১৩/০. যোনি-শিশ্ন (ভগবান)
Fanny (ফেনি)/ ‘مروحي’ (মিরওয়াহি)
Penis (পিনাস)/ ‘قضيب’ (ক্বাদিব)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘উপস্থ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘কণ্ডনী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘ঘানী ও তপলোক’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘জনিত্র ও মধুমালা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘দ্বাপর ও ভগবান’। এটি একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম প্রধান মূলক সত্তা’।

অভিধা (Appellation)
যোনি-শিশ্ন (বাপৌমূ)বি উপস্থ, জনিত্র, জননেন্দ্রিয়, fany, ‘مروحي’ (মিরওয়াহি), fanny, ‘قضيب’ (ক্বাদিব) (রূপ্রশ) কণ্ডনী, ঘানি, সেগো, ভগবান, কানাই-বলাই, জগাই-মাধাই, মধু-কৈটভ, শুম্ভ-নিশুম্ভ, সুন্দ-উপসুন্দ (ফাপ) মাহগির (ফা.ﻤﻫﻰﮔﻴﺭ) (ইংপ) reproducer (ইপৌচা) হারুত মারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ ﻤﺎﺭﻮﺓ), হাবিল ক্বাবিল (আ.ﻗﺎﺑﻞ ﺤﺑﻝ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ মূলক সত্তার প্রকৃত মূলক ও একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক অশ্লীল মূলক পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) সাধারণত; যোনি ও শিশ্ন একত্রে রূপকার্থে যোনি–শিশ্ন বলা হয় (বাপৌছ) দ্বাপর ও ভগবান (বাপৌচা) জনিত্র ও মধুমালা (বাপৌউ) ঘানী ও তপোবন (বাপৌরূ) কণ্ডনী (বাপৌমূ) উপস্থ {বাং. যোনি + বাং. শিশ্ন}

যোনি-শিশ্নের পরিচয় (Identity of vagina-penis)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ বিশেষ। দ্বিপস্থ জীবের যোনি ও শিশ্নকে একত্রে যোনি/ শিশ্ন বলা হয়। এটি; অত্যন্ত লজ্জাষ্কর একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’। তাই; শ্বরবিজ্ঞানের একে সর্বদা ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ দ্বারা রূপান্তর করে ব্যবহার করা হয়। এর রূপান্তরিত পরিভাষাগুলো হলো; ভগবান, কানাই-বলাই, শুম্ভ-নিশুম্ভ, রজকিনী-চণ্ডীদাস, শিমন-পিতর, কাবিল-হাবিল ও হারুৎ-মারুৎ প্রভৃতি। উল্লেখ্য; যোনি ও শিশ্নের ভিন্ন ভিন্ন শিরোনাম রয়েছে। তাই; এখানে; আলোচনা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হলো। যথাযথ শিরোনামে এদের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে; কেবল এতটুকু বলা যায় যে; যোনি কানা, ছিদ্র ও ফুটা। তাই; যোনিকে কানাই বলা হয়। কানা পরিভাষার সঙ্গে আই প্রত্যয় যুক্ত করে কানাই করা হয়েছে। যেমন; ঢাকা + আই = ঢাকাই হতে ঢাকায়। অন্যদিকে; বলা অর্থ বৃদ্ধি হওয়া। তাই; বলা ধাতুর সঙ্গে আই প্রত্যয় যুক্ত করে বলাই করা হয়েছে। শিশ্ন বা পুরুষাঙ্গ কামোদ্দীপনার সময়ে ক্রমে ক্রমে বলে (বৃদ্ধি হয়)। তাই; একে বলাই বলা হয়। অর্থাৎ; বাঙালী পুরাণ ও শ্বরবিজ্ঞানে যোনিকে কানাই ও শিশ্নকে বলাই বলা হয়। পূর্বকালের রূপকারগণ এভাবেই শ্বরবিজ্ঞান ও পুরাণকে লজ্জাস্করতা মুক্ত করেছিলেন।

যোনি
Fanny (ফেনি)/ ‘مروحي’ (মিরওয়াহি)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কানাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘রজকিনী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও প্রস্তর’। এর চারিত্রিকি পরিভাষা ‘অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৩, ও রাক্ষস’। এটি একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান প্রধান মূলক সত্তা’।

