৮৭/১৪. সীতা
Furrow (ফারৌ)/ ‘ثلم’ (ছালম)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্র’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘শুক্র’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘ধন’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অমির, আঙ্গুর, ধেনু, নির্যাস, পদ্ম, পিতৃধন ও রুটি’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘দুর্গা, নারাঙ্গী, বেহুলা, রতী, রাধা ও সুন্দরী’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘আদিপিতা, আদিমানব, আদ্যাশক্তি, দৈত্য২, মহামায়া, মা ও স্বর্গীয় ফল’।
অভিধা (Appellation)
সীতা (বাপৌচা)বিস্ত্রী [রামায়ণ চরিত্র] ১. হলি, খাঁজ, রেখা, ভাঁজ, হলরেখা, লাঙ্গলরেখা, হলকর্ষণে সৃষ্ট গভীর খাত, গভীর কুঁচন, ভূমিতে লাঙল চালানোর চিহ্ন, হলকর্ষণে সৃষ্ট সংকীর্ণ খাত, হল চালনার ফলে ভূমিতে যে রেখা সৃষ্টি হয়, লাঙলের কর্ষণের ফলে ভূমিতে যে রেখা উৎপন্ন হয়, furrow, ‘ثلم’ (ছালম) ২. মুখমণ্ডলের, বিশেষত কপালের চামড়ার রেখা, ভাঁজ, কুঞ্চন, বলি qক্রি ১. খাঁজ কাটা, হাল চালাইয়া খাত করা, হাল দেত্তয়া, কুঁচিত করা, হলরেখা অঙ্কন করা ২. বলি অঙ্কিত করা (প্র) ভারতীয় বিখ্যাত পুরাণ রামায়ণে বর্ণিত জানকী, জনকনন্দিনী, রামচন্দ্রের স্ত্রী, বিদেহরাজ জনকের কন্যা (শ্ববি) শুক্র, শুক্রাণু, বীর্য, বিন্দু, ধাতু, semen, ‘আ.ﻤﻧﻰ’ (মনি), ‘আ.ﻧﻂﻔﺔ’ (নুত্বফা) (রূপ্রশ) গোবিন্দ, জল, বারি, পিতৃধন অহল্যা, কালী, দুর্গা, বৈষ্ণবী, সীতা (ইদে) ‘আ.ﺍﺪﻢ’ (আদম), ‘আ.عزى’ (উয্যা), ‘আ.ﺠﻦ’ (জিন), ‘ফা.ﭙﺮﻯ’ (পরি), ‘الزكاة’ (আজ্ঝাকাত), ‘আ.ﻟﻮﻄ’ (লুত্ব), ‘ﻴﺯﻴﺪ’ (ইয়াজিদ) ‘আ.ﺯﻟﻴﺠﺎ’ (জুলেখা), ‘আ. ‘ﺯﻫﺭﺍﺓ’ (জোহরা), ‘আ.بلقيس’ (বিলকিস) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্র’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; শ্বেতবর্ণা রমণীকে সীতা বলা হয় ২. শ্বরবিজ্ঞানে; পুরুষজাতির শুক্রকে রূপকার্থে সীতা বলা হয় (বাপৌছ) আদিপিতা, আদিমানব, আদ্যাশক্তি, দৈত্য২, মহামায়া, মা ও স্বর্গীয় ফল (বাপৌচা) দুর্গা, নারাঙ্গী, বেহুলা, রতী, রাধা, সীতা ও সুন্দরী (বাপৌউ) অমির, আঙ্গুর, ধেনু, নির্যাস, পদ্ম, পিতৃধন ও রুটি (বাপৌরূ) ধন (বাপৌমূ) শুক্র।
সীতার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of whitish)
১. “ফুল ছিটাও মনে মনে, বনমালীর ভাব জানো না, চৌদ্দ বছর বনে বনে রামের সনে, সীতা লক্ষ্মণ এ তিনজনা।” (পবিত্র লালন- ৪২৯/২)।
২. “সত্যযুগে সঙ্গে কৌশকী ছিল, ত্রেতায় সঙ্গী সীতা লক্ষ্মী হলো, দ্বাপরে সঙ্গিনী- রাধা রঙ্গিনী, কলির ভাবে তারা কোথায় রইল।” (পবিত্র লালন- ২৮০/৩)।
সীতার সংজ্ঞা (Definition of whitish)
সাধারণত; শ্বেতবর্ণা রমণীকে সীতা বলে।
সীতার আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of whitish)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; পুরুষজাতির শুক্রকে সীতা বলে।
সীতার প্রকারভেদ (Variations of whitish)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে সীতা দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান সীতা ও ২. উপমিত সীতা।
১. উপমান সীতা (Analogical whitish)
সাধারণত; শ্বেতবর্ণা রমণীকে উপমান সীতা বলে।
২. উপমিত সীতা (Compared whitish)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; শুক্রকে উপমিত সীতা বলে।
সীতার পরিচয় (Identity of whitish)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্র’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; শ্বেতবর্ণযুক্ত রমণীকে সীতা বলা হয় কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; শুক্রকে সীতা বলা হয়। বাংলা ‘শ্বেত’ পরিভাষার স্ত্রীলিঙ্গ শ্বেতা। এ শ্বেতা হতেই ‘সীতা’ পরিভাষাটির উৎপত্তি হয়েছে। যথা; শ্বেত> শ্বেতা> সেতা> সীতা।
বড় দুঃখজনক বিষয় হলো, কেবল বাংভারতীয় উপমহাদেশেই নয় বরং সারা পৃথিবীর সর্বত্র একই অবস্থা। সেটি হলো সারা বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা শ্বরবিজ্ঞানে; ব্যবহৃত এ ‘সীতা’ পরিভাষাটির দ্বারা কেবল দেবীবৎ কন্যাকেই বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ হলরেখা, লাঙ্গলরেখা, খাঁজ, হলকর্ষণে সৃষ্ট খাত, গভীর কুঁচন ইত্যাদিও বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। তাই; তারা তাদের স্বস্ব অনুবাদ ও অভিধানে এমনই লিখে রেখেছেন। এসব কারণে সাম্প্রদায়িকরা কখনই আত্মদর্শন বা আত্মতত্ত্ব জ্ঞানের সন্ধান পায় নি। আলোচনার শেষপ্রান্তে এসে বলা যায় আলোচিত ‘সীতা’ কখনই দেবীবৎ সীতা নয় বরং সীতা হলো পুরুষজাতির ‘শুক্র’। সীতার পিতা জনক হলো স্বয়ং ‘বলাই’ বা ‘শিশ্ন’। লঙ্কা হলো ‘নরদেহ’। সীতার প্রপক নিচে তুলে ধরা হলো।
(প্র) মিথিলার রাজা জনকের কন্যা। হল দ্বারা যজ্ঞভূমি কর্ষণ করার সময় রাজা জনক তাঁকে সীতায়, অর্থাৎ; লাঙ্গলের রেখার মধ্যে প্রাপ্ত হন। ক্ষেত্রের হলমুখের সীতা (রেখা) হতে উৎপন্ন বলে তাঁর নাম হয় সীতা। এ মানসী কন্যাকে জনক নিজ কন্যার মতো লালনপালন করতে লাগলেন। মহর্ষি কুশধ্বজের কন্যা বেদবতী রাবণ কর্তৃক হৃতধর্মা হবার ভয়ে জ্বলন্ত চিতায় প্রাণত্যাগ করার সময় রাবণকে বলেন; ত্রেতাযুগে আমিই তোমাকে বধ করার জন্য কোনো সাম্প্রদায়িক অযোনিসম্ভবা কন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করব। সে বেদবতীই ত্রেতায় সীতা রূপে অবতীর্ণ হন। দক্ষযজ্ঞের সময় মহাদেব ব্যবহৃত ধনু পূর্বপুরুষ দেবতাগণের নিকট হতে উত্তরাধিকার সূত্রে জনক পেয়েছিলেন। সীতা বিবাহযোগ্যা হলে রাজা জনক পণ করেন- যে এ হরধনু ভঙ্গ করবে তার হাতেই তিনি সীতাকে সমর্পণ করবেন। পৃথিবীর সব রাজা ও রাজকুমারগণ এ হরধনু তুলতে অসমর্থ হলে রামচন্দ্র অবলীলাক্রমে এ ধনুতে জ্যা রোপণ করে এ ধনু ভঙ্গ করেন ও পরে সীতাকে বিবাহ করেন। রাম সীতার পাণি গ্রহণ করার পর রাজা দশরথ রামকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করার সংকল্প করলে মন্থরা দাসীর প্ররোচিত রাণী কৈকেয়ীর প্রার্থনায় রামের বনবাস ও ভরতের রাজ্যলাভ হয়।
রামের নিষেধ সত্ত্বেও সীতা রাম ও লক্ষ্মণের সাথে স্বেচ্ছায় বনগমন করেন। চিত্রকূট ত্যাগের সময় অত্রিপত্নী অনুসুয়া সীতাকে দিব্য বরমাল্য, অলঙ্কার ও অঙ্গরাগ উপহার দেন। ণ্ডকারণ্যে বিরাট রাক্ষস সীতাকে হরণ করে কিন্তু রাম ও লক্ষ্মণ তাঁকে হত্যা করে সীতাকে উদ্ধার করেন। পঞ্চবটীতে বাস করার সময় রাবণ ভগিনী শূর্পণখা রাম ও লক্ষ্মণের নিকট প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে লাঞ্ছিতা হন। এ সংবাদে রাবণ ক্রুদ্ধ হয়ে সীতাকে হরণ করার জন্য অমাত্য (মন্ত্রী) মারীচকে স্বর্ণমৃগ রূপধারণ করিয়ে সীতাকে প্রলুব্ধ করেন। সীতার অনুরোধে রাম মায়ামৃগের অনুসরণ করলেন। মারীচ রামকে প্রলুব্ধ করে অনেক ব্যবধানে নিয়ে যায়। রাম শর নিক্ষেপ করলে মৃত্যুকালে মারীচ রামের কণ্ঠস্বর অনুকরণ করে ‘হা সীতা’, ‘হা লক্ষ্মণ’ বলে চিৎকার করতে থাকে। রামের কোনো কঠিন বিপদ মনে করে সীতা লক্ষ্মণকে রামের সন্ধানে প্রেরণ করেন।
লক্ষ্মণ সীতাকে রক্ষা করার জন্য রাম কর্তৃক আদিষ্ট হয়েছিলেন এবং রামের কোনো বিপদ হতে পারে না মনে করে কুটীরের বাইরে যেতে অস্বীকার করেন। তখন সীতা মতিভ্রমে লক্ষ্মণকে তীব্র তিরস্কার করে বললেন; তাঁকে কামনা করেন বলেই লক্ষ্মণ রামের বিপদে সাহায্য করতে অনিচ্ছুক। তখন বিব্রত হয়ে লক্ষ্মণ রামের অনুসন্ধানে বের হয়ে গেলে, পরিব্রাজক রূপে রাবণ সীতার নিকট উপস্থিত হন। সীতা অতিথি সৎকারের আয়োজন করেন। রাবণ তখন আত্মপরিচয় দিয়ে সীতাকে তাঁর সঙ্গে লঙ্কায় যেতে বলেন। সীতা ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করলে, রাবণ তাঁকে সবলে হরণ করে মায়াময় রথে লঙ্কার পথে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে জটায়ু রাবণকে বাধা দিলে, তিনি রাবণ কর্তৃক ছিন্নপক্ষ হয়ে ভূতলে পতিত হন। পথিমধ্যে সীতা অলঙ্কারাদি খুলে ফেলে দেন।
কিস্কিন্ধ্যার নিকটে এক পর্বতশৃঙ্গে পাঁচটি বানরকে দেখে সীতা তার ওড়না ও আভরণগুলো সেখানে ফেলে দেন। রাবণ প্রথমে সীতাকে নিয়ে লঙ্কার অন্তঃপুরে রাখেন। সীতা তাঁর বশে না আসায় রাবণ তাঁকে অশোক বনে রাক্ষসী বেষ্টিত অবস্থায় বন্দিনী করে রাখেন এবং বলেন যে; দ্বাদশ মাসের মধ্যে রাবণের বশ্যতা স্বীকার না করলে সীতাকে খণ্ডিত করে ভক্ষণ করা হবে। সীতার পরিত্যক্ষ অলঙ্কারাদির চিহ্ন ধরে জটায়ুর নির্দেশে রাম ও লক্ষ্মণ কিস্কিন্ধ্যায় উপস্থিত হয়ে সুগ্রীবের সাহায্যে সীতাকে অন্বেষণ করতে থাকেন। পরে হনুমান সাগর লঙ্ঘন করে লঙ্কা হতে সীতার সংবাদ ও অভিজ্ঞান স্বরূপ অঙ্গুরী নিয়ে আসেন।
অতঃপর; রাম বানরসেনার সাহায্যে সাগরে সেতু নির্মাণ করে লঙ্কায় উপস্থিত হন। রাবণ সীতাকে রামের মায়ামুণ্ড ও ধনুর্বাণ দেখিয়ে বশে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় অমাত্যদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য রাবণ সেস্থান ত্যাগ করতেই মায়ামুণ্ড ও ধনুর্বাণ অদৃশ্য হয় এবং বিভীষণ পত্নী সরমা প্রকৃত রহস্য জানিয়ে সীতাকে সান্তনা দেন। দীর্ঘ ছয়মাস যুদ্ধের পর রাবণ সবংশে নিহত হলে হনুমান সীতাকে আনতে যান ও সীতার পার্শ্বচরী রাক্ষসীদের বিনাশ করতে উদ্যত হন। সীতা হনুমানকে তা করতে নিষেধ করে বলেন; এ দাসীদের ক্ষমা করেন। সীতা রামের নিকট উপস্থিত হলে রাম সীতার চরিত্রে সন্দেহ প্রকাশ করে সীতাকে যথা ইচ্ছা যেতে বলেন। সীতা অভিমান করে রামকে তিরস্কার করে লক্ষ্মণকে চিতা প্রস্তুত করতে বলেন এবং অগ্নিতে প্রবেশকালে বলেন যে; “যদি আমি সতী হই এবং রামের প্রতি একনিষ্ঠ হই তবে স্বয়ং অগ্নিই আমাকে রক্ষা করবেন”। অগ্নিদেব স্বয়ং সীতাকে ক্রোড়ে নিয়ে ওঠেন এবং তাঁর সতিত্বের কথা বলে রামকে পুনরায় সীতাকে গ্রহণ করতে বললে রাম সীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরে আসেন ও ভরতের নিকট হতে রাজ্যভার গ্রহণ করেন। অতঃপর; সীতা অন্তঃসত্ত্বা হন। সীতার চরিত্রের বিশুদ্ধতা সম্বন্ধে রাম নিঃসন্দেহ হন। অন্যদিকে; ভদ্র নামক জনৈক হাস্যকারের সাহায্যে জানতে পারেন যে; প্রজাদের মনে সীতার চরিত্র সম্বন্ধে সন্দেহ রয়েছে। লোক অপবাদ খণ্ডন ও প্রজাদের সন্তুষ্টির জন্য রাম লক্ষ্মণকে দিয়ে সীতাকে তমসার তীরবর্তী বাল্মীকির আশ্রমে নির্বাসিত করেন।
এখানে; যথা সময়ে সীতার কুশ ও লব নামে যমজ সন্তান হয়। বাল্মীকি তাঁদের জাতকর্ম সম্পাদন করিয়ে শাস্ত্রশিক্ষা ও অস্ত্রশিক্ষা দেন। অতঃপর; তিনি নিজের নির্মিত রামায়ণ কণ্ঠস্থ করান। রাম অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করলে নিমন্ত্রিত বাল্মীকির সঙ্গে কুশ ও লব এ যজ্ঞে অংশগ্রহণ করে রামায়ণ গান করেন। তাদের গান শুনে রামের বিশ্বাস হয়ে যে; তারা সীতারই পুত্র। সীতাকে পুনরায় গ্রহণের জন্য রাম বাল্মীকির নিকট সংবাদ প্রেরণ করেন। সীতা যদি নিষ্পাপ হন, তবে তিনি যেন বাল্মীকির আদেশ নিয়ে আত্মশুদ্ধি করেন এবং সকলের সম্মুখে শপথ করেন। বাল্মীকি সম্মত হয়ে জানান যে; সীতা প্রয়োজনীয় শপথ ও পরীক্ষা দিবেন। পরদিন সভামধ্যে বাল্মীকি সীতার নির্দোষিতার কথা প্রকাশ করেন। রাম বাল্মীকিকে বলেন, সীতার শুদ্ধ স্বভাবের কথা তিনি জানেন, কেবল লোক অপবাদ ভয়েই তিনি সীতাকে ত্যাগ করেছিলেন। সেজন্য; বাল্মীকি যেন রামকে ক্ষমা করেন। সীতার প্রতি যেন রামের প্রীতি জন্মায়। সীতা তখন সর্বসমক্ষে কৃতাঞ্জলি হয়ে নিম্নদিকে তাকিয়ে বললেন; “যদি আমি সতী হই এবং রাম ভিন্ন অন্য কারো চিন্তা না করে থাকি- মনে কর্মে বাক্যে শুধু রামকেই অর্চনা করে থাকি, তবে পৃথিবী দেবী যেন বিদীর্ণ হয়ে আমাকে আশ্রয় দেন। শপতকালে ভূতল থেকে নাগবাহিত এক চমৎকার রথে বসুমতি উত্থিত হয়ে সীতার উভয় বাহু ধারণ করে সিংহাসনে উপবেশনপূর্বক রসাতলে প্রবেশ করেন (পৌরাণিক অভিধান)।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.