৮৪/৩. লাউ২
Calabash (ক্যালাবাস)/ ‘قرعيات’ (কারা‘য়িয়াত)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজস্বলা’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘রজস্বলা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘ধনী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘সুশোভিতবৃক্ষ’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘বিল্বস্তনী’। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘স্ফীতাঙ্গ’ ও ‘রজস্বলা’ এ দুটি ব্যাপক ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’রই পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন।
অভিধা (Appellation)
লাউ২ (বাপৌছ)বিস্ত্রী অলাবু, কদু, তুম্বী, কুমড়াজাতীয় ফল, বাদ্যযন্ত্র রূপে ব্যবহৃত লাউয়ের খোল, calabash, ‘قرعيات’ (কারা‘য়িয়াত) প্রাচীনকালে মৃত ঘোষণা হওয়ার পর স্নান করিয়ে চিতাশালে নিয়ে মুখাগ্নি করার পূর্বে জেগে ওঠে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার কারণে কুলচ্যুতা হতে হয়েছে এমন দুঃখিনী নারী (শ্ববি) যুবতী, তরুণী, প্রাপ্তযৌবনা, girl, ফাতাত (আ.ﻔﺘﺎﺓ), শাব্বাত (আ.ﺷﺒﺔ) (রূপ্রশ) আর্তবা, দৃষ্টরজা, পুষ্পিতা, রজস্বলা, রজস্বিনী (ইপ) জোত (আ.ﺿﯾﻌﺔ), জারিয়া (আ.ﺟﺎﺮﻴﺔ) বিণ কিতাবি (আ.ﻜﺘﺎﺑﻰ), যিরাতি (আ.ﺯﺮﺍﻋﺗﯽ) (ইংপ) menses, marriageable (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজস্বলা’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবী’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; কুমড়াজাতীয় এক প্রকার ব্যঞ্জনকে লাউ বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; রজস্বলাকে রূপকার্থে লাউ বলা হয় (বাপৌছ) লাউ২ (বাপৌচা) বিল্বস্তনী (বাপৌউ) সুশোভিতবৃক্ষ (বাপৌরূ) ধনী (বাপৌমূ) রজস্বলা।
লাউয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of calabash)
১. “লাউয়ের এত মধু, জানে গো যাদু (এত মধু গো), লাউ করলাম সঙ্গের সঙ্গী (হায়রে)।” (গীতিকার অজ্ঞাত)।
২. “সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী, লাউয়ের আগা খাইলাম, ডোগা গো খাইলাম, লাউ দি বানাইলাম ডুগডুগী (আমি)।” (গীতিকার অজ্ঞাত)।
লাউয়ের ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি
(A highly important quotations of calabash)
“সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী,
লাউয়ের আগা খাইলাম,
ডোগা গো খাইলাম,
লাউ দি বানাইলাম ডুগডুগী (আমি)।
লাউয়ের এত মধু,
জানে গো যাদু (এত মধু গো),
লাউ করলাম সঙ্গের সঙ্গী (হায়রে)।
আমি গয়া গেলাম,
কাশী গো গেলাম (গয়া গেলাম গো),
সঙ্গে নাই মোর বৈষ্ণবী (হায়রে)।”
গীতিকার পাওয়া যায় নি। সুর ও কথা প্রচলিত।
লাউয়ের সংজ্ঞা (Definition of calabash)
সাধারণত; কুমড়াজাতীয় এক প্রকার ব্যঞ্জনকে লাউ বলে।
লাউয়ের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of calabash)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রজস্বলা বা যুবতীকে লাউ বলে।
লাউয়ের প্রকারভেদ (Variations of calabash)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; লাউ দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান লাউ ও ২. উপমিত লাউ।
১. উপমান লাউ (Analogical calabash)
সাধারণত; কুমড়াজাতীয় এক প্রকার ব্যঞ্জনকে উপমান লাউ বলে।
২. উপমিত লাউ (Compared calabash)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রজস্বলা বা যুবতীকে উপমিত লাউ বলে।
লাউ লৌকিকা (Legendary of calabash)
