বৃন্দাবন

৩৭/১. বৃন্দাবন
Spermary (স্পার্মারি)/ ‘خصيتين’ (খুসিয়াতাইনি)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর নরদেহ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা। এর বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা নরদেহ। এর বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা দ্যুলোকলঙ্কা। এর বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা শৈলরাজশৈলেন্দ্র এবং এর বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা কিষ্কিন্ধ্যাসরন্দীপ

অভিধা (Appellation)
বৃন্দাবন (বাপৌরূ)বি নরদেহ, পুরুষদেহ, spermary, ‘خصيتين’ (খুসিয়াতাইনি), ‘خصية’ (খিসিয়া), semen zone, ‘ﺪﺍﺌﺭﺓ ﺍﻠﻤﻨﻰ’ (দায়েরা আলমনি) (প্র) রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমের লীলাক্ষেত্র, যমুনা তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান বিশেষ (শ্ববি) কুশদ্বীপ, মদনগঞ্জ, মদনচর, মনিপুর, লঙ্কা, সরন্দীপ (প্রাঅ) নর, পুরুষ, man, male, ঝকর (.ﺯﻜﺭ), রাজুল (.ﺭﺟﻞ), মারউ (.ﻤﺭﺀ), ইনসান (.ﺍﻧﺴﺎﻦ), নাছ (.ﻧﺎﺲ), বাশার (.ﺒﺸﺮ) (ইংপ) husband, auther (দেপ্র) এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর নর পরিবারের একটি বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; বাঙালী পুরাণ মতে; যমুনা তীরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানকে বাংলায় ‘বৃন্দাবন বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, নরদেহকে রূপকার্থে ‘বৃন্দাবন বলা হয় (বাপৌছ) কিষ্কিন্ধ্যা ও সরন্দীপ (বাপৌচা) শৈলরাজ ও শৈলেন্দ্র (বাপৌউ) লঙ্কা (বাপৌরূ) বৃন্দাবন (বাপৌমূ) নরদেহ {বাং. বৃন্দ>+ বাং. বন}

প্রপক (Extensive)
মথুরার তিনক্রোশ দূরে যমুনার বাম-তটে অবস্থিত নগর ও বন। এটি; স্বনামখ্যাত একটি তীর্থ। শ্রীকৃষ্ণ সর্বপ্রথমে গোকুলে দানবদের নিহত করেন। তারপর; তার পালকপিতা নন্দ ও আরও অনেক সহযাত্রীর সঙ্গে এ বনে আসেন। এটি; মূলতঃ রাধা-কৃষ্ণের লীলাভূমি সারা বাংভারতে পরিচিত। এছাড়াও; এটি; হিন্দুদের নিকট পবিত্র তীর্থ বলে পরিচিত।

বৃন্দাবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of spermary)
১.   “আপন ছেড়ে কারে খুঁজিস মন, গিয়ে বৃন্দাবন, পূজাঘর আশ্রম খুঁজে, আপন পাবি নাকের দম।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৪)
২.   “বৃন্দাবনে তারার সনে নিশি জাগিয়া, চন্দ্র-তারার মালা গেঁথে রাখছি তুলিয়া, রাঙাচরণ ভজব বলন, বুকেতে শোয়াইয়া।” (বলন তত্ত্বাবলী)