অভিধা (Appellation)
যোনি (বাপৌছ)বি স্ত্রীচিহ্ন, যোনিনালী, জননেন্দ্রিয়, উৎপত্তিস্থান, কোষ, ভগ, fanny, ‘مروحي’ (মিরওয়াহি), vagina, source, ‘الفرج’ (আলফারজ), ‘المهبل’ (আলমিহবাল), ‘كس’ (কিস) (অশ্লীল) গুদ, গুহ্য, গুয়া, ভগ, মাঙ্গ, মার্গ, sex (আঞ্চ) সেঁটা, গাঁড় (রূপ্রশ) অযোধ্যা, কবন্ধ, করঙ্গ, গোকুল, চুলা, নাগিনী, পাথর, ব্রজ, রংপুর, রজকিনী, স্রাবস্তী (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) সাধারণত; স্ত্রী জননতন্ত্রকে বাংলায় ‘যোনি’ বলা হয় (বাপৌছ) কলাপী, কালনাগিনী, দস্যু, দানব, ব্রজপুর, মরা^৪ ও রাক্ষস (বাপৌচা) অনন্ত, কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই ও হিবাচী (বাপৌউ) অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি^২ ও  প্রস্তর (বাপৌরূ) রজকিনী (বাপৌমূ) কানাই।

যোনির সংজ্ঞা (Definition of fanny)
সাধারণত; যোনিকেই যোনি বলে।

যোনির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of fanny)
১.   “গহীন পাতালে লীলাপুরী, ত্রিকারায় শত প্রহরী, মণিপুর যোনিপুর ঘুরি, যেতে নাহি দেয় মদনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৪)।
২.   “বলন কাঁইজি কয় শূন্যপুর, তারপর; মণিপুর যোনিপুর, মতিঝিলে হলে চতুর, দেখবি আপন রূপখানা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৭)।
৩.   “যে রাসুল সে দিন দয়াময়, সাধু দরবেশ জানতে পায়, তিনি আহম্মদ মুহাম্মদ হয়, তার জন্ম নয় যোনিতে।” (পবিত্র লালন- ৯৯৫/৩)।

যোনির প্রকারভেদ (Variations of fanny)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, যোনিগতভাবে প্রাণী দুই প্রকার। যথা; ১. নগ্নযোনি ও ২. আবৃতযোনি।

১. নগ্নযোনি  (Naked vaginal/ ‘عراة المهبل’ (আরাতুল মিহবাল))
যে প্রাণীর যোনি দেহের বাইরে সংযুক্ত তাকে নগ্নযোনি বলে। যেমন; কুকুর।

২. আবৃতযোনি (Covered vaginal/ ‘مغطاة المهبل’ (মুগাত্বয়াতুল মিহবাল))
যে প্রাণীর যোনি দেহের ভিতরে সংযুক্ত তাকে আবৃতযোনি বলে। যেমন; হাস।

যোনির পরিচয় (Identity of fanny)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ বিশেষ। দ্বিপস্থ জীবের জননাঙ্গকে যোনি বলা হয়। এটি; দ্বিপস্থ জীবের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। একদিকে যেমন; ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’টি গুরুত্বপূর্ণ; অন্যদিকে; তেমনই লজ্জাস্কর। তাই; লজ্জাস্করতা পরিহার করার জন্য; কানাই, —– ও ব্রজ ইত্যাদি পরিভাষা দ্বারা পরিবর্তন করে একে পুরাণে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু; সারা বিশ্বের সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী, বক্তা, বৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা প্রায়সই এর অভিধা ভুল করে। অত্যন্ত লজ্জা বা ব্রীড়ার জন্য এ শিরোনামে অধিক আলোচনা প্রয়োজন নেই। অত্র গ্রন্থের ‘কানাই’ পরিভাষার অনুকূলে অবশিষ্ট আলোচনা করা হয়েছে।

শিশ্ন
Penis (পিনাস)/ ‘قضيب’ (ক্বাদিব)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘বলাই’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘বৈঠা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘আঁচল, খুঁটি, গাছ^২, চরণ, দৈত্য^১, লাঠি ও হাত’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অনস্থী, আঙ্গুল, কর্ণ, জগাই, জনক, বিম্বল ও শুক্রাচার্য’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কামগুরু, কিরীটী, বণিক, বাবা, বামন, মরা^৫ ও শ্রীচরণ’। এটি একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান প্রধান মূলক সত্তা’।

অভিধা (Appellation)
শিশ্ন (বাপৌছ)বি লিঙ্গ, পুংলিঙ্গ, পুংজননেন্দ্রিয়, penis, penile, dick, dickhead, heru, ‘আ.ﺬﻜﺭ’ (জকর), ‘دونغ’ (দুনাগ), ‘دونج’ (দুনাজ), ‘ديك’ (দিক), ‘قضيب’ (ক্বাদিব) (আপ্রশ) চ্যাঁট, নুনু, বণ্ড, বাঁড়া, মেঢ়্র, হুল, হোল (আঞ্চ) সোনা, পোতা, ধন (রূপ্রশ) অনস্থী, মদন, মহাদেব, রাবণ (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বলাই’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) সাধারণত; পুরুষ জননতন্ত্রকে বাংলায় ‘শিশ্ন’ বলা হয় (বাপৌছ) কামগুরু, কিরীটী, বণিক, বাবা, বামন, মরা^৫ ও শ্রীচরণ (বাপৌচা) অনস্থী, আঙ্গুল, কর্ণ, জগাই, জনক, বিম্বল ও শুক্রাচার্য (বাপৌউ) আঁচল, খুঁটি, গাছ^২, চরণ, দৈত্য^১, লাঠি ও হাত (বাপৌরূ) বৈঠা (বাপৌমূ) বলাই।

শিশ্নের ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of penis)
“স্বর্গ হতে আত্মা ইন্দ্রিয় নামে ধরাধামে, সে মহান পারমী সমান হাজার মাস গণে, অধঃপতন হইলে শিশ্নি– থাকে না রে কালশশী, আবার স্বর্গে যায়রে মিশি রহে না তার নিশানি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬৪)।

শিশ্নের সংজ্ঞা (Definition of penis)
সাধারণত; পুরুষজাতির কাম ইন্দ্রিয়কে শিশ্ন বলে।

শিশ্নের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of penis)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুরুষজাতির শুক্রবহণকারী কাম ইন্দ্রিয়কে শিশ্ন বলে।

শিশ্নের প্রকারভেদ (Variations of penis)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, শিশ্নের অবস্থাভেদে প্রাণী দুই প্রকার। যথা; ১. নগ্ন শিশ্নী ও ২. আবৃত শিশ্নী।

১. নগ্ন শিশ্নী (Naked penial)
যে প্রাণীর শিশ্ন দেহের চামড়ার বাইরে সংযুক্ত তাকে নগ্ন শিশ্নী বা naked penial বলে। যেমন; মানুষ।

২. আবৃত শিশ্নী (Covered penial)
যে প্রাণীর শিশ্ন দেহের চামড়ার ভিতরে সংযুক্ত তাকে আবৃত শিশ্ন বা covered penial বলে। যেমন; কুকুর, বিড়াল ইত্যাদি।

বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, কার্যকারিতার ক্ষেত্রে শিশ্ন দুই প্রকার। যথা; ১. কার্যকর শিশ্ন ও ২. অকার্যকর শিশ্ন।

১. কার্যকর শিশ্ন (Active penis)
যে শিশ্নের সাহায্যে প্রজনন, কামতৃপ্তি লাভ ও সাধন করা যায় তাকে কার্যকর শিশ্ন active penis বলে।

২. অকার্যকর শিশ্ন (Inactive penis)
যে শিশ্নের দ্বারা প্রজনন, কামতৃপ্তি লাভ ও সাধন যায় না তাকে অকার্যকর শিশ্ন. inactive penis বলে। যেমন; শিশু ও নপুংসকদের শিশ্ন।

শিশ্নের উপকার (Benefits of penis)
১.    শিশ্নের সাহায্যে মূত্রত্যাগ করা যায়।
২.   এর সাহায্যে কামতৃপ্তি অনুভব করা যায়।
৩.   এর সাহায্যে বংশগতির ধারা রক্ষা করা যায়।
৪.   এর সাহায্যে জীবের পালনকর্তা ও সৃষ্টিকর্তার দর্শনলাভ করা যায়।

