৮৮/৮. মরা১
Immune (ইমিউন)/ ‘منيع’ (মানিয়া)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্রধর’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘শুক্রধর’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘অটল’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘ঊর্ধ্বরেতা, ডুবুরী ও স্বাধীন’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘ঋভু, ওজম্বল ও সম্রাট’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘নির্বাণ ও স্তম্ভন’। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘শুক্রধর’, ‘শুক্রপাত’, ‘শুক্রপাতকারী’, ‘কানাই’, ‘বলাই’, ‘অজ্ঞতা’ ও ‘প্রয়াণ’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’রই রূপক, উপমান ও ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন।
মরা পরিভাষাযুক্ত মূলক সত্তাগুলো (The die terminology radical entities)
মূলক | রূপক | উপমান | চারিত্রিক | ছদ্মনাম |
শুক্রধর | অটল | ঊর্ধ্বরেতা, ডুবুরী ও স্বাধীন/ | ঋভু, ওজম্বল ও সম্রাট/ | নির্বাণ, মরা১ ও স্তম্ভন/ |
শুক্রপাত | মৃত্যু | অপমৃত্যু ও আত্মহত্যা/ | মরা২/ | |
শুক্রপাতকারী | কাপুরুষ | টল/ | মরা৩/ | |
কানাই | রজকিনী | অন্ধকূপ, করঙ্গ, গোকুল, চিতা, চুলা, পাখি২ ও প্রস্তর/ | কবন্ধ, ধন্বন্তরী, বরুণ, বৃত্র, মাধাই, ও হিবাচী/ | কালনাগিনী, দস্যু, দানব/ দৈত্য, ব্রজপুর, মরা৪ ও রাক্ষস/ |
বলাই | বিম্বল | আঁচল, আঙ্গুল, খুঁটি, গাছ, চরণ, বৈঠা, লাঠি ও হাত/ | অনস্থী, কর্ণ, জগাই, জনক, দৈত্য১ ও শুক্রাচার্য/ | কামগুরু, কিরীটী, বণিক, বাবা, মরা৫ ও শ্রীচরণ/ |
প্রয়াণ | তিরোধান | লোকান্তর/ | মরা৬/ |
মরা পরিভাষাগুলোর সংক্ষিপ্ত সারণী (Short table of die terminologies)
বাংলা | ইংরেজি | আরবি | মূলক |
মরা১ | Immune (ইমিউন) | ‘منيع’ (মানিয়া) | শুক্রধর |
মরা২ | Die (ডাই) | ‘تموت’ (তুমাওতু) | শুক্রপাত |
মরা৩ | Slain (স্লেইন) | ‘قتيل’ (ক্বাতিল) | শুক্রপাতকারী |
মরা৪ | Dead (ডেড) | ‘الميت’ আলমাইয়্যিত) | কানাই |
মরা৫ | Died (ডাইড) | ‘توفي’ (তুফিয়া) | বলাই |
মরা৬ | Death (ডেথ) | ‘موت’ (মাওয়াতা) | প্রয়াণ |
অভিধা (Appellation)
মরা১ (বাপৌছ)ক্রি দেহত্যাগ করা, প্রয়াণলাভ করা (আল) বিনষ্ট হওয়া, মানসিক কষ্ট পাওয়া, মজে যাওয়া, হ্রাস পাওয়া, নির্জীব হওয়া, লুপ্ত হওয়া, প্রেমে আত্মবিস্মৃত হওয়া, নষ্ট হওয়া, মুক্তিলাভ করা, immune, ‘منيع’ (মানিয়া) (শ্ববি) ঊর্ধ্বরেতা, জিষ্ণু, ডুবুরী, নিষ্কামী, পারমী, ﺜﺎﺑﺖ (সাবিত) (ইংপ) semener, spermer, spirited, strong (ইদে) আলি (আ.ﻋﻠﻰ), গাজি (আ.ﻏﺎﺯﯼ), হাজি (আ.ﺤﺎﺠﻰ), পালোয়ান (ফা.ﭙﻬﻟﻭﺍﻦ) বি বিলায়েত (ﻮﻻﻴﺖ), মর্দামি (ফা.ﻤﺭﺪﻤﻰ), মুরোত (আ.ﻤﺮﻮﺖ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্রধর’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; প্রয়াণলাভ করাকে মরা বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; শুক্রধরকে অটল বা রূপক অর্থে মরা বলা হয় (বাপৌছ) নির্বাণ, মরা১ ও স্তম্ভন (বাপৌচা) ঋভু ওজম্বল ও সম্রাট (বাপৌউ) ঊর্ধ্বরেতা, ডুবুরী ও স্বাধীন (বাপৌরূ) অটল (বাপৌমূ) শুক্রধর।
মরার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of immune)
১. “জিন্দামরার বসন পরা, আপন শ্রাদ্ধ আপনি সারা, অপরিপু ধ্বংস করা, এত অসম্ভব করণি।” (পবিত্র লালন- ৩৩১/২)। (মুখ; “কে তোমারে এ বেশভূষণ, পরাল বলো শুনি, জিন্দাদেহে মুর্দার বসন, খিরকা তাজ আর ডোর কোপনি”)।
২. “ত্রিমণিধর কালনাগিনী, সদাই থাকে ফণী ধরা, বলন কয় মৎস্য মিলে, সাধুর কাছে জানলে মরা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৮)। (মুখ; “মরে দেখরে কঠিন মরা, সর্প উদরে মৎস্য ধরা”)।
৩. “মজবি যদি কালার পিরিতি, আগে জানগে তার কেমন রীতি, উত্তমপ্রেম করা নয় প্রাণে মরা, অনুমানে বুঝিয়েছে।” (পবিত্র লালন- ৯৫৯/২)। (মুখ; “সে কালাচাঁদ নদে এসেছে, সে বাজিয়ে বাঁশী ফিরছে সদাই, ব্রজঙ্গনার কুল নাশে”)।
৪. “মরণের আগে যে মরে, শমনে ছোঁবে না তারে, শুনেছি সাধুর দ্বারে, তাই বুঝি করেছ ধনী।” (পবিত্র লালন- ৩৩১/৩)। (মুখ; “কে তোমারে এ বেশভূষণ, পরাল বলো শুনি, জিন্দাদেহে মুর্দার বসন, খিরকা তাজ আর ডোর কোপনি”)।
৫. “সেজেছ সাজ ভালোই তরো, মরে যদি বাঁচতে পারো, লালন বলে যদি ফিরো, দু’কূল হয় অপমানি।” (পবিত্র লালন- ৩৩১/৪)। (মুখ; “কে তোমারে এ বেশভূষণ, পরাল বলো শুনি, জিন্দাদেহে মুর্দার বসন, খিরকা তাজ আর ডোর কোপনি”)।
মরার কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of immune)
১. “অনুরাগী জ্যান্তমরা, গুরুপদে মন নোঙর করা, লালন তেমনি পতঙ্গের ধারা, অগ্নিমুখে ধেয়ে যায়।” (পবিত্র লালন- ১১০/৪)।
২. “আগে সর্প বাঘিনী মার, তবেই মৃগ আখেটি করতে পার, মরলে মরার আগেই মর, বলন কয় বারে বার।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৯)।
৩. “আবহায়াত নদীর কূলে, হলে পরে ঊর্ধ্বগমন, যেতে পারবি ও পাগল মন, মরার আগেই মরিলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২)।
৪. “আয়ু থাকতে আগে মরা, সাধকজনের এমনই ধারা, প্রেমোন্মাদে মাতোয়ারা, সে কী বিধির ভয় করে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৫/২)।
৫. “উনিশজনা রক্ষী ধরে- হাজার বছর সাধন করে, পাহারা দিয়ে পঞ্চঝর্ণা- মরার আগেই মরা– স্বরূপরস রক্ষা করা, বলনের হলো না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১০৯)।
৬. “একটি মরার পাঁচটি কল্লা, কল্লায় কল্লায় বলছে আল্লাহ, কোন কল্লায় কয় রাসুলুল্লাহ, সদাই সে নাম জপেরে।” (পবিত্র লালন- ৩৮৭/৩)।
৭. “একান্ত যে অনুরাগী, জ্যান্তমরা ভয় ত্যাগী, লালন কয় সে রসিক যোগী, আমার কার্য নয়।” (পবিত্র লালন- ৯৫৮/৪)।
৮. “ওগো জ্যান্তমরা প্রেমসাধন, কী পারবি তোরা জেনে-শুনে, যে প্রেমে কিশোর কিশোরী, মজেছে দু’জনে।” (পবিত্র লালন- ২৪২/১)।
৯. “ও গৌরের প্রেম রাখতে সামান্যে কী পারবি তোরা, কুলশীল ইস্তিফা দিয়ে, হতে হয় জ্যান্তমরা।” (পবিত্র লালন- ২৪৭/১)।
১০. “কে তোমারে এ বেশভূষণ, পরাল বলো শুনি, জিন্দাদেহে মুর্দার বসন, খিরকা তাজ আর ডোর কোপনি।” (পবিত্র লালন- ৩৩১/১)।
১১. “খায় তার নামের সুধা, খেলে যায় ভবক্ষুধা, গরলকে ভেবে সুধা, পান করে না তারা, সদাই থাকে নিষ্ঠা-রতী, হয় মরার মরা অতি, তুলে মণিমুক্তা রত্নহীরা, মর্মলোভী লায়েক্ব যারা।” (পবিত্র লালন- ৬৫৮/২)।
১২. “গোঁসাইয়ের ভাব যে ধারা, শুনলে জীবের জীবন সারা, মরার সঙ্গে মরে ভাবসাগরে, ডুবলে সে রূপ দেখবি তোরা।” (পবিত্র লালন- ৪১৮/১)।
১৩. “চাতক পাখির এমনই ধারা, অন্য বারি খায় না তারা, প্রাণ থাকতে জ্যান্তমরা, ঐরূপ ডালে বসে ডাক।” (পবিত্র লালন- ৯৭৩/৩)।
১৪. “চেতন-গুরুর সঙ্গ ধরো, মরো মরার আগে মরো, ছয় রিপুকে দমন করো, ফকির লালন বলেছে।” (পবিত্র লালন- ৫৫১/৩)।
১৫. “চৌদ্দতলা দেহভুবনে, সাঁই মিলে গুরু ভজনে, বিনয় করে বলন ভনে, দেখরে মরার আগে মরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪১)।
১৬. “জল সেচিয়ে মৎস্যাহরণ, তা নয় কঠিন সাধন, জলে ধরা মৎস্য সাধন, মরার আগেই মরে যারা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১)।
১৭. “জ্যান্তমরা প্রেমসাধন কী পারবি তোরা, যে প্রেমে কিশোর-কিশোরী, হয়েছে পাগলপারা।” (পবিত্র লালন- ৪৭৭/১)।
