৩৩/১৮. স্বর্গালয়
Eden (ইডেন)/ ‘عدن’ (আদন)
ভূমিকা (Prolegomenon)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’ ‘দেহ’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক রূপক পরিভাষা’ ‘পৃথিবী’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক উপমান পরিভাষা’ ‘অশ্ব, গাড়ি, জাহাজ, তরী, বৃক্ষ ও হাতি’। এর ‘বাঙালী পৌরাণিক চারিত্রিক পরিভাষা’ ‘কানন, পাহাড়, বপু, বিপিন, ব্রজ৩ ও ভুবন’ এবং এর অন্যান্য ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ ‘দেবালয়, বিশ্ব, মন্দির, রথ ও শাস্ত্র’। এ পরিভাষাটি শ্বরবিজ্ঞানের ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’তে বর্ণিত ‘দেহ’ ও ‘জরায়ু’ প্রভৃতি ‘বাঙালী পৌরাণিক মূলক সত্তা’র ছদ্মনাম পরিভাষা রূপে ব্যবহৃত হয়। সেজন্য; এ পরিভাষাটির ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে এর সঠিক দেহতাত্ত্বিক ব্যুৎপত্তি উদ্ঘাটন করা সবারই একান্ত প্রয়োজন।
অভিধা (Appellation)
স্বর্গালয় (বাপৌছ)বি স্বর্গপুর, স্বর্গধাম, দেবপুর, দেবালয়, eden, ‘عدن’ (আদন) (প্র) রূপকথার দেবতাগণের আবাস-নিবাস (শ্ববি) দেহ, খাঁচা, ধড়, পিঞ্জর, body (বডি), জাসাদ (আ.ﺠﺴﺪ), বদন (আ.ﺒﺪﻦ) (দেপ্র) এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ (সংজ্ঞা) ১. সাধারণত; বাঙালী পুরাণে রূপকথার দেবতাগণের আবাস-নিবাসকে স্বর্গালয় বলা হয় ২. বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে, মানুষের স্থূল দেহকে রূপকার্থে স্বর্গালয় বলা হয় (বাপৌছ) দেবালয়, বিশ্ব, মন্দির, রথ, শাস্ত্র ও স্বর্গালয় (বাপৌচা) কানন, পাহাড়, বপু, বিপিন, ব্রজ৩ ও ভুবন (বাপৌউ) অশ্ব, গাড়ি, জাহাজ, তরী, বৃক্ষ ও হাতি (বাপৌরূ) পৃথিবী (বাপৌমূ) দেহ {বাং.স্বর্গ>+ বাং.আলয়>}
স্বর্গালয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধৃতি (Some highly important quotations of eden)
১. “ভূলোক ছেড়ে দ্যুলোক গেলে, স্বর্গলোকের সপ্ততলে, আপনজনা পাবি জলে, বিনয় করে কয় বলন।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৪)।
২. “রামদাস মুচি ভবের পরে, ভক্তির বল উদয় করে, স্বর্গে সদাই ঘণ্টা পড়ে, শুনি সাধুর ঠাঁই।” (পবিত্র লালন- ৭০৭/৩)। (মুখ; “ভক্তের দ্বারে বাঁধা আছেন সাঁই, হিন্দু কী যবন বলে, জাতির বিচার নাই।”) ।
স্বর্গালয়ের কয়েকটি সাধারণ উদ্ধৃতি (Some ordinary quotations of eden)
১. “এক পিরিতের দ্বিভাব চলন, কেউ স্বর্গে কেউ নরকে গমন, বিনয় করে বলছে লালন, এ জগতে।” (পবিত্র লালন- ৫৯৪/৪)।
২. “মা’শুক্বরূপ হৃদয়ে রেখে, থাকে সে পরম সুখে, শত শত স্বর্গ দেখে, মা’শুক্বের চরণে ধরা।” (পবিত্র লালন- ১৮৫/৩)।
৩. “সিজদা করেছে সেতো, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল জুড়া, কোন জায়গা সে বাদ রেখেছে, দেখ রে তোরা।” (পবিত্র লালন- ১৯০/২)।
৪. “স্বরূপ রূপে রূপের কিরণ, স্বর্গ মর্ত্য পাতাল ভুবন, সিরাজ সাঁইজি কয়রে লালন, দেখ নয়ন খুলে।” (পবিত্র লালন- ৯৭৫/৪)।
