৬৮/৫. ব্রজঘাট
Ferry (ফেরি)/ ‘ارف’ (আররাফা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভগ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনিমুখ’। এর রূপান্তরিত মূলক ‘ভগ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘ঘাট’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘গোধূম ও ধনুক’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘কুব্জা ও গাণ্ডিব’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘নৌকা’। এ পরিভাষাটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’, ‘কানাই’ ও ‘ভগ’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র রূপক ও ব্যাপক পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; এর সঠিক আত্মতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা প্রত্যেক পাঠক-পাঠিকার একান্ত প্রয়োজন।

অভিধা (Appellation)
ঘাট^১ (বাপৌউ)বি খেয়া, খেয়াঘাট, পারঘাট, ঘাটি, পথ, বর্ত্ম, মার্গ, গমনপথ, জলাশয়ে নামবার স্থান, নৌকা ও জাহাজ ভিড়ার স্থান, প্রবেশ পথ, বাদ্যযন্ত্রের সুরের পর্দা, ferry, ‘ارف’ (আররাফা), reed (শ্ববি) ভগ, যোনিমুখ, vulva, বোদা (আ.ﺑﺿﻌﻪ) (রূপ্রশ) ধনুক, নৌকা, পথ (ফাপ) গন্দম (ফা.ﮔﻨﺪﻢ), দরজা (ফা.ﺪﺭﻮﺍﺯﻩ) (ইপ) মিম্বর (আ.ﻤﻧﺒﺮ), সুরাখ (ফা.ﺴﻭﺭﺍﺥ) (ইদে) নুহ (আ.ﻨﻭﺡ), সুলায়মান (আ.ﺴﻟﻴﻤﺎﻦ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভগ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১ জলাশয়ে অবতরণ বা জলযানগুলো ভিড়াবার স্থানকে ঘাট বলা হয় ২ স্ত্রী জননপথের বহির্দ্বারকে ভগ বা রূপকার্থে ঘাট বলা হয় (বাপৌছ) নৌকা ও ব্রজঘাট (বাপৌচা) কুব্জা ও গাণ্ডিব (বাপৌউ) গোধূম ও ধনুক (বাপৌরূ) ঘাট (বাপৌমূ) ভগ।

ঘাট^২ (বাপৌছ)বি অপরাধ, অন্যায়, দোষ, ত্রুটি, ন্যূনতা, স্বল্পতা।

ব্রজঘাট (বাপৌছ)বি গোষ্ঠ, ferry, ‘ارف’ (আররাফা) (শ্ববি) ঘাট, খেয়া, খেয়াঘাট, পারঘাট, পথ, বর্ত্ম, মার্গ, গমনপথ, প্রবেশ পথ (প্র) শ্বরবিজ্ঞানে বর্ণিত কল্পিত স্বর্গীয় নদীতে অবতরণের ঘাট বিশেষ (প্রাঅ) ভগ, যোনিমুখ, vulva, বোদা (আ.ﺑﺿﻌﻪ) (রূপ্রশ) ধনুক, নৌকা (ফাপ)  গন্দম (ফা.ﮔﻨﺪﻢ), দরজা (ফা.ﺪﺭﻮﺍﺯﻩ) (ইপ) মিম্বর (আ.ﻤﻧﺒﺮ), সুরাখ (ফা.ﺴﻭﺭﺍﺥ) (ইদে) নুহ (আ.ﻨﻭﺡ), সুলায়মান (আ.ﺴﻟﻴﻤﺎﻦ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভগ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. স্বর্গীয় নদীতে অবতরণের স্থানকে ব্রজঘাট বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; স্ত্রী জননপথের বহির্দ্বারকে ভগ বা রূপকার্থে ব্রজঘাট বলা হয় (বাপৌছ) নৌকা ও ব্রজঘাট (বাপৌচা) কুব্জা ও গাণ্ডিব (বাপৌউ) গোধূম ও ধনুক (বাপৌরূ) ঘাট (বাপৌমূ) ভগ {বাং.ব্রজ+ বাং.ঘাট}