১৮. “পঞ্চবাণ যথাযথ মার, পঞ্চক্ষণ তাপিত কর, কামের ঘরে কপাট মার, মরিয়া জিয়ানমরা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬৯)।
১৯. “পারিস যদি জিন্দামরা মরিতে, যমের কী আর সাধ্য আছে, আবার তারে মারিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২০. “প্রেমসাধন জিয়ন্ত-মরা, সাঁইপূজা হয় কফিন পরা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮৯)।
২১. “প্রেমিক একজন চণ্ডীদাসে, প্রেম বিকাল রজকিনীর আশে, মরার পরে জীবন আসে, জীবন দান পায়।” (পবিত্র লালন- ৯৬৮/৩)।
২২. “ফকিরি ফিকিরি করা, হতে হয় জ্যান্তমরা, লালন ফকির লেংটি এড়া, মন বসে না কোনমতে।” (পবিত্র লালন- ৬৬৫/৪)।
২৩. “বড় রসিক রাখাল যারা, ত্রিবেণে বসে থাকে তারা, আমায় করে জিন্দামরা, ধেনু ফিরানে।” (পবিত্র লালন- ৬৭৬/২)।
২৪. “বলনের বচন, শোনরে মন, বিরজানালে হয় না মরণ, মরার আগে মরে যেজন, পারে নাকো তারে মারিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২৫. “মর জিন্দেগির আগে, দেখে শমন যাক ফিরে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৫/১)।
২৬. “মরণের আগেতে মরা, আপন মন বলিদান করা, প্রাণ অপেক্ষা যে পিয়ারা, তারে কী বুঝায় শরায়।” (পবিত্র লালন- ২৮৭/৩)।
২৭. “মরাকে আর মারবি কত, বেন্ধে যমরশিতে, যমের কী আর সাধ্য আছে, আবার তারে মারিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২৮. “মরাগাছেতে তাজা কলি বসন্তে শুকাইয়া যায়, জল দিলে মূল শুকাইয়া বৃক্ষের পত্র ঝইরা যায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৬)।
২৯. “মরার অগে মরে যেজন, অনায়াসে পায় সাঁই দরশন, সার্থক হয় মানবজনম, বসে থাক সে আশাতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৩০. “মরার আগে মরতে পারে, বাঘ টাগে কী করতে পারে, সে মরা কী আবার মরে, মরলে সে অমর হয়।” (পবিত্র লালন- ১১০/৩)।
৩১. “মরার আগে মরতে পারবি, মনের-মানুষের সন্ধান পাবি, যজ্ঞেযোগে অনুরাগে, আয়নাতে মিশিয়ে পারা।” (পবিত্র লালন- ৫৪২/২)।
৩২. “মরার আগে যে মরতে পারে, আপনার ফয়তা আপনি করে, তবে শ্রাদ্ধ হতে পারে, লালন তাই কয়।” (পবিত্র লালন- ৬৩৮/৪)।
৩৩. “মরে আপনার জান, আরিফেতে দেয় বলিদান, রাসুলের হাদিসে ফরমান, মাউতু ক্বাব্লাল্ মাউতায়।” (পবিত্র লালন- ২৮৭/৪)।
৩৪. “মরেছিল সাঁইজি লালন, পাই না তাঁর পুনর্জনম, এমন মরা মরে কয়জন, স্বেচ্ছা ঝুলে ফাঁসিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৩৫. “মরে দেখরে কঠিন মরা, সর্প উদরে মৎস্য ধরা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৮)।
৩৬. “মরে যেবা ডুবতে পারে, প্রেমভয় নাই তার অন্তরে, সিরাজ সাঁইজি কয় লালন তোরে, তাই জানাই।” (পবিত্র লালন- ৯৬৮/৪)।
৩৭. “মূল শাখা ডাল আকাশে গাছের ফল ধরে পাতালে, গুরু কৃপায় কারো ভাগ্যে সেই তাজা ফলটি মিলে, উল্টোবৃক্ষে ফল পাকিলে- গুরু খাইয়া শিষ্যে দিলে, মরার আগে মরিলে– যমদুত ভয়ে পালায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৬)।
৩৮. “যোগমায়া যোগের স্থিতি, দ্বিদলে তার বসতি, জানো যদি কোন ব্যক্তি, হও আগে জ্যান্তমরা।” (পবিত্র লালন- ৬৯৬/৩)।
৩৯. “রূপক বর্ণনা শরিয়তে, হক্ব বলে হাক্বিক্বতে, ত্বরিক্বত সাধনপথ, মারিফত জ্ঞান অর্জন করা, হতে হয় জ্যান্তমরা, লালন কয় অধর ধরা, সে বড় কঠিন ধন।” (পবিত্র লালন- ৯৮৯/৩)।
৪০. “রূপ-রসের রসিক যারা, রসে ডুবে আছে তারা, হয়েছে জ্যান্তমরা, রাজবসন ছেড়ে।” (পবিত্র লালন- ৮৩৪/২)।
৪১. “সহজে অধর-মানুষ যায় না ধরা, অধর-মানুষ ধরতে হলে, হতে হয় গো জ্যান্তমরা।” (পবিত্র লালন- ৯২৯/১)।
৪২. “সাধক যদি হয় বিহারী, সাঁই আলোক হয় সবারি, কেউ মরা মরে না- ধরা সে দেয় না, ধরতে গেলে পালায় অচিনদেশে।” (পবিত্র লালন- ৭৭২/৩)।
