৮৬/২. ময়না
Myna (মাইনা)/ ‘ميناه’ (মিনা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শান্তি’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘শান্তি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘স্বর্গ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘ময়না’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘সুখচাঁদ’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘পাখি^৪’। এ পরিভাষাটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘কানাই, বিদ্যুৎ, মন, পালনকর্তা ও শান্তি’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ব্যাপক পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা প্রত্যেক পাঠকের একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য।

অভিধা (Appellation)
ময়না^১ (বাপৌউ)বিস্ত্রী শালিকজাতীয় সুকণ্ঠ পাখি, myna, ‘ميناه’ (মিনা) (শ্ববি) স্বর্গ, স্বাধীনতা (ইংপ) heaven, paradise (ইপ) জান্নাত (আ.ﺠﻨﺎﺖ), বেহেস্ত (ফা.ﺒﻬﺷﺖ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শান্তি’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. শালিকজাতীয় এক প্রকার সুকণ্ঠ পাখিকে ময়না বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; শান্তিকে রূপকার্থে ময়না বলা হয় (বাপৌছ) পাখি^৪ (বাপৌচা) সুখচাঁদ (বাপৌউ) ময়না (বাপৌরূ) স্বর্গ (বাপৌমূ) শান্তি।

ময়না^২ (বাপৌছ)বিস্ত্রী ডাকিনী, খলস্বভাবা নারী, রাজা মাণিকচন্দ্রের যাদুকারিণী রমণী Jস্ত্রী ময়নামতী (ময়নাবুড়ী) (বাপৌছ) আদিপিতা, আদিমানব, আদ্যাশক্তি, দৈত্য^২, মহামায়া, মা ও স্বর্গীয়-ফল (বাপৌচা) দুর্গা, নারাঙ্গী, বেহুলা, রতী, রাধা, সীতা ও সুন্দরী (বাপৌউ) অমির, আঙ্গুর, ধেনু, নির্যাস, পদ্ম, পিতৃধন ও রুটি (বাপৌরূ) ধন (বাপৌমূ) শুক্র।

ময়নার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of myna)
১.   “আউয়ালে আল্লাহর নূর, দুয়োমে তওবার ফুল, ছিয়মেতে ময়নার গলার হার, চাহরামে সিতারা পঞ্চমে ময়ূর।” (পবিত্র লালন- ৫৭৩/২)।
২.   “আমার সোনার ময়না-পাখি, কোন দেশেতে গেলি উইড়ারে, দিয়া মোরে ফাঁকিরে।” (মোহাম্মদ ওসমান খান)।

এখানে; কবি ময়না-পাখি বলতে কেবল সুখকেই বুঝিয়েছেন। কারণ; পাখি দ্বারা যদিও শ্বরবিজ্ঞানে আত্মা, কানাই, ভৃগু, মন ও শান্তি ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’কে বুঝায়। যেহেতু; এখানে; ময়না-পাখি উড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেহেতু; এখানে; নিশ্চিতভাবে বলা যায়; ময়না বলতে শান্তি। কারণ; ‘আত্মা, কানাই, ভৃগু ও মন’ ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’গুলো একস্থান হতে অন্যস্থানে উড়ে যেতে পারে না। কেবল শান্তিই কিছুদিন থাকে আবার কিছুদিন অন্য কোথাও উড়ে যায়। এছাড়াও; বলা যায় শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত ‘ময়না’ পরিভাষাটি দ্বারা কোথাও সুখ, কোথাও আত্মা ও কোথাও মন বুঝায়।

ময়নার ওপর একটি পূর্ণ বলন (A full Bolon on the myna)
“ময়না যাওরে যাও উড়িয়া
বিরহিণীর দুঃখ কইও
বন্ধুরে বুঝাইয়ারে
(প্রাণ) বন্ধুরে বুঝাইয়া।

অভাগিনী ছটফট করে
বন্ধু হারা হইয়া (ময়না)
চোখের জলে নদী বহে
কাঁন্দিয়া কাঁন্দিয়া।

বন্ধু বিনা কী লাভ হবে
রূপ-যৌবন রাখিয়া (ময়না)
কয়কাল থাকব বন্ধুর পানে
চাহিয়া চাহিয়া।

বিষের বড়ি দিতে কইও
হাট হতে কিনিয়া (ময়না)
বন্ধুর স্মরণ করব বলন
ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া।” (বলন তত্ত্বাবলী)।

ময়নার সংজ্ঞা (Definition of myna)
সাধারণত; শালিকজাতীয় এক প্রকার সুকণ্ঠ পাখিকে ময়না বলে।

ময়নার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of myna)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; জীবকুলকে সজীব রাখতে সাহায্যকারী বিদ্যুৎকে রূপকার্থে ময়না বলে।

ময়নার পরিচয় (Identity of myna)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বিদ্যুৎ’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’। সাধারণত; শালিকজাতীয় এক প্রকার সুকণ্ঠ পাখিকে ময়না বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; জীবকুলকে সজীব রাখতে সাহায্যকারী বিদ্যুৎকে রূপকার্থে ময়না বলা হয়। যেমন; ময়না সবার অত্যন্ত প্রিয়। আত্মাও তেমনই; সবার অত্যন্ত প্রিয় বলেই এর এমন ছদ্মনামকরণ করা হয়েছে। তবে; শ্বরবিজ্ঞানে; কোথাও কোথাও ময়না বলতে বনের সাধারণ ময়না পাখিকেও বুঝায়। যেমন;  বলন কাঁইজি বলেছেন; “ময়না যাওরে যাও উড়িয়া, বিরহিণীর দুঃখ কইও প্রাণ বন্ধুরে বুঝাইয়ারে।” এখানে; ময়না অর্থ শালিকজাতীয় সুকণ্ঠ পাখিবিশেষ। স্মরণীয় যে শ্বরবিজ্ঞানে; ব্যাক্যের ভাবের ওপরই পরিভাষার অর্থ নির্ভর করে।