রজস্বলা বা যুবতীকে লাউ বলার একটি লৌকিকা সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এমন ঘটনাবলী সাধারণত; কোথাও কোথাও পূর্বকালে ঘটত! তবে এসব ঘটনা যে আদিমযুগ কিংবা প্রাচীনযুগের তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বর্তমানে এমন নির্মম হিন্দু সংস্কার বিদ্যমান আছে বলে জানা নেই। লৌকিকাটি হলো; “তুলসীতলায় স্নান সেরে চিতাশালে নিয়ে মুখাগ্নি করার পূর্বে জেগে ওঠা হিন্দু মৃতনারীকে পূর্বকালে লাউ বলা হতো। অর্থাৎ; প্রয়াতা ঘোষণাকারিণী কোনো হিন্দু রমণীর শব তুলসীতলায় নিয়ে যথানিয়মে স্নানকার্য সমাপ্ত করার পর শ্মশানঘাটে নিয়ে মুখাগ্নি করার পূর্বে প্রয়াতার সম্বিত ফিরে এলে কিংবা প্রয়াতা জেগে উঠলে তাকে প্রচলিত হিন্দুসমাজ আর গ্রহণ করে না। কোনো কোনো আঞ্চলিক হিন্দুসমাজ তাঁকে সমাজচ্যুতা করে ছাড়ে। এ সমাজচ্যুতা দুঃখিনী রমণীকে লাউ বলা হয়। তেমনই; প্রয়াত ঘোষণাকারী কোনো হিন্দু ব্যক্তির শব তুলসীতলায় নিয়ে যথানিয়মে স্নানকার্য সমাপ্ত করার পর শ্মশানঘাটি নিয়ে মুখাগ্নি করার পূর্বে প্রয়াতব্যক্তির সম্বিত ফিরে এলে কিংবা প্রয়াতব্যক্তি জেগে উঠলে তাকে প্রচলিত হিন্দুসমাজ আর গ্রহণ করে না। কোনো কোনো আঞ্চলিক হিন্দুসমাজ তাঁকে সমাজচ্যুত করে ছাড়ে। এমন সমাজচ্যুত ব্যক্তিকে কুলচ্যুত বলা হয়। এ সমাজচ্যুত হতভাগ্য ব্যক্তিকে অর্থ; সম্পদ, আত্মীয়-স্বজন সবকিছু বর্তমান থেকেও নিঃস্ব হয়ে পথে পথে ঘুরতে হয় আমরণ।
নিয়তির নির্মম পরিহাস এসব কুলচ্যুত ও লাউরা সমাজের পরগাছা রূপে জীবনযাপন করতে থাকে। কোনো জাতি বা গোত্রই তাদের নিকট কন্যা বা ছেলে বিবাহ দিতে চান না। অতঃপর; একান্ত নিরূপায় হয়েই এক সময় কুলচ্যুত ও লাউরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। এমন দম্পতির দ্বারা যে বংশধারা প্রবর্তিত হয়, তাদের বৈরাগী-বৈষ্ণবী বলা হতো। উপরোক্ত সূত্র ধরেই শ্বরবিজ্ঞানে যুবতীকে লাউ বলা হতো। এ হতেই অধিকাংশ গবেষক বিশ্বাস করেন যে; “সাধের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী” এই গানটি নির্মিত হয়েছে। পূর্বকালে বঙ্গদেশের হিন্দু সমাজে এ ধরণের কুসংস্কার থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে; নিশ্চিত করে বলা যায় যে; কোনো না কোনো সূত্র ধরেই এমন লোকগীতির উদ্ভব!
এছাড়াও; লাউ সম্পর্কে আরও অনেক অজানা কিংবদন্তি সমাজে প্রচলিত রয়েছে। আলোচ্য লাউ ব্যঞ্জনের জন্য ব্যবহৃত লাউ যে নয়, তা বড় শক্ত করেই বলা যায়। আশা করি পাঠককুল কিছুটা হলেও পুরাণ নির্মাণের কৌশলগুলো অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। তেমনই; বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পৌরাণিক সাহিত্যাদি নির্মাণের মৌলিক উপাদান যে আদৌ রক্তমাংসে গড়া মানুষ নয়- এটা এখন সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়েছে।
লাউয়ের পরিচয় (Identity of calabash)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজস্বলা’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। সাধারণত; কুমড়াজাতীয় এক প্রকার ব্যঞ্জনকে লাউ বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; ‘স্ফীতাঙ্গ’ ও ‘রজস্বলা’ উভয়কে লাউ বলা হয়। এখানে; কেবল যুবতী বা রজস্বলাকেই লাউ বলা হয়েছে। স্মরণীয় যে; হাজার হাজার ধরে রূপকাররা ‘স্ফীতাঙ্গ’ ও ‘রজস্বলা’ এ দুটি সত্তাকে ‘উপমিত’ লাউ ধরেই পুরাণ নির্মাণ করে আসছেন। তবে; ‘উপমানলাউ’ অবশ্যই ব্যঞ্জন। অথচ সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা পৌরাণিক সাহিত্যাদির মধ্যে ব্যবহৃত ‘লাউ’ পরিভাষাটির দ্বারা কেবল ব্যঞ্জনরূপ উপমান অর্থই গ্রহণ করে আসছেন। “এটি; তাদের চিরন্তন অনীহার নিরন্তর ভুল।” এসব কারণেই সাম্প্রদায়িকরা আত্মদর্শন জ্ঞানে চিরদিনের জন্য চিরান্ধ।
লাউ কদু না যুবতী? (Calabash gourd or menstruous?)