৪৩. “সাধু পেলে চরণ ধর, অমূল্য-ধন রক্ষা কর, মর মরার আগে মর, ছাড় কুল জাতির বড়াই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮০)।
৪৪. “সে রসের হয় শতধারা, জানে সুজন-রসিক যারা, প্রাণ থাকতে হয় জ্যান্তমরা, জঙ্গলে সে করে বাস।” (পবিত্র লালন- ২৭৫/২)।
৪৫. “হায়াতের আগে যে মরে, বাঁচে সে মউতের জোরে, দেখরে মন হিসাব করে, লালন ফকির কয় ডেকেরে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৫/৪)।
৪৬. “হিংসা নিন্দা তমঃ ছাড়ো, মরার আগেতে মরো, তবে যাবে ভব পার, ঘুচবে মনের দিশে।” (পবিত্র লালন- ৪০৭/২)।
মরার ওপর কয়েকটি পূর্ণ বলন (Some full Bolon on the immune)
১. “কাঁইয়ের ধ্বজা ধররে সবাই
কাঁইয়ের ধ্বজা ধর
শ্বেতবরণের কোপনি পরে
মরার আগে মর।”
মানবকরণি সেরেসুরে
মরার আগে যেজন মরে
যমে আর ছঁয় না তারে
মুক্তি পায় ভবের পর।”
শোলা যেমন জলে ডুবে না
মরা তেমনই; আর মরে না
এসব কথা জানতে মনা
সাধকগুরুর চরণ ধর।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
২. “পারিস যদি জিন্দামরা মরিতে
যমের কী আর সাধ্য আছে
আবার তারে মারিতে।
সে যমেরে দেখিয়ে কলা
থাক বসে থাক সাধনতলা
সকাল বিকাল দুইবেলা
মাছ তুলে আন বড়শিতে।
মরার অগে মরে যেজন
অনায়াসে পায় সাঁই দরশন
সার্থক হয় মানবজনম
বসে থাক সে আশাতে।
জিয়নমরা তো সামান্য নয়
মরতে হলে কুল ছাড়তে হয়এসব কথা বলনের নয়
শুনি পারম্পরিক শাস্ত্রেতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৩. “নিজকে নিজে মানুষ করা
এক জীবনে তিনবার মরা।
একবার মরে ছয়গরু খায়
আবার মরে খিড়কি আটায়
তাজা খায়রে আরেক মরায়
মরিলে ডুবে না ভরা।
মরা মরায় লেনা-দেনা
মরার মজা অনেকেই বুঝে না
তাজার সঙ্গে ভাব হয় না
মরা সারে অধর ধরা।
দয়াল সাঁই বলে বলন
সহজ নয় সেই যে মরণ
না মরলে সব অকারণ
হয় না মানবকর্ম সারা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬০)।
৪. “মরাকে আর মারবি কত
বেন্ধে যমরশিতে
যমের কী আর সাধ্য আছে
আবার তারে মারিতে।
মরেছিল সাঁইজি লালন
পাই না তাঁর পুনর্জনম
এমন মরা মরে কয়জন
স্বেচ্ছা ঝুলে ফাঁসিতে।
মরণফাঁসি নিয়ে গলে
ঝুলে রইলাম ভূমণ্ডলে
মিছে ঘুরি সাধুকুলে
দুর্নাম চাই মুছিতে।
মিছে পরি কোপনি বালা
মনে রয় রমণের জ্বালা
বলন কয় লীলাখেলা
সকলই সাঁই চিনিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
মরার ওপর কয়েকটি পূর্ণ লালন (Some full Lalon on the immune)
১. “১কে তোমারে এ বেশভূষণ,
পরাল বলো শুনি,
জিন্দাদেহে মুর্দার বসন,
খিরকা তাজ আর ডোর কোপনি।
২জিন্দামরার বসন পরা,
আপন শ্রাদ্ধ আপনি সারা,
অপরিপু ধ্বংস করা,
এত অসম্ভব করণি।
৩মরণের আগে যে মরে,
শমনে ছোঁবে না তারে,
শুনেছি সাধুর দ্বারে,
তাই বুঝি করেছ ধনী।
৪সেজেছ সাজ ভালোই তরো,
মরে যদি বাঁচতে পারো,
লালন বলে যদি ফিরো,
দু’কূল হয় অপমানি।” (পবিত্র লালন- ৩৩১)।
২. “১মর জিন্দেগির আগে,
দেখে শমন যাক ফিরে।
২আয়ু থাকতে আগে মরা,
সাধকজনের এমনই ধারা,
প্রেমোন্মাদে মাতোয়ারা,
সে কী বিধির ভয় করে।
৩মরে যদি ভেসে ওঠে,
সে মরা বেড়ায় ঘাটে ঘাটে,
কেউ কেউ ডুবে শ্রীপাটে,
বিধির অধিকার ত্যাগেরে।
৪হায়াতের আগে যে মরে,
বাঁচে সে মউতের জোরে,
দেখরে মন হিসাব করে,
লালন ফকির কয় ডেকেরে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৫)।
৩. “১মরার আগে মরলে,
শমনজ্বালা ঘুচে যায়,
কোন মরার কিরূপ জানাজা,
জানগে বসে নিরালায়।
২জ্যান্তমরা মরলে সাধক,
খিরকা তাজ তহবন বেশ পরায়,
যে শ্বাস ছাপাই করে তার,
ক্ববর কোথায়।
৩মরার শিঙ্গা ধরে মরায়,
উচিত জানাজা করে সেথায়,
সে মরা আবার মরলে,
জানাজা তার রয় কোথায়।
