৬৯/৩. মায়া
Illusion (ইলুজন)/ ‘ﺤﻨﺎﻨﺔ’ (হান্নানা)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভালোবাসা’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘ভালোবাসা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘প্রেম’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘মোহ’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘মরীচিকা’।
অভিধা (Appellation)
মায়া (বাপৌচা)বিস্ত্রী মোহ, মমতা, স্নেহ, ভ্রান্তি, কুহক, মুগ্ধতা, মূর্ছা, বিবেকহীনতা, সংজ্ঞাহীনতা, ইন্দ্রজাল, কাপট্য, ছলনা, ছদ্মবেশ, অবিদ্যা, অজ্ঞান, সত্ত্ব-রজ-স্তমোমুক্ত প্রকৃতি, স্নেহের আকর্ষণ, illusion, ‘ﺤﻨﺎﻨﺔ’ (হান্নানা), ‘ﺤﻨﺎﻨﺔ’ (হান্নানা), delusion, ‘ﺸﻐﻑ’ (শাগাফ) (প্র) (ক). ১. কাম ২. ক্রোধ ৩. লোভ ৪. মোহ ৫. মদ ও ৬. মাৎসর্য; এ ষড়রিপুর একটি (খ). ১. অজ্ঞতা ২. অবিদ্যা ৩. মূর্খতা ৪. মূঢ়তা ৫. নির্বুদ্ধিতা ও ৬. ভ্রান্তি; এ ছয়টির একত্র রূপ (শ্ববি) ভালোবাসা, প্রেম, প্রণয়, প্রীতি, স্নেহ, মমতা, love, affection, হুব্ব (আ.ﺤﺐ) (ইংপ) devotion (ইপ) ইশক্ব (আ.ﻋﺷﻖ), পিয়ার (হি.ﭙﻴﺎﺮ), মুহাব্বাত (আ.ﻤﺤﺒﺔ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভালাবাসা’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; কোনকিছুর প্রতি মোহগ্রস্ত হওয়াকে মায়া বলা হয় ২. কোনকিছুর প্রতি অন্ধ আসক্তিকে মায়া বলা হয় (বাপৌছ) মরীচিকা (বাপৌচা) মায়া (বাপৌউ) মোহ (বাপৌরূ) প্রেম (বাপৌমূ) ভালোবাসা।
মায়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of illusion)
১. “কখন উড়াল দেয় পাখি, মুদে যায় ডাগর আঁখি, সোনার খাঁচা ভেঙ্গেচুরে, এ মহামায়ার জাল কাটি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫৯)।
২. “তুমি কার আজ কেবা তোমার, এ সংসারে, মিছে মায়ায় মজিয়ে মন, কী করোরে।” (পবিত্র লালন- ৪৯৩/১)।
৩. “ভবে এসে হয়েছি মায়ার ঢেঁকি, পরের ভারা ভানতে ভানতে নিজের ঘরে নাই খোরাকি।” (পবিত্র লালন- ৭১৬/১)।
৪. “মরিয়া বাস করবি কত কাল বেবুঝ মন বাঙ্গাল, কার মায়ায় ধরলি কষি মোহময় সংসারের হাল।” (বলন তত্ত্বাবল- ২৪৭)।
মায়ার সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of illusion)
১. “অন্তিমকালের কালে কী হয় না জানি, কী মায়া ঘোরে কাটালাম হায়রে দিনমণি।” (পবিত্র লালন- ৫৩/১)।
২. “আয় চলে আয় দিন বয়ে যায়, যাবি যদি নিত্যভুবনে, সংসার অসার, কেন ভুলে আছিস মায়ার বাঁধনে।” (পবিত্র লালন- ১৬১/১)।
৩. “ও মন করো সাধনা, মায়ায় ভুলো না, নইলে তো সাধন হয় না।” (পবিত্র লালন- ২৫৩/১)।
৪. “ও সখীরে চলো চলো বনে যাই, বন্ধুর দেখা নাই, বৃন্দাবন আছে কত দূরে, ছেড়ে ভবের মায়া, দেহ করলাম পদছায়া, ললিতে তাঁর পায়ের ধ্বনি শুনতে।” (পবিত্র লালন- ২৪৩/২)।
৫. “কঠিন হইয়া মা যখনে, সাধের বলাই দেয় আগুনে, ছেলের কান্না মা না শোনে, হৃদয়ে দয়া-মায়া নাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩১৩)।