হাস্যকর বিষয় হলো ছিন্নমূল এসব সাম্প্রদায়িক ও সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা ও আলোচকরাই আবার আত্মজ্ঞানী ও মরমীদের বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে বেড়ায়। কথায় বলে- “ঝাঁজর হয়ে চালুনের ফুটা গণা।” আলোচনার যবনিকায় এসে বলা যায় সাম্প্রদায়িক ও সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা কেবল লাউই নয় বরং শ্বরবিজ্ঞানের ৯৯ ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র মধ্যে মাত্র ৭টি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র সঠিক অভিধা জানে অবশিষ্ট ৯২টি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র প্রকৃত অভিধা জানে না। অর্থাৎ; সাম্প্রদায়িকরা সাম্প্রদায়িক জ্ঞানের ৭% জানে এবং ৯২% জানে না। তাই; তাদের মধ্যে এত বিভেদ-বৈষম্য ও দলাদলি। তাই; তাদের একই মতবাদের মধ্যে এত উপদল, শাখাদল, অধিদল ও প্রতিদল। শ্বরবিজ্ঞানের ৯৯টি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ নিচে তুলে ধরা হলো।
শ্বরবিজ্ঞানের ৯৯ মূলক (The ninety-nine radical of theology)
১. অজ্ঞতা ২. অতীতকাহিনী ৩. অন্যায় ৪. অবিশ্বাসী ৫. অর্ধদ্বার ৬. অশান্তি ৭. আগধড় ৮. আয়ু ৯. আশীর্বাদ ১০. আশ্রম ১১. ইঙ্গিত ১২. উপমা ১৩. উপস্থ ১৪. উপহার ১৫. উপাসক ১৬. কানাই ১৭. কাম ১৮. কামরস ১৯. কিশোরী ২০. কৈশোরকাল ২১. গবেষণা ২২. গর্ভকাল ২৩. চক্ষু ২৪. চন্দ্রচেতনা ২৫. চিন্তা ২৬. জন্ম ২৭. জরায়ু ২৮. জীবনীশক্তি ২৯. জ্ঞান ৩০. ডান ৩১. তীর্থযাত্রা ৩২. দুগ্ধ ৩৩. দেহ ৩৪. দেহযন্ত্র ৩৫. দেহাংশ ৩৬. নর ৩৭. নরদেহ ৩৮. নারী ৩৯. নারীদেহ ৪০. নাসিকা ৪১. ন্যায় ৪২. পঞ্চবায়ু ৪৩. পঞ্চরস ৪৪. পবিত্রতা ৪৫. পরকিনী ৪৬. পাঁচশতশ্বাস ৪৭. পাছধড় ৪৮. পালনকর্তা ৪৯. পুরুষ ৫০. পুরুষত্ব ৫১. প্রকৃতপথ ৫২. প্রথমপ্রহর ৫৩. প্রয়াণ ৫৪. প্রসাদ ৫৫. প্রেমিক ৫৬. বন্ধু ৫৭. বর্তমানজনম ৫৮. বলাই ৫৯. বসন ৬০. বাম ৬১. বার্ধক্য ৬২. বিদ্যুৎ ৬৩. বিনয় ৬৪. বিশ্বাসী ৬৫. বৃদ্ধা ৬৬. বৈতরণী ৬৭. ব্যর্থতা ৬৮. ভগ ৬৯. ভালোবাসা ৭০. ভৃগু ৭১. মন ৭২. মনোযোগ ৭৩. মানুষ ৭৪. মুমুর্ষুতা ৭৫. মুষ্ক ৭৬. মূত্র ৭৭. মূলনীতি ৭৮. মোটাশিরা ৭৯. যৌবন ৮০. যৌবনকাল ৮১. রজ ৮২. রজকাল ৮৩. রজপট্টি ৮৪. রজস্বলা ৮৫. শত্রু ৮৬. শান্তি ৮৭. শুক্র ৮৮. শুক্রধর ৮৯. শুক্রপাত ৯০. শুক্রপাতকারী ৯১. শেষ প্রহর ৯২. শ্বাস ৯৩. সন্তান ৯৪. সন্তানপালন ৯৫. সপ্তকর্ম ৯৬. সৃষ্টিকর্তা ৯৭. স্ফীতাঙ্গ ৯৮. স্বভাব ও ৯৯. হাজার শ্বাস।