৪কথায় হয় না সে মরা,
তাদের করণ সদাই বেদ ছাড়া,
লালন কয় সমঝে পরো,
মরার হার গলায়।” (পবিত্র লালন- ৭৬৯)।
৪. “১মরে ডুবতে পারলে সাধন সিদ্ধি হয়
মরা যদি ভেসে ওঠে,
তবে কী সে ফল পায়।
২মরা তো অনেকে মরে,
ডুবা কঠিন হয় গভীরে,
মাটিহীন প্রেম-সরোবরে,
ডুবতে হয় স্বরপ রূপাশ্রয়।
৩গুরু যদি জানায় তারে,
তবে মরা জানতে পারে,
শমনজ্বালা যাবে দূরে,
মানবজনম সফল নিশ্চয়।
৪ডুবে না মন ওঠে কেঁদে,
ডুবাতে চায় কলসি বেঁধে,
লালন ফকির বলছে খেদে,
জানি না কোন ঘাটে ডুবায়।” (পবিত্র লালন- ৭৭১)।
শুক্রপাত অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology ‘die’ sense for ejaculation)
১. “আপনস্বামী রেখে ঘরে- পরপুরুষের সঙ্গ করে, বাহুঠুকে করে পোদ্দারি- বলন কয় মরার ভয়ে- সাধুরা যায় মেয়ে হয়ে, আকাশে বায় সোনারতরী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩০)। (মুখ; “তিনশত ষাটটি বিয়ের পরও, কন্যা থাকে বাপের বাড়ি, সত্য করে কও গোঁসাই গো, কেমন সেই সুন্দরী”)।
২. “মায়ের পরে যে বড়াই করে, যেমন আগুনে পতঙ্গ মরে, দোষ কী আগুনে করে- বলন কয় যে অধিক নড়েচড়ে, নিজের মরা নিজেই মরে, শেষে সংসারে কুড়ায় দুর্ণাম।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫১)। (মুখ; “মা করে লালনপালন মা মারে সন্তানের প্রাণ, প্রণাম জননীর চরণে প্রণাম”)।
৩. “লালন সাঁইজি ভেবে বলে, মাকে ছুঁলে মরে ছেলে, এ তিন কথার অর্থ নইলে, তার হয় না ফকিরি।” (পবিত্র লালন- ৪৪০/৪)। (মুখ; “চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে, আমরা ভেবে করব কী, ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম, তাকে তোমরা বলো কী”)।
—————————————————————————————
১. “আঁধার ঘরেতে সর্প ধরা, ভূতের মত খেটে মরা, ছোবলের ভয় থাকে ভরা, শেষে মরে কাল দংশনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪)।
২. “ঘরে ঘরে পতিতালয়, যার পতিতা তার সঙ্গে রয়, কেউ করে না মরণের ভয়, তারে নিয়ে ঢোলাঢোলী।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৩. “পরধনে পোদ্দারি কর, নিজের মরা নিজে মর, আপনভূমি পতীত কর, লাঙ্গলে যাও অন্য মাঠে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০৫)।
৪. “বাপ্পুতে একঘাটে মরে, কপালটারে দোষী করে, বলন কয় বিনয় করে, দেখ ভুলের নথি খুলি।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৫. “ভজ মানুষের চরণ দুটি, নিত্যবস্তু পাবি খাঁটি, মরলে সব হয় মাটি, ত্বরায় এ ভেদ লও জেনে।” (পবিত্র লালন- ৯২৮/২)।
৬. “মরে যদি ভেসে ওঠে, সে মরা বেড়ায় ঘাটে ঘাটে, কেউ কেউ ডুবে শ্রীপাটে, বিধির অধিকার ত্যাগেরে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৫/৩)।
৭. “ভূতের বাড়ি নিমন্ত্রণে গুরু মরাগরু খেয়েছে, তার উল্টাপাল্টা কথায় বুঝি ভুতে পেয়েছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।
৮. “সাদা চাঁদ আলো যোগায়, কালো চাঁদ আঁধার ঘুচায়, ভয় রহে না ঝরে মরায়, যুগল চাঁদ প্রতি মাসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৮১)।
শুক্রপাতের ওপর ১টি পূর্ণ বলন (A full Bolon on the ejaculation)
“ভুলে খেলি ভুলের গুলি
ভুলে মরণ ভুলে জনম
ভুলে রলি পেট ফুলি।
মরার সঙ্গে ব্যভিচার দায়
ধরা পড়ে করো হায়ঃ হায়ঃ
যার মরা তারই গলায়
কেউ দেয় না রশি খুলি।
ঘরে ঘরে পতিতালয়
যার পতিতা তার সঙ্গে রয়
কেউ করে না মরণের ভয়
তারে নিয়ে ঢোলাঢোলী।
বাপ্পুতে একঘাটে মরে
কপালটারে দোষী করে
বলন কয় বিনয় করে
দেখ ভুলের নথি খুলি।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