৬. “কয়বার এলি কয়বার গেলি, মন কিবা মায়ায় ভুলে রইলি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬৩)।
৭. “কারবা আশায় রইলি চকোর, কারেবা ভালোবেসে, দিন ফুরাল বেলা গেল, মায়াময় সংসারের আশে।” (বলনতত্ত্ব, গীতিকার, বলন কাঁইজি)।
৮. “কার মায়ায় ভুলিয়া রইলি, ছেড়ে যেতে হবে সকলি, বলন কয় কী যোগাইলি, আপন দেশে যাবার কড়ি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৭৫)।
৯. “কী দোষে ভাই গেলি তুইরে, আমাদের সব অনাথ করে, দয়ামায়া তোর অন্তরে, কিছুই কী নাই।” (পবিত্র লালন- ৩৫১/২)।
১০. “কী বলে এ ভবে এলি, সে কর্ম কিবা করলি, মহামায়ায় ভুলে রইলি, গুরুকর্ম করলি না একদিন।” (পবিত্র লালন- ২৮৯/২)।
১১. “কী বলে এ ভবে এলি, কিবা কর্ম করে গেলি, মিছে মায়ায় ভুলে রইলি, সে কথা আর মনে হয় না।” (পবিত্র লালন- ৪০২/২)।
১২. “কী বলে মন ভবে এলি, এসে এ মায়াবশে তত্ত্ব ভুলে, কার গোয়ালে ধোঁয়া দিলি।” (পবিত্র লালন- ৩১০/১)।
১৩. “কী হয় অন্তিমকালে, সে কথাটি রইলাম ভুলে, ফকির লালন বলে, এ মায়াজাল কাটার কী উপায়।” (পবিত্র লালন- ৯৩/৪)।
১৪. “কুহেলিকা মায়ার সংসারে, কারে পেলি আপন করে, কাঁই বিনা কেউ নয়রে, আপনার আপনে।” (বলনতত্ত্ব, গীতিকার, বলন কাঁইজি)।
১৫. “গুরু ধরো ত্রিতত্ত্ব সার, মায়াময় সংসার মিছে, আদিকরণ- জন্ম-মরণ, ঘুরছে যম পিছেপিছে’ (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪০)।
১৬. “ছিলাম জননির কোলে, ভজন ভজিব বলে, শিশুকালে রিপু এসে ফাঁসি দেয় গলায়, আমি মায়াবশে সর্বনাশে, বাজাই দোযখের সানাই।” (পবিত্র লালন- ১৩২/২)।
১৭. “জীব তরাতে মায়ার বশে- মাসে ঘুরে একবার আসে, সাধু ছাড়া অন্যে জানে না, অপরূপ স্বরূপ ছবি- দেখে তোরা পাগল হবি, সে রূপের নাই তুলনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১৩)।
১৮. “দিনে যাও দিনে আস- রসিক পাইলে বুকে বস, শেষে সর্বকুল নাশ- মায়াময় সৃজন ভুবনে, বিরাজ কর ধরাধামে- সর্বখানে কানন কাননে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৭১)।
১৯. “দেখলাম এ সংসার, ভোজ-বাজির প্রকার, দেখতে দেখতে অমনি কেবা কোথায় যায়, মিছে এ ঘরবাড়ি- মিছে ধন কড়ি, মিছে দৌড়াদৌড়ি করি কার মায়ায়।” (পবিত্র লালন- ৫৪৪/১)।
২০. “দেখে মানুষ চিনলাম না রে, পড়ে রইলাম মায়ার ফেরে, লালন বলে এদিন পরে, ঘটে যেন কী গতি।” (পবিত্র লালন- ৭৮০/৪)।
২১. “নানান ছলে নানান মায়ায়, আমি আমি শব্দ কে কয়, লালন কয় সন্ধি যে পায়, ঘোর যায় ছেড়ে।” (পবিত্র লালন- ৫৩৪/৪)।
২২. “নিচে পদ্ম চরকবাণে, যুগলমিলন চাঁদ চকোরা, সূর্যের সঙ্গে নলিন কিরূপে হয় যুগল মিলন, না জেনে মন হলে কেবল, মায়াবশে মাতোয়ারা।” (পবিত্র লালন- ৬০৩/১)।
২৩. “পরমবন্ধু রয় বিদেশে আমায় রাখিয়া পরবাসে, পড়িয়া এ ভবের মায়ায় আমি হারাইলাম দিশে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৭৪)।
২৪. “পারাপারের খবর জানো, পরম গুরুকে সত্য মানো, লালন কয় ভাবছ কেন, পড়ে মায়াফাঁসে।” (পবিত্র লালন- ৪০৭/৪)।
২৫. “প্রেমে লোভ ক্রোধ হরে, অহংকার বিনাশ করে, দয়ামায়া গুণ ধরে, সুখ প্রস্রবণ।” (পবিত্র লালন- ৬৩৯/৪)।
২৬. “বন্দী হয়ে মায়ার সংসারে, আপন-মানুষ চিনলাম না রে, কী হারিয়ে পেলাম কিরে, হলো না রে নবকরণি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৫)।
২৭. “বলন কাঁইজি ভেবে বলে, সঙ্গে যায় না কিছু ম’লে, পড়ে মায়া লোভের ছলে, অধঃপতন করলি তরী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২১৭)।
২৮. “বাতাসে উড়াইয়া গাড়ি, লইয়া চলে তাড়াতাড়ি, বলন কয় যাইরে ছাড়ি, সাধের দেহবাড়ি মায়াজাল।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২০)।
২৯. “ভবভাবী ভবের ঘোরে, ঘোর সাগরে অন্ধকারে, চারদিকে মায়ার প্রাচীরে, প্রেমরতন সাঁই সবি।” (পবিত্র লালন- ৯৩০/২)।
৩০. “ভবে কার মায়ায় মজিলিরে অবোধ মন বাঙাল, মায়ারশি টেনে ছিঁড়ে প্রাণ অজানায় দিবে উড়াল।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২০)।
৩১. “মনের কথা বলবো কারে, কে আছে সংসারে, আমি ভাবি তাই না দেখি উপায়, কার মায়ায় বেড়াই ঘুরে।” (পবিত্র লালন- ৭৫৩/১)।
৩২. “মহামায়া-জাল কাটিয়া, সংসার ছেড়ে উড়াল দিয়া, তেমাথায় ঘর বান্ধিয়া, বাস করে জলের পরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫৩)।
৩৩. “মহামায়ায় ভুলে রইলি, আজকাল বলে দিন ফুরালি, করো ঐ নাম কৃতাঞ্জলি, যদি সময় হয় তাতে।” (পবিত্র লালন- ২৩৩/২)।
৩৪. “মহামায়ার জেলখানাতে কখন বন্দী কমে না, নিজেই পরে ডাণ্ডাবেড়ী অন্য কেহই পরায় না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৬৪)।
৩৫. “মায়াতে মত্ত হলে, গুরুর চরণ না চিনলে, সত্য পথ হারালে, সব খুয়াবি গুরুবস্তু ধন।” (পবিত্র লালন- ১৫৩/২)।
৩৬. “মায়াবী এ ভ্রমের উত্তরণ, কবে করবি তাই ভাবে বলন, কবে পাবি কাঁইয়ের চরণ, কোন সাধনে।” (বলনতত্ত্ব, গীতিকার, বলন কাঁইজি)।
৩৭. “মায়ামদ খেয়ে মনা, দিবানিশি ঝোঁক ছোটে না, পাছবাড়ির ঊল হলো না, কে কী করে।” (পবিত্র লালন- ৭৩০/২)।
৩৮. “মায়াময় এ সংসার জীবন, যাদুকরের যাদু প্রদর্শন, আশ্চর্য্য রয় কিছুক্ষণ, শেষ বেলা ভালো লাগে না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১০০)।
৩৯. “মায়ার গিরা কাট, ত্বরায় প্রেমতরীতে উঠ, কারণ সমুদ্দুর- পার হয় চতুর, লালন কয় যাও পারে গুরুর বাক্ ধরে।” (পবিত্র লালন- ৫৪০/৪)।
৪০. “মিছে মায়ামদ পেয়ো না, প্রাপ্তপথ ভুলে যেও না, একবার গেলে আর হয় না, পড়ে ক’য় যুগের প্যাঁচে।” (পবিত্র লালন- ৭৪৩/২)।
৪১. “যে আশা মনে ছিল, সকলি নৈরাশ হলো, তোরে কোপনি কে পরাল, মায়া ত্যাগে।” (পবিত্র লালন- ৬৬১/৩)।
৪২. “লালন বলে মায়াজালে প্রাণ যায়, চারযুগে দেখি কালা দয়াময়, সে নিঠুর কালা, নাই তার বিচ্ছেদ জ্বালা, চক্ষু বুঁজে জপে মালা, সে কালা।” (পবিত্র লালন- ২৯০/৫)।
৪৩. “রসিকের ভঙ্গিতে যায় চেনা, দেখ তার শান্তচিত্ত ঊর্ধ্বরতী, মায়া বরণ কাঞ্চা সোনা।” (পবিত্র লালন- ৮৫৮/১)।
