২৭/০৯. মিথিলা
Tripartite (ট্রাইপার্টাইট)/ ‘ثلاثي’ (ছালাসি)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘জরায়ু’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘জরায়ু’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘নিধুয়া’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘কুঞ্জ, ঢাকা, পাতাল, ফুল^২ ও স্বর্গপুর’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অম্বর, আকাশ ও বৈকুণ্ঠ’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘কাশী, দেবধাম, ব্রজধাম, মথুরা ও স্বর্গধাম’।

অভিধা (Appellation)
মিথিলা (বাপৌচা)বি ত্রিহুত, ত্রিবেণী, প্রাচীন বিদেহ tripartite, ‘ثلاثي’ (ছালাসি) (প্র) আধুনিক বিহারদেশ বা রাজ্য বিশেষ, trianguler, ‘ﻤﺜﻠﺚ’ (মুসাল্লাস) (শ্ববি) জরায়ু, গর্ভাশয়, uterus, womb, রেহেম (আ.ﺮﺤﻢ) (রূপ্রশ) অমরা, অযোধ্যা, অলকা, আকাশ, কর্মপুর, কাশী, ঢাকা, তপোবন, নিকুঞ্জ, নিধুবন, পাতাল, বৈকুণ্ঠ, মথুরা, মূলাধার, লঙ্কা, সাগর, স্বাধিষ্ঠান, হৃদয় (ইংপ) heaven, paradise (ফাপ) বেহেস্ত (ফা.ﺒﻬﺷﺖ) (ইপ) জান্নাত (আ.ﺠﻨﺎﺖ), আরশ (আ.ﻋﺭﺶ), ক্বলব (আ.ﻗﻟﺐ), মদিনা (আ.ﻤﺪﻴﻧﻪ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘জরায়ু’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; বর্তমান ভারতের আধুনিক বিহার রাজ্যকে মিথিলা বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, ঋতুমতীর জরায়ুকে রূপকার্থে মিথিলা বলা হয় (বাপৌছ) কাশী, দেবধাম, ব্রজধাম, মথুরা ও স্বর্গধাম (বাপৌচা) অম্বর, আকাশ, বৈকুণ্ঠ ও মিথিলা (বাপৌউ) কুঞ্জ, ঢাকা, পাতাল, ফুল^২ ও স্বর্গপুর (বাপৌরূ) নিধুয়া (বাপৌমূ) জরায়ু।

প্রপক (Extensive)/ ‘واسعة’ (ওয়াসায়া)
প্রাচীন রাজ্য ও বিদেহের (উত্তর বিহার) রাজধানী। রাজা জনকের নগর বলে প্রসিদ্ধ। অন্য নাম বিদেহ। এজন্য; মিথিলার রাজকন্যার নাম মৈথিলী বা বৈদেহী। বিশ্বামিত্র তাড়কা বধের সময় রাম ও লক্ষ্মণকে সঙ্গে করে এখানে এসেছিলেন।

মিথিলার সংজ্ঞা (Definition of tripartite)
সাধারণত; বর্তমান ভারতের আধুনিক বিহার রাজ্যকে মিথিলা বলে।

মিথিলার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of tripartite)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জরায়ুকে রূপকার্থে মিথিলা বলে।

মিথিলার প্রকারভেদ (Variations of tripartite)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মিথিলা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান মিথিলা ও ২. উপমিত মিথিলা।

১. উপমান মিথিলা (Analogical tripartite)
সাধারণত; বর্তমান ভারতের আধুনিক বিহার রাজ্যকে উপমান মিথিলা বলে।

২. উপমিত মিথিলা (Compared tripartite)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; ঋতুমতীর জরায়ুকে উপমিত মিথিলা বলে।

মিথিলার পরিচয় (Identity of tripartite)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘জরায়ু’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; ভারতের আধুনিক বিহার রাজ্যকে মিথিলা বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; জননতন্ত্রের সন্তান ধারণ ও পালনকারী অন্ত্রকে জরায়ু বা রূপকার্থে মিথিলা বলা হয়। যেহেতু; জরায়ু হতে লাল, সাদা ও কালো এ ৩টি ধারা প্রবাহিত হয়। সেহেতু; শ্বরবিজ্ঞানে; জরায়ুকে মিথিলা বলা হয়।

মিথিলা পরিভাষার ব্যাখ্যা (Explanation of the terminology tripartite (mithila)
১.    তিনটি বিষয়বস্তুর মিলনস্থলকে ‘ত্রিমিলা’ বলা হয়। এ ত্রিমিলা হতে পরবর্তীকালে ‘ত্রিমিলা’> ‘মিত্রিলা’> ‘মিতিলা’> ‘মিথিলা’ পরিভাষাটির উৎপত্তি হয়েছে। মিথিলা অর্থ যে কোনো ৩টির মিলনস্থল। বর্তমান মিথিলা পরিভাষাটির দ্বারা ত্রিপথ (তেমাথা), ত্রিপুর, ত্রিধারা, ত্রিমোহনা ও ত্রিগড় ইত্যাদি বুঝায়। সারাবিশ্বের সব শ্বরবিজ্ঞানীর মতে; জরায়ু হতে ৩টি ধারা প্রবাহিত হয়। সেজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; জরায়ুকে মিথিলা বলা হয়।
২.   সংস্কৃত মন্থন হতে মিথিলা পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। যথা; মন্থন> মিথি> মিথিলা (পৌরাণিক অভিধান)। যেহেতু; জরায়ু মন্থন করে রস সৃষ্টি করে এবং সে রস দ্বারা সন্তান লালনপালন করে। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; জরায়ুকে মিথিলা বলা হয়।
৩.   বাংলা ‘মধুরা’ (মৌচাক) হতে ‘মিথিলা’ পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। অর্থাৎ; মধুরা (মৌচাক)> মথুরা> মথুলা> মথিলা> মিথিলা হয়েছে। এ সূত্র হতে বলা যায় ‘মধুরা’ পরিভাষাটিরই বিকৃত রূপ হলো ‘মথুরা’। পরবর্তীকালে মিথিলা পরিভাষাটির উদ্ভব হয়েছে। জরায়ুতে মধুর মতো গুণ বিশিষ্ট অমৃত উৎপন্ন হয়। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে ও পুরাণে জরায়ুকে মিথিলা বলা হয়।