বৃন্দাবনের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of spermary)
১.   “আপ্ততত্ত্ব পরমতত্ত্ব, বৃন্দাবনের নিগূঢ়-অর্থ, লালন বলে নিগূঢ় পদার্থ, বড় আজবলীলা ভাই।” (পবিত্র লালন- ৬৬৮/৪)
২.   “একদিন যার ধেনু হরে, নিলেন ব্রহ্মা পাতালপুরে, ব্রহ্মা দোষী হয়- সবাই জানতে পায়, তুমি জানো না বৃন্দাবনে।” (পবিত্র লালন- ৪২১/৩)
৩.   “ও সখীরে চলো চলো বনে যাই, বন্ধুর দেখা নাই, বৃন্দাবন আছে কত দূরে, ছেড়ে ভবের মায়া, দেহ করলাম পদছায়া, ললিতে তাঁর পায়ের ধ্বনি শুনতে।” (পবিত্র লালন- ২৪৩/২)
৪.   “খুঁজলে পাবে কোথায় বনে, আসা যাওয়া নিষ্ঠুর মনে, কখনও থাকি শ্রীবৃন্দাবনে, কখনও বাজাই বাঁশী।” (পবিত্র লালন- ৭২৫/৩)
৫.   “গয়া কাশী বৃন্দাবনে, হরি পেলে কেউ ফিরত না রে, গির্জাগৃহে গড পেলে, খ্রিস্টানেরা ভুলত না রে, লালন বলে থাকলে গুরুর চরণতলে, পাবিরে নিরঞ্জন।” (পবিত্র লালন- ১০৩/৩)
৬.   “গয়া কাশী বৃন্দাবনে– উদয় হয়রে কত নামে, যে যায় মক্কা মদিনে- নিতে তারই চরণধুলা- সপ্ততল পাতালে গিয়ে- লুকায় সেথা নীর হয়ে, বাতাস রূপে দ্বিদ্বারে- চালায় তার অবলীলা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১১)
৭.   “চৌডালা বৃক্ষ বৃন্দাবন, ত্রিনালে হয় বরিষণ, দুটি রঙ করে ধারণ, সাদা কালো একেক বেলা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪২)
৮.   “তীর্থকর্ম গয়া কাশী, বালাকুঞ্জ বারানসী, মথুরা বৃন্দাবনে, তীর্থে যদি গৌর পেত, ভজন সাধন করে মানব কী জন্যে।” (পবিত্র লালন- ৩৬৮/৩)
৯.   “তুমি অযোধ্যায় রাম বৃন্দাবনে শ্যাম, সর্বমুখে শুনি তুমি গুণধাম, কোন নামে রও অধর হয়ে, কোন নামটি ভক্তের দ্বারে।” (পবিত্র লালন- ৯৮৪/৩)
১০. “তুমি ভালোবাস মনে মনে, আমি ভালোবাসি প্রাণে প্রাণে, শয়নে কী স্বপনে তোমায়, না হেরিলে বৃন্দাবনে ছুটে আসি।” (পবিত্র লালন- ৭২৫/২)
১১.  “তোমার কারণে গোষ্ঠে গোচারণে, মহারাসলীলা করে দু’জনে, নন্দের বাঁধা লয়ে মাথায়, বৃন্দাবনে সদা বাশরি বাজাই।” (পবিত্র লালন- ৪৯৭/৩)
১২.  “দাসের গুরু সাঁই কাঁই- অন্ধে কী তা দেখিতে পায়, কুরান পুরান খুঁজে সদাই- আপন ঘর ধুঁড়ে না- গুরু রয় নদীয়ায়- বৃথা বৃন্দাবন কাঁশি যায়, জগৎগুরু ঘরের কোণায়- বলন কয় খুঁজে দেখ মনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৩৪)
১৩. “নাইরে মানুষ বৃন্দাবনে, তীর্থ কিংবা বিজনে, মনের-মানুষ আপনঘরে, আছে নিগমে গোপনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫২)
১৪. “বিরজা ফল্গু গয়াধামে, ভক্তি দাও মার চরণকোনে, নিরীক্ষ রেখে নয়নে- বৃন্দাবন আর কৈলাশটিলে, মাকে রাখো আদ্যামূলে, মা জননী সাতরাজার সমান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫১)
১৫. “বিরিঞ্চি বাঞ্ছিত সে ধন, মানুষ রূপে এ বৃন্দাবন, জানে যত রসিক সুজন, সে কালার গুণ বাখানি।” (পবিত্র লালন- ৪৫০/৩)
১৬.  “বৃন্দাবন যথাযথ বন, তা বিনা রইলিরে এখন, মানুষ লীলা করবে কোনজন, লালন বলে তাই।” (পবিত্র লালন- ২৭৯/৪)
১৭. “বৃন্দাবনে কিরূপ ছিল, মথুরায় সে কিরূপ হলো, বলন কয় জানগে ভালো, দেখবি কাঁই সামনে।” (বলন তত্ত্বাবলী)
১৮. “বৃন্দাবনে জলের সনে, খেলছি সেথা আনমনে, শূন্যস্থানে সঙ্গোপনে, রসের রসিক দেখ সবে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৮৩)
১৯.  “বৃন্দাবনের কানাই বলাই, ব্রজধামে গৌর নিতাই, ধরতে গেলে দেয় না ধরা কৃষ্ণ হরি দয়াময়, ব্রহ্মাণ্ড যার ভাণ্ডে রয়, সেকি ভুলে দই চিড়ায়।” (পবিত্র লালন- ৯৬১/২)
২০. “বৃন্দাবনের নাড়ানাড়ী, বেড়ায় ব্রজের বাড়িবাড়ি, যোগাড় করে সেবার কাঁড়ি, শাক চচ্চড়ি ওল ভাতে।” (পবিত্র লালন- ৬৪/৩)
২১.  “বৃন্দাবনের মাখন ছানাই, পেট তো ভরে নাই, নৈদে এসে দই চিড়াতে ভুলেছে কানাই, যার বেণুর সুরে ধেনু ফিরে, যমুনার জল উজান ধায়।” (পবিত্র লালন- ৯৬১/৩)
২২. “মক্কা কিংবা মদিনাতে, বৃন্দাবন কী কাশীতে, কোথাও পাবি না রে তাতে, পাবি আপন ঘর ধুঁড়ে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬৯)
২৩. “যার জন্যেতে ঝরে নয়ন, তারে কোথায় পাইরে এখন, যাব আমি শ্রীবৃন্দাবন, পথ না পারি আজ চিনতে।” (পবিত্র লালন- ৮১৭/২)
২৪. “রাধার প্রেমের কাঙাল, বৃন্দাবন ত্যাগ করে নন্দলাল, মনের দুঃখে বলছে লালন, আমি রইলাম ঠেকা।” (পবিত্র লালন- ৬৬৭/৪)
২৫. “সাম্প্রদায়িক গ্রন্থের দুটি মানে, এক প্রকাশ্য এক গোপনে, প্রেমলীলা রয় নিগমে, গয়া কাশী বৃন্দাবনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৪)
২৬. “শূন্য জ্যোতিকা হতে সৃষ্টি বাতাসের গতি, বায়ু জ্যোতি ঢেউ খেলিয়া হলো প্রেমরতী, সাঁই দিবারাতি ডিম্বগতি- নামে অপরূপ মতি, শূন্যের ওপর থাকে ঘর বান্ধিয়া বৃন্দাবন।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৯)
২৭. “সুবোল বলে পড়ল মনে, বলেছিলাম একদিনে, কানাই যাবে গুপ্ত বৃন্দাবনে, লালন কয় গেলেন তাই।” (পবিত্র লালন- ৬৬৯/৪)
২৮. “সুরসিকে মৃণাল যোগে- নিশিতে যায় কুসুমবাগে, সেই গহীন বৃন্দাবন– সে কাননের তিনটি ধারা- ষোল জনে দেয় পাহারা, নয় প্রহরই নিশি-দিনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩০২)

বৃন্দাবনের সংজ্ঞা (Definition of Spermary)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে বর্ণিত; যমুনা তীরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানকে বৃন্দাবন বলে।

বৃন্দাবনের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of spermary)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নরদেহকে রূপকার্থে বৃন্দাবন বলে।

বৃন্দাবনের প্রকারভেদ (Variations of spermary)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে বৃন্দাবন দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান বৃন্দাবন ও ২. উপমিত বৃন্দাবন।

. উপমান বৃন্দাবন (Analogical spermary)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; যমুনা তীরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানকে উপমান বৃন্দাবন বলে।

. উপমিত বৃন্দাবন (Compared spermary)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নরদেহকে উপমিত বৃন্দাবন বলে।

বৃন্দাবন কী ও কোথায় অবস্থিত? (What and where is spermary?)
সাধারণত; রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমের লীলাক্ষেত্র রূপে পরিচিত যমুনা তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ একটি তীর্থস্থানকে বৃন্দাবন বলা হয়। তবে; শ্বরবিজ্ঞানে; বৃন্দাবন বলতে দেহকেই বুঝায়। এবার প্রশ্ন হতে পারে দেহ তো দুই প্রকার। যথা; ১. নরদেহ ও ২. নারীদেহ। বৃন্দাবন বলতে নির্দিষ্টভাবে কোন দেহকে বুঝায়? এমন প্রশ্নের উত্তর হলো সাধারণত; বৃন্দবন বলতে দেহকেই বুঝায়। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বৃন্দবন বলতে কেবল নরদেহকে বুঝায়। যেহেতু; বাংলা {বৃন্দ (মানুষ)+ বন} শব্দ যোগে বৃন্দাবন পরিভাষাটির উদ্ভব।

বৃন্দ (বাপৌছ)বি গণ, কয়েকজন, কতকগুলো বিণ শতকোটি সংখ্যা বা সংখ্যক।
বৃন্দা (বাপৌছ)বি তুলসীগাছ (প্র) বাঙালী পুরাণ মহাভারতে বর্ণিত; রাধিকার সখী বা দূতী, রাধিকার নামান্তর।
বৃন্দাবন (বাপৌছ)বি বৃন্দ (মানুষ) আশ্রিত যে বন, যেমন; (শ্রোতাবৃন্দ) (প্র) রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমের লীলাক্ষেত্র, যমুনা তীরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান বিশেষ।

বাংলা বৃন্দা অর্থ তুলসীগাছ। তাই; এমন ভাবা কখনই উচিত হবে না যে; বৃন্দাবন পরিভাষাটি বাংলা (বৃন্দা+বন) শব্দমূল হতে উদ্ভব হয়েছে। এ পরিভাষাটি বাংলা (বৃন্দ+বন) শব্দমূল হতে উদ্ভব হয়েছে। এবার পরিভাষাটির অর্থ হবে অনেক মানুষের বন। অনেক মানুষ শুক্রাণু রূপে কেবল পুরুষদেহের মধ্যেই বিদ্যমান। নারীদেহেও মানুষ আছে। যেমন; সাধু-মহৎরা বলে থাকেন যে; নারীদেহের মধ্যে নয়জন পুরুষ আছে, যদি কেউ একজন পুরুষেরও দর্শন পান তবে তিনি মহাপুরুষ হন। এমন কথার ব্যাখ্যা হলো নারীদেহে আছেই পুরুষ দু’জন। আর তাঁরা হলেন স্বয়ং ‘সাঁই’ ও ‘কাঁই’। সাঁই হলেন পালনকর্তা এবং কাঁই হলেন সৃষ্টিকর্তা। যে কোনো একজনের দর্শন পেলেই সে সাধক মহাসাধকে পরিণত হন। নয়জন পুরুষ এমন কথা নিশ্চয় সাহিত্যিক পাণ্ডিত্য বৈ নয়।

এবার প্রশ্ন হতে পারে শ্বরবিজ্ঞানে; ‘সাঁই’ ও ‘কাঁই’ উভয়কেই মানুষ বলা হয়। তাহলে এই দু’জন স্বর্গীয় মহাপুরুষের আবাস্থল নারীদেহকে কেন বৃন্দাবন বলা যাবে না। অন্যদিকে; পুরুষদেহে তো কেবল শুক্রাণুরূপ মানুষ থাকে! এমন প্রশ্নের উত্তর হলো শ্বরবিজ্ঞানে; নরদেহকে অর্ধাঙ্গ এবং নারীদেহকে অর্ধাঙ্গী বলা হয়। আর এই অর্ধ অঙ্গ ও অর্ধ অঙ্গ মিলেই এক অঙ্গ হয়। তাই; শ্বরবিজ্ঞানে; নরদেহ ও নারীদেহকে ভিন্নভাবে দেখার ও ভাববার কোনো অবকাশ নেই। শ্বরবিজ্ঞানে; নর ও নারী ভিন্ন কোনো জাতি নয়। বরং নর-নারী মিলেই এক মানুষ হয়। এ সূত্র মতে; বিবাহের পূর্বে বা দাম্পত্যে আবদ্ধের পূর্বে কিশোর-কিশোরীরা সবাই অর্ধ মানুষ রূপেই অবস্থান করে। অতঃপর; দাম্পত্যে আবদ্ধ হলেই তারা পূর্ণ মানুষে পরিণত হয়।

এবার আমরা এমন বলতে পারি যে বৃন্দ পরিভাষাটির দ্বারা সর্বদা অনেক মানুষ বুঝায়। যেমন; অতিথিবৃন্দ, সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, শ্রোতাবৃন্দ—। নারীদেহে মাত্র দু’জন মানুষের সন্ধান পাওয়া গেল। দু’জন মানুষকে গণ, বৃন্দ, রা, দিগ– বলা কখনই সমীচীন নয়। কমপক্ষে দুয়ের অধিক হলেই কেবল গণ ও বৃন্দ এমন সম্বোধন করা যায়। অন্যদিকে; প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদেহে শুক্রাণুরূপ অনেক মানুষের বাস। আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে বৃন্দাবন বলতে মানব দেহকেই বুঝায়। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন দেহে ভেদে বৃন্দাবন বলতে কেবল পুরুষ দেহকেই বুঝায়। এছাড়াও; শ্বরবিজ্ঞানে; সাধারণত; নারীদেহকে নিধুবন এবং পুরুষদেহকে বৃন্দাবনই বলা হয়। বৃন্দাবন কেবল যে নরদেহ তা আরও স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় মরমী কবি শ্রীচরণ দাসের নিচের দ্বিপদী কাব্যটির দ্বারা।

বৃন্দাবন তত্ত্ব
(Spermary theories) (স্পার্মারি থিওরিজ)/‘نظريات خصية’ (নাজারিয়া খিসিয়া)

চুরাশি ক্রোশেতে ব্যপ্ত শ্রীব্রজমণ্ডল
তাতে বৃন্দাবন ধাম অতি রম্যস্থল।

সে পদ্ম মধ্যভাগে প্রাতঃসূর্য সম
প্রভাবশালী কৃষ্ণ-চন্দ্র থাকে অধিষ্ঠান।

বৃন্দাবন ভিন্ন অন্য একাদশ বনে
কৃষ্ণ করেন লীলা ভক্তবৃন্দ সনে।

বৃন্দাবনের মধ্যে দুই ক্ষুদ্রবন রয়
নিধুবন কুঞ্জবন বলে আছে পরিচয়।

বৃন্দাবন হতে তিনক্রোশ দক্ষিণেতে
শ্রীমথুরা ধাম তথা আছে ধরণিতে।

পশ্চিমেতে নয় ক্রোশে রয় রাধাকুণ্ড
রাধাকুণ্ড অগ্নি কোণে আছে শ্যামকুণ্ড।

পশ্চিমেতে চৌদ্দক্রোশ নন্দীশ্বর গ্রাম
শ্রীকৃষ্ণের পিতা নন্দ মহারাজ ধাম।

নন্দীশ্বর অর্ধক্রোশ যাবট গ্রামেতে
শ্রীমতীর শ্বশুরালয় স্বর্ণ মন্দিরেতে।

নন্দীশ্বর দক্ষিণেতে দুইক্রোশ দূর
শ্রীরাধার পিতৃগৃহ বৃষভানুপুর।

তার তিন ক্রোশ পূর্বে রাধাকুণ্ড আছে
নয় ক্রোশ বৃন্দাবন পূর্বে চলে গেছে।

রাধাকুণ্ড তীরে রম্য বন উপবন
পূর্বতটে রাসস্থলী বিলাস ভবন।

কৃষ্ণের পাদপদ্ম হৃদে করি আশ
বৃন্দাবন তত্ত্ব কয় শ্রীচরণ দাস।”

বৃন্দাবনের পরিচয় (Identity of spermary)
এটি বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী এর নরদেহ পরিবারের একটি বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; যমুনা তীরবর্তী হিন্দুদের গুরুত্বপূর্ণ এক তীর্থস্থানকে বৃন্দাবন বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; পুরুষ দেহকে বৃন্দাবন বলা হয়। বৃন্দ আশ্রিত বনকেই বৃন্দাবন বলা হয়। উল্লেখ্য যে; বৃন্দ অর্থ লোক, জন, মানুষ, ব্যক্তি। পুরুষদেহের মধ্যে অনেক বৃন্দ (মানুষ) অবস্থান করে। তাই শ্বরবিজ্ঞানে; পুরুষদেহকে বৃন্দাবন বলা হয়। সন্তান পুরুষদেহের মধ্যে নাকি নারীদেহের মধ্যে থাকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে অবশ্যই পুরুষদেহের মধ্যে বলতে হবে। কারণ হলো সন্তান উৎপাদনের প্রকৃত শুক্রাণু কেবল পুরুষদেহের মধ্যে থাকে। অর্থাৎ; পুরুষদেহ রূপ বনে অনেক বৃন্দ বাস করে এমন চিন্তাভাবনা হতেই পুরুষদেহকে বন্দাবন বলার সুত্রপাত হয়েছে।

