৬১/২. শুকনা গাছ
Sterile (স্টেরাইল)/ ‘عاقرة’ (আক্বিরা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বার্ধক্য’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘বার্ধক্য’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘অচল’। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘কিশোরী’, ‘কৈশোরকাল’ ও ‘বার্ধক্য’ ইত্যাদি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’রই উপমান পদ রূপে ব্যবহৃত হয়। এজন্য; বর্ণনার ক্ষেত্র অনুযায়ী এর সঠিক আত্মতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা একান্ত প্রয়োজন।

অভিধা (Appellation)
শুকনা (বাপৌছ)বিণ শুকনো, শুষ্ক, খুষ্ক, মলিন, বিষন্ন, অসার, ফাঁকা, নিরস, রসহীন, জলহীন, মাধুর্যহীন, লাবণ্যহীন।

শুকনা গাছ (বাপৌছ)বি মৃতবৃক্ষ, প্রাণহীন বৃক্ষ, sterile, ‘عاقرة’ (আক্বিরা), ‘مجدب’ (মুজদাব), dried tree, ‘شجرة جافة’ (শাজারুন জাফা) (শ্ববি) বার্ধক্য, জরা, বৃদ্ধাবস্থা, পৌঢ়ত্বের পরবর্তী বয়স (রূপ্রশ) জীর্ণতা (ইপ) শাইব (ﺷﻴﺐ), শাইখুখা (ﺷﻴﺧﻮﺧﺔ) (ইংপ) old age (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বার্ধক্য’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; মরাবৃক্ষকে শুকনাগাছ বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; বৃদ্ধা ও গতার্তবাকে শুকনাগাছ বলা হয় (বাপৌছ) শুকনাগাছ (বাপৌরূ) অচল (বাপৌমূ) বার্ধক্য {বাং.মরা+ বাং.গাছ}

শুকনা গাছের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of sterile)
১.   “মরা গাছেতে তাজা কলি বসন্তে শুকাইয়া যায়, জল দিলে মূল শুকাইয়া বৃক্ষের পত্র ঝইরা যায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৬)।
২.   “হলো না ভজন সাধনা, মরাগাছে ফুল ফুটল না, বলন কয় হয়রে জানা, জানলে পরে নাকের যম।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৯৮)।

শুকনা গাছের সংজ্ঞা (Definition of sterile)
সাধারণত; মরাবৃক্ষকে শুকনা গাছ বলে।

শুকনা গাছের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of sterile)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; বৃদ্ধা ও গতার্তবাকে শুকনা গাছ বলে।

শুকনা গাছের প্রকারভেদ (Variations of sterile)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শুকনা গাছ দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান শুকনা গাছ ও ২. উপমিত শুকনা গাছ।

১. উপমান শুকনা গাছ (Analogical sterile)
সাধারণত; মরা বৃক্ষকে উপমান শুকনা গাছ বলে।

২. উপমিত শুকনা গাছ (Compared sterile)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; বার্ধক্যকে উপমিত শুকনা গাছ বলে।

শুকনাগাছের পরিচয় (Identity of sterile)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘বার্ধক্য’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; মরাগাছকে শুকনাগাছ বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল কিশোর-কিশোরী, কৈশোরকাল ও বার্ধক্যকে শুকনাগাছ হয়। তবে; এখানে; শুকনাগাছ বলতে কেবল বার্ধক্যকে বুঝানো হয়েছে। যেমন; শুকনাগাছে ফুল ও ফল থাকে না; তেমনই; বার্ধক্যকালে বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের নিকটও শুক্র, দুগ্ধ, রজ, সুধা, মধু ও প্রেম থাকে না। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও বার্ধক্যকে শুকনাগাছ বলা হয়। অর্থাৎ; মরাগাছ বা শুকনাগাছ বলতে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বা বার্ধক্যকালকে বুঝায়। অর্থাৎ; শ্বরবিজ্ঞানে; কিশোর-কিশোরী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে শুকনাগাছ বলা হয়।

অত্যন্ত মজার বিষয় হলো বাংভারতের অধিকাংশ সাম্প্রদায়িক মনীষী-বক্তা ও আলোচক এবং পারম্পরিক বাউল, গায়ক ও বক্তারা শুকনাগাছ বলতে মরাগাছকে বুঝেন এবং বুঝিয়ে থাকেন। তারা প্রায়ই বলে থাকেন “অমুক সাধু মরাগাছে ফুল ফুটিয়েছেন”, এবং “অমুকসাধু মরাগাছের নিচে তপ-জপ করেছেন” ইত্যাদি। শ্বরবিজ্ঞানে; ব্যবহৃত মরাগাছ বা শুকনাগাছে ফুল ফুটানো অর্থ কিশোর-কশোরীর যুবক-যুবতীতে পরিণত হওয়া এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা আবার সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করা।