শিশ্নের পরিচয় (Identity of penis)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ বিশেষ। দ্বিপস্থ জীবের পুংজননতন্ত্রকে শিশ্ন বলা হয়। আলোচ্য ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’টি কামশাস্ত্র বা চিকিৎস্যা শাস্ত্রের আলোচিত বিষয় বটে। এর স্থুল-জ্ঞান বা চিকিৎসা জ্ঞান অর্জনের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞান বা কামশাস্ত্র পাঠ করা যেতে পারে। তবে; এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’। কিন্তু অত্যন্ত লজ্জাস্কর। তাই; পুরাণে এটি তেমন বর্ণনা করা হয় না। লজ্জার জন্য এর অধিক বর্ণনা করার প্রয়োজন নেই। আলোচ্য ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র বাঙালী পৌরাণিক রূপক, উপমান, চারিত্রিক ও ছদ্মনাম পরিভাষার আলোচনা যথাস্থানে করা হয়েছে
।

১৩/০১. কণ্ডনী
Pestle (প্যাসেল)/ ‘مدقة’ (মিদক্বা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের অধীন গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনি-শিশ্ন’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘উপস্থ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘ঘানী ও তপলোক’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘জনিত্র ও মধুমালা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘দ্বাপর ও ভগবান’।

অভিধা (Appellation)
কণ্ডনী (বাপৌরূ)বি উখলি, উদূখল, গড়, চাল কাঁড়ার কাষ্ঠপাত্র ও দণ্ড, উদুখল ও মুষল, pestle, ‘مدقة’ (মিদক্বা) (শ্ববি) উপস্থ, জনিত্র, জননেন্দ্রিয়, the reproductive organ (রূপ্রশ) কণ্ডনী, ঘানি, সেগো, ভগবান, কানাই-বলাই, জগাই-মাধাই, মধু-কৈটভ, শুম্ভ-নিশুম্ভ, সুন্দ-উপসুন্দ (ফাপ) মাহগির (ফা.ﻤﻫﻰﮔﻴﺭ) (ইংপ) reproducer (ইপৌচা) হারুত মারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ ﻤﺎﺭﻮﺓ), হাবিল ক্বাবিল (আ.ﻗﺎﺑﻞ ﺤﺑﻝ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; শস্যাদি মাড়াই করার যন্ত্রকে বাংলায় ‘কণ্ডনী’ বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, শিশ্ন ও যোনিকে একত্রে রূপকার্থে ‘কণ্ডনী’ বলা হয় (বাপৌছ) দ্বাপর ও ভগবান (বাপৌচা) জনিত্র ও মধুমালা (বাপৌউ) ঘানী ও তপোবন (বাপৌরূ) কণ্ডনী (বাপৌমূ) উপস্থ।

‘مدقة’ [মিদক্বা] (আপৌছ)বি মুষল, দিস্তা, নুড়ি, কণ্ডনী, pestle, ‘ﻛﺪﺲ’ (কুদসা)  (প্র) শস্যাদি মাড়াই করার যন্ত্র {আ}

কণ্ডনীর সংজ্ঞা (Definition of pestle)
সাধারণত; শস্যাদি মাড়াই করার যন্ত্রকে কণ্ডনী বলে।

কণ্ডনীর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of pestle)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শিশ্ন ও যোনিকে একত্রে উপস্থ বা কণ্ডনী বলে।

কণ্ডনীর প্রকারভেদ (Variations of pestle)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কণ্ডনী দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান কণ্ডনী ও ২. উপমিত কণ্ডনী।

১. উপমান কণ্ডনী (Analogical pestle)
সাধারণত; শস্যাদি মাড়াই করার যন্ত্রকে উপমান কণ্ডনী বলে।

২. উপমিত কণ্ডনী (Compared pestle)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শিশ্ন ও যোনিকে একত্রে উপমিত কণ্ডনী বলে।