ব্রজঘাটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of ferry)
১.    “কাজ নাই আমার দেখে দশা, ব্রজের যত ভালোবাসা, কেবল সার হলো যাওয়া আসা।” (পবিত্র লালন- ২৭১/১)।
২.   “কানাই একবার এ ব্রজের দশা দেখে যারে, তোর মা যশোদা, কিরূপ হালে আছেরে।” (পবিত্র লালন- ২৭২/১)।
৩.   “কানাই কার ভাবে তোর, এ ভাব দেখিরে, ব্রজের সে ভাব তো দেখি না রে।” (পবিত্র লালন- ২৭৩/১)।
৪.   “গোপীর অনুগত যারা, ব্রজের সে প্রেম জানে তারা, তাদের কামের ঘরে হুড়কা মারা, মরাই মরে ধরায় ধরে।” (পবিত্র লালন- ৮৬৫/৩)।
৫.   “পরণে ছিল পীতধড়া, মাথায় ছিল মহোন-চূড়া, করে বাঁশীরে, দেখি তোমার- করোয়া কোপনি সার, ব্রজের কোথায় রাখলিরে।” (পবিত্র লালন- ২৭৩/২)।
৬.   “বাড়াবাড়ি হলে কর্মে, ব্রজঘাটে ধরে যমে, লালন কয় পাষাণগণে, শুনে বৃন্দের ভর্ত্সনা।” (পবিত্র লালন- ৩০৬/৪)।
৭.   “ব্রজের সে প্রেমের মর্ম, সবাই কী জানে, শ্যামাঙ্গ গৌরাঙ্গ হলো যে প্রেম সাধনে।” (পবিত্র লালন- ৭০৫/১)।

ব্রজঘাটের সংজ্ঞা (Definition of ferry)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; স্বর্গীয় নদীতে অবতরণের স্থানকে ব্রজঘাট বলে।

ব্রজঘাটের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of ferry)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; স্ত্রী জননপথের বহির্দ্বারকে ভগ বা রূপকার্থে ব্রজঘাট বলে।

ব্রজঘাটের প্রকারভেদ (Variations of ferry )
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ব্রজঘাট দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ব্রজঘাট ও ২. উপমিত ব্রজঘাট।

১. উপমান ব্রজঘাট (Analogical ferry)
সাধারণত; স্বর্গীয় নদীতে অবতরণের স্থানকে উপমান ব্রজঘাট বলে।

২. উপমিত ব্রজঘাট (Compared ferry)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; স্ত্রী জননপথের বহির্দ্বারকে উপমিত ব্রজঘাট বলা হয়।

ব্রজঘাটের পরিচয় (Identity of ferry)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভগ’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। ভারতীয় শ্বরবিজ্ঞানে প্রপক রূপে স্বর্গীয় নদীতে অবতণের ঘাটকে ব্রজঘাট বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে কেবল স্ত্রী জননাঙ্গকে ব্রজঘাট বলা হয়। অতি প্রাচীনকাল হতে এ পরিভাষাটি বাংলাভাষার অসংখ্য শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিভাষা। এ পরিভাষাটির ‘বাঙালী পৌরাণিক প্রকৃত মূলক সত্তা’ না জানা ও না বুঝার কারণেই ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকরা একেকজন একেক প্রকার ব্যাখ্যা প্রদান করে থাকেন। এসব কারণেই শ্বরবিজ্ঞানের ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকদের কারো ব্যাখ্যা কারো সাথেই মিলে না। বর্তমানে বলন কাঁইজির প্রণীত পরিভাষার আধ্যাত্মিক অভিধান প্রকাশিত হয়েছে। যারফলে; এসব পরিভাষার সঠিক অভিধা উদ্ঘাটন করা অত্যন্ত সহজ ও সুলভ হয়েছে। এখন ব্রজ, ব্রজঘাট ও ব্রজধামের অভিধা কিংবা ব্যাখ্যা অনায়াসেই বের করা সম্ভব। পরিশেষে বলা যায় বিশ্বের সর্ব ভাষার শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত ‘ব্রজঘাট’ রূপ ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’টির রূপান্তরিতমূলক ‘ভগ’ এবং ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনিমুখ’।