শুক্রপাতকারী অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology ‘die’ sense for ejaculatory)
১. “জগৎ বড় হাস্যময়, মরা করে মরণের ভয়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১২)।
২. “মরা পেলে আহার কর জীয়ন্তের কাছে আস না, তাইতো; আমি জন্ম অন্ধ দুঃখ-দশা ঘুচল না, তোমার শ্রীচরণ বিনা, মানবজনম হয় মিছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৭১)।
৩. “সে গাছে বসে মরা, সাঁই দরদী বলছে তারা, ফকির লালন বলে গোরা, তার সুধা খেলে মরা বাঁচে।” (পবিত্র লালন- ৪৯১/৪)।
৪. “সে পথেতে তিনটি মরা, জ্যান্ত-মানুষ খাচ্ছে তারা, লালন বলে মরার মরা, খেলছে খেলা তার সাথে।” (পবিত্র লালন- ২৩৩/৪)।
কানাই অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology ‘die’ sense for leaky)
১. “একমরা নাই তার জীবন, পেটের মধ্যে জ্যান্ত একজন, সাধকেরা সাধে যখন, ডাকলে মরা কথা কয়।” (পবিত্র লালন- ৯২৩/৩)।
২. “মন যারে যা স্বরূপদেশে, সেথা তাজা খায় মরা লাশে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪০)।
৩. “লালন ফকির ভাবে বসে, মরার ঘাটে মরা ভাসে, মরায় কত জিন্দা নাশে, মরায় মরা খায়।” (পবিত্র লালন- ৬৮৪/৪)। (মুখ; “বাঁজা নারীর ছেলে মরল, একি হলো দায়, মরা ছেলের কান্না দেখে, মোল্লাজি ডরায়”)।
—————————————————————————————
১. “এক মরা ছয়গোরু খায়, এক মরা খিড়কি আটায়, তাজা খায়রে আরেক মরায়, মরিলে ডুবে না ভরা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬২)।
২. “প্রেমনদীতে ভেসে যায় প্রেমের মরী, লালন কয় মরার সাথে করো আড়ি, প্রেমের শকুন হয়ে- মরিটা ফেলাও খেয়ে, সে মরী খাওয়া সাধকের উপাসনা।” (পবিত্র লালন- ৫৩৯/৩)।
৩. “মরাগৌর স্বয়ং কারে, কী শিক্ষায় বলি, গৌর বলে হরি বলতে, শুনতে পাই সকলি।” (পবিত্র লালন- ৭৬৮/১)।
৪. “রুকু সিজদা তুলে দেখ, সামনে মরার বাড়ি, কেমন করে সারবিরে নামাজ পড়ি।” (পবিত্র লালন- ৮৭৩/১)।
বলাই অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology ‘die’ sense for extender)
১. “এক মরা ছয়গোরু খায়, এক মরা খিড়কি আটায়, তাজা খায়রে আরেক মরায়, মরিলে ডুবে না ভরা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৬২)।
২. “বাঁজা নারীর ছেলে মরল, একি হলো দায়, মরা ছেলের কান্না দেখে, মোল্লাজি ডরায়।” (পবিত্র লালন- ৬৮৪/১)।
৩. “লালন সাঁইজি ভেবে বলে, মাকে ছুঁলে মরে ছেলে, এ তিন কথার অর্থ নইলে, তার হয় না ফকিরি।” (পবিত্র লালন- ৪৪০/৪)। (মুখ; “চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে, আমরা ভেবে করব কী, ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম, তাকে তোমরা বলো কী”)।
প্রয়াণ অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার
(Using the terminology ‘die’ sense for decease)
১. “মরলে পাব বেহেস্তখানা, তা শুনতে মন মানে না, বাকির লোভে নগদ পাওনা, কে ছাড়ে এ ভুবনে।” (পবিত্র লালন- ৯২৮/৩)।
২. “মরলে ঈশ্বরপ্রাপ্ত হয় কেন বলে, সে কথার পাই না বিচার, কারো কাছে শুধালে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৬/১)।
৩. “মরলে ঈশ্বপ্রাপ্তি হয়, সেতো কথার কথা, জীবন থাকতে তারে পাওয়া যায় না, কে বলে এমন কথা।” (পবিত্র লালন- ৭৬৭/১)।
৪. “মরলে যদি হয় ঈশ্বরপ্রাপ্ত, সাধু অসাধু সমস্ত, তবে কেন জপ তপ এত, করেরে জলেস্থলে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৬/২)।
৫. “যে পঞ্চে পঞ্চভূত হয়, মরলে তা যদি তাতে মিশায়, ঈশ্বর অংশ ঈশ্বরে যায়, স্বর্গ নরক কার মিলে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৬/৩)।
অজ্ঞতা অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার
(Using the terminology ‘die’ sense for ignorance)
১. “জোয়ারে আইসা বান্ধব জোয়ারে যায় ভাসিয়া, মনের-মানুষ ফেলিয়া রইলে মরার ঘুমে ঘুমাইয়া, ভাঙ্গাঘরে চন্দ্র উদয়, দিবসে প্রতি মাসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫১)।
২. “হলো না ভজন-সাধনা, মরাগাছে ফুল ফুটল না, বলন কয় হয়রে জানা, জানলে পরে নাকের দম।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯৮)।
সন্তান অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology ‘die’ sense for progeny)
১. “এক জীবনে কয়বার মরে, দেখে না গণনা করে, তবুও; সে মরার ডরে, ঘুরে কত আস্তানায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১২)।
২. “ভূতের বাড়ি নিমন্ত্রণে গুরু মরাগরু খেয়েছে, তার উল্টাপাল্টা কথায় বুঝি ভুতে পেয়েছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।
৩. “মরার সঙ্গে ব্যভিচার দায়, ধরা পড়ে করো হায়ঃ হায়ঃ, যার মরা তারই গলায়, কেউ দেয় না রশি খুলি।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
সাধারণ প্রত্যয় অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology ‘die’ sense for ordinary suffix)
১. “চক্ষু আছে না দেখে, আবার তিনমরা একত্রে থাকে, মুখ দিয়ে সে পরের মুখে, মর্মের কথা কয়।” (পবিত্র লালন- ৯২৩/২)।
২. “বুঝ না মন তীর্থ করা, এত মিছামিছি হেঁটে মরা, পেড়োর কাজ পিঁড়েই সারা, নিষ্ঠা- না হয় মন যদ্যপি।” (পবিত্র লালন- ৪৩৩/৩)।
জড়িত অর্থে ‘মরা’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology ‘die’ sense for ordinary involved)
১. “চণ্ডীদাস রজকিনী, তারাই প্রেমে ধন্য শুনি, এমন প্রেম করে কোনজনা, এক মরণে দু’জন মরে, এমন মরা মরে কয়জনা।” (পবিত্র লালন- ৮৫৮/৩)।
২. “প্রেম পিরিতির এমনই ধারা, এক প্রেমে দু’জন মরা, ধর্মাধর্ম চায় না তারা, লালন বলে প্রেমের রীতি তাই।” (পবিত্র লালন- ৬৪৩/৪)।
মরার সংজ্ঞা (Definition of immune)
সাধারণত; প্রয়াণলাভ করাকে মরা বলে।
মরার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of immune)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শুক্রধরকে অটল বা রূপক অর্থে মরা বলে।
মরার প্রকারভেদ (Variations of immune)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; বিভিন্ন অর্থে মৃত্যু/ মরা পরিভাষাটির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। যথা; ১. প্রয়াণ ২. ঘুম ৩. অজ্ঞতা ৪. দীক্ষাগ্রহণ ৫. পাণিগ্রহণ ৬. অখণ্ডতা ৭. শুক্রধর (অটল) ৮. শুক্রপাত ৯. সন্তান ১০. সন্তানগ্রহণ ১১. যোনি ১২. শিশ্ন ১৩. বৈরাগ্য ১৪. সংযম ১৫. শব ১৬. পরিত্যক্ত ১৭. শুকানো ও ১৮. বিপদগ্রস্থ। ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত ‘মরা’ পরিভাষাটির কয়েকটি উদাহরণ নিচে দেখানো হলো।
১. প্রয়াণ (দেহত্যাগ) (Death)
“মরলে পাব বেহেস্তখানা, তা শুনতে মন মানে না, বাকির লোভে নগদ পাওনা, কে ছাড়ে এ ভুবনে।” (পবিত্র লালন- ৯২৮/৩)।
২. ঘুম (Sleep)
“শুয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মরে সারা।” (বলন কাঁইজি)।
৩. অজ্ঞতা (Ignorance)
“তেমাথা রাস্তায় বসে কাপুরুষ পাইলে ধরে, জলের চুলায় মরামাথা বাতাসে রান্না করে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।
৪. দীক্ষাগ্রহণ (Initiation)
১. “মরার আগে মরা।”
২. “মরার আগে মরতে পারে, বাঘ টাগে কী করতে পারে, সে মরা কী আবার মরে, মরলে সে অমর হয়।” (পবিত্র লালন- ১১০/৩)।
৫. পাণিগ্রহণ (Marriage)
“গত এক ফাল্গুন মরেছে।” (বিবাহ করেছে) (বলন কাঁইজি)।
৬. অখণ্ডতা (Integrity)