এর মধ্যে মাত্র ১৩টি মূলক প্রধান সত্তা। সাম্প্রদায়িক বা পারম্পরিকদের পরিচিত ১৩টি মূলকপ্রধান মূলক নিচে তুরে ধরা হলো।
মূলক-প্রধান বারো মূলক সত্তা
(The twelve radical main radical entities)
১/১৯. কিশোরী ২/২৩. চক্ষু ৩/২৫. চিন্তা ৪/৩২. তীর্থযাত্রা ৫/৪২. পঞ্চবায়ু ৬/৪৩. পঞ্চরস ৭/৪৬. পাঁচশত শ্বাস ৮/৪৯. পুরুষ ৯/৫৬. বন্ধু ১০/৭১. মন ১১/৭৯. যৌবন ও ১২/৯৯. হাজার শ্বাস।
আর এ ১২টি মূলক প্রধান ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র মধ্যে মাত্র ৮টি মূলক প্রধান ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র সঠিক অভিধা সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা প্রায় জানে। কিন্তু ৫/৪২. পঞ্চ বায়ু ৬/৪৩. পঞ্চ রস ৭/৪৬.পাঁচশত শ্বাস ও ১২/৯৯. হাজার শ্বাস; এ ৪টি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র সঠিক অভিধা আজও তারা দিতে পারে নি। অবশিষ্ট ৮৬টি এবং আরও ৪টি মোট ৯০টি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র প্রকৃত অভিধা (উপমিত পদ) তারা জানে না।
এবার দৃঢ়তার সাথে বলা যায় যে; শ্বরবিজ্ঞানের মাত্র ১০% জ্ঞানের ধারক-বাহক হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা ও ব্যৈখ্যিকরা। কিন্তু ৯৯% জ্ঞানের ধারক-বাহক হচ্ছেন আত্মতত্ত্ববিদ, আত্মজ্ঞানী দার্শনিক ও মরমীগণ। এ কারণেই সাম্প্রদায়িকদের মধ্য হতে উদ্ভব হয় দলাদলি, আতঙ্কবাদ, উগ্রবাদ, যুদ্ধ, সংগ্রাম, বধ, বলি, হনন, হত্যা ও নরঘাতক বিদ্রোহী। অন্যদিকে; আত্মজ্ঞানীদের মধ্যে হতে উদ্ভব হয় শান্তি-শৃংখলা, সুখীপরিবার, রূপকার, বোদ্ধা ও জগদ্বিখ্যাত মহামানব। পরিশেষে বলতে চাই শ্বরবিজ্ঞানে ব্যবহৃত ‘লাউ’ পরিভাষাটির দ্বারা বিশ্বের কোনো শ্বরবিজ্ঞানে কোথাও কখনই ‘কদু’ ও ‘অলাবু’ ইত্যাদি বুঝানো হয় না। বরং এর দ্বারা সর্বদা যুবতী বা রজস্বলাকেই বুঝানো হয়। এজন্য; প্রচলিত সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক গোঁড়ামি ও কুসংস্কার পরিহার করে নিজেকে জানা ও নিজেকে চেনার জন্য আত্মদর্শন চর্চা ও অনুশীলন করা প্রত্যেক পাঠক-শ্রোতার একান্ত প্রয়োজন বলে আত্মজ্ঞানী দার্শনিক ও আত্মজ্ঞানী বিজ্ঞানীদের অভিমত।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.