পরিশেষে বাংলা শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত ‘বৃন্দাবন’ নামক এই পরিভাষাটির অনুবাদ নিয়ে দুয়েকটি কথা বলা একান্ত প্রয়োজন। ইংরেজি অনুবাদকগণ এ পরিভাষাটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন (Vrindavan) (ভ্রিন্দাভান)। অন্যদিকে; আরবি অনুবাদকগণ অনুবাদ করেছেন; ‘فريندافان’ (ফিরিন্দাফান)। যুগ যুগ ধরে এভাবে বাংলা ‘বৃন্দাবন’ নামক ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’টির অনুবাদ ভ্রিন্দাবান, ফিরিন্দাফান রূপে করতে থাকলে কেউ এর প্রকৃত দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবেন কী? কথা হলো শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত পরিভাষার সঠিকভাবে সন্ধি-বিচ্ছেদ ও ব্যাসবাক্য করা না হলে; কখনই তার মূল বের করা যায় না। আর শব্দ বা পরিভাষার মূল অভিধা বা প্রকৃত অভিধা বের করা না হলে; তার দ্বারা নির্মিত লৌকিকাগুলোর মূলশিক্ষা বা ইঙ্গিত উদ্ঘাটন করা যায় না।  পরিশেষে বলা যায় যে; সারাবিশ্বের অধিকাংশ মরমী ও আত্মজ্ঞানী মনীষীর মতে; বৃন্দাবন হলো নরদেহের ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’। সেজন্য; এর দ্বারা উপমিত পদ রূপে সর্বদা ‘নরদেহ’ অভিধাই গ্রহণ করতে হবে। এর দ্বারা কখনই অন্য কোনো অভিধা বা অন্য কোনো ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ গ্রহণ করা যাবে না।

তথ্যসূত্র (References)

(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)

১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula)
"আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"

রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)

২ যোজক সূত্র (Adder formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"

৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula)
"শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"

< উৎস
[] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
() ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত
> থেকে
√ ধাতু
=> দ্রষ্টব্য
 পদান্তর
:-) লিঙ্গান্তর
 অতএব
× গুণ
+ যোগ
- বিয়োগ
÷ ভাগ

Here, at PrepBootstrap, we offer a great, 70% rate for each seller, regardless of any restrictions, such as volume, date of entry, etc.
There are a number of reasons why you should join us:
  • A great 70% flat rate for your items.
  • Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
  • We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.

পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী

উপস্থ (শিশ্ন-যোনি) কানাই,(যোনি) কামরস (যৌনরস) বলাই (শিশ্ন) বৈতরণী (যোনিপথ) ভগ (যোনিমুখ) কাম (সঙ্গম) অজ্ঞতা অন্যায় অশান্তি অবিশ্বাসী
অর্ধদ্বার আগধড় উপহার আশ্রম ভৃগু (জরায়ুমুখ) স্ফীতাঙ্গ (স্তন) চন্দ্রচেতনা (যৌনোত্তেজনা) আশীর্বাদ আয়ু ইঙ্গিত ডান
চক্ষু জরায়ু জীবনীশক্তি দেহযন্ত্র উপাসক কিশোরী অতীতকাহিনী জন্ম জ্ঞান তীর্থযাত্রা দেহাংশ
দেহ নর নরদেহ নারী দুগ্ধ কৈশোরকাল উপমা ন্যায় পবিত্রতা পাঁচশতশ্বাস পুরুষ
নাসিকা পঞ্চবায়ু পঞ্চরস পরকিনী নারীদেহ গর্ভকাল গবেষণা প্রকৃতপথ প্রয়াণ বন্ধু বর্তমানজন্ম
পালনকর্তা প্রসাদ প্রেমিক বসন পাছধড় প্রথমপ্রহর চিন্তা বাম বিনয় বিশ্বাসী ব্যর্থতা
বিদ্যুৎ বৃদ্ধা মানুষ মুষ্ক বার্ধক্য মুমুর্ষুতা পুরুষত্ব ভালোবাসা মন মোটাশিরা যৌবন
রজ রজপট্টি রজস্বলা শুক্র মূত্র যৌবনকাল মনোযোগ রজকাল শত্রু শান্তি শুক্রপাত
শুক্রপাতকারী শ্বাস সন্তান সৃষ্টিকর্তা শুক্রধর শেষপ্রহর মূলনীতি সন্তানপালন সপ্তকর্ম স্বভাব হাজারশ্বাস
ADVERTISEMENT
error: Content is protected !!