১৭/০৩. ভ্রমণ
Travel (ট্র্যাভেল)/ ‘ﺴﻔﺭ’ (সাফারা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কাম’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক অশালীন মূলক সত্তা’ ‘সঙ্গম’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপান্তরিত মূলক সত্তা’ ‘কাম’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক সহযোগী মূলক সত্তা’ ‘কামকলা, কামমন্ত্র, বিনোদন ও পুণ্যস্নান’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘উপাসনা’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘পর্যটন ও যজ্ঞ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘আহব, উদ্বন্ধন ও পূজা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘তাপন, পাশাখেলা ও বাইচালি’।

অভিধা (Appellation)
ভ্রমণ (বাপৌউ)বি পর্যটন, বেড়ানো, ঘূর্ণন, travel, ‘ﺴﻔﺭ’ (সাফারা) (আল) বিনোদন ও পর্যটন (প্রাঅ) গমন, মিলন, সঙ্গম, সহবাস, নির্জনবাস, গমনাগমন (শ্ববি) কাম^৩, সঙ্গম, মৈথুন, সম্ভোগ, lust, ‘شهوة’ (শাহওয়া) (রূপ্রশ) অক্ষক্রীড়া, কামকেলি, নিত্যকর্ম, পাশাখেলা, বপ্রক্রীড়া, বপ্রকেলি, বপ্রক্রিয়া, বাইচালি, journey (ইংপ) prayer, rape (ফাপ) ‘ফা.ﺒﻧﺪﮔﻰ’ (বন্দেগি) (ইপ) ‘আ.عبادة’ (ইবাদত), ‘আ.ﺻﻠﻮﺓ’ (সালাত) উমরা (আ.ﻋﻤﺮﺓ), আসর (আ.ﻋﺻﺮ), নফল (আ.ﻨﻔﻝ), সফর (আ.ﺴﻔﺭ), সালাতুল উশতা (আ.الصَّلَاةِ الْوُسْطَى) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কাম’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; সর্বপ্রকার পর্যটনকে ভ্রমণ বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, নর-নারীর যৌনমিলনকে রূপকার্থে ভ্রমণ বলা হয় (বাপৌছ) তাপন, পাশাখেলা ও বাইচালি (বাপৌচা) আহব, উদ্বন্ধন ও পূজা (বাপৌউ) পর্যটন, ভ্রমণ ও যজ্ঞ (বাপৌরূ) উপাসনা (বাপৌমূ) কাম।

ভ্রমণের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of travel)
১.   “আদিকালে মানবগণ, একেক স্থানে করতো ভ্রমণ, ভিন্ন আচার ভিন্ন বিচার, তাইতো; সৃষ্টি হয়।” (পবিত্র লালন- ১০২/১)।
২.   “মুসলমানের মক্কাতে মন, হিন্দুরা করে কাশী ভ্রমণ, দেহের মধ্যে অমূল্য-ধন, কে দূরে যায়।” (পবিত্র লালন- ১০৯/২)।
৩.   “যাতে জগতের গঠন, সে ফুলের হলো না যতন, বারে বারে তাইতো; ভ্রমণ, ভবের হাটে।” (পবিত্র লালন- ৩৪৮/২)।

ভ্রমণের সংজ্ঞা (Definition of travel)
সাধারণত; সর্বপ্রকার পর্যটনকে ভ্রমণ বলে।

ভ্রমণের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of travel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুরুষ ও নারীর যৌনমিলনকে কাম বা রূপকার্থে ভ্রমণ বলে।

ভ্রমণের প্রকারভেদ (Variations of travel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ভ্রমণ দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান ভ্রমণ ও ২. উপমিত ভ্রমণ।

১. উপমান ভ্রমণ (Analogical travel)
সাধারণত; সর্বপ্রকার পর্যটনকে উপমান ভ্রমণ বলে।

২. উপমিত ভ্রমণ (Compared travel)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুরুষ ও নারীর যৌনমিলনকে কাম বা উপমিত ভ্রমণ বলে।

ভ্রমণের পরিচয় (Identity of travel)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কাম’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; যে কোনো পর্যটনকে ভ্রমণ বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে; পুরুষ-নারীর যৌনমিলনকে ভ্রমণ বলা হয়। আত্মজ্ঞানী দার্শনিক মনীষীগণের মতে; সাঁই সাধন ও কাঁই সাধন ব্যতীত সাধারণ গমনকে বিনোদন বা ভ্রমণ বলা হয়। যেমন; পায়চারি করলে বা হাঁটাহাঁটি করলে; শারীরিক ক্লান্তি বা অবসাদ আসে; তেমনই; সঙ্গম করলেও ক্লান্তি বা অবসাদ আসে। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; সঙ্গমকে ভ্রমণ বলা হয়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে; পুরাণে ব্যবহৃত ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’র ‘বাঙালী পৌরাণিক প্রকৃত মূলক সত্তা’ না জানার কারণে; সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী, বক্তা, বৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা ভ্রমণ পরিভাষার দ্বারা কেবল পর্যটনকেই বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে।