৪০/৪. শিঙ্গা
Clarion (ক্লারিওন)/ ‘النفير’ (আন্নাফির)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘নাসিকা’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘নাসিকা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘বাঁশী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘বীণ ও বেণু’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘বেণুকা ও শুষির’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘শঙ্খ’।
অভিধা (Appellation)
শিঙ্গা (বাপৌছ)বি শিঙা, বিষাণ, ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শিং বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বাদ্যযন্ত্র, clarion, ‘النفير’ (আন্নাফির), horn, ‘نفير’ (নুফির) (প্রাঅ) বাঁশী বাঁশরি, বংশী, বেণু, মুরলী, সুষির, flute, ‘ﻤﺰﻤﺎﺮ’ (মিঝমার) (শ্ববি) নাসিকা, নাক, নাসা, nose, আনফ (আ.ﺍﻨﻑ) (রূপ্রশ) কুকুর, প্রহরী, বায়ুকল, রক্ষী, শিঙ্গা, diarchy (বাদে) নাস্য (ইদে) ইস্রাফিল (আ.ﺍﺴﺮﺍﻔﻴﻞ) (ইংপ) horn, trumpet (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘নাসিকা’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শিং বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বাদ্যযন্ত্রকে শিঙ্গা বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; নাসিকাকে শিঙ্গা বলা হয় (বাপৌছ) শঙ্খ ও শিঙ্গা (বাপৌচা) বেণুকা ও শুষির (বাপৌউ) বীণ ও বেণু (বাপৌরূ) বাঁশী (বাপৌমূ) নাসিকা।
শিঙ্গার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of clarion)
১. “ইস্রাফিলের শিঙ্গার রবে, আসমান জমিন উড়ে যাবে, হবে নৈরাকারময়- কে ভাসবে কোথায়, যখন আসবে কালশমন।” (পবিত্র লালন- ৬৩১/২)।
২. “নয় ছিদ্রের শিঙ্গা লইয়া, দুইছিদ্রে বাজাইছে বইয়া, ডান কী বাম ধরিয়া, বিখণ্ডন সমুত্থান ঘটায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৫৯)।
৩. “মক্কার ঘরের মধ্যে শুনি, একজন দেয় শিঙ্গায় ধ্বনি, কী নাম তার নাহি জানি, ক্ষণেক বলে হরিবোল (পবিত্র লালন- ৫৯৭/৩)।
৪. “মরার শিঙ্গা ধরে মরায়, উচিত জানাজা করে সেথায়, সে মরা আবার মরলে, জানাজা তার রয় কোথায়।” (পবিত্র লালন- ৭৬৯/৩)।
শিঙ্গার সংজ্ঞা (Definition of clarion)
সাধারণত; ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শিং বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত বাদ্যযন্ত্রকে শিঙ্গা বলে।
শিঙ্গার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of clarion)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নাসিকাকে শিঙ্গা বলে।
শিঙ্গার প্রকারভেদ (Variations of clarion)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শিঙ্গা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান শিঙ্গা ২. উপমিত শিঙ্গা।
১. উপমান শিঙ্গা (Analogical clarion)
সাধারণত; ফুঁ দিয়ে বাজানোর শিং বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত বাদ্যযন্ত্রকে উপমান শিঙ্গা বলে।
২. উপমিত শিঙ্গা (Compared clarion)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; নাসিকাকে উপমিত শিঙ্গা বলে।
শিঙ্গার পরিচয় (Identity of clarion)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘নাসিকা’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; ফুঁ দিয়ে বাজানোর জন্য শিং বা ধাতু দ্বারা প্রস্তুত এক প্রকার বাদ্যযন্ত্রকে শিঙ্গা বলা হয়। তবে; শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল জীবের নাসিকাকেই শিঙ্গা বলা হয়। এ নাসিকারূপ এ শিঙ্গাকেই বলা হয় মহামতি শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের বাঁশী। এ নাসিকাই হলো কুরানে বর্ণিত দাউদের বাঁশী। এটি; হলো মুসলমানদের রূপকথায় বর্ণিত ইস্রাফিলের মহাধ্বংসের শিঙ্গা। বর্তমানে মরমীগীতি ও মরমী সাহিত্যে এ শিঙ্গা নিয়ে অসংখ্য লেখালেখি দেখতে পাওয়া যায়।
ইসলামী পুরাণ অনুসারে; শিঙ্গবাদক দেবতা শিঙ্গা বাজিয়ে প্রলয়ক্রিয়া ও পুনরুত্থান ক্রিয়া সম্পাদন করে থাকেন। তাদের মতে; তাঁর নাম ইস্রাফিল। তিনি যখন তাঁর শিঙ্গাতে প্রথম ফুৎকার করেন তখন পৃথিবী ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং যখন দ্বিতীয়বার ফুৎকার করেন তখন মানুষের পুনরুত্থান হয়ে। এ রূপক বিবরণটির দেহতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা এ যে; এখানে; শিঙ্গা হলো নাসিকা, পৃথিবী পিতার দেহ, প্রথম ফুৎকার পিতার শুক্রপাত হওয়ার সময় নির্গত নিঃশ্বাস ও দ্বিতীয় ফুৎকার সন্তানের নাসিকাযোগে প্রবেশকৃত প্রথমশ্বাস। ঘটনাবলীর বিবরণ- পিতা মৈথুনে মিলিত হওয়ার সাথে সাথেই তাঁর শ্বসনক্রিয়া ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। সাথে সাথে বাড়তে থাকে তাঁর হৃদস্পন্ধন গতি। সর্বশেষ স্পন্ধনগতি যখন প্রতি মিনিটে (বর্তমান গণনা অনুযায়ী) ৮০ হতে ৮৪ পর্যন্ত পৌঁছে যায় তখন শুক্রপাত হয়। শুক্রপাতের সময় প্রবাহিত নিঃশ্বাসটিই পিতার দেহরূপ পৃথিবী ধ্বংসের ফুৎকার। শুক্রপাতের দ্বারা দেহরূপ পৃথিবী ক্রমে ক্রমে ধ্বংস হতে থাকে। এজন্য; একে পৃথিবী ধ্বংসের সাথে তুলনা করা হয়।
অতঃপর; উক্ত শুক্র মাতৃগর্ভে প্রবেশ করে সন্তান সৃষ্টি করে। উক্ত সন্তান যথা সময়ে ভূমিষ্ঠ হয়। অতঃপর; সন্তানের মুখ বা নাসিকা দ্বারা সর্বপ্রথম যখন শ্বাসরূপ বাতাস প্রবেশ তখন সন্তান উঁয়া উঁয়া করে কেঁদে ওঠে। এ প্রথম শ্বাসকেই দ্বিতীয় ফুৎকার বলা হয়। সন্তান জীবন্ত হওয়াকেই শ্বরবিজ্ঞানে পুনরুত্থান বলা হয়। এবার বলা যায় মানবসন্তানের ক্ষেত্রে শিঙ্গাবাদকের প্রথম ফুৎকার এবং দ্বিতীয় ফুৎকারের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে প্রায় দশমাস বা ৩০০ দিন। মজার বিষয় হলো সাম্প্রদায়িক মুসলমান মনীষীগণ বিষয়টির দেহতাত্ত্বিক কোনো গবেষণা না করেই এটি;কে অনেক অনেক দূরবর্তী ভবিষ্যতে নিয়ে গিয়ে বর্ণনা করে থাকেন। তা শুনে শ্রোতারা ঠিক পৃথিবী নামক গ্রহের ধ্বংস কল্পনা করে বসে এবং পুনরুত্থান বলতে মাটির সমাধি হতে ওঠে আসা বলে বুঝে থাকে। সাধারণ সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা শিঙ্গাবাদক দেবতা বলতে একজন মানুষ এবং শিঙ্গা বলতে শিল্পিদের হাতে বাজানো আড়বাঁশী বা বাঁশের শিঙ্গা বা নলের শিঙ্গার মতো এমন একটি শিঙ্গা বলেই বুঝে থাকেন।
পরিশেষে বলতে চাই সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদি হলো জীবনবিধান। যেমন; জীবনবিধান কখনই সৌরবিধান হতে পারে না; তেমনই; সৌরবিধানও জীবনবিধান হতে পারে না। যেমন; জীবনবিধান দ্বারা সৌরবিধানের ব্যাখ্যা করাও সঠিক নয়; তেমনই; সৌরবিধান দ্বারাও জীবনবিধানের ব্যাখ্যা করাও সঠিক নয়। আত্মতত্ত্ব-জ্ঞানহীন সাধারণ অনুবাদকরা সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির অনুবাদ ও ব্যৈখ্যিকগণ সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে; যেমন; জীবনবিধানের ব্যাখ্যা সৌরবিধান দ্বারা করেছেন; আবার তেমনই; সৌরবিধানের ব্যাখ্যাও জীবনবিধান দ্বারা করেছেন। আধ্যাত্মিক জ্ঞানহীন খুষ্কমুষ্ক অনুবাদক, ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকগণ এমন করতে গিয়েই সাম্প্রদায়িক গ্রন্থাদির প্রকৃতদর্শন একেবারে লেজে গোবরে করে নাস্তাবুদ করে ছেড়েছেন বৈ নয়। অর্থাৎ; শ্বরবিজ্ঞানে নাসিকাকে উপমিত পদ রূপে বলা হয় শঙ্খ বা শিঙ্গা। কিন্তু সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরা এটি;কে টেনে এমন লম্বাই করে থাকে যে; শেষে সাধারণ পাঠক- শ্রোতারা এর প্রকৃত মূলই খুঁজে পায় না।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.