে হৃদপিণ্ডও সক্রিয় হয়। শ্বরবিজ্ঞানে; নাসিকা বা মুখ দিয়ে সর্বপ্রথম প্রবেশকৃত এ শ্বাসকেই ফুৎকার দিয়ে জীবাত্মা প্রদান করা বলা হয়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন আরম্ভ হয়। যারফলে; সন্তানের দেহে নতুনভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্রিয়া আরম্ভ হয়। শ্বরবিজ্ঞানে; এ বিদ্যুৎকেই জীবাত্মা বলা হয়। যেমন; একই প্রযুক্তি বা একই যন্ত্র দুটি বিদ্যুৎপ্রবাহ গ্রহণ করতে পারে না; তেমনই; সন্তানের দেহও একই সঙ্গে মাতার দেহের বিদ্যুৎ এবং নিজের দেহে উৎপন্ন বিদ্যুৎ গ্রহণ করতে পারে না। এ অবস্থায় সন্তান দ্বিমুখী বিদ্যুৎ প্রবাহের অসুবিধা অনুভব করেই কেঁদে ওঠে। অতঃপর; সন্তানের দেহ স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে ওঠার পর তার নাড়ি পৃথক করা হয়। বিশ্বের সব প্রাণীর জীবনে সর্বপ্রথম প্রবেশকৃত বাতাসকে সর্বপ্রথম শ্বাস বা সর্বপ্রথম ফুৎকার বলা হয়। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; ফুৎকারের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো বাংভারতের সাম্প্রদায়িক মনীষী ও বক্তারা ফুৎকার বলতে কেবল উদ্বান বায়ুকেই বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত ফুৎকারই যে শ্বাস এবং সর্বপ্রথম ফুৎকারই যে সন্তানের সর্বপ্রথম শ্বাস তা মনীষীরা জানেও না এবং বুঝেও না। এ বিষয়টিকে তারা রীতিমতো অলৌকিক কিংবা জন্মের অনেক আগে সংঘটিত বলেও প্রমাণ করার স্বল্প চেষ্টাও করে নি।