৫. “স্বর্গ-মর্ত্য পাতাল জুড়া তিনভূতের করাল থাবা, সেথা পঞ্চভূতে করছে খেলা ফাঁক দিলে গোল খাবা, রক্তিমজলা দীঘির পাশে- মরাগোরু উড়ে বাতাসে, মরে শেষে হায়হুতাশে, মরা তার পিছু নিয়েছে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২৬)।
৬. “স্বর্গ হতে ইঙ্গিত রূপে মনেতে হচ্ছে উদয়, তপস্বিরা বলন প্রকাশ করতেছে মাতৃভাষায়, সহচরগণ কর্ণে শুনে- আবার নিয়ে যাচ্ছে মনে, হস্ত দ্বারাই কাগজেতে- লিখেরে লেখনিখানি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১৩৪)।
৭. “স্বর্গের কথা সবাই বলে, অধিকাংশই অনুমানে চলে, কোন জাত কী বুঝায় মূলে, কাঁইজি বলন শুধালে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৬৬)।
৮. “স্বর্গের সুখ নাহি চায় সে, মিশতে না চায় সাযুজ্যে, ভাবে বুঝায় কষ্ট নাহি রয়, কৃষ্ণসুখের সুখী।” (পবিত্র লালন- ৩২৬/৩)।
১. শান্তি অর্থে ‘স্বর্গ’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology eden sense for peace)
১. “আয় কে যাবি মর্তবাসী, ঐ স্বর্গপুরে যাবি আয়, থাকতে না পেলে স্বর্গ, দেহত্যাগ পর কিছু নাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩৮)।
২. “গুরুমাখা ত্রিজগৎময়, কান্না হাসি স্বর্গ নরক হয়, উত্তম স্বেচ্ছ কারে বলা যায়, দেখ গভীরেতে বুঝে।” (পবিত্র লালন- ৮৩২/৩)।
৩. “দিব্যজ্ঞান সত্যের ঠিকানা, নিজকে নিজে যায়রে চেনা, গুরুকৃপায় স্বর্গ কেনা, তরীতে উড়াইয়া পাল।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৭)।
৪. “ধোঁকাবাজি করে সদাই, শিষ্যের সম্পদ লুটে খায়, কামিনীকাঞ্চন ডানে বাঁয়, বাস করে ভূস্বর্গপুরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯৪)।
৫. “পুণ্যাত্মা তরে শিষ্যগণে, বয়ে লয়ে চলে স্বর্গধামে, বলন কয় গুরুর গুণে, পার হয়ে যাও নিঃশ্বাসে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৯৫)।
৬. “যে ধনেতে ভূস্বর্গ গড়ে হায়, সে ধনই প্রাণ নাশী হয়, ভেবে কয় দয়াল গোঁসাই, বলনরে তোর জীবনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২২১)।
৭. “স্বর্গ বলি বেহেস্ত বলি, ঠিকানা সুখের সকলি, দোজখ নরক দুঃখ বলি, শব্দভেদ অভিধানে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৪৪)।
২. জরায়ু অর্থে ‘স্বর্গ’ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology eden sense for uterus)
১. “এ ভবেতে প্রেমতরী, পাঠিয়ে দিলেন পাপীর লাগি, মানুষ চাপিয়ে তাতে- অনায়াসেতে, স্বর্গেতে পায় অধিকার।” (পবিত্র লালন- ৯৬৭/২)।
২. “কেউ স্বর্গধামে বাসে, পাপ হলে ফিরে আসে, লালন বলে উর্বশী সে, নর্তকী তার প্রমাণ পাই।” (পবিত্র লালন- ২৮৫/৪)।
৩. “জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা, দেখায় সবাই আসমানে, খোদা আছেন কোন স্বর্গপুরে, কয়জনে ভেন জানে।” (পবিত্র লালন- ৪৭৩/১)।
৪. “পাতালে সাঁই রূপের বাহার, স্বরূপেতে রয় স্বর্গের ওপর, বলন কয় কী মনোহর, জীবনে যেজন হেরে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৮৩)।
