৮১/১৮.  শেষবসিধ
Lastly (লাস্টলি)/ ‘خاتمة’ (খাতিমা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘রজ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘জোয়ার’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘গরল^২, তিক্তজল, বন্যা, লালবাতি, সংবাদপত্র ও হলাহল’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘অরুণ, নক্ষত্র, বসিধ, মহল্লাল, রংলাল ও লালিমা’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘আদিমাতা, ঘোষক^২, শতরূপা ও সরস্বতী’।

অভিধা (Appellation)
শেষবসিধ (বাপৌছ)বি ১.অন্তিম দূত, শেষ দূত, সর্বশেষ সাংবাদিক ২.অবতার, দূত, চর, বসিধ, বাহক, সাংবাদিক, সারথি, lastly, ‘خاتمة’ (খাতিমা), end journalist, ‘نهاية صحافي’ (নিহাইয়া সহাফি), prophet, ‘نبي’ messenger (প্রাঅ) দৈবদূত, বার্তাবাহক, দৈববাণী বহনকারী (ব্য্য) অরজার যৌবনের সংবাদ নিয়ে আসে বলে শ্বরবিজ্ঞানে রজকে শেষ সাংবাদিক বা শেষবসিধ বলা হয় (প্র) শ্বরবিজ্ঞানীদের মতে; স্বর্গীয় বাণীসহ প্রেরিত ঐশি মহাপুরুষ (শ্ববি) যৌবনাবতার, যৌবনের সংবাদদাতা (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; সর্বশেষ দূতকেই শেষবসিধ বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; রজকে শেষবসিধ বলা হয় (বাপৌছ) আদিমাতা, ঘোষক^২, শতরূপা, শেষবসিধ ও সরস্বতী (বাপৌচা) অরুণ, নক্ষত্র, বসিধ, মহল্লাল, রংলাল ও লালিমা (বাপৌউ) গরল, তিক্তজল, বন্যা, লালবাতি, সংবাদপত্র ও হলাহল (বাপৌরূ) জোয়ার (বাপৌমূ) রজ।

শেষবসিধের সংজ্ঞা (Definition of lastly)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সর্বশেষ দূতকেই শেষবসিধ বলে।

শেষবসিধের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of lastly)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; রজকে শেষবসিধ বলে।

শেষবসিধের প্রকারভেদ (Variations of lastly)
সাধারণত; শেষবসিধ দুই প্রকার। ১. উপমান শেষবসিধ ও ২. উপমিত শেষবসিধ।

১. উপমান শেষবসিধ (Analogical lastly)
সাধারণত; সর্বশেষ দূতকেই উপমান শেষবসিধ বলে।

২. উপমিত শেষবসিধ (Compared lastly)
শ্বরবিজ্ঞানে; রজকে উপমিত শেষবসিধ বলে।

শেষবসিধের পরিচয় (Identity of lastly)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘রজ’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকায় এর ন্যূনাধিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে; এ পরিভাষাটি একেক গ্রন্থে একেক ভাষায় ব্যবহার হওয়ার কারণে সাধারণ পাঠক-পাঠিকা ও শ্রোতাদের তেমন দৃষ্টিগোচর হয় না। সাধারণ সাহিত্যে সর্বশেষ সাংবাদিককে শেষ-বসিধ বলা হয়। অন্যদিকে; শ্বরবিজ্ঞানে কেবল রজকে শেষ-বসিধ বলা হয়। সারা বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুরাণের ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকরা এ পরিভাষাটির প্রকৃত অভিধা না জেনে ও না বুঝে এর অর্থ করেছে- সর্বশেষ সাম্প্রদায়িক অবতার। সাম্প্রদায়িক মুসলমান মনীষীগণ একে ‘خاتم النبى’ (খাতামান নবী) বলে অভিহিত করে থাকেন। কিন্তু ‘خاتم النبى’ (খাতামান নবী) এর সঠিক অর্থ হচ্ছে সাংবাদিকের আংটি। মুসলমান মনীষীগণ একান্ত মনগড়া ভাবেই ‘خاتم ’ (খতম) পরিভাষাটির অর্থ শেষ বলে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে আত্মজ্ঞানীদের অনেক প্রকার মতামত রয়েছে। তারা মনে করেন যে; এটি; নারীদেহের শেষ বসিধ। আর তা হচ্ছে ‘রজস্রাব’।

কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করার পর- মাতৃগর্ভ হতে তার সাথে সাসে আসে, মাথার চুল ও হাত পায়ের নখ। তারপর; স্বর্গ হতে অবতরণ করে তার দাঁত। তারপর; দেহ সুগঠিত হয় ও কোমর মোটা হয়। তারপর; বুকের মাংস স্ফীত হয়ে উদ্গত হয় স্তন। বয়স ১২ হতে ১৪ বছর উত্তীর্ণ হলেই স্বর্গ হতে আগমন করে রজস্রাব। এর পরে আর কোনো স্বর্গীয় দেবতার আগমন ঘটে না। শ্বরবিজ্ঞানে দেহধামকে স্বর্গধাম বলা হয়। কন্যাসন্তান জন্মের পর ক্রমধারা অনুযায়ী স্বর্গধাম হতে তার দেহধামে সর্বপ্রথম দাঁত ও সর্বশেষে রজ আগমন করে থাকে। রজ আগমন করে কিশোরীকে যুবতী হওয়ার ঘোষণা বা সংবাদ প্রদান করে। নারীদেহে সর্বশেষে অবতরণ করে চূড়ান্ত সংবাদ প্রদান করে বলেই রজকে শ্বরবিজ্ঞানে সর্বশেষ বসিধ বলা হয়।