৪৪. “লালন তোর মিছে দৌড়াদৌড়ি, বাঁধা আছে মায়াবেড়ি, কার জন্য এ ঘরবাড়ি, বলতে আমার বাক্ চলে না।” (পবিত্র লালন- ৩৬৯/৫)।
৪৫. “লালন বলে কাতর হালে, আমি বাঁধা আছি ভুমণ্ডলে, মন রইলি মায়ার ভোলে, সাঁই অন্বেষী কবে হবি।” (পবিত্র লালন- ৯৩০/৫)।
৪৬. “শিশুকালে বিন্দুনালে মায়াজালে মা হারাইয়া রই, অন্ধকারে ঘুর্ণাকারে কারাগারে কত জ্বালা সই, কেমনে পাব বাপের দেখা, ঘুচবে ভব যন্ত্রনা।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩৩)।
৪৭. “সত্তরলাখ আঠারোহাজার সাল, নাম জপতে গেল এত কাল, সিরাজ সাঁইজি বলে- লালন এসে কী করলে, মায়াময় এ ভবের ’পরে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৪/৪)।
৪৮. “সময় থাকতে দেখলি না রূপ, মিছে মায়ায় করছ তুরুপ, পাশা ছেড়ে এলি ফিরে, হাতের পাঁচের কিবা আশ।” (পবিত্র লালন- ৭৮৯/২)।
৪৯. “স্ত্রী পুত্র পরিবার বড় ধন, পেয়েছ এ ভবের ভূষণ, মিছে মায়ায় ভুলেরে মন, গুরুধনকে ভাবলি মিছে।” (পবিত্র লালন- ৪০৩/৩)।
মায়ার ওপর ২টি পূর্ণ বলন (Two full Bolon on the illusion)
১. “মরিয়া বাস করবি কত কাল বেবুঝ মন বাঙ্গাল,
কার মায়ায় ধরলি কষি মায়াময় সংসারের হাল।
জাগতিক জ্ঞানে গেলি মারা,
আধ্যাত্মিক জ্ঞান রইলি হারা,
তাই দেখি পাগলপারা,
সংসারের মায়ায় চিরকাল।
বাহ্য–জ্ঞান অর্জন করলি,
নরকবাস বুঝিয়া নিলি,
দিব্যজ্ঞান বিনা স্বর্গ হারালি,
সুখে দুঃখে মিলেনা তাল।
দিব্যজ্ঞান সত্যের ঠিকানা,
নিজকে নিজে যায়রে চেনা,
গুরুকৃপায় স্বর্গ কেনা,
তরীতে উড়াইয়া পাল।
বলন কাঁইজি কয় ভাবিয়া,
জনম গেল ঘুমে ঘুমাইয়া,
বেলা নাই দেখ জাগিয়া,
কবে কাটবি মায়াজাল।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৭)।
২. “মায়াডুরি বান্ধিস না
খাঁচায় পাখি রবে না।
দু’দিনের এ মায়ারশি
সবই মন পড়বে খসি
রবে না রে গগণে শশী
পরম ভাবনা ভাবলি না।
কারে রাখবি মায়া করে
সে কী রবে ভবের পরে
বিদায় নিবে আগে পরে
জনমভর কেউ রবে না।
ধন ও নারীর মায়া করলি,
মূলধন সকল হারালি,
বলন কয় মিছে সকলি,
সে ভেদ জানলি না।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫৭)।
জরায়ু অর্থে ‘মায়া’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology illusion sense for uterus)
“মায়াকানন কুসুমবাগে, সাদা কালো দুই শশী জাগে, বাছাধন কেষ্ট মাঙ্গে, আজ তোর দুয়ার দে খুলে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২০১)।
বৈতরণী অর্থে ‘মায়া’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology illusion sense for styx)
১. “এস মায়ানদ ত্রিধারায়, প্রেমতরী ধীরে চালায়- গো, নিতাইশালের ত্রিমোহনায়, ভাঙ্গিও না বৈঠাখান।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৫৪)।
২. “গুরু উপায় কী আমার, কেমনে হব মায়ানদী পার।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯১)।
মরীচিকা অর্থে ‘মায়া’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology illusion sense for mirage)