কণ্ডনীর পরিচয় (Identity of pestle)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; শস্যাদি মাড়াই করার যন্ত্রকে কণ্ডনী বলা হয়। অথবা তেলজাতীয় শস্যাদি মাড়াই করে তেল আহরণ করার যন্ত্রকে ঘানী বা কণ্ডনী বলা হয়। যতদূর জানা যায়; মধ্যযুগ বা আধুনিক যুগের প্রথম দিকে কলু সম্প্রদায় গোরু, মহিষ, ঘোড়া কিংবা মানুষ দ্বারা জাট ঘুরিয়ে ঘানী বা কণ্ডনীর সাহায্যে তেল আহরণ করতো। বর্তমানকালে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাদি আবিষ্কারের পর ক্রমে ক্রমে সেই আদিম প্রযুক্তিটি বিলুপ্তপ্রায়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে; ঘানী বা কণ্ডনী বলতে উপস্থকে বুঝায়। মৈথুনে উপস্থের সাহায্যে নারী-পুরুষের দেহ হতে কামরস, শুক্র, সুধা ও মধু ইত্যাদি নিঃসৃত হয়। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে উপস্থকে কণ্ডনী বলা হয়। পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে; পুরাণে ব্যবহৃত পরিভাষা ও বৈষয়িক সাহিত্যের ব্যবহৃত পরিভাষার অভিধা এক নয়। কারণ; পুরাণ ও শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত পরিভাষাগুলো সর্বদায় আত্মদর্শন কেন্দ্রিক। অন্যদিকে; বৈষয়িক সাহিত্যে ব্যবহৃত পরিভাষা সর্বদায় সৌরজগৎ কেন্দ্রিক।

১৩/০২. ঘানী
Grinder (গ্রেইন্ডার)/ ‘طاحونة’ (ত্বাহুনা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘যোনি-শিশ্ন’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘উপস্থ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘কণ্ডনী’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘তপলোক’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘জনিত্র ও মধুমালা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘দ্বাপর ও ভগবান’।

অভিধা (Appellation)
ঘানী (বাপৌউ)বি চূর্ণক, রসকল, রস বের করার যন্ত্র, বীজ হতে তৈল বের করার যন্ত্র, grinder, ‘طاحونة’ (ত্বাহুনা) (শ্ববি) উপস্থ, জনিত্র, জননেন্দ্রিয়, the reproductive organ (রূপ্রশ) সেগো, ভগবান, শুম্ভ-নিশুম্ভ, জগাই-মাধাই, কানাই-বলাই (ফাপ) মাহগির (ফা.ﻤﻫﻰﮔﻴﺭ) (ইংপ) reproducer (ইদে) হারুত মারুত (আ.ﻫﺎﺭﻮﺓ ﻤﺎﺭﻮﺓ), হাবিল ক্বাবিল (আ.ﻗﺎﺑﻞ ﺤﺑﻝ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; বীজ হতে তৈল বা রস বের করার যন্ত্রকে ঘানী বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, উপস্থকে উপমার্থে ঘানী বলা হয় (বাপৌছ) দ্বাপর (অশ্বদ্বয়, দুইবন্ধু ও দুইভাই) ও ভগবান (বাপৌচা) জনিত্র ও মধুমালা (বাপৌউ) ঘানী ও তপোবন (বাপৌরূ) কণ্ডনী (বাপৌমূ) উপস্থ।

ঘানীর সংজ্ঞা (Definition of grinder)
সাধারণত; বীজ হতে তৈল বা রস বের করার যন্ত্রকে ঘানী বলে।

ঘানীর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of grinder)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; উপস্থকে ঘানী বলে।

ঘানীর প্রকারভেদ (Variations of grinder)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ঘানী দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ঘানী ও ২. উপমিত ঘানী।

১. উপমান ঘানী (Analogical grinder)
সাধারণত; বীজ হতে তৈল বা রস বের করার যন্ত্রকে উপমান ঘানী বলে।

২. উপমিত ঘানী (Compared grinder)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; উপস্থকে উপমিত ঘানী বলে।

ঘানীর পরিচয় (Identity of grinder)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘উপস্থ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহৃত হওয়ার কারণে; সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; বীজ বা শস্যাদি হতে তেল কিংবা রস বের করার যন্ত্রকেই ঘানী বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে; ঘানী বলতে কেবল উপস্থকে বুঝাই। যেমন; ঘানী বীজ বা শস্যাদি হতে তেল বা রস বের করে; তেমনই; উপস্থও মৈথুনের সময়ে নরদেহ হতে শুক্র ও নারীদেহ হতে স্বেদ ও সুধা বের করে। এজন্য; এর এমন নামকরণ করা হয়েছে।