৪০/৩. শঙ্খ
Conch (কনচ্)/ ‘محارة’ (মাহারা)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘নাসিকা’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘নাসিকা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘বাঁশী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘বীণ ও বেণু’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘বেণুকা ও শুষির’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘শিঙ্গা’।
অভিধা (Appellation)
শঙ্খ (বাপৌছ)বি ১. শিঙ্গা, বিষাণ, ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শিং বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র, conch, ‘محارة’ (মাহারা), horn, ‘نفير’ (নুফির) ২. শামুকাজাতীয় সামুদ্রিক প্রাণী (শ্ববি) নাসিকা, নাক, নাসা, nose, আনফ (আ.ﺍﻨﻑ) (প্রাঅ) বাঁশী বাঁশরি, বংশী, বেণু, মুরলী, সুষির, flute, ‘ﻤﺰﻤﺎﺮ’ (মিঝমার) (রূপ্রশ) কুকুর, প্রহরী, বায়ুকল, রক্ষী, শিঙ্গা, diarchy (বাদে) নাস্য (ইদে) ইস্রাফিল (আ.ﺍﺴﺮﺍﻔﻴﻞ) (ইংপ) horn, trumpet (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘নাসিকা’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শামুক বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বাদ্যযন্ত্রকে শঙ্খ বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; নাসিকাকে উপমার্থে বাঁশী বা শঙ্খ বলা হয় (বাপৌছ) শঙ্খ ও শিঙ্গা (বাপৌচা) বেণুকা ও শুষির (বাপৌউ) বীণ ও বেণু (বাপৌরূ) বাঁশী (বাপৌমূ) নাসিকা।
(প্রপক) (Extensive)
শঙ্খ পৌরাণিক এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র বিশেষ। এছাড়াও; এটি; শ্রীকৃষ্ণের শঙ্খ পাঞ্চজন্য, যুধিষ্ঠিরের অনন্তবিজয়, ভীমের পৌ-, অর্জুনের দেবদত্ত, নকুলের সুঘোষ ও সহদেবের মনিপুষ্পক নামেই পরিচিত।
শঙ্খের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of conch)
১. “ইস্রাফিলের শিঙ্গার রবে, আসমান জমিন উড়ে যাবে, হবে নৈরাকারময়- কে ভাসবে কোথায়, যখন আসবে কালশমন।” (পবিত্র লালন- ৬৩১/২)।
২. “নয় ছিদ্রের শিঙ্গা লইয়া, দুইছিদ্রে বাজাইছে বইয়া, ডান কী বাম ধরিয়া, বিখণ্ডন সমুত্থান ঘটায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৯)।
৩. “মক্কার ঘরের মধ্যে শুনি, একজন দেয় শিঙ্গায় ধ্বনি, কী নাম তার নাহি জানি, ক্ষণেক বলে হরিবোল (পবিত্র লালন- ৫৯৭/৩)।
৪. “মরার শিঙ্গা ধরে মরায়, উচিত জানাজা করে সেথায়, সে মরা আবার মরলে, জানাজা তার রয় কোথায়।” (পবিত্র লালন- ৭৬৯/৩)।
শঙ্খের সংজ্ঞা (Definition of conch)
সাধারণত; ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শামুক বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বাদ্যযন্ত্রকে শঙ্খ বলে।
শঙ্খের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of conch)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নাসিকাকে উপমার্থে বাঁশী বা শঙ্খ বলে।
শঙ্খের প্রকারভেদ (Variations of conch)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে শঙ্খ দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান শঙ্খ ২. উপমিত শঙ্খ।
১. উপমান শঙ্খ (Analogical conch)
সাধারণত; ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শামুক বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বাদ্যযন্ত্রকে উপমান শঙ্খ বলে।
২. উপমিত শঙ্খ (Compared conch)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নাসিকাকে উপমার্থে বাঁশী বা উপমিত শঙ্খ বলে।