“মায়াবী হরিণী বাঁধা, উল্টো গাছের গোড়ায়, ক্ষ্যাপা খুঁজরে তোর আপন ঘরে, খুলিবার উপায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৫৮)।
মায়ার সংজ্ঞা (Definition of illusion) সাধারণত; কোনকিছুর প্রতি মোহগ্রস্ত হওয়াকে মায়া বলে।
মায়ার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of illusion)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কোনকিছুর প্রতি অন্ধ আসক্তিকে মায়া বলে।
মায়ার প্রকারভেদ (Variations of illusion)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মায়া দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান মায়া ও ২. উপমিত মায়া।
১. উপমান মায়া (Analogical illusion)
সাধারণত; কোনকিছুর প্রতি মোহগ্রস্ত হওয়াকে উপমান মায়া বলে।
২. উপমিত মায়া (Compared illusion)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; কোনকিছুর প্রতি অন্ধ আসক্তিকে উপমিত মায়া বলে।
মায়ার পরিচয় (Identity of illusion)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘ভালোবাসা’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণত; কোনকিছুর প্রতি মোহগ্রস্ত হওয়াকে মায়া বলা হয়। এটি; ষড়রিপুর একটি। এটি একটি মানসিক রোগ। বর্তমানে প্রায় সবাই এ রোগে চরমভাবে আক্রান্ত। এ রোগের কারণেই মানুষ সর্বদা আরও চাই, আরও দাও এবং আরও প্রয়োজন এমন করতে থাকে। লোভী লোকেরা বিশ্বের সব সম্পদ একাই কুক্ষিগত করতে চাই। মায়ারূপ মানবতা বিধ্বংসী এ রোগটি বিতাড়িত করতে না পারলে মানুষ কখনই মহান হতে পারেন না। এ রোগের লক্ষণ হলো সর্বক্ষেত্রে অধিক কৃপণতা। অধিক মোহগ্রস্ত মানুষ অধিক কৃপণ হয়। সন্তান-সন্ততি ও জ্ঞানার্জনের জন্য ব্যয় না করে কিংবা মানবকল্যাণে সম্পদ ব্যয় না করে তা কুক্ষিগত করে সঞ্চিত রাখা কোনো সুস্থজ্ঞানী ও বুদ্ধিমান লোকের কাজ নয়। পক্ষান্তরে; অর্জিত সম্পদ যথাযথ ব্যবহার করা এবং এর দ্বারা সন্তান-সন্ততিকে যথাযোগ্য মানুষ রূপে গড়ে তোলা বুদ্ধিমানের কাজ।
মায়া রোগ হতে মুক্তিলাভের উপায় (The way to release from illusion diseases)
এটি একটি মারাত্মক রোগ। একমাত্র জ্ঞান ব্যতীত এ রোগের কোনো ঔষধ পৃথিবীতে নেই। এ রোগে যাকে একবার আক্রমণ করে সে প্রয়াণের পূর্বে আর রক্ষা পায় না। সেজন্য; এ রোগ হতে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য নিজের ও আপনজনের জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনীয় অর্থাদি ব্যয় করা। জ্ঞানী গুরু-গোঁসাইদের আশ্রম ও গবেষণাগার নির্মাণ করে দেওয়া। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা। অর্থাৎ; সম্পদ ব্যয় করার দ্বারাই মায়া রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। পরামর্শ রূপে বলা যায় নিজের ও পরিবারের পালন পোষণের চেয়ে অধিক অর্থ গ্রহণ করা কোনো বুদ্ধিমান লোকের কখনই উচিত নয়।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.