৫. “বাহ্য-জ্ঞান অর্জন করলি, নরকবাস বুঝিয়া নিলি, দিব্যজ্ঞান বিনা স্বর্গ হারালি, সুখে দুঃখে মিলেনা তাল।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৭)।
৬. “সুখের নীড় স্বর্গপুরী, মাসান্তে আসে হুরী, গুরু দিলে মিলে সবারি, গুরু বিনা মিলে না ছাই।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩৮)।
৭. “স্বর্গ হতে অবতরণ কেউ কয়, কেউ বলে নবির জন্ম হয়, নবি দেহের শেষ অবতার হয়, কেউ জানে কেউ জানে না।” (পবিত্র লালন- ৫৭৪/২)।
৮. “স্বর্গপুরী কল্যাণপুরে, আলিঙ্গন তিনশতষাটি হুরে, যেতে পারলে পারাপারে, সেই জীবনে মুক্তি পায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৩৮)।
৯. “স্বর্গ হতে আত্মা ইন্দ্রিয় নামে নিধুবনে, মহান যোগ সমান হাজার মাস গণে, অতিবাহন হইলে নিশি- থাকে না রে কালশশী, আবার স্বর্গে যায়রে মিশি রহে না তার নিশানি।” (বলন তত্ত্বাবলী- ৬৪)।
সাধারণ রূপক স্বর্গ অর্থে স্বর্গ পরিভাষাটির ব্যবহার (Using the terminology eden sense ordinary metaphor eden)
১. “আছে বেহেস্তের আশায় মু’মিনগণ, হিন্দুরা দেয় স্বর্গেতে মন, টল কী অটলমুক্বাম, লিহাজ করে জানো আগে।” (পবিত্র লালন- ৬৬২/২)।
২. “আপন পাপ স্বীকার করি, সিরাজ সাঁইজির চরণ ধরি, লালন বলে পুণ্য পাবে স্বর্গে যাবে, এর বেশি কী ভাবো।” (পবিত্র লালন- ৭১৫/৪)।
৩. “আবার আমরা মরণের পরে, যাব নাকি স্বর্গ নরকেরে, কে মানবে এসব হেরে, এ দুনিয়ায়।” (পবিত্র লালন- ৩৪৭/৩)।
৪. “পাপী ঢেঁকি যদি স্বর্গে যায়, তিনবেলা ভানাকুটা লাথি না এড়ায়, ফকির লালন বলে নিদানকালে, যেন সৎগুরুর খাই লাথি।” (পবিত্র লালন- ৭১৬/৪)।
৫. “যে পঞ্চে পঞ্চভূত হয়, মরলে তা যদি তাতে মিশায়, ঈশ্বর অংশ ঈশ্বরে যায়, স্বর্গ নরক কার মিলে।” (পবিত্র লালন- ৭৬৬/৩)।
৬. “শিলা শালগ্রাম হওয়া, বলে দোষাই তা, স্বর্গে গিয়ে সুখ পাওয়া, সেও তো নয় চিরস্থায়ী।” (পবিত্র লালন- ২৮৫/৩)।
৭. “সাত নরক আট স্বর্গ জুড়ি, চার প্রধান ষোল প্রহরী, চৌদ্দ তলা আঠার পুরী, ঘুরাই কাঁটা ছয় জনে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১০)।
স্বর্গালয়ের সংজ্ঞা (Definition of eden)
সাধারণত; রূপকথার দেবতাগণের আবাস-নিবাসকে স্বর্গালয় বলে।
স্বর্গালয়ের আধ্যাত্মিক সংজ্ঞা (Theological definition of eden)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মানবের স্থূল আকারকে দেহ বা রূপকার্থে স্বর্গালয় বলে।
স্বর্গালয়ের প্রকারভেদ (Variations of eden)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে স্বর্গালয় দুই প্রকার। যথা; ১. উপমান স্বর্গালয় ও ২. উপমিত স্বর্গালয়।
১. উপমান স্বর্গালয় (Analogical eden)
সাধারণত; রূপকথার দেবতাগণের আবাস-নিবাসকে উপমান স্বর্গালয় বলে।
২. উপমিত স্বর্গালয় (Compared eden)
বাঙালী শ্বরবিজ্ঞানে ও বাঙালী পুরাণে; মানবের স্থূল আকারকে দেহ বা উপমিত স্বর্গালয় বলে।
স্বর্গালয়ের পরিচয় (Identity of eden)