শঙ্খের পরিচয় (Identity of conch)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘নাসিকা’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শঙ্খ/ বড় শামুক বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বাদ্যযন্ত্রকে শঙ্খ বলা হয়। তবে; শ্বরবিজ্ঞানে; জীবের নাসিকাকেই শঙ্খ বলা হয়। নাসিকারূপ এ শঙ্খকেই মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের বাঁশী বলা হয়েছে। নাসিকাই হচ্ছে কুরানে বর্ণিত দাউদের বাঁশী ও মুসলমানদের রূপকথার ইস্রাফিলের মহাধ্বংসের শিঙ্গা। বর্তমানে মরমীগীতি ও মরমীকাব্য সাহিত্যে এ পরিভাষাটি নিয়ে অসংখ্য লেখালেখি দেখতে পাওয়া যায়। নিচে কয়েকটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হলো।
ইসলামী পুরাণ অনুসারে; শঙ্খবাদক দেবতা শঙ্খ বাজিয়ে প্রলয়ক্রিয়া ও পুনরুত্থান ক্রিয়া সম্পাদন করে থাকেন। তাদের মতে; তাঁর নাম ইস্রাফিল। তিনি যখন তাঁর শঙ্খতে প্রথম ফুৎকার করেন তখন পৃথিবী ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং যখন দ্বিতীয় ফুৎকার করেন তখন মানুষের পুনরুত্থান হয়। এ রূপক বিবরণটির আত্মতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা এই যে; এখানে; শঙ্খ হচ্ছে নাসিকা, পৃথিবী পিতার দেহ, প্রথম ফুৎকার পিতার বীর্যপাত হওয়ার সময় নির্গত নিঃশ্বাস ও দ্বিতীয় ফুৎকার সন্তানের নাসিকাযোগে প্রবেশকৃত প্রথম-শ্বাস। ঘটনাবলীর বিবরণ- এই যে পিতা মৈথুনে মিলিত হওয়ার সাথে সাথেই তাঁর শ্বসনক্রিয়া ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাঁর হৃদস্পন্ধন গতি। সর্বশেষ স্পন্ধন গতি যখন প্রতি মিনিটে (বর্তমান গণনা অনুযায়ী) ৮৪ পর্যন্ত পৌঁছে যায় তখন শুক্রপাত হয়। শুক্রপাতের সময় প্রবাহিত নিঃশ্বাসটিই পিতার দেহরূপ পৃথিবী ধ্বংসের ফুৎকার। শুক্রপাতের দ্বারা দেহরূপ পৃথিবী ক্রমে ক্রমে ধ্বংস হতে থাকে। এজন্য; একে পৃথিবী ধ্বংসের সাথে তুলনা করা হয়। অতঃপর; উক্ত বীর্য মাতৃগর্ভে প্রবেশ করে সন্তান সৃষ্টি করে। উক্ত সন্তান যথা সময়ে ভূমিষ্ঠ হয়। অতঃপর; সন্তানের মুখ বা নাসিকা দ্বারা সর্বপ্রথম যখন শ্বাসরূপ বাতাস প্রবেশ তখন সন্তান উঁয়া উঁয়া করে কেঁদে ওঠে। এ প্রথম শ্বাসকেই দ্বিতীয় ফুৎকার বলা হয়। সন্তান জীবন্ত হওয়াকেই শ্বরবিজ্ঞানে পুনরুত্থান বলা হয়।
এবার বলা যায় মানবসন্তানের ক্ষেত্রে শঙ্খবাদকের প্রথম ফুৎকার এবং দ্বিতীয় ফুৎকারের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে প্রায় দশমাস বা ৩০০ দিন। মজার বিষয় হচ্ছে সাম্প্রদায়িক মুসলমান মনীষীগণ বিষয়টির আত্মতাত্ত্বিক কোনো গবেষণা না করেই এটি;কে অনেক অনেক দূরবর্তী ভবিষ্যতে নিয়ে গিয়ে বর্ণনা করে থাকেন। এটা শুনে শ্রোতারা ঠিক পৃথিবী নামক গ্রহের ধ্বংস কল্পনা করে থাকে এবং পুনরুত্থান বলতে মাটির সমাধি হতে ওঠে আসা বলে বুঝে থাকে। সাধারণ; সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা শঙ্খবাদক দেবতা বলতে একজন মানুষ এবং শঙ্খ বলতে শিল্পীদের হাতে বাজানো আড়বাঁশী বা বাঁশের বাঁশী বা নলের বাঁশীর মতো এমন একটি বাঁশী বলেই বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে। পরিশেষে বলতে চাই সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদি হচ্ছে জীবনবিধান। যেমন; জীবনবিধান কখনই সৌর-বিধান হতে পারে না; তেমনই; সৌর-বিধানও জীবনবিধান হতে পারে না। যেমন; জীবনবিধান দ্বারা সৌর-বিধানের ব্যাখ্যা করাও সঠিক নয়; তেমনই; সৌর-বিধান দ্বারাও জীবন বিধানের ব্যাখ্যা করাও সঠিক নয়। আত্মতত্ত্ব জ্ঞানহীন সাধারণ অনুবাদকরা সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির অনুবাদ ও ব্যৈখ্যিকরা সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে- যেমন; জীবনবিধানের ব্যাখ্যা সৌরবিধান দ্বারা করেছেন; আবার তেমনই; সৌর-বিধানের ব্যাখ্যাও জীবনবিধান দ্বারা করেছেন। আধ্যাত্মিক জ্ঞানহীন খুষ্কমুষ্ক অনুবাদক, ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকরা এমন করতে গিয়েই সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির প্রকৃতদর্শন একেবারে লেজে গোবরে করে ফেলেছে।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.