“মরেছিল সাঁইজি লালন, পাই না তাঁর পুনর্জনম, এমন মরা মরে কয়জন, স্বেচ্ছা ঝুলে ফাঁসিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
৭. শুক্রধর (অটল) (Ejaculation/ Semen defender)
“মরতে পারলে ধরতে পারা যায়, মুখের কথা না।” (পবিত্র লালন- ৩৯০/৩)।
৮. শুক্রপাত (Ejaculation)
“ভজো মানুষের চরণ দুটি, নিত্যবস্তু হবে খাঁটি, মরলে হবে সব মাটি, ত্বরায় এভেদ লও জেনে।” (পবিত্র লালন- ৯২৮/২)।
৯. সন্তান (Progeny)
“মরাকে আর মারবি কত, বেন্ধে যমরশিতে, যমের কী আর সাধ্য আছে আবার তারে মারিতে।” (বলন তত্ত্বাবলী)।
১০. সন্তানগ্রহণ (Annexation/ Taking offspring)
“এক জীবনে কয়বার মরে, দেখে না গণনা করে।” (বলন কাঁইজি)।
১১. যোনি (Acephalous/ Comet)
“মরায় মরা গিলা।” (বলন কাঁইজি)।
১২. শিশ্ন (Penis)
“বাঁজা নারীর ছেলে মরল, একি হলো দায়, মরা ছেলের কান্না দেখে, মোল্লাজি ডরায়।” (পবিত্র লালন- ৬৮৪/১)।
১৩. বৈরাগ্য (Dispassion)
“মরার আগে কেউ স্বাধীন হয় না।” (বলন কাঁইজি)।
১৪. সংযম (Restraint)
“মরণের আগেতে মরা, আপন মন বলিদান করা, প্রাণ অপেক্ষা যে পিয়ারা, তারে কী বুঝায় শরায়।” (পবিত্র লালন- ২৮৭/৩)।
১৫. শব (Corpse)
“মরা ছাগল পথের পাশে পড়ে আছে।” (বলন কাঁইজি)।
১৬. পরিত্যক্ত (Rejected)
“তিনজন মরেছে।” (Out. আউট) হয়েছে। (বলন কাঁইজি)।
১৭. শুকানো (Arid)
“মরা গাছ।”
১৮. বিপদগ্রস্থ (Imperil)
“মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।” (প্রবচন)।
আবার, বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মরা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান মরা ও ২. উপমিত মরা।
১. উপমান মরা (Analogical immune)
সাধারণত; প্রয়াণলাভ করাকে উপমান মরা বলে।
২. উপমিত মরা (Compared immune)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শুক্রধরকে অটল বা উপমিত মরা বলে।
মরার পরিচয় (Identity of immune)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্রধর’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় অনেক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না।
শ্বরবিজ্ঞানে; অনেক প্রকার মরার সন্ধান পাওয়া যায়। এখানে; মরা বলতে কেবল শুক্রধরকেই বুঝানো হয়েছে। যেমন; প্রয়াণলাভ করলে শবের মধ্যে জৈবিক বৈশিষ্ট্য থাকে না; তাদৃশ শুক্রধারিতা অর্জন করার পর সাধকের শুক্রপাত বৈশিষ্ট্য থাকে না। এজন্য; শুক্রধরকে শ্বরবিজ্ঞানে; মরার সাথে তুলনা করা হয়।
অথচ মজার বিষয় হলো সারাবিশ্বের প্রায় সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মতবাদের অনুসারী মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত ‘মরা’ পরিভাষাটির অভিধা সর্বদা প্রয়াণ, তিরোধান বা লোকান্তর অর্থ গ্রহণ করে থাকে। এজন্য; বিশ্ববিখ্যাত সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকার মূলশিক্ষা চরমভাবে ব্যাহত ও বিঘ্নিত হয়েছে এবং হচ্ছে। সেজন্য; এখন ইচ্ছা করলেও কোনো গবেষক সহজে এতগুলো পরিভাষার মহাবিভ্রান্তিকর অভিধা সংশোধন করে শ্বরবিজ্ঞানের প্রকৃতশিক্ষা সমাজে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। মূল অভিধা হারানো এসব ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ পুনঃ প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনেক সময় ও অনেক সাহসের প্রয়োজন। মরা ও প্রয়াণের মধ্যে যে ফাঁক রয়েছে তা সাম্প্রদায়িক মনীষী, পাঠক ও শ্রোতারা আজও অনুধাবন করতে সক্ষম হয়ে ওঠেন নি। সাধারণ দৃষ্টিতে মরা ও তিরোধান একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে; মরা ও তিরোধানের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.