৩৩/৬. বৃক্ষ
Plant (প্ল্যান্ট)/ ‘نبات’ (নুবাত)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘দেহ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘পৃথিবী’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অশ্ব, গাড়ি, জাহাজ, তরী ও হাতি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘কানন, পাহাড়, বপু, বিপিন, ব্রজ৩ ও ভুবন’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘দেবালয়, বিশ্ব, মন্দির, রথ১, শাস্ত্র ও স্বর্গালয়’। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘জরায়ু’, ‘দেহ’ ও ‘বলাই’ প্রভৃতি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন।
অভিধা (Appellation)
বৃক্ষ (বাপৌউ)বি গাছ, তরু, মহীরূহ, উদ্ভিদ, গাছড়া, বিটপী, শস্য তৃণ লতা গুল্ম ইত্যাদি, বৃক্ষসদৃশ বস্তু, plant, ‘نبات’ (নুবাত), tree, ‘شجرة’ (আল) ঢেঙা, বৃক্ষের মতো লম্বা, অধিক লম্বা (শ্ববি) দেহ, খাঁচা, ধড়, পিঞ্জর, body, জাসাদ (আ.ﺠﺴﺪ), বদন (আ.ﺒﺪﻦ) (আল) কংকাল, কলেবর (রূপ্রশ) ১.উষ্ট্র, গাড়ি, ঘোড়া, নদীয়া, নবদ্বীপ, পাহাড়, ব্রহ্মাণ্ড, হাতি ২.কল্পতরু, কল্পদ্রুম, কল্পবৃক্ষ (ইংপ) world (ফাপ) জাহান (ফা.ﺠﻬﺎﻦ) (ইপ) আলম (আ.ﻋﺎﻠﻡ), ক্ববর (আ.ﻘﺑﺮ) ফিল (আ.ﻔﻴﻞ), মিসর (আ.ﻤﺻﺮ) মুলুক (আ.ﻤﻟﻚ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; উদ্ভিদ ও গুল্মকে বৃক্ষ বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, মানুষের স্থূল দেহকে উপমার্থে বৃক্ষ বলা হয় (বাপৌছ) দেবালয়, বিশ্ব, মন্দির, রথ১, শাস্ত্র ও স্বর্গালয় (বাপৌচা) কানন, পাহাড়, বপু, বিপিন, ব্রজ৩ ও ভুবন (বাপৌউ) অশ্ব, গাড়ি, জাহাজ, তরী, বৃক্ষ ও হাতি (বাপৌরূ) পৃথিবী (বাপৌমূ) দেহ।
বৃক্ষের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of plant)
১. “চৌডালা বৃক্ষ বৃন্দাবন, ত্রিনালে হয় বরিষণ, দুটি রঙ করে ধারণ, সাদা কালো একেক বেলা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪২)।
২. “বলবো কিসে বৃক্ষের কথা, ফুলে মধু ফলে সুধা, এমন বৃক্ষ মানে যেবা, তার বলিহারি জয় (পবিত্র লালন- ৮৯৭/৩)।
৩. “বিনা বীজে সে যে বৃক্ষ, ত্রিজগতের উপলক্ষ, শাস্ত্রেতে আছে ঐক্য, লালন ভেবে বলে তায় (পবিত্র লালন- ৮৯৭/৪)।”
৪. “শূন্যেতে এক আজব বৃক্ষ, দেখতে পাই, দৈর্ঘ্য প্রস্থ কত হয়, কল্পনা বৈ সাধ্য নাই (পবিত্র লালন- ৮৯৭/১)।
৫. “সে বৃক্ষের দুটি অপূর্ব ডাল, এ ডালে প্রেম ঐ ডালে কাল, চারযুগেতে আছে সে ফুল, নাই টলাটল জ্যোতির্ময় (পবিত্র লালন- ৮৯৭/২)।
বৃক্ষের সংজ্ঞা (Definition of plant)
সাধারণত; শস্য তৃণ গল্ম-লতা ইত্যাদি উদ্ভিদকে বৃক্ষ বলে।
বৃক্ষের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of plant)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবের স্থূল আকারকে দেহ বা বৃক্ষ বলে।
বৃক্ষের প্রকারভেদ (Variations of plant)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে বৃক্ষ দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান বৃক্ষ ও ২. উপমিত বৃক্ষ।
১. উপমান বৃক্ষ (Analogical plant)
সাধারণত; শস্য তৃণ গল্ম-লতা ইত্যাদি উদ্ভিদকে উপমান বৃক্ষ বলে।
২. উপমিত বৃক্ষ (Compared plant)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে জীবের স্থূল আকারকে দেহ বা উপমিত বৃক্ষ বলে।
বৃক্ষের পরিচয় (Identity of plant)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।
সাধারণত; শস্য তৃণ গুল্প-লতা ইত্যাদিকে বৃক্ষ বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; দেহ ও শিশ্নকে বৃক্ষ বলা হয়। তবে; এখানে; কেবল দেহকেই বৃক্ষ বলা হয়েছে। বৃক্ষের ডালপালার মতো দেহের হস্ত-পদরূপ ডালপালা রয়েছে বলেই দেহর এমন নামকরণ করা হয়েছে। আবার গাছগাছালি হতে যেমন ফুল-ফল পাওয়া যায়; দেহবৃক্ষ হতেও তেমন সন্তানরূপ ফল পাওয়া যায়। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে দেহকে বৃক্ষ বলা হয়। উল্লেখ্য; সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুরাণের মধ্যে ব্যবহৃত বৃক্ষ পরিভাষাটির দ্বারা হয়তো দেহ নয়তো শিশ্নকেই বুঝানো হয়েছে কিন্তু অত্যন্ত চমৎকার বিষয় হলো সারাবিশ্বের সাম্প্রদায়িক মনীষী ও বক্তারা উপমান বৃক্ষ বলতে উপমিতভাবে দেহ ও শিশ্নকে না বুঝিয়ে কেবল উদ্ভিদকে বৃক্ষ বলে অভিহিত করে থাকেন। যারফলে; সারাবিশ্বের সাধারণ সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা শ্বরবিজ্ঞান বা আত্মদর্শন হারিয়ে ফেলে ক্রমে ক্রমে সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক আতঙ্কবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার প্রতি অগ্রসর হওয়া আরম্ভ করেছেন।
শ্বরবিজ্ঞানে; মানবদেহের ছদ্মনাম বৃক্ষ এবং মানুষের পরিভাষাও বৃক্ষ। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানের পাঠকদের বৃক্ষরূপ বৃক্ষ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে বসে থাকলেই চলবে না- তাদের শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত বৃক্ষত্রয় সম্পর্কেও ভালোভাবে জানতে হবে। শ্বরবিজ্ঞানে; মানুষ, দেহ ও শিশ্নকে উপমার্থে বৃক্ষ বলা হয়। এ সূত্র ধরে বলা যায় বিশ্বের সব শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত বৃক্ষ পরিভাষাটি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে তিনটি অভিধা বহন করে কিন্তু মজার বিষয় হলো বাংভারতের লেখক, গবেষক, অভিধানবিদ, অনুবাদক, পাঠক, বক্তা ও শ্রোতারা বৃক্ষ পরিভাষাটির দ্বারা কেবল বৃক্ষকেই বুঝিয়ে যাচ্ছেন আদিকাল হতে। বিশ্বের সব শ্বরবিজ্ঞানে কেবল উপমান ও রূপক পদগুলো ব্যবহার করা হয় এবং এর প্রকৃত উপমেয় বা উপমিত পদটি গোপন রাখা হয় এসব কথা তারা প্রায় ভুলে গেছেন। তাই; বর্তমানে বিশ্ববিখ্যাত পৌরাণিক সাহিত্যাদি মানব কল্যাণের চেয়ে মানবের অকল্যাণেই ব্যবহার করা হচ্ছে অধিক। যেমন; একদল সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির নিমন্ত্রণের মন্ত্রগুলো ব্যবহার করে কেবল মানুষকে অন্ধবিশ্বাসের পথে নিমন্ত্রণ করে দলবৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। আরেকদল এর সংগ্রামের মন্ত্রগুলো ব্যবহার করে সংগ্রামের পথপদ্ধতি বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। আরেকদল শিষ্য-ভক্ত করে অর্থ উপার্জনে সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদি নির্ভয়ে ব্যবহার করে যাচ্ছেন। পক্ষান্তরে; সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির পাঠন-পঠন দ্বারা আত্মশুদ্ধি, শুক্র নিয়ন্ত্রণ, সুখিসংসার, সুখী ও সমৃদ্ধশালী সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠনের কাজ করতে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। শ্বরবিজ্ঞানের প্রকৃতশিক্ষা চরমভাবে বিঘ্নিত হওয়ার প্রমাণের জন্য এসব দৃষ্টান্তই যথেষ্ট বলে আমরা মনে করি।
বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক, পারম্পরিক ও মরমী কাব্যগুলোর উপমানপদের অর্থ সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে ‘উপমিত’ বা ‘উপমেয়’ পদের অর্থ গ্রহণ না করা পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক অঙ্গনের উগ্রবাদ, আতঙ্কবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার নিরসন কিংবা উন্নয়ন ও উত্তরণের কোনো সম্ভবনায় বর্তমানে নেই। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক সহিংসতায় উত্তালময় দেশগুলোর জন্য এ সতর্কবাণীটিকে রাষ্ট্রীয় বিধান রূপে গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.