৪৭/২. মর্ত্য
Abyss (এবিজ)/ ‘مقمر’ (মুক্বমের)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পাছধড়’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘পাছধড়’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘পূর্ব’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘নাবাল’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘পৈথান’।

অভিধা (Appellation)
মর্ত্য (বাপৌউ)বি মর্ত, পৃথিবী, মানুষ্যলোক, মরলোক, সংসার, ইহলোক, মানুষ বিণ নশ্বর, মরণশীল, অস্থায়ী, abyss, ‘مقمر’ (মুক্বমের), ‘ﺍﻠﺪﻨﻴﺎ’ (আদ্দুনিয়া) (শ্ববি) পাছধড়, নাম্ব, নিম্নাঙ্গ, নাভির নিম্নাংশ, back body, endbody, মুয়াখখারুল বদন (আ.ﻤﺆﺧﺭ ﺍﻠﺒﺪﻦ) (রূপ্রশ) নিম্নলোক, সর্পলোক, নাগলোক, hell, hades (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পাছধড়’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; পৃথিবীকে রূপকার্থে মর্ত্য বলা হয় ২. মানবদেহের নাভি হতে পদতল পর্যন্ত অঙ্গকে পাছধড় বা রূপকার্থে মর্ত্য বলা হয় (বাপৌছ) পৈথান (বাপৌচা) নাবাল (বাপৌউ) মর্ত্য (বাপৌরূ) পূর্ব (বাপৌমূ) পাছধড়।

মর্ত্যের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of abyss)
১.   “নীরাকারে মর্ত্যে আসে যায়- রূপ ধরে আকারে লুকায়, কৃত্রিমগুরু আকার গায়- ত্রিমণ্ডলে তার খেলা, দেশ বেড়িয়ে রূপ ভাঁড়িয়ে- ধরা দেয় আকারে গিয়ে, প্রেমরশ্মি গলে দিয়ে- নিঠাঁইপুর মিলায় মেলা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১১)।
২.   “সিজদা করেছে সেতো, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল জুড়া, কোনো জায়গা সে বাদ রেখেছে, দেখ রে তোরা।” (পবিত্র লালন- ১৯০)।
৩.   “স্বরূপ রূপে রূপের কিরণ, স্বর্গ মর্ত্য পাতাল ভুবন, সিরাজ সাঁইজি কয়রে লালন, দেখ নয়ন খুলে।” (পবিত্র লালন- ৯৭৫/৪)।
৪.   “স্বর্গ-মর্ত্য পাতাল জুড়া তিনভূতের করাল থাবা, সেথা পঞ্চভূতে করছে খেলা ফাঁক দিলে গোল খাবা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।

মর্ত্যের সংজ্ঞা (Definition of abyss)
সাধারণত; পৃথিবীকে রূপকার্থে মর্ত্য বলে।

মর্ত্যের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of abyss)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মানবদেহের নাভি হতে পদতল পর্যন্ত অঙ্গকে পাছধড় বা রূপকার্থে মর্ত্য বলে।

মর্ত্যের প্রকারভেদ (Variations of abyss)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে মর্ত্য দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান মর্ত্য ও ২. উপমিত মর্ত্য।

১. উপমান মর্ত্য (Analogical abyss)
শ্বরবিজ্ঞানে; পৃথিবীকে উপমান মর্ত্য বলে।

২. উপমিত মর্ত্য (Compared abyss)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মানবদেহের নাভি হতে পদতল পর্যন্ত অঙ্গকে উপমিত মর্ত্য বলে।

মর্ত্যের পরিচয় (Identity of abyss)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পাছধড়’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; উদয়াচলকে পূর্ব বা রূপকার্থে মর্ত্য বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; মানবদেহের নাভি হতে পদতল পর্যন্ত অঙ্গকে পাছধড় বা রূপকার্থে মর্ত্য বলা হয়। শ্বরবিজ্ঞানে; অপেক্ষাকৃত ঊর্ধ্বজগৎকে স্বর্গ এবং নিম্নজগৎকে মর্ত্য বলা হয়। এ সূত্র ধরেই নাভির নিচের অংশকে মর্ত্য বা পাতাল বলা হয়েছে। নিচে বলন কাঁইজির স্বর্গ-মর্ত্য সূত্রটি তুলে ধরা হলো।

শ্বরবিজ্ঞানের স্বর্গ-মর্ত্য সূত্র (The Paradise- abyss formula of the theology)
“প্রবল কোনো শক্তিশালী সত্তাকে স্বর্গ ধরতে হলে অবশ্যই সমগোত্রীয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল সত্তাকে মর্ত্য ধরতে হবে।”

সূত্রটির দ্বারা কয়েকটি স্বর্গ ও মর্ত্য নির্ধারণ করা হলো;
১.    গুরুকে স্বর্গ ধরতে হলে- শিষ্যকে অবশ্যই মর্ত্য ধরতে হবে।
২.   জ্ঞানকে স্বর্গ ধরতে হলে- মনকে অবশ্যই মর্ত্য ধরতে হবে।
৩.   আত্মাকে স্বর্গ ধরতে হলে- দেহকে অবশ্যই মর্ত্য ধরতে হবে।
৪.   বৈকুণ্ঠকে স্বর্গ ধরতে হলে- বৈতরণীকে অবশ্যই মর্ত্য ধরতে হবে।
৫.   পুরুষকে স্বর্গ ধরতে হলে- নারীকে অবশ্যই মর্ত্য ধরতে হবে।
৬.   ভৃগুকে স্বর্গ ধরতে হলে- ভগকে অবশ্যই মর্ত্য ধরতে হবে।
৭.   সাঁইকে স্বর্গ ধরতে হলে- রতীকে অবশ্যই মর্ত্য ধরতে হবে।
৮.   সবলকে স্বর্গ ধরতে হলে- দুর্বলকে অবশ্যই মর্ত্য ধরতে হবে।