৪৫/৪. সাধিকা
Worshippress (ওয়ার্শিপ্রেস)/ ‘عَابدۃ’ (আবিদা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পরকিনী’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘পরকিনী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘গোপী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘বিদেশিনী’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘ঢেমনী’।

অভিধা (Appellation)
সাধিকা (বাপৌছ)বিস্ত্রী গোপী, গোপিকা, গোপিনী, ঢেমনী, রক্ষিতা, সেবিকা, worshippress, ‘عَابدۃ’ (আবিদা), lover, খিদন (আ.ﺨﺪﻦ), শুররিয়া (আ.ﺸﺮﻴﺔ), practice lady, ‘ﻋﺸﻴﻘﺔ ﺮﻴﺎﻀﺔ’ (আশিক্বাতুর রিয়াজা) (প্র) সাধু মহৎগণের স্ত্রীকে সাধনসঙ্গিনী বা সাধিকা বলা হয় (শ্ববি) কন্যা, রতী, বুড়ী, বেশ্যা, লক্ষ্মী, সুন্দরী (রূপ্রশ) পিতৃধন (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পরকিনী’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. শুক্র নিয়ন্ত্রণ সাধনে সাহায্যকারিণীকে গোপী বা সাধিকা বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; শুক্রকে সাধিকা বলা হয় (বাপৌছ) সাধিকা (বাপৌচা) ঢেমনী (বাপৌউ) বিদেশিনী (বাপৌরূ) গোপী (বাপৌমূ) পরকিনী {বাং.সাধক>}

সাধিকার ১টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (A highly important quotations of worshippress)
“তিনশত ষাট রসের মাঝার, তিনরস গণ্য হয় সাধিকার, সাধলে সে করণ- এড়াবে শমন, এ ভুবনে।” (পবিত্র লালন- ৪৮৮/৩)।

সাধিকার সংজ্ঞা (Definition of worshippress)
সাধারণত; শুক্র নিয়ন্ত্রণ সাধনে সাহায্যকারিণীকে গোপী বা সাধিকা বলে।

সাধিকার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of worshippress)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শুক্রকে সাধিকা বলে।

সাধিকার প্রকারভেদ (Variations of worshippress)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সাধিকা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান সাধিকা ও ২. উপমিত সাধিকা।

১. উপমান সাধিকা (Analogical worshippress)
সাধারণত; শুক্র নিয়ন্ত্রণ সাধনে সাহায্যকারিণীকে গোপী বা উপমান সাধিকা বলে।

২. উপমিত সাধিকা (Compared worshippress)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শুক্রকে উপমিত সাধিকা বলে।

সাধিকার পরিচয় (Identity of worshippress)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘পরকিনী’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। শুক্র নিয়ন্ত্রণ সাধনে সাহায্যকারিণীকে গোপী বা সাধিকা বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল শুক্রকে সাধিকা বলা হয়। বিশ্ববিখ্যাত আত্মজ্ঞানী দার্শনিক ও আত্মদর্শনের বিশিষ্ট মনীষীগণ এ ব্যাপারে একমত যে; সব সাধনের শ্রেষ্ঠ সাধন ‘নিষ্কামিতা’। নিষ্কামিতা হলো কাম হতে নিষ্কামী হওয়া। শুক্র নিয়ন্ত্রণ করা ব্যতীত নিষ্কামিতা অর্জন করা যায় না। এজন্য; শ্বরবিজ্ঞানে; শুক্রকে সাধিকা বলা হয়। বড় অবাক হবার বিষয় হলো বাংভারতের সর্বপ্রকার পারম্পরিক মনীষী ও বক্তারা সাধিকা বলতে কেবল রক্তমাংসে গড়া অপরূপা রমণীকেই বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। উপমান ও উপমিত অভিধা বিভ্রাট হতেই ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকরা ক্রমে ক্রমে সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকার মূলশিক্ষা হতে দূরে সরে গছেন।

অতঃপর; তাদের নির্মিত ব্যাখ্যা ও টীকা পড়ে পাঠক ও শ্রোতারা দলাদলী ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে। আমরা মনে করি এসব সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পৌরাণিক সহিংসতার জন্য ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকরাই বহুলাংশে অভিযুক্ত। এ হতে বর্তমানকালের লেখক, অনুবাদক, ব্যৈখ্যিক ও টৈকিকদেরও সতর্ক হওয়া উচিত। মরমী, সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পুস্তক-পুস্তিকাগুলো কেবল আত্মতত্ত্বমূলক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা একান্ত প্রয়োজন। অর্থাৎ; শ্বরবিজ্ঞানে; আলোচিত সাধিকাকে যদি রমণীদের মতো রক্তমাংসে গড়া রমণী কল্পনা করা হয়, তবে সব গবেষণাই বিফল হবে; এতে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই।