৮১/১৭.  শতরূপা
Eve (ইভ)/ ‘حواء’ (হাওয়া)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘রজ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘জোয়ার’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘গরল^২, তিক্তজল, বন্যা, লালবাতি, সংবাদপত্র ও হলাহল’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অরুণ, নক্ষত্র, বসিধ, মহল্লাল, রংলাল ও লালিমা’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘আদিমাতা, ঘোষক^২, শেষবসিধ, সরস্বতী ও ধর্মপ্রচারক’।

অভিধা (Appellation)
শতরূপা বিণস্ত্রী শতবর্ণে পরিশোভিতা, বিভিন্ন বর্ণে সুশোভিতা, eve, ‘حواء’ (হাওয়া) (আপভ) সরস্বতী, বিদ্যাদেবী, কলাদেবী, বাণী, সারদা, ভারতী, বাগ্দেবী, মহাশ্বেতা, souvenir, ‘تذكار’ (তাযকারা) (প্র) বাঙালী পুরাণ অনুসারে; সরস্বতী দেবী, ব্রাহ্মণ কন্যা সাবিত্রী। বাঙালী পুরাণ মতে; ইনি ‘আদিমাতা’ বলে পরিচিত। অন্যদিকে; আরবীয় পুরাণ মতে; তৌরাতে বর্ণিত ‘হাওয়া’, ‘حواء’ আদিমাতা বলে পরিচিত (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. বাঙালী পুরাণে বর্ণিত; আদিমাতাকে শতরূপা বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; রজকে শতরূপা বলা হয় (বাপৌছ) আদিমাতা, ঘোষক^২, শতরূপা, শেষবসিধ ও সরস্বতী (বাপৌচা) অরুণ, নক্ষত্র, বসিধ, মহল্লাল, রংলাল ও লালিমা (বাপৌউ) গরল, তিক্তজল, বন্যা, লালবাতি, সংবাদপত্র ও হলাহল (বাপৌরূ) জোয়ার (বাপৌমূ) রজ।

শতরূপার সংজ্ঞা (Definition of eve)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; আদিমাতাকে শতরূপা বলে।

শতরূপার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of eve)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রজকে শতরূপা বলে।

শতরূপার প্রকারভেদ (Variations of eve)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শতরূপা দুই প্রকার। ১. উপমান শতরূপা ও ২. উপমিত শতরূপা।

১. উপমান শতরূপা (Analogical eve)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; আদিমাতাকে উপমান শতরূপা বলে।

২. উপমিত শতরূপা (Compared eve)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রজকে উপমিত শতরূপা বলে।

প্রপক (Extensive)
বাঙালী পুরাণ অনুসারে; শতরূপা বিশ্বের প্রথম নারী। তাই; তাকে আদিমাতা বলা হয়। এক বর্ণনা মতে; তিনি ব্রহ্মার কন্যা। ব্রহ্মা কন্যার সাথে প্রথম মনু স্বায়ম্ভূবের সৃষ্টি করেন। অন্য বর্ণনায় দেখা যায় তিনি ব্রহ্মার স্ত্রী। কিন্তু মনুর মাতা নহেন। শতরূপাকে সাবিত্রীও বলা হয়। বাঙালী পুরাণ অনুসারে; ব্রহ্মার মানসপুত্ররা প্রজা সৃষ্টি করতে অসম্মত হলে ব্রহ্মা প্রজা বৃদ্ধির মানসে নিজেকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন। একভাগ নারী ও অন্যভাগ পুরুষ। এদের সঙ্গমের ফলে মনুর জন্ম হয়। ব্রহ্মার নারী অংশই ছিল শতরূপা। স্বায়ম্ভূব মনু হতে শতরূপার গর্ভে প্রিয়ব্রত ও উত্তানপাদ নামে দুই পুত্র ও কাকুতি ও প্রসূতি নামে দুই কন্যা জন্মগ্রহণ করে। মৎস্য পুরাণে বর্ণিত আছে- নয়জন মানসপুত্র সৃষ্টি করার পর ব্রহ্মা একজন কন্যা সৃষ্টি করেন। এ কন্যাই শতরূপা, সাবিত্রী, গায়ত্রী, সরস্বতী ও ব্রাহ্মণী নামে খ্যাতা। ব্রহ্মা শতরূপার রূপে বিমুগ্ধ হয়ে তাঁকেই বিয়ে করেন। এ কন্যার গর্ভে ব্রহ্মা হতে স্বায়ম্ভূব মনুর জন্ম হয়। অন্য বর্ণনা মতে; তিনি স্বায়ম্ভূব মনুর স্ত্রী ছিলেন।

শতরূপার পরিচয় (Identity of eve)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজ’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। বাঙালী পুরাণ অনুসারে; মানবের আদিমাতার নাম শতরূপা। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; নারীজাতীর মাসিক ঋতুস্রাব বা রজস্রাবকে শতরূপা বলা হয়। মানবীর নিকট লালবর্ণে, গাভী-ছাগীর নিকট সাদাবর্ণে ও উদ্ভিদকুলের নিকট নানাবর্ণে আবির্ভূত হয় বলে একে শতবর্ণা বা শতরূপা বলা হয়। শতরূপা বা সরস্বতী দেবীর আগমন না হলে দেহবিশ্ব সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় বলেই শ্বরবিজ্ঞানে একে আদিমাতা বলা হয়। অন্যদিকে; মুসলমান মনীষীদের রূপক বর্ণনা মতে; তাদের আদিমাতাকে ‘حواء’ (হাওয়া) বলা হয়। ‘حواء’ (হাওয়া) অর্থ লালবর্ণ বা রক্তিম আভা। অতএব; মুসলমানদের ‘حواء’ (হাওয়া) ও হিন্দুদের ‘শতরূপা’ ও ‘সরস্বতী’ এবং খ্রিস্টানদের Eve (ইভ) মানবদেহের একই সত্তা। তা হলো নারীজাতির ‘রজ’।