এটি ‘বাঙালী পৌরাণিক চরিত্রায়ন সত্তা সারণী’ এর ‘দেহ’ পরিবারের একটি ‘বাঙালী পৌরাণিক ছদ্মনাম পরিভাষা’ বিশেষ। সাধারণত; রূপকথার দেবতাগণের আবাসস্থলকে স্বর্গালয় বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞানে; কেবল মানবদেহকে স্বর্গালয় বলা হয়। দেহরূপ এ স্বর্গালয়েই বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক মতবাদের দেবতাগণের আবাস নিবাস। কিন্তু বড় মজার বিষয় হলো সারা বিশ্বের সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িক মনীষী, বক্তা, ব্যৈখ্যিক, টৈকিক, অনুবাদক ও অভিধানবিদরা স্বর্গধাম বা স্বর্গ বলতে বিধাতার নির্মিত প্রয়াণোত্তর পুণ্যবানদের আবাস্থলকে বুঝেন এবং বুঝিয়ে থাকেন। এ কারণে সাম্প্রদায়িক বা পারম্পরিক পাঠক- শ্রোতারা কোনো দিনই প্রকৃত স্বর্গালয়ের সন্ধানলাভ করতে পারেন নি। আত্মদর্শন বা আত্মতত্ত্ব ভেদ বিদ্যা ভালোভাবে না জানা ও না বুঝার পূর্বে তারা কোনো ক্রমেই প্রকৃত স্বর্গের সন্ধানলাভ করতে পারবে না।
তথ্যসূত্র (References)
(Theology's number formula of omniscient theologian lordship Bolon)
১ মূলক সংখ্যা সূত্র (Radical number formula) "আত্মদর্শনের বিষয়বস্তুর পরিমাণ দ্বারা নতুন মূলক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়।"
রূপক সংখ্যা সূত্র (Metaphors number formula)
২ যোজক সূত্র (Adder formula) "শ্বরবিজ্ঞানে ভিন্ন ভিন্ন মূলক সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন যোজক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, গণিতে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা-সহগ যোগ করে নতুন রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায় না।"
৩ গুণক সূত্র (Multiplier formula) "শ্বরবিজ্ঞানে এক বা একাধিক মূলক-সংখ্যার গুণফল দ্বারা নতুন গুণক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৪ স্থাপক সূত্র (Installer formula) "শ্বরবিজ্ঞানে; এক বা একাধিক মূলক সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে স্থাপন করে নতুন স্থাপক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
৫ শূন্যক সূত্র (Zero formula) "শ্বরবিজ্ঞানে মূলক সংখ্যার ভিতরে ও ডানে শূন্য দিয়ে নতুন শূন্যক রূপক সংখ্যা সৃষ্টি করা যায়; কিন্তু, মূলক সংখ্যার কোন পরিবর্তন হয় না।"
< উৎস [] উচ্চারণ ও ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত () ব্যুৎপত্তির জন্য ব্যবহৃত > থেকে √ ধাতু => দ্রষ্টব্য পদান্তর :-) লিঙ্গান্তর অতএব × গুণ + যোগ - বিয়োগ ÷ ভাগ
- A great 70% flat rate for your items.
- Fast response/approval times. Many sites take weeks to process a theme or template. And if it gets rejected, there is another iteration. We have aliminated this, and made the process very fast. It only takes up to 72 hours for a template/theme to get reviewed.
- We are not an exclusive marketplace. This means that you can sell your items on PrepBootstrap, as well as on any other marketplate, and thus increase your earning potential.