৮৭/১৫. সুন্দরী
Belle (বেলি)/ ‘حسناء’ (হাসিনা)

ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্র’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘শুক্র’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘ধন’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অমির, আঙ্গুর, ধেনু, নির্যাস, পদ্ম, পিতৃধন, রুটি ও স্বর্গীয় ফল’। এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘নারাঙ্গী, রতী, রাধা ও সীতা’ এবং এর ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘আদিপিতা, আদিমানব ও আদ্যাশক্তি, দৈত্য^২, মহামায়া ও মা’।

অভিধা (Appellation)
সুন্দরী বিণস্ত্রী অপ্সনা, কিন্নরী, রূপবতী, মনোহারিণী, উত্তমা, লাবণ্যময়ী, গৌরবর্ণা, রূপবতী রমণী, belle, ‘حسناء’ (হাসিনা) (শ্ববি) শুক্র, শুক্রাণু, বীর্য, বিন্দু, ধাতু, semen, ‘আ.ﻤﻧﻰ’ (মনি), ‘আ.ﻧﻂﻔﺔ’ (নুত্বফা) (রূপ্রশ) গোবিন্দ, জল, বারি, পিতৃধন অহল্যা, কালী, দুর্গা, বৈষ্ণবী, সীতা (ইদে) ‘আ.ﺍﺪﻢ’ (আদম), ‘আ.عزى’ (উয্যা), ‘আ.ﺠﻦ’ (জিন), ‘ফা.ﭙﺮﻯ’ (পরি), ‘الزكاة’ (আজ্ঝাকাত), ‘আ.ﻟﻮﻄ’ (লুত্ব), ‘ﻴﺯﻴﺪ’ (ইয়াজিদ) ‘আ.ﺯﻟﻴﺠﺎ’ (জুলেখা), ‘আ. ‘ﺯﻫﺭﺍﺓ’ (জোহরা), ‘আ.بلقيس’ (বিলকিস) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্র’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ও শ্বরবিজ্ঞানের একটি ‘দেবতা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; রূপবতী রমণীকে সুন্দরী বলা হয় ২. মৈথুনে শিশ্ন হতে নিঃসৃত শুভ্রবর্ণের তরল পদার্থকে শুক্র বা রূপকার্থে সুন্দরী বলা হয় (বাপৌছ) আদিপিতা, আদিমানব, আদ্যাশক্তি, দৈত্য^২, মহামায়া, মা ও স্বর্গীয় ফল (বাপৌচা) দুর্গা, নারাঙ্গী, বেহুলা, রতী, রাধা, সীতা ও সুন্দরী (বাপৌউ) অমির, আঙ্গুর, ধেনু, নির্যাস, পদ্ম, পিতৃধন ও রুটি (বাপৌরূ) ধন (বাপৌমূ) শুক্র।

সুন্দরীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of belle)
১.   “আছে তিনজন নারী তারা বড়ই সুন্দরী, হায়রে যেমন মাতা তেমনই; ছেলেরে, আবার বিনা বীজে ছেলের পয়দা, ভোলামন বীজ বিনা ফলে।” (পবিত্র লালন-  ১৮৯/২)।
২.   “এক সুন্দরী বিশ্ব পরে বেশ্যা রূপে ঘুরেফিরে, বলো সে সুন্দরীর কী নাম, গুরুর চরণে প্রণাম।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৫)।
৩.   “তিনশত ষাটটি বিয়ের পরও, কন্যা থাকে বাপের বাড়ি, সত্য করে কও গোঁসাই গো, কেমন সেই সুন্দরী।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩০)।

সুন্দরীর সংজ্ঞা (Definition of belle)
সাধারণত; রূপবতী রমণীকে সুন্দরী বলে।

সুন্দরীর আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of belle)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মৈথুনে শিশ্ন হতে নিঃসৃত শুভ্রবর্ণের তরল পদার্থকে রূপকার্থে সুন্দরী বলে।

সুন্দরীর প্রকারভেদ (Variations of belle)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; সুন্দরী দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান সুন্দরী ও ২. উপমিত সুন্দরী।

১. উপমান সুন্দরী (Analogical belle)
সাধারণত; রূপবতী রমণীকে সুন্দরী বলে।

২. উপমিত সুন্দরী (Compared belle)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে মৈথুনে শিশ্ন হতে নিঃসৃত শুভ্রবর্ণের তরল পদার্থকে উপমিত সুন্দরী বলে।

সুন্দরীর পরিচয় (Identity of belle)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘শুক্র’ পরিবারের অধীন একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; রূপবতী রমণীকে সুন্দরী বলা হয়। তবে; শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল শুক্রকে সুন্দরী বলা হয়। কিন্তু সারা বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অনুবাদক ও অভিধানবিদ প্রায় সবাই শ্বরবিজ্ঞানে; বর্ণিত ‘সুন্দরী’ পরিভাষাটির দ্বারা কেবল রূপবতী রমণীকেই বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। যারফলে; সাধারণ পাঠক ও শ্রোতারা শ্বরবিজ্ঞানের প্রকৃতশিক্ষা বা আত্মদর্শন হতে চিরদিনই বঞ্চিত।

প্রত্যেকের উচিত সাধারণ সাহিত্য ও পুরাণের পার্থক্যগুলো ভালোভাবে অনুভব করা। সাধারণ সাহিত্যে কখনই ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে;  পৌরাণিক-সাহিত্যে সাধারণ পরিভাষা ব্যবহার করা হয় না। উদাহরণত বলা যায়- “ননি খেতে মদনচোরা, আপন বুকে মারল ছোরা, বলন কয় কেমন গোরা, ভেবে অন্ত নাহি পাই।” এখানে; ননি, মদনচোরা, ছোরামারা ও গোরা এসব ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’। সেজন্য; এটি; পুরাণ। অন্যদিকে; “আমাদের ছোটনদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে।” এখানে; ছোটনদী, বৈশাখমাস ও হাঁটুজল এসব সাধারণ পরিভাষা। সাধারণ পরিভাষার একটি অর্থ বিদ্যমান কিন্তু ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’র সর্বদাই দুটি অর্থ বিদ্যমান। একটি হলো উপমান ও অন্যটি হলো উপমিত। আলোচনার উপসংহারে উপনীত হয়ে বলতে চাই যে; রপক-সাহিত্যে ব্যবহৃত ‘সুন্দরী’ কখনই বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া সুন্দরী নয়। বরং শ্বরবিজ্ঞানে; সুন্দরী পরিভাষা দ্বারা উপস্থাপিত সুন্দরী হলো পুরুষজাতির ‘শুক্র’।