৯৩/১. মূর্তি
Idol (আইডল)/ ‘وثن’ (ওয়াসন)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘সন্তান’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘সন্তান’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘প্রতিমা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘শৈবাল ও সঞ্জীব’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘অপত্য ও পরকাল’।
অভিধা (Appellation)
মূর্তি (বাপৌরূ)বি দেহ, রূপ, আকৃতি, কাঠামো, ঠাট, অবকাঠামো, প্রতিচ্ছবি, প্রতিমূর্তি, idol, ‘وثن’ (ওয়াসন) (শ্ববি) সন্তান, অপত্য, সন্ততি, পুত্রকন্যা, child, বাচ্চা (ফা.ﺒﭼﻪ), আওলাদ (আ.ﺍﻮﻻﺪ), জুররিয়া (আ.ﺬﺭﻴﺔ), আবনাউ (আ.ﺍﺒﻨﺎﺀ) (রূপ্রশ) ভাস্কর্য, প্রতিমা, প্রতিমূর্তি, প্রতিকৃতি, দেবমূর্তি (ইপ) ‘ﻮﺛﻦ’ (ওয়াসান) (ইংপ) offspring, progeny (ইপৌছ) আখিরাত (আ.ﺍﺧﺭﺖ), পুতলা (হি.ﭙﺗﻼ), ফরজন্দ (ফা.ﻔﺭﺰﻨﺩ), শরিক (আ.ﺸﺭﻴﻚ), হাশর (আ.ﺤﺸﺭ) (ইংপ) statue, figure (দেপ্র) এটি; সন্তান পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; সর্বপ্রকার মূর্তমান পদার্থকেই বাংলায় ‘মূর্তি’ বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, জীবের পুনর্জন্মকে রূপকার্থে ‘মূর্তি’ বলা হয় (বাপৌছ) অপত্য ও পরকাল (বাপৌচা) শৈবাল ও সঞ্জীব (বাপৌউ) প্রতিমা (বাপৌরূ) মূর্তি (বাপৌমূ) সন্তান।
মূর্তির ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of idol)
“অনাত্ম নিবৃত্তি হলে, নিষ্ঠারতী তারে বলে, কাম ব্রহ্মাণ্ড সাকার মূলে, উদয় হয় গুরুমূর্তি।” (পবিত্র লালন-৭৭/৩)।
মূর্তির সংজ্ঞা (Definition of idol)
সাধারণত; সর্বপ্রকার মূর্তমান পদার্থকেই মূর্তি বলে।
মূর্তির আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of idol)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবের পুনর্জন্মকে সন্তান বা রূপকার্থে মূর্তি বলে।
মূর্তির পরিচয় (Identity of idol)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘সন্তান’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ বিশেষ। মূর্তমান সর্বপ্রকার পদার্থকেই মূর্তি বলা হয় বা ছবি, ভাস্কর্য, প্রতিমা, প্রতিমূর্তি ও প্রতিকৃতি ইত্যাদিকেই মূর্তি বলা হয়। অর্থাৎ; মূর্তমান সবকিছুকেই মূর্তি বলা হয়। উল্লেখ্য যে; বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পদার্থ প্রধানত দুই প্রকার। যথা; ১. মূর্ত ও ২. বিমূর্ত। আবার আরেকদল মনীষীর মতে; পদার্থ তিন প্রকার। যথা; ১. আকার ২. সাকার ও ৩. নিরাকার। তবে; পদার্থ বিজ্ঞান মতে; পদার্থ তিন প্রকার। যথা; ১. কঠিন ২. তরল ও ৩. বায়বীয়। তারমধ্যে; আকার ও সাকার এবং কঠিন ও তরল পদার্থকে মূর্ত এবং নিরাকার ও বায়বীয় পদার্থকে বিমূর্ত বলা হয়। অর্থাৎ; যা কিছু দেখা যায় বা স্পর্শ করা যায় তাই মূর্ত এবং যা দেখা যায় না বা স্পর্শও করা যায় না তাই বিমূর্ত। অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এ যে; বাংভারতের প্রায় সব মতবাদের সাম্প্রদায়িক মনীষী ও অনুসারীরা, এমনকি; পরম্পরা-জ্ঞানধারী পারম্পরিকরাও মূর্তি বলতে কেবর মাটি, পাথর, স্বর্ণ, ব্রঞ্জ কিংবা পিতল দ্বারা নির্মিত প্রতিমাকেই বুঝিয়ে থাকেন। হিন্দুরা স্বহস্তে এসব পদার্থ দ্বারা নির্জীব প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করেন বলে সবাই তাদের প্রতি ভ্রূকুঞ্চিত করে তাদের মন্দ বলে উপহাস করে থাকেন। মানুষের মনে এখনও ভাষাশিল্পের যথেষ্ট উন্নতি হয় নি। কারণ; ভাষাশিল্পের উন্নতি হলে মানুষ মূর্ত ও বিমূর্তের মধ্যে পার্থক্যগুলো সামান্য হলেও বুঝতে ও জানতে পারতেন। সর্বপ্রকার কঠিন ও তরল পদার্থই যে মূর্তি, এমনকি; মানুষ, গোরু, ছাগল, পাহাড়, পর্বত, মাছ ও গাছ সবই যে মূর্তি তাও অনেক সাম্প্রদায়িক মনীষী ও পারম্পরিকরা জানে না। একদিকে; যেমন; হিন্দুরা যে ধর্মকর্ম (cult) করে তাও মূর্তিপূজা; অন্যদিকে; তেমনই; মুসলমানরা যে ধর্মকর্ম করে তাও মূর্তিপূজা। সাম্প্রদায়িকতা বিচারে কেবল পার্থক্য হলো হিন্দুরা কৃত্রিমমূর্তি নির্মাণ করেই পূজা করেন কিন্তু মুসলমানরা সরাসরি প্রাকৃতিক মূর্তিপূজা করেন।
হিন্দু ও মুসলমানদের মূর্তিপূজা করার মধ্যে পদ্ধতিগত, ধরণ-ধারণ, সময়গত কিছু পার্থক্য থাকলেও তাত্ত্বিক কোনো পার্থক্য নেই। যেমন; শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল সন্তানকেই প্রকৃতমূর্তি এবং সন্তানপালন করাকেই প্রকৃত মূর্তিপূজা বলা হয়। সে সূত্র মতে; যেমন; হিন্দুরাও সন্তান নামক মূর্তিপূজায় সিদ্ধহস্ত; তেমনই; মুসলমানরাও সন্তান গ্রহণ ও লালনপালন করতে চির অভ্যস্ত। সুমহান শ্বরবিজ্ঞানীগণ বলেন যে; “স্থূলভাবে যেসব ভাস্কর্য ও প্রতিমা নির্মাণ করে পূর্জা করা হয় তা কখনই প্রকৃতমূর্তি নয় এবং এসব ভাস্কর্য ও প্রতিমা পূর্জা করাকে কখনই প্রকৃতি মূর্তিপূজা বলা যায় না। কারণ; নির্জীব এসব ভাস্কর্য ও প্রতিমাকে কেবল প্রতীকী মূর্তি ধরা হয়।
পরিশেষে বলা যায় ধাতু নির্মিত কোনো মূর্তিকে শ্বরবিজ্ঞানে; কখনই মূর্তি বলা হয় না বরং এ সাহিত্যে কেবল সন্তানকেই প্রকৃতমূর্তি এবং সন্তান লালনপালন করাকেই প্রকৃত মূর্তিপূজা বলা হয়। অঞ্চলভেদে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক মতবাদের অনুসারীদের উপাসনা করার পদ্ধতিগত কিছু কিছু পার্থক্য থাকা একান্ত আবশ্যক। তা না হলে সব সাম্প্রদায়িক মতবাদের উপাসনা পদ্ধতির অবকাঠামো যদি একই হতো তবে তো তাকে ভিন্ন সাম্প্রদায়িক মতবাদ বলারই কোনো প্রয়োজন হতো না। তাহলে তো বিশ্বে সাম্প্রদায়িক কোনো দ্বন্দ্বই থাকত না। যেমন; লালন সাঁইজি লিখেছেন; “সবাই কী আর হবেরে মন ধর্মপরায়ণ, যার যার কর্ম সে সে করে তোমার বলা অকারণ” (পবিত্র লালন- ৫১